খেলা
গোল করেও জয় না পাওয়ার আক্ষেপ রাকিবের
স্পোর্টস ডেস্ক
Published
1 month agoon
হংকংয়ের বিপক্ষে আজ সমতাসূচক গোলটি করেছেন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। তার গোলে বাংলাদেশ এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেও ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জয় না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরেছে তার কণ্ঠে।
রাকিব আজকের ড্রয়ের পর বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমত গোল করছি। বাংলাদেশের জার্সি পড়াই অনেক গর্বের সেখানে অবশ্যই গোল করা আনন্দের। এটা দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হয়েছে। আমরা অনেক কষ্ট করছি। এর ফল হিসেবে ড্র করতে পারছি। আজ অনেক সুযোগ মিস করছি না হলে জিততেই পারতাম।’
রাকিব নিজেই ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে বক্সের মধ্যে ফাকায় বল পেয়েও পোস্টে রাখতে পারেননি। প্রথমার্ধেও হামজার বাড়ানো বাংলাদেশ ফিনিশ করতে পারেনি। রাকিবের গোলের যোগানদাতা ফাহিম ম্যাচে সবচেয়ে সহজ সুযোগ মিস করেছেন।
৯ অক্টোবর ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে গোল হজম করে হারে। আজ হংকং শেষ বিশ মিনিট দশ জন নিয়ে খেলেছে। বাংলাদেশ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও জিততে পারেনি। তাই দুই ম্যাচের ফলাফল নিয়েই আফসোস করেছেন রাকিব, ‘প্রথম ম্যাচ (হোম) আমরা ড্র করতে পারতাম। আজকের ম্যাচটি জিততে পারতাম। আজ আমরা ১১ জনই ভালো খেলেছি এবং ভালো খেলা উপহার দিয়েছি যদিও সিলি মিসটেকে গোল কনসিড করেছি।’
হংকংয়ে ৪০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। স্টেডিয়াম ও মাঠের মান দু’টোই উন্নত। যা বাংলাদেশের ফুটবলারদের জন্য বেশ অপরিচিতই। এজন্য ভালো মাঠ দাবি রাকিবের, ‘স্টেডিয়ামটি বেশ আলাদা। বেশ প্রতিকূলকতার মধ্যে আমাদের খেলতে হয়। এ রকম মাঠ আমরা ডিজার্ভ করি। মাঠ থাকলে ভালো রেজাল্ট উপহার দিতে পারতাম।’
বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে চার ম্যাচ খেলেছে। ভারত ও হংকং দুই অ্যাওয়ে ম্যাচে একটি করে পয়েন্ট পেয়েছে। হোম ম্যাচে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের বিপক্ষে হেরেছে। চার ম্যাচই খেলেছেন রাকিব। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ভালো ফুটবল খেলেছি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ডমিনেট করলেও হারছি। শেষ দুই ম্যাচে বল পজিশন ও অপরচুনিটি ছিল পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। সামনে আরো ভালো কিছু হবে।’
S
You may like
খেলা
শোয়েবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হয়েছিল সানিয়ার
Published
6 hours agoon
নভেম্বর ১৩, ২০২৫
ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়ে ২০১০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা ও পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। দুই বৈরি সম্পর্কের দেশে এমন বিয়ের আয়োজন স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছিল। যদিও ঝড় তোলা সেই বিয়ে এক যুগের বেশি স্থায়ী হয়নি।
২০২৩ সালেই সানিয়া মির্জা শোয়েব মালিককে ডিভোর্স দেন। তবে তা আলোচনায় আসেনি লম্বা সময় পর্যন্ত। এরমাঝে শোয়েব মালিক নিজের জীবনে সঙ্গী করে নেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে। শোয়েব তার তৃতীয় বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনতেই পাল্টা সানিয়ার পরিবারও জানিয়ে দেয় টেনিস তারকার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণত খুব একটা মুখ খোলেন না সানিয়া মির্জা। কিন্তু নতুন ইউটিউব টক শো ‘সার্ভিং ইট আপ উইথ সানিয়া’ এর প্রথম এপিসোডেই যেন ঝেরে ফেললেন যাবতীয় দ্বিধা। অতিথির চেয়ারে ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বলিউড পরিচালক কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের সঙ্গে আলাপচারিতায় সানিয়া তুলে ধরলেন নিজের ভেঙে পড়ার মুহূর্ত, ডিভোর্স পরবর্তী মানসিক চাপে ডুবে যাওয়ার দিন, এমনকি এক ভয়ানক প্যানিক অ্যাটাকের অভিজ্ঞতাও।
সানিয়ার কথায়, ‘একটা দিন ছিল, আমার জীবনের সবচেয়ে অবসাদের মুহূর্তগুলোর একটা। সেটা ক্যামেরার সামনে বলতে চাই না। কিন্তু ওই সময় তুমি (ফারাহ) সেটে এসে দাঁড়ালে। আমাকে লাইভ শো-তে যেতে হত। আমি কাঁপছিলাম। তুমি যদি না থাকতে, ওই শো করতে পারতাম না। তুমি বলেছিলে—‘নো ম্যাটার হোয়াট, ইউ আর ডুইং দিস শো।’ সেই কথাটাই আমাকে দাঁড় করিয়েছিল!’
ফারাহও একমত। জানালেন, সানিয়ার অবস্থা দেখে তিনিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। ‘আমার সেদিন শুট ছিল। কিন্তু সব ফেলে পায়জামা-চপ্পলে ছুটে যাই ওর কাছে। শুধু ওর পাশে থাকতে চেয়েছিলাম!’ বললেন তিনি।
আলোচনার টেবিলে বসে সহমর্মিতার সুরে ফারাহ আরও জানান, একা হাতে মা হয়ে ওঠার লড়াইটা সানিয়া যেভাবে সামলাচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বলেন, ‘কাজ করতে হবে, ছেলেকে সময় দিতে হবে—দুটোই তোমাকে করতে হয়। এটা ডাবল এফর্ট, আর তুমি সেটা দারুণভাবে ম্যানেজ করছো!’
S
সিলেট টেস্টে স্বাগতিক ব্যাটারদের দাপট চলছে। প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ২৮৬ রান টপকে ইতোমধ্যে ৫৭৫ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৫ রান।
ব্যাটারদের দাপটের টেস্টে প্রথমবারের মতো একটি ঘটনারও সাক্ষী হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটে। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এবারই প্রথম, টপঅর্ডারের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন।
ওপেনিংয়ে নামা মাহমুদুল হাসান জয় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন সিলেটে। ২৮৬ বলের ইনিংসে ১৪ চার ও ৪ ছক্কার সাহায্যে ১৭১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া আরেক ওপেনার সাদমান ১০৪ বলে ৮০ রান করেছেন।
এ ছাড়া তিনে নামা মুমিনুল হকও আশিতে আটকা পড়েন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩২ বলে ৮২ রান। চারে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য সেঞ্চুরির হাসি হেসেছেন। ১১৪ বলে বরাবর শতরান করে ফিরেছেন তিনিও।
প্রথম চার ব্যাটারের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসের পর পাঁচে নামা মুশফিকের ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় বিদায়ে ছন্দপতন হয়। এরপর লিটন যদিও ফিফটি পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলমান টেস্টেই প্রথমবারের মতো সিলেটে পাঁচশো ছাড়ানো সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ। এর আগে এই মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩৩৮ রান।
S
খেলা
নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান ছাড়তে চান ক্রিকেটাররা, যা বলছে শ্রীলঙ্কা
Published
15 hours agoon
নভেম্বর ১৩, ২০২৫
পাকিস্তানের মাটিতে মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচেতে স্বাগতিকদের জয়ের পর তারা নতুন অনিশ্চিয়তায় পড়েছে। মঙ্গলবার ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩০ জন। ফলে নিরাপত্তা শঙ্কায় কয়েকজন লঙ্কান ক্রিকেটার সিরিজের মাঝপথেই দেশটি ছাড়তে চান। তবে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে তাদের ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
আগামীকাল (শুক্রবার) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। কিন্তু সফরকারী শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে এসএলসি। যে কারণে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে যথাযথ নিরাপত্তার আশ্বাস পাওয়ায় লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের সূচি মেনে খেলা এবং কেউ দেশে ফিরতে চাইলে তার রিপ্লেসমেন্ট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে এসএলসি জানিয়েছে, ‘নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বুধবার সকালে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে কয়েকজন ক্রিকেটার পাকিস্তানে চলমান সফর থেকে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসে, সকল উদ্বেগের বিষয়টি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করা হয়েছে। এখানে সফররত প্রত্যেক ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।’
সে হিসেবে চলমান সফর নির্ধারিত সূচিতে চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে ফিরতে চাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে বিকল্প ভাবনাও জানিয়েছে এসএলসি। লঙ্কান বোর্ড জানিয়েছে, ‘সকল ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টকে সূচি অনুসারে সফর সম্পন্ন করার আহবান জানাচ্ছে এসএলসি। এরপর কোনো খেলোয়াড় কিংবা সাপোর্ট স্টাফের সদস্য যদি দেশে ফিরতে চায়, পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবার কেউ সফর রেখে দেশে ফিরলে তাৎক্ষণিকভাবে তার রিপ্লেসমেন্ট পাঠিয়ে বিঘ্ন ছাড়াই সফর সম্পন্ন করা হবে।’
২০০৯ সালে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। এর জেরে দীর্ঘ সময় পাকিস্তানে কোনো বাইরের দেশ খেলতে যায়নি। আবারও যখন শ্রীলঙ্কা দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে, তখন আবার দেশটিতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠী জামা-উল-আহরার এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এর আগে পিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছেন, ‘পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি সশরীরে স্টেডিয়াম গিয়েছেন এবং সফরকারী দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা নিরাপদে থাকবে। পাকিস্তানি আর্মি ও প্যারামিলিটারি রেঞ্জার্সের সঙ্গে নিরাপত্তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সফরকারী খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালদের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে তারা কাজ করে যাবেন।’
প্রসঙ্গত, প্রথম ওয়ানডেতে ৬ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। তিনটি ওয়ানডে খেলে দুই দল জিম্বাবুয়েকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে ১৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। কোনো কারণে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ব্যাঘাত ঘটলে, পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজও অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে।
S
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হলে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প : মির্জা ফখরুল
পূর্ব-পশ্চিম দুই ফ্রন্টেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান
