Connect with us

আন্তর্জাতিক

দুঃস্বপ্ন শেষ হওয়ার প্রহর গুনছেন গাজার মানুষ

Digital Darpan

Published

on

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ চলায় গৃহহীন হয়ে উদ্বাস্তু জীবনযাপন করছেন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সাধারণ মানুষ। এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

মধ্যগাজার নুসেইরাত থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খোদারে শনিবার (৪ অক্টোবর) জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিরা এ দুঃস্বপ্ন শেষ হওয়ার প্রহর গুণছেন। তারা আশা দেখছেন নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন। সেই আগের জীবনে ফিরে যাবেন যেখানে ইসরায়েলি ড্রোন, বিমান হামলার ভয় থাকবে না।

তিনি বলেছেন, গাজার মানুষ জানেন তাদের ঘরবাড়ি ইসরায়েলিরা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা ফিরে গিয়ে বাড়িঘর অক্ষত পাবেন এমন সম্ভাবনা নেই-ই। কারণ দখলদার ইসরায়েলের সেনারা বিস্ফোরক বোঝাই রোবট ও বিমান হামলা চালিয়ে এলাকার পর এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে।

তা সত্ত্বেও তারা সেই ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই যেতে চান। নিজ বাড়িতে আছেন এমন অনুভূতি চান।

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যখন প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি হয়েছিল তখন দেখা গেছে নিজেদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের ওপর তাঁবু গেড়ে থেকেছিলেন তারা।

উদ্বাস্তু হয়ে থেকে সাধারণ মানুষ উদগ্রীব হয়ে গেছেন। তারা নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন।

এরমধ্যে পানি ও খাবারের অভাবে সেখানকার মানবিক পরিস্থিতিও খারাপ হচ্ছে। অনেকে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অপেক্ষা করছেন। কিন্তু হাসপাতালগুলো রোগীতে ঠাসা। এছাড়া প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে হাসপাতাল সেবা ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে আছে।

আলজাজিরার এ সাংবাদিক বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা ভালো খবর শোনার অপেক্ষায় আছেন। তারা অপেক্ষায় আছেন যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি বাস্তবে প্রয়োগ হবে।

সূত্র: আলজাজিরা

S

আন্তর্জাতিক

গাজায় সামরিক অভিযান থামিয়েছে ইসরায়েল

Published

on

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান থামিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। কয়েকটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে এ তথ্য।

ইসরায়েলের বেতার সংবাদমাধ্যম কান জানিয়েছে, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানানোর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলা থামানোর নির্দেশ দেন আইডিএফ-কে এবং আইডিএফ সেই নির্দেশ কার্যকর করেছে।

ইসরায়েলের আরেক বেতার সংবাদমাধ্যম আর্মি রেডিও জানিয়েছে, গাজায় অভিযান পুরোপুরি থামায়নি আইডিএফ, তবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে; অর্থাৎ হামলা, বোমা ও গোলাবর্ষণ বন্ধ করেছে, তবে অবস্থান ও টহল অব্যাহত রেখেছে।

গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধের অবসানের জন্য ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত নতুন একটি পরিকল্পনা হাজির করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরিকল্পনাটি প্রকাশের পরপরই তাতে সম্মতি দেন নেতানিয়াহু; কিন্তু গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস তখনও সাড়া দেয়নি।

গতকাল শুক্রবার হামাসকে আল্টিমেটাম দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যদি রোববারের মধ্যে হামাস সাড়া না দেয়, তাহলে ‘নরক’ নেমে আসবে গোষ্ঠীটির ওপর। এই আল্টিমেটামের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামাসের হাইকমান্ড জানায়, ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিজেদের কব্জায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তিপ্রদান এবং গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য রাজি আছে গোষ্ঠীটি।

হামাস সম্মতি দেওয়ার পর ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি এই আহ্বান জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধাবসান ইস্যুতে ট্রাম্প এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে পূর্ণমাত্রায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে ইসরায়েল।

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

আমরা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির খুব সন্নিকটে : ট্রাম্প

Published

on

ইসরায়েল এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী গাজার নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় ইতিবাচক সাড়া দেওয়াকে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে এক ‘অভূতপূর্ব’ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই প্রস্তাবটি তৈরিতে সহযোগিতা এবং সমর্থনের জন্য আরব বিশ্বের দেশগুলোকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, “কাতার, তুরস্ক, সৌদি আরব, মিসর, ওমানসহ আরো অনেক দেশ— যারা এটি (গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব) তৈরিতে আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং সমর্থন দিয়েছেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। অনেক পরিশ্রম, অনেক লড়াই তাদের করতে হয়েছে।”

“আজ একটি অসাধারণ দিন। আজ থেকে আমরা প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া দেখব। বিশেষভাবে বলতে গেলে, আমি ইসরায়েলি জিম্মিদের জন্য পথ চেয়ে আছি। তারা বাড়ি ফিরে আসবেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন। যে অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তারা গেছেন, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং আমি জানি যে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের কাছে যাওয়ার জন্য আকুল হয়ে আছেন।

“তো, আমি আপনাদের শুধু বলতে চাই যে আজ খুবই বিশেষ একটি দিন। বিভিন্ন কারণেই এ দিনটি অভূতপূর্ব! যারা সহযোগিতা করেছেন, সেইসব মহান দেশকে ধন্যবাদ। সবাইকে ধন্যবাদ। প্রত্যেকের ব্যাপক সহযোগিতা ও সমর্থনের কারণেই আজকের এ দিনটি এসেছে। যুদ্ধের অবসান এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। আমরা বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের খুব কাছাকাছি আছি। সবাইকে ধন্যবাদ। সবার সঙ্গে ন্যায়বিচার করা হবে।”

গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধের অবসানের জন্য ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত নতুন একটি পরিকল্পনা হাজির করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরিকল্পনাটি প্রকাশের পরপরই তাতে সম্মতি দেন নেতানিয়াহু; কিন্তু গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস তখনও সাড়া দেয়নি।

গতকাল শুক্রবার হামাসকে আল্টিমেটাম দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যদি রোববারের মধ্যে হামাস সাড়া না দেয়, তাহলে ‘নরক’ নেমে আসবে গোষ্ঠীটির ওপর। এই আল্টিমেটামের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামাসের হাইকমান্ড জানায়, ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিজেদের কব্জায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তিপ্রদান এবং গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য রাজি আছে গোষ্ঠীটি।

হামাস সম্মতি দেওয়ার পর ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি এই আহ্বান জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধাবসান ইস্যুতে ট্রাম্প এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে পূর্ণমাত্রায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে ইসরায়েল।

সূত্র : বিবিসি

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি ও গাজা যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী হামাস

Published

on

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে হামাস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার আলোকে জীবিত ও মৃত সকল ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে গোষ্ঠীটি। একইসঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও প্রশাসনিক হস্তান্তর নিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহও জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত তারা। এতে বলা হয়, আমরা বিস্তৃত পরামর্শ শেষে একটি দায়িত্বশীল অবস্থানে পৌঁছেছি। ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের আলোকে একটি বাস্তবসম্মত সমাধানের পথে এগোতে চাই।

হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি যুদ্ধের রেখা থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করে এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের পথ খুলে দেয়, তাহলেই তারা জিম্মিদের মুক্তি দেবে। বর্তমানে গাজায় ৪৮ জন জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত। মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের মধ্যে দুইজন মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন তার ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা মেনে নেওয়ার জন্য। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি তারা সম্মত না হয়, তাহলে সব নরক গাজায় নেমে আসবে।

এই প্রস্তাবে রয়েছে- সকল জিম্মির মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর ধাপে ধাপে প্রত্যাহার, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তা, স্বাধীন ফিলিস্তিনি প্রশাসনের গঠন।

গাজা নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস জানিয়েছে, তারা প্রশাসনিক দায়িত্ব একটি স্বাধীন ও জাতীয় ঐকমত্যভিত্তিক ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে হস্তান্তরে প্রস্তুত, যদি এটি আরব ও ইসলামি দেশগুলোর সমর্থন পায়।

জিম্মিদের পরিবারগুলো এই ঘোষণায় আশার আলো দেখছে। এক জিম্মির বাবা রোনেন নিউট্রা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এটি শেষের শুরু। হামাস বুঝতে পেরেছে যে সময় ফুরিয়ে এসেছে। এখন আন্তর্জাতিক মহলের সম্মিলিত চাপে একটি সমাধান সম্ভব।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের প্রস্তাবকে উপযুক্ত ভিত্তি হিসেবে স্বাগত জানালেও সতর্ক করে দিয়েছেন, হামাস পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলে ইসরায়েল কাজ শেষ করবে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ও একটি টেকসই শান্তির সূচনা হতে পারে।

সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট

S

Continue Reading