আন্তর্জাতিক
গাজায় অভিযান বন্ধ : ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া নেতানিয়াহুর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Published
1 month agoon
গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলি বাহিনী প্রস্তুত।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যায় যুদ্ধের অবসানের জন্য গত সপ্তাহে ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত নতুন একটি প্রস্তাব পেশ করেন ট্রাম্প। ইসরায়েল আগেই এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিল, গতকাল শুক্রবার তাতে সম্মতি জানিয়েছে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসও।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে হামাসের হাইকমান্ড বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিয়ে নিজেদের কব্জায় থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে এবং গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি আছে হামাস।
হামাস এই বিবৃতি দেওয়ার পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি বার্তা পোস্ট করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ ও সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে।
ট্রাম্প এই বার্তা পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যে এতে সাড়া দিয়ে বিবৃতি দেয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “(গাজায় যুদ্ধাবসানে) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে পরিকল্পনা দিয়েছেন, তার প্রাথমিক ধাপ বাস্তবায়ন করার জন্য ইসরায়েল সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
“এই যুদ্ধের অবসান ইস্যুতে ট্রাম্প যে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন, তার সঙ্গে ইসরায়েলের নীতি সঙ্গতিপূর্ণ। তাই গাজায় যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে পূর্ণমাত্রায় সহযোগিতা করব।”
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
S
You may like
-
‘গাজা স্থিতিশীলকরণ বাহিনী’তে যোগদান নিয়ে নেতিবাচক আমিরাত
-
প্রত্যেক মার্কিন নাগরিককে ২ হাজার ডলার দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের
-
সৌদি যুবরাজের যুক্তরাষ্ট্র সফর, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক গড়ার ঘোষণা আসবে?
-
‘বৈঠকে প্রস্তুত, কিন্তু কোনও ছাড় নয়’, যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়া
-
গাজা থেকে ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো হলো আরও এক বন্দির মরদেহ
-
ইসরায়েলি অবরোধে ক্ষুধা-শীতে বিপর্যস্ত গাজার ফিলিস্তিনিরা
আন্তর্জাতিক
ইসলামাবাদে হামলায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ শেহবাজ শরিফের
Published
7 hours agoon
নভেম্বর ১১, ২০২৫
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের আদালতের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত চত্বরে বোমা হামলার ঘটনার পরপরই এক বিবৃতিতে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে ইসলামাবাদের আদালতের বাইরে আত্মঘাতী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন শেহবাজ শরিফ। পাশাপাশি অভিযোগ করে বলেছেন, এই হামলায় ভারতের সক্রিয়ভাবে সমর্থিত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলো জড়িত।
বিবৃতিতে শেহবাজ শরিফ বলেন, ভারতের সন্ত্রাসী বিভিন্ন প্রক্সি গোষ্ঠীর মাধ্যমে পাকিস্তানের নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
এর আগে, মঙ্গলবার পাকিস্তানের স্থানীয় সময় বেলা ১২টার দিকে ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হন। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৩৯ মিনিটের দিকে কাছেরিতে (জেলা আদালত) আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে…। এতে ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতকে এই অঞ্চলে প্রক্সির গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ানোর মতো জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
যদিও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই বিস্ফোরণের জন্য আফগানিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, কাবুলের শাসকরা পাকিস্তানে সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারে, কিন্তু ইসলামাবাদে এই যুদ্ধ নিয়ে আসা কাবুলের একটি বার্তা; যার জবাব পাকিস্তান পুরোপুরি দিতে সক্ষম।
বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে দেশের জন্য ‘‘এক সতর্কবার্তা’’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খাজা আসিফ বলেছেন, আমরা যুদ্ধাবস্থায় রয়েছি। কেউ যদি মনে করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী কেবল আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা কিংবা বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যুদ্ধ করছে, তাহলে আজ ইসলামাবাদের জেলা আদালতে আত্মঘাতী হামলাটি তাদের জন্য সতর্কবার্তা।
তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের করা অভিযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ভারত।
সূত্র: জিও নিউজ, ডন, এএফপি।
S
আন্তর্জাতিক
নয়াদিল্লিতে বিস্ফোরণ: পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র
Published
15 hours agoon
নভেম্বর ১১, ২০২৫
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে হওয়া এই বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমরা দিল্লির লালকেল্লার কাছে হওয়া বিস্ফোরণের বিষয়ে অবগত আছি। আমরা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনে কনস্যুলার সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা ধীরগতির গাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ৯ জন প্রাণ হারান এবং আশপাশে থাকা কয়েকটি গাড়ি আগুনে পুড়ে যায়।
ঘটনার সময় এলাকা ছিল মানুষে ভরা। ব্যস্ত সন্ধ্যার ওই মুহূর্তে বিস্ফোরণে অন্তত আরও ২৪ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাদের দিল্লির লোক নায়ক জয়প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
S
আন্তর্জাতিক
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারাকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাতের দাবি
Published
1 day agoon
নভেম্বর ১০, ২০২৫
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে হত্যার দুটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়ার দাবি করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যরা ওই ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে সোমবার সিরিয়ার জ্যেষ্ঠ দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী জোটে যোগ দেওয়ার আল-শারার পরিকল্পনাকে আরও বেগবান করেছে। মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছেন তিনি।
সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা ও মধ্যপ্রাচ্যের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, গত কয়েক মাসে শারার বিরুদ্ধে এসব হত্যার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা হয়েছে। ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিতে ক্ষমতা সুসংহত করার পথে সরাসরি হুমকির মুখে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
দেশটির একাধিক সূত্র বলেছে, প্রেসিডেন্ট আল-শারার পূর্বনির্ধারিত সরকারি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল আইএস। তবে সংবেদনশীল হওয়ায় এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য জানানো হয়নি।
সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সিরিয়ার কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসে আল-শারাকে স্বাগত জানানোর কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক আইএসবিরোধী জোটে যোগ দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে সিরিয়া।
গত ডিসেম্বর ইসলামপন্থী বিদ্রোহী বাহিনীর নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসার পর শারা নিজেকে একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে আসছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে ওই বৈঠকের মাধ্যমে সিরিয়ার দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
আইএসবিরোধী জোটে যোগ দেওয়ার এই পদক্ষেপকে আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার দৃষ্টিভঙ্গির বড় পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র থেকে দেশটি বর্তমানে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের দিকে এগোচ্ছে।
তবে সিরিয়াকে একত্রিত করার শারার কাজ এখনো কঠিন। তার বাহিনী বারবার সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িয়েছে, বেসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে। এসব সহিংসতার ঘটনায় আইএসকে দায়ী করছে দামেস্ক।
সূত্র: রয়টার্স।
S
কাল বিভাগীয় শহরে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিক্ষোভ শিবিরের
পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে এডিবির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
