Connect with us

আন্তর্জাতিক

‘বৈঠকে প্রস্তুত, কিন্তু কোনও ছাড় নয়’, যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়া

Digital Darpan

Published

on

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জন্য রাশিয়া তার মূল শর্তগুলো থেকে সরে আসবে না। রোববার রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আরআইএ নোভোস্তিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত হিসেবে বিবেচিত ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালালেও এখনও তা আলোর মুখ দেখেনি। গত মাসে হঠাৎ করেই হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত শীর্ষ বৈঠক বাতিল করেন ট্রাম্প।

বৈঠকের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর শুক্রবার নাকচ করে দিয়েছে ক্রেমলিন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কো তার দাবি থেকে পিছু হটতে প্রস্তুত নয়।

২০০৪ সাল থেকে পুতিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ল্যাভরভ বলেছেন, ‌পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং আমি নিয়মিত যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা বুঝি।

তিনি বলেন, ইউক্রেন ইস্যু এবং দ্বিপাক্ষিক এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই আমরা টেলিফোনে যোগাযোগ রাখি এবং প্রয়োজনে মুখোমুখি বৈঠক করতেও প্রস্তুত।

ইউক্রেনে সৈন্য মোতায়েনের প্রায় চার বছর পরও রুশ বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে এবং বর্তমানে তারা ইউক্রেনের প্রায় ১৯ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। মস্কো বলছে, এই এলাকা আইনিভাবে রাশিয়ার অংশ। তবে ইউক্রেন এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো বলেছে, তারা কখনোই এ দাবির স্বীকৃতি দেবে না।

ল্যাভরভ বলেন, গত ১৫ আগস্ট আলাস্কার আঙ্কোরেজের একটি সামরিক ঘাঁটিতে পুতিন ও ট্রাম্পের বৈঠকে যেসব ‘বোঝাপড়া’ হয়েছিল, তা পুতিনের ২০২৪ সালের জুন মাসের দাবি এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গঠিত।

২০২৪ সালের জুনে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যার মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা ত্যাগ এবং মস্কো যে চারটি প্রদেশকে রাশিয়ার অংশ দাবি করে (পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক—যা মিলে দোনবাস অঞ্চল এবং দক্ষিণের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া), সেখান থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্য প্রত্যাহার করা।

বর্তমানে রাশিয়া ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়া, প্রায় পুরো লুহানস্ক, দোনেৎস্কের ৮০ শতাংশ, খেরসন ও জাপোরিঝিয়ার ৭৫ শতাংশ এবং খারকিভ, সুমি, মিকোলাইভ ও দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা কিছু এলাকা ডি ফ্যাক্টো হিসেবে স্বীকৃত হতে পারে, কিন্তু আইনগতভাবে নয়। তিনি বলেন, তার ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। আর এমন পদক্ষেপ ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের নতুন রুশ হামলার ঝুঁকিতে ফেলবে।

সূত্র: রয়টার্স।

S

আন্তর্জাতিক

বেশ কয়েকজন জেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করলেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

Published

on

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস এবং তাদের মিত্র প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের অতর্কিত হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়া’য়াল জামির।

চাকরিচ্যুত এই সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক, সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের শীর্ষ কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার আছেন বলে জানা গেছে। পদচ্যুত কয়েকজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা না হলেও তাদের ব্যাপকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যে কোনো সময় তাদেরকে সেনাবাহিনীর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

পরে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়া’য়াল জামির বলেন, “ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর প্রধান দায়িত্ব ইসরায়েলের নাগরিক ও জনগণকে নিরাপত্তা প্রদান, তাদের রক্ষা করা। এদিক থেকে বিবেচনা করলে ৭ অক্টোবর হামলা ঠেকাতে আইডিএফের পদচ্যুত কর্মকর্তাদের প্রত্যেকেই গুরুতর, প্রশ্নাতীত এবং ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ৭ অক্টোবর আমাদের বিরাট শিক্ষা দিয়েছে এবং এই শিক্ষা ভবিষ্যতে আমাদের নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।”

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভূমি, স্থল ও আকাশপথে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৫০ জনকে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েলের ইতিহাসে এটা ছিল সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।

অতর্কিত এই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দুই বছর ধরে অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতিতে যায় ইসরায়েল এবং হামাস।

ইসরায়েলি বাহিনীর দুই বছরের অভিযানে নিহত হয়েছেন ৬৯ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন প্রায় পৌনে দুই লাখ। সেই সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা।

সূত্র : রয়টার্স

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চল একদিন ভারতের অংশ হবে : রাজনাথ সিং

Published

on

পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চল আজ ভারতের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত না হলেও সীমান্ত যেকোনও সময় পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি একদিন ওই অঞ্চল ভারতের কাছে ফিরে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার মরক্কোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইন্দুস নদীর তীরবর্তী সিন্ধ প্রদেশ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায় এবং সেখানে বসবাসরত সিন্ধি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ভারতে চলে আসেন।দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে এলকে আদভানির প্রজন্মের মানুষ, ভারত থেকে সিন্ধ অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কখনোই মেনে নেননি।

তিনি বলেন, ‘‘আমি এটাও বলতে চাই যে, লালকৃষ্ণ আদভানি তার এক বইয়ে লিখেছেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে তার প্রজন্মের লোকজন, এখনো সিন্ধ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।’’

রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘শুধু সিন্ধই নয়, সমগ্র ভারতে হিন্দুরা ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করেন। সিন্ধের বহু মুসলমানও বিশ্বাস করতেন, ইন্দুসের পানি মক্কার আব-ই-জমজমের মতোই পবিত্র। এটি আদভানি জির উক্তি।’’

দেশটির এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ সিন্ধ ভূখণ্ড ভারতের না হলেও সাংস্কৃতিকভাবে সবসময় ভারতেরই অংশ হয়ে থাকবে। আর ভূখণ্ডের ব্যাপারে বলতে গেলে, সীমান্ত পরিবর্তন হতে পারে। কে জানে, আগামী দিনে সিন্ধ আবার ভারতেই ফিরে আসতে পারে। আমাদের সিন্ধি জনগণ, যারা ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করেন, যেখানেই থাকুন না কেন; তারা সর্বদাই আমাদেরই মানুষ, আমাদেরই অংশ।’’

রাজনাথ সিং বলেন, আগ্রাসী কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মির (পিওকে) ফিরে পাবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ কাশ্মিরের মানুষ নিজেরাই দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি তুলছেন।

তিনি বলেন, ‘‘পাক-অধিকৃত কাশ্মির নিজ থেকেই আমাদের অংশ হবে। সেখানে ইতোমধ্যে এই দাবি তোলা শুরু হয়েছে, স্লোগান আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন।’’

সূত্র: এনডিটিভি।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

বঙ্গোপসাগরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে

Published

on

বঙ্গোপসাগরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি দুর্বল নিম্নচাপ তীব্রতর হয়ে ‘সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে’ রূপ নিয়েছে। যা আগামীকাল আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশাটিভি রোববার (২৩ নভেম্বর) জানিয়েছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিমদিকে সরে গিয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

বর্তমানে এটি দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের দিকে আসছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি কোনদিকে যাবে এবং কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

দুর্বল নিম্নচাপটি ২৫শে নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছাকাছি ঘনীভূত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ সন্দীপ পট্টনায়ক জানিয়েছেন, মালাক্কা প্রণালী এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের অনুকূল পরিস্থিতির কারণে দুর্বল নিম্নচাপটি ম্যাডেন-জুলিয়ান অসিলেশন পর্যায় অতিক্রম করে আরও শক্তি অর্জন করতে পারে।

তিনি বলেন, “সমুদ্রের উপরিভাগের ক্ষেত্রফল বড় হওয়ায় এবং প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শক্তিশালী বাতাসের স্রোত আসায় আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে, যার ফলে দুর্বল নিম্নচাপটি তীব্র হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যেহেতু শীতল বাতাসের প্রভাব কেটে গেছে, তাই এটির আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।”

এ আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শক্তিশালী বাতাস প্রবেশ, সমুদ্রের বিস্তৃত জলরাশি এবং শীতল বাতাসের অনুপ্রবেশ না থাকার কারণে এটি আরও তীব্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আবহাওয়ার এই সিস্টেমটি ২১শে নভেম্বর থেকে আগামী ২ বা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে, বিশেষ করে ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এর তীব্রতা বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে (বর্তমানে) দুর্বল নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে, অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।

এটির প্রভাবে আগামী ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে। ২৬ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ এমনকি ৮০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। আর ২৭ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

ওড়িশা টিভি

S

Continue Reading