Connect with us

জাতীয়

সুমুদ ফ্লোটিলার মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তারে শ্রমিক সংগঠনের নিন্দা

Digital Darpan

Published

on

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সুমুদ ফ্লোটিলার মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এতে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য সচিব সিকান্দার আলি মিনা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আকতার চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা অংশ নেন।

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ মানবাধিকার কর্মীর সুমুদ ফ্লোটিলা অভিযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার বিধিমালা মেনে মানবাধিকার কর্মীরা গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সমস্ত নিবেদন উপেক্ষা করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ফ্লোটিলাগুলোকে অপহরণ করেছে। মানবাধিকার কর্মীদেরকেও গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি বলেন, জাহাজগুলোতে নেতৃত্বদানকারী তরুণ মানবাধিকার কর্মী, পরিবেশকর্মীরসহ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন ফটোগ্রাফার এবং মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। তাদের মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু শ্রমিকদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামি না। শ্রমিকরা সবসময় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ইতালির ডগ শ্রমিকরা আন্দোলন করে ইতালি থেকে ইসরায়েল যে অস্ত্র সরবরাহ হয় এবং যে সব জিনিসপত্র রপ্তানি হয় সেগুলো উত্তোলন করা বন্ধ করে দিয়েছে। সুতরাং মানবাধিকার আন্দোলন শ্রমিক আন্দোলনের একটি অংশ। মানবাধিকার লঙ্ঘন যেখানেই হবে, আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করবো— এটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার।

বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আকতার চৌধুরী বলেন, ফিলিস্তিনে যে বর্বরতা চালানো হচ্ছে এটার সঙ্গে শুধু ইসরায়েলীরা জড়িত নয়, এর সঙ্গে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরাও রয়েছে। তাদেরকেও বর্বরতার দায় বহন করতে হবে।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, গাজা মানব হত্যা কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। সেখানে ২২ লাখ মানুষের মধ্যে তিন লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। জাতিসংঘ বলছে— দৈনিক একজন মানুষ যে পরিমাণ খাবার খাওয়া প্রয়োজন, সেটির মাত্র ২৬ শতাংশ খাবার তারা খেতে পারছে। এভাবে দুবছর ধরে চলছে। এ রকম একটা জায়গায় মানবাধিকার কর্মীরা খাদ্য, পানি এবং ওষুধ নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইসরায়েল তাদের আটকে দিয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা জানান, বিশ্বজুড়ে যেমন প্রতিবাদ চলছে, বাংলাদেশেও শ্রমিকরা সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে থাকবেন।

s

জাতীয়

আসিয়ানে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের

Published

on

বাংলাদেশ উদীয়মান খাতগুলোতে ফিলিপাইনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় বাংলাদেশ-ফিলিপাইন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক পরামর্শ (এফপিসি) সভায় বাংলাদেশ এ আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করে।

ছয় বছর পর এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরামর্শ সভা যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র দপ্তরের নীতি বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি মা. হেলেন বি. ডে লা ভেগা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উভয় পক্ষ সবশেষ এফপিসি সভার পর থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সুনীল অর্থনীতি, শিক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, দক্ষতা উন্নয়ন, সংস্কৃতি এবং প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ বিনিময়সহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।

এ ছাড়া তারা শ্রমের গতিশীলতা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনা নিয়েও মতবিনিময় করেন।

উভয় দেশের প্রতিনিধিরা সভায় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বহু পক্ষীয় ইস্যুগুলো নিয়েও আলোচনা করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) পরিস্থিতি।

পরামর্শ সভা শেষে দুদেশের মধ্যে ১৯৭৮ সালের এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন (সংশোধিত) অনুযায়ী রিকগনিশান অব সার্টিফিকেটের আলোকে সামুদ্রিক সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের পক্ষে মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি অথরিটি (মারিনা)-এর প্রশাসক সোনিয়া বি. মালালুয়ান।

পরে ড. নজরুল ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা. তেরেসা পি. লাজারো এবং অভিবাসী শ্রমিক বিষয়ক মন্ত্রী হ্যান্স লিও জে. কাকডাকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ সংলাপ আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে উভয় পক্ষ।

সূত্র : বাসস।

 

Continue Reading

জাতীয়

রোহিঙ্গা নারীদের ৯৭ শতাংশই শিক্ষার বাইরে, বৈশ্বিক প্রতিনিধিদলের উদ্বেগ

Published

on

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে শিক্ষার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করা বৈশ্বিক একটি প্রতিনিধিদল। তারা বলছে, শিক্ষার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ায় বিশেষ করে মেয়েদের জন্য আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের জরিপের তথ্য বলছে, রোহিঙ্গা নারীদের প্রায় ৯৭ শতাংশই এখনও শিক্ষার বাইরে, যা মানবিক শিক্ষা উদ্যোগের জন্য বড় এক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি সুসংহত, স্বীকৃত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কাঠামো গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাস্টিস ফর অলের নেতৃত্বাধীন বার্মা টাস্ক ফোর্স প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার গোল্ডেন টিউলিপ দ্য গ্র্যান্ডমার্ক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।

প্রতিনিধিদলটি বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও নীতিনির্ধারণ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে বহু বছরের গবেষণা ও সাম্প্রতিক মাঠ পরিদর্শনের ভিত্তিতে মূল সুপারিশগুলো তুলে ধরেন।

প্রতিনিধিদলের অনুসন্ধানটি ১,০০০ রোহিঙ্গা নারীর ওপর করা জরিপ, শিক্ষাবিদ ও প্রশাসকদের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শ এবং শিবিরভিত্তিক স্কুল পরিদর্শনের ওপর ভিত্তি করে। এতে দেখা যায়, রোহিঙ্গা স্কুল-যুগের জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ নারী হলেও তাদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশই শিক্ষার আওতায়।

তাদের আনুষ্ঠানিক স্মারকলিপিতে তিনটি পদক্ষেপের ওপর জোর দেওয়া হয়–

১. রোহিঙ্গা শিক্ষার জন্য একটি একীভূত জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন;
২. একটি স্বীকৃত সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা গঠন, যা উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের পথ খুলে দেবে;
৩. মার্কিন মুসলিম ত্রাণ সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি, যাতে বিপুল দাতব্য সম্পদ ও দক্ষতা কাজে লাগানো যায়।

জাস্টিস ফর অলের সভাপতি ও বার্মা টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ইমাম আবদুল মালিক মুজাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে সহানুভূতি দেখিয়েছে, তা বিশ্বের আর কোনো দেশ দেখায়নি। এখন সময় এসেছে– একটি স্বীকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে যেন রোহিঙ্গা শিশু, বিশেষ করে মেয়েরা, তাদের ভবিষ্যৎ থেকে বঞ্চিত যেন না হয়।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রোহিঙ্গা শিক্ষা কার্যক্রমের অর্থায়নে বড় পরিবর্তন এসেছে। আগে এই খাতে প্রায় ৩০ শতাংশ বা তার বেশি অর্থ বিদেশ থেকে আসত, এখন যুক্তরাষ্ট্র ইউনিসেফকে অর্থায়ন করবে, যারা বর্তমানে পুরো ৭৫ শতাংশ শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করছে।’

তিনি জানান, আগে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, যার ফলে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল। ‘আমরা যখন পরিদর্শনে যাই, দেখি– অসংখ্য শিশু আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, শেখার কোনো জায়গা নেই তাদের জন্য। এখন শেখার অনুমতি পাওয়া বড় একটি অগ্রগতি।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অনুমতির বাস্তব প্রয়োগে পর্যাপ্ত অর্থায়ন অপরিহার্য। ‘মুসলিম দেশসমূহ, বিশ্ব ব্যাংক, ইউরোপীয় দেশ ও আমেরিকা সবাই যদি এই উদ্যোগে আরও অর্থায়ন করে, তবে শিক্ষার মান ও সুযোগ—দুটোই উন্নত হবে।’

মুজাহিদ আরও বলেন, রোহিঙ্গা অভিভাবকদের অনেকেই মনে করেন ইউনিসেফ পরিচালিত স্কুলগুলো সাংস্কৃতিকভাবে উপযুক্ত নয়। এই কারণে ইউনিসেফ স্কুলগুলোর প্রতি তাদের অনুমোদন মাত্র ২৩ শতাংশ। তারা চায় শিক্ষা ব্যবস্থায় সাংস্কৃতিক দিকনির্দেশনা ও ধর্মীয় সংবেদনশীলতা প্রতিফলিত হোক।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের সাবেক চেয়ার নাদিন মানজা বলেন, ‘কক্সবাজারে আমি এমন পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেছি যারা জানে, শিক্ষাই তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। শিবিরে শিক্ষা প্রদান কেবল মানবিকতার কাজ নয়– এটি কৌশলগত বিনিয়োগ। অশিক্ষিত প্রজন্ম নির্ভরতা ও অনিরাপত্তা বাড়াবে, কিন্তু শিক্ষিত প্রজন্ম শান্তি, স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশ-বার্মা উভয় দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পগুলোতে শিশুদের শিক্ষা পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং সত্যিই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০০,০০০ স্কুলগামী শিশুর মধ্যে ৩৪০,০০০ জন পূর্বে স্কুলে ছিল, কিন্তু এখন ছেলে-মেয়ে উভয়েই ক্যাম্পের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কারণ তাদের খেলাধুলা বা শিক্ষার কোনো জায়গা নেই। ছোট রাস্তা, ছোট কুঁড়েঘর– শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয়।’

নাদিন মানজা আরও বলেন, নীতি অস্পষ্ট এবং অর্থায়ন বন্ধ থাকার কারণে চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত অধিকাংশ স্কুল বন্ধ। এছাড়াও শিক্ষার অভাবে গ্যাং বা অপরাধমূলক কার্যকলাপে ঝুঁকি বাড়ছে। সেইসঙ্গে কিছু রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক নিজস্ব কুঁড়েঘরে অল্প পরিসরে পড়াচ্ছেন, কিন্তু সুবিধা নেই। দীর্ঘদিন নীতি অনুসারে শিক্ষা শুধু চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সীমিত ছিল, যা কোনো বাস্তব মান বহন করে না।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মুখপাত্র রিচার্ড রিওচ যোগ করেন, ‘শিক্ষা হলো গণহত্যার ভয়াবহতার মধ্যে বন্দি তরুণদের পুনরুদ্ধারের জীবনরক্ষাকারী পথ। যেভাবে তাদের খাদ্য ও পানির প্রয়োজন, ঠিক তেমনই প্রয়োজন শিক্ষা থেকে পাওয়া মানসিক যত্ন ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ। আমরা দেখেছি, রোহিঙ্গা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিবেদনই প্রমাণ করে– গণহত্যাও তাদের সন্তানের শিক্ষার আকাঙ্ক্ষা নিভিয়ে দিতে পারেনি।’

প্রতিনিধিদল বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানায় শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের দপ্তরকে, উন্মুক্ত সংলাপ ও মাঠ পরিদর্শনে সহযোগিতার জন্য। কমিশনার মিজানুর রহমানের প্রশংসা করে তারা বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা, জাতিসংঘ সংস্থা ও এনজিওগুলোর সঙ্গে তিনি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের নতুন পথ অনুসন্ধানে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন।

S

Continue Reading

জাতীয়

সার্ভার স্টেশন নির্মাণে ২৪ ডিসির কাছে ভূমি চাইল ইসি

Published

on

জেলা নির্বাচন অফিস ও উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবনে সার্ভার স্টেশন নির্মাণ করতে ২৪ জেলা প্রশাসকের কাছে ভূমি চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের ৩৫টি কার্যালয় নির্মাণের জন্য ২৪ ডিসিকে জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) ইসির গবেষণা ও প্রকাশনা শাখার উপপ্রধান (উপসচিব) মুহাম্মদ মোস্তফা হাসানের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

এতে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনী ডাটাবেজের জন্য উপজেলা/থানা, জেলা ও আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন নির্মাণ এবং জেলা সার্ভার স্টেশন ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পের ডিপিপির ওপর পরিকল্পনা কমিশনে ‘প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি’ (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রকল্পের ভূমি বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি বরাদ্দ প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমের জন্য বর্তমানে নির্বাচন অফিস ভবনগুলো নির্মাণ করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় একটি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, দুটি জেলা নির্বাচন অফিস ও ৩২টি উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি বরাদ্দ প্রয়োজন।

আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, জেলা নির্বাচন অফিস ও উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবন (সার্ভার স্টেশন) নির্মাণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুকূলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভূমি বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ সিনিয়র সচিব বরাবর পত্র প্রেরণের জন্যও বলা হয়েছে চিঠিতে।

যে ২৪ জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে– ঢাকা, গাজীপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, বরগুনা, মেহেরপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ।

যে অফিসের জন্য যত ভূমি চেয়েছে নির্বাচন কমিশন–

ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের জন্য ন্যূনতম ২৫ শতাংশ। গাজীপুর ও মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসের জন্য ন্যূনতম ২০ শতাংশ। ৩২টি উপজেলার জন্যও ভূমি চাওয়া হয়েছে, যেখানে প্রতিটি উপজেলার জন্য ন্যূনতম ১০ শতাংশ ভূমি চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

৩২টি উপজেলা হলো– লৌহজং, গাজীপুর সদর, সালথা, ডাসার, কালুখালী, শাহজাহানপুর, নলডাঙ্গা, চৌহালী, বিরল, তালতলী, মুজিবনগর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই, তিতাস, আশুগঞ্জ, বিজয়নগর, হাইমচর, মতলব উত্তর, কমলনগর, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সুবর্ণচর, কর্ণফুলী, সন্দ্বীপ, কক্সবাজার ঈদগাঁও, গুইমারা, দক্ষিণ সুরমা, শায়েস্তাগঞ্জ, জুড়ী, শান্তিগঞ্জ, দিরাই ও মধ্যনগর।

S

Continue Reading