Connect with us

আন্তর্জাতিক

গাজায় ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে এখন অন্য কথা বলছে পাকিস্তান

Digital Darpan

Published

on

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধে গত সোমবার ২০ দফার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রস্তাবটি প্রকাশের পরই ৮ মুসলিম দেশ এটিকে স্বাগত জানায়। যারমধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে।

তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জানিয়েছেন, ট্রাম্প যে প্রস্তাব ঘোষণা করেছেন এটি তাদের দেওয়া প্রস্তাব নয়। তাদের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রস্তাবের যেসব ধারা নিয়ে কথা হয়েছিল সেগুলোর চেয়ে নতুন প্রস্তাবটিতে অনেক পরিবর্তন রয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে ট্রাম্পের সঙ্গে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে বৈঠক করেন ৮ মুসলিম দেশের নেতারা। ওই সময় তারা গাজা যুদ্ধ বন্ধে একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। ট্রাম্প এতে সমর্থন জানান। কিন্তু পরবর্তীতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কথায় ট্রাম্প প্রস্তাবের ধারায় অনেক পরিবর্তন এনেছেন।

এ ব্যাপারে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির পার্লামেন্টে বলেছেন, “যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমি স্পষ্ট করেছি ট্রাম্প যে ২০ দফা ঘোষণা করেছেন, এগুলো আমাদের দফা নয়। আমরা যেসব প্রস্তাব দিয়েছিলাম এগুলো সেগুলো নয়। আমাদের কাছে যে খসড়া ছিল সেটি থেকে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।”

এদিকে পাক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রস্তাবকে সমর্থন জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ তার নিজ দেশে চাপে পড়েছেন। দেশটির রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষক, সাংবাদিক এবং অধিকারকর্মীরা বলছেন, ট্রাম্পের এ প্রস্তাব হামাস মুসলিম বিশ্বের জন্য ‘আত্মসমর্পণের’ শামিল। কারণ এই প্রস্তাবে জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি উল্লেখও করা হয়নি।

সূত্র: দ্য ডন

S

আন্তর্জাতিক

ঐতিহাসিক সফরে ভারতে যাচ্ছেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

ঐতিহাসিক সফরে ভারতে যাচ্ছেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী। আগামী ৯ অক্টোবর ভারত সফরে যাচ্ছেন তিনি। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটাই কাবুল থেকে দিল্লিতে প্রথম কোনও উচ্চপর্যায়ের সফর।

তার আসন্ন এই সফরকে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেন ৯ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে ভারত সফর করতে পারেন সেজন্য মুত্তাকীকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে সাময়িক ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিশ্চিত করেছে।

এনডিটিভি বলছে, ভারতীয় কূটনৈতিক মহল কয়েক মাস ধরে এ সফরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। জানুয়ারি থেকে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ও সিনিয়র আইএফএস কর্মকর্তা জে.পি. সিং দুবাইসহ নিরপেক্ষ স্থানে একাধিক দফায় মুত্তাকী ও অন্যান্য তালেবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব আলোচনায় মূলত ভারতের দেওয়া মানবিক সহায়তা, বিশেষত স্বাস্থ্য খাত শক্তিশালী করা ও শরণার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে কথা হয়।

এরপর চলতি বছরের ১৫ মে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের পর ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর মুত্তাকীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ২০২১ সালের পর এটিই ছিল প্রথম মন্ত্রীপর্যায়ের যোগাযোগ। ওই সময় জয়শঙ্কর আফগান জনগণের সঙ্গে ভারতের ‘ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বের’ কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

ভারত ইতোমধ্যে আফগানিস্তানে খাদ্যশস্য, ওষুধ ও উন্নয়ন সহায়তা বাড়িয়েছে। তালেবান সরকার ভারতকে জ্বালানি, অবকাঠামোসহ নানা খাতে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর ভারত ১ হাজার তাঁবু ও ১৫ টন খাদ্য পাঠিয়েছিল। পরবর্তীতে আরও ২১ টন ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়।

এনডিটিভি বলছে, ভারতের জন্য আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফর ঝুঁকিপূর্ণ হলেও কৌশলগতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। মূলত সরাসরি তালেবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রক্ষা, সন্ত্রাসী হুমকি প্রতিরোধ এবং পাকিস্তান-চীনের প্রভাব মোকাবিলা করতে চাইছে ভারত।

s

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

গাজায় ফের ত্রাণবাহী নৌযান পাঠানোর ঘোষণা দিলো ফ্লোটিলা

Published

on

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ফের ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে এফএফসি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতালি ও ফ্রান্সের পতাকাবাহী দু’টি নৌযান গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইতালির ওৎরান্তো বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর রওনা দিয়েছে আরও ৯টি নৌযান। শিগগিরই সেগুলো অগ্রবর্তী জাহাজগুলোর কাছাকাছি পৌঁছাবে এবং একটি ঐক্যবদ্ধ বহর হিসেবে এগিয়ে যাবে।

নতুন এই বহরের ১১টি নৌযানে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রু আছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে এফএফসি।ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা— এই চার সংগঠনের জোট এফএফসি। ২০০৮ সালে গঠিত হয় এই জোট। তারপর থেকে গত ১৭ বছরে বেশ কয়েক বার গাজয় ত্রাণ পাঠিয়েছে এফএফসি।

গত আগস্ট মাসে গাজায় খাদ্য, ওষুধবাহী ৪৩টি নৌযান পাঠানোর ঘোষণা দেয় এফএফসি জোট এবং এই মিশনের নাম দেওয়া হয় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’। সুইডেনের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক ছিলেন সেই মিশনে। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।

গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা; কিন্তু গাজার জলসীমায় কাছাকাছি যাওয়ারি পরপরই একটি ব্যতীত সবগুলো নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলের বন্দরে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ত্রাণবহর আটকে দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ পাত্তা দিচ্ছে না।

এর মধ্যেই নতুন ত্রাণ বহর পাঠানোর ঘোষণা দিলো এফএফসি।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অসংখ্য ফাঁকফোকরে ভরা: মিসর

Published

on

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় “অসংখ্য ফাঁকফোকর” রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব, তবে হামাস রাজি না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্যারিসে ফরাসি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনে এক আলোচনায় মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তি বলেন, “আমরা কাতারের ভাইদের সঙ্গে এবং তুরস্কের সহকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করছি, যেন হামাসকে এই পরিকল্পনায় ইতিবাচক সাড়া দিতে রাজি করানো যায়।”

তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্পের পরিকল্পনায় বহু ফাঁক রয়েছে, যা পূরণ করা দরকার”। গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সময়ে কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সেই অংশে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন আবদেলাত্তি।

মিসরের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছি এবং হামাসের প্রতিক্রিয়া বুঝতে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব, তবে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, হামাস যদি এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠবে এবং উত্তেজনা আরও বাড়বে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই মিসর গাজার জনগণের বাস্তুচ্যুতি মেনে নেবে না।

অন্যদিকে মিসরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবৌলি জানান, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় এমন কিছু মূলনীতি রয়েছে, যা সবসময় মিসরের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তার মতে, এই নীতিগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিনিদের কোনো বাস্তুচ্যুতি নয়, গাজা বা পশ্চিম তীর দখল নয়, যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা, দুই পক্ষের বন্দিদের মুক্তি এবং গাজা পুনর্গঠনের মতো বিষয়ও রয়েছে।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউস গাজার জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করে। এতে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, পরবর্তী পুনর্গঠন কর্মসূচি এবং গাজার রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুনভাবে সাজানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজাকে ‘অস্ত্রশূন্য অঞ্চল’ করা হবে। এছাড়া সেখানে অন্তর্বর্তী শাসনব্যবস্থা চালু থাকবে এবং একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া তদারক করবেন সরাসরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এতে আরও বলা হয়েছে, পরিকল্পনা অনুমোদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসকে সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে এবং এর বিনিময়ে ইসরায়েল শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।

এ ছাড়া পরিকল্পনায় শত্রুতা বন্ধ, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধযোদ্ধাদের নিরস্ত্র করা এবং ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের কথা উল্লেখ আছে। গাজা শাসন করবে একটি প্রযুক্তিনির্ভর অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ। সেটি আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে পরিচালিত হবে এবং নেতৃত্ব দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে পরিকল্পনাটি ইসরায়েলের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। অন্যদিকে হামাসের জন্য কঠোর ও সুস্পষ্ট শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার কিংবা মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্যও পরিকল্পনায় নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করেছে, গাজা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে, ক্ষুধা ও বিভিন্ন রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

S

Continue Reading