চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দীর্ঘ সময়ের চোট কাটিয়ে ভারত জাতীয় দলে ফিরেছিলেন পেসার মোহাম্মদ শামি। এরপর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তিনি খেলেছেন। যেখানে ৫ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন দলটির হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৯ উইকেট শিকার করেন শামি। কিন্তু এরপর থেকেই ভারতের স্কোয়াডে তিনি ব্রাত্য হয়ে পড়েন। জায়গা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে যাওয়া দুই ফরম্যাটের সিরিজেও।
চলতি মাসে অস্ট্রেলিয়ায় দুই ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে যাবে ভারত। আগামী ১৯ অক্টোবর প্রথম ওয়ানডে দিয়ে এই সিরিজ শুরু হবে। যেখানে রোহিত শর্মাকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হয়েছে শুভমান গিলকে। তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি শামির। এরপর থেকেই অনেকের ধারণা– ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা পেসারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হয়তো শেষ হতে যাচ্ছে!
আইসিসি ইভেন্টে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ এই উইকেটসংগ্রাহক নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে জাতীয় দলে জায়গা হারানো নিয়ে মোহাম্মদ শামি বলেন, ‘অনেক গুঞ্জন ও সামাজিক মাধ্যমে মিমস দেখতে পাচ্ছি। জাতীয় দলের স্কোয়াড নির্বাচিত করা আমার হাতে নেই। এজন্য নির্বাচক কমিটি, কোচ ও অধিনায়ক আছেন। যদি তারা মনে করেন আমি সেখানে থাকব, তাহলে আমাকে নেবে। আবার যদি মনে করে আমার আরও সময় দরকার, সেই সিদ্ধান্তও তাদের। আমাকে ডাকলে খেলার জন্য প্রস্তুত।’
ভারতের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই দুইশ’র বেশি উইকেট শিকার করা শামি নিজের ফিটনেস ভালো বলেও দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ফিটনেস এখন বেশ ভালো। আমি আরও ভালো করার চেষ্টা করছি, কারণ মাঠের বাইরে থাকাবস্থায় নিজেকে আরও বেশি প্রেরণা ও সাহস দিতে হয়। আমি দুলীপ ট্রফিতে খেলেছি, নিজেকে অনেক কমফোর্টেবল মনে হয়েছে, আমার ছন্দ ভালো ছিল এবং ৩৫ ওভার বল করেছি। আমার ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’
আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে না থাকায় শামি বেঙ্গল দলের হয়ে ২০২৫-২৬ রঞ্জি ট্রফিতে খেলবেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা আরেক পেসার আকাশ দ্বীপের সঙ্গে তিনি তাদের স্কোয়াডে আছেন। যেখানে অভিমন্যু ইশ্বরন অধিনায়ক এবং অভিষেক পোরেল আছেন তার সহকারী হিসেবে। আগামী ১৫ অক্টোবর ঘরের মাঠ কলকাতার ইডেন গার্ডেনে উত্তরাখণ্ডের বিপক্ষে খেলবে শামির বেঙ্গল।
৩৫ বছর বয়সী এই তারকা এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৪ টেস্ট, ১০৮টি ওয়ানডে এবং ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। বল হাতে তিনি টেস্টে ২২৯, ওয়ানডেতে ২০৬ এবং টি-টোয়েন্টিতে শিকার করেন ২৭ উইকেট।