Connect with us

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের ২০ দফা নিয়ে কী বলছেন বিশ্ব নেতারা?

Digital Darpan

Published

on

গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনায় সমর্থন জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। পরিকল্পনাটি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস পর্যালোচনা করে দেখছে। তবে এই শান্তি পরিকল্পনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি গোষ্ঠীটি।

• ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কে, কী বলছে?
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‌‌‌‘‘আমি গাজায় যুদ্ধ শেষ করার আপনার পরিকল্পনায় সমর্থন জানাই; যা আমাদের যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জন করবে। এই পরিকল্পনা আমাদের সব জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনবে, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করবে, তাদের রাজনৈতিক শাসনের অবসান ঘটাবে এবং নিশ্চিত করবে গাজা আর কখনো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হবে না।’’

• ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের গাজায় যুদ্ধ শেষ করার আন্তরিক ও দৃঢ় প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র। একই সঙ্গে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার সক্ষমতার ওপর আস্থা পুনর্ব্যক্ত করছে ফিলিস্তিন।’’

• ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, ‘‘এটি ঐতিহাসিক এক সুযোগ… এবং আমার ধারণা, এটি শেষ পর্যন্ত চোখের জলে শেষ হবে। আমাদের সন্তানদের আবার গাজায় লড়াই করতে বাধ্য হতে হবে। আমরা পরামর্শ ও বিবেচনা করবো এবং সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু গতকাল থেকে যে উদযাপন চলছে, তা একেবারেই হাস্যকর।

• গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখালা বলেছেন, ‘‘ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে এমন কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যা সে যুদ্ধে অর্জন করতে পারেনি। তাই আমরা এই মার্কিন-ইসরায়েলি ঘোষণাকে গাজা উপত্যকাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার রসদ হিসেবে বিবেচনা করি।’’

• ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া ক্যালাস বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা একটি স্থায়ী শান্তির সুযোগ। এটি যুদ্ধ শেষ করার সর্বোত্তম সুযোগ এনে দিয়েছে। ইইউ এই পরিকল্পনার সাফল্যে সহায়তা করতে প্রস্তুত। ইসরায়েল ইতোমধ্যে পরিকল্পনায় সই করেছে। এখন হামাসকে দেরি না করে এটি মেনে নিতে হবে।জিম্মিদের তাৎক্ষণিক মুক্তির মাধ্যমে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে।’’

• সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, মিসর, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যুক্তরাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কাজ করার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। যাতে চুক্তি চূড়ান্ত করা যায় এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়। এর মাধ্যমে ওই অঞ্চলের জনগণের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

• জাতিসংঘের মুখপাত্র আলেসান্দ্রা ভেলুচ্চি বলেছেন, আমরা শান্তি প্রচেষ্টার বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সব ধরনের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। আমরা মানবিক সহায়তা প্রদানসহ যেকোনো ধরনের শান্তি পরিকল্পনায় সমর্থন জানাতে প্রস্তুত রয়েছি।

• তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ‘‘আমি গাজায় রক্তপাত বন্ধ এবং যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করি। তুরস্ক ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই প্রক্রিয়ায় অবদান রাখবে, যা সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’’

• ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘‘রাশিয়া সব সময়ই ট্রাম্পের এমন প্রচেষ্টায় সমর্থন ও স্বাগত জানায়; যা চলমান মর্মান্তিক ঘটনার অবসান ঘটাতে চায়। আমরা এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও মধ্যপ্রাচ্যের সব সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি চাই।’’

• জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জ বলেছেন, ‘‘আমরা গতকাল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রকাশিত গাজা শান্তি পরিকল্পনায় স্বাগত জানাই। এই পরিকল্পনাই যুদ্ধ শেষ করার সর্বোত্তম উপায়। ইসরায়েলের এই পরিকল্পনায় সমর্থন জানানো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এখন হামাসকে রাজি এবং শান্তির জন্য পথ পরিষ্কার করতে হবে।

• ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘‘আমি গাজার যুদ্ধের অবসান এবং সব জিম্মি মুক্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানাই। আশা করছি, ইসরায়েল এই প্রক্রিয়ায় দৃঢ়ভাবে অংশ নেবে। হামাসের কোনো বিকল্প নেই—তাদের এখনই সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে এবং এই পরিকল্পনা মেনে চলতে হবে।

• যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ‘‘গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন উদ্যোগ অত্যন্ত সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য এবং আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে তার প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানাই। যাতে যুদ্ধ বন্ধ, জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজার জনগণের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা যায়। এটিই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং তাৎক্ষণিকভাবে এই চুক্তির বাস্তবায়ন দরকার।’’

সূত্র: রয়টার্স।

S

আন্তর্জাতিক

মামদানিকে অভিনন্দন জানালেন লন্ডনের মেয়র, বললেন আশার জয় হয়েছে

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীর নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে অভিনন্দন জানিয়ে তার বিজয়কে ‌‌‘‘ঐতিহাসিক প্রচারণা’’ এবং ‘‘ভয়ের বিপরীতে আশার জয়’’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।

বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সাদিক খান লিখেছেন, ‘‘নিউইয়র্কবাসীর সামনে আশা এবং ভয়ের মাঝে ছিল এক স্পষ্ট পছন্দ। আর যেমনটা আমরা লন্ডনে দেখেছি—আশাই জিতেছে।’’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, মামদানির এই বিজয়ের ফলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দুই শহরে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুই উদারপন্থী মুসলিম নেতা; যারা অভিবাসী পরিবারের সন্তান। নিজেদের দেশে রাজনীতির ডানদিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতার বিপরীতে উঠে এসেছেন তারা।

সাদিক খানের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা বলেছেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে মামদানির বিজয়ের পরই তাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন লন্ডনের মেয়র।

তবে অভিন্ন উত্তরাধিকার ও ইসলামভীতিমূলক আক্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলে তাদের দু’জনের রাজনীতিতে কিছু পার্থক্য আছে। খান ব্রিটেনের লেবার পার্টির একজন মধ্যপন্থী নেতা, আর মামদানি পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রগতিশীল বাম রাজনীতির প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে।

অতীতে বিভিন্ন সময়ে দু’জনই ঘৃণার প্রচারণা ও ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৯/১১ হামলা সংশ্লিষ্ট ছবি ব্যবহার করে মামদানিকে অনলাইনে হেয় করার চেষ্টা হয়। একইভাবে ২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের আগে সাদিক খানের প্রতিদ্বন্দ্বীও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত করেছিলেন।

বিজয়ী ভাষণে মামদানি বলেছেন, তিনি ‘‘ইহুদিবিদ্বেষের অভিশাপের বিরুদ্ধে লড়বেন’’ এবং প্রমাণ করবেন যে নিউইয়র্ক এমন এক শহর, যেখানে মুসলমানরা ‘‘জানেন এ শহর তাদেরও।’’

তিনি বলেন, এখন নিউইয়র্ক আর এমন জায়গা হবে না, যেখানে ইসলামবিদ্বেষকে হাতিয়ার বানিয়ে কেউ নির্বাচনে জিততে পারে।

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

রাশিয়া ইউরোপের কোনো দেশেই হামলা করবে না: আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী

Published

on

রাশিয়া ইউরোপের অন্য কোনো দেশে হামলা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এদি রামা। তার মতে, সামরিক জোট ন্যাটো যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রস্তুত।

এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করে রামা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এখন উচিত ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে একটি বাস্তবসম্মত শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করা।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত মাসের শেষের দিকে বার্লিন গ্লোবাল ডায়ালগ সম্মেলনের ফাঁকে আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রামা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “ইইউ বা ন্যাটোর কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করা একেবারেই নির্বুদ্ধিতার কাজ হবে। রাশিয়া আলবেনিয়ায় হামলা করবে না, ইউরোপের অন্য কোনো দেশেও না।”

তিনি আরও বলেন, “ন্যাটো যেকোনো আগ্রাসনের জন্য প্রস্তুত। ভয় পাওয়ার কিছু নেই— এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক জোট।”

ইইউয়ের ২৭ সদস্য দেশের মধ্যে ২৩টি ন্যাটোর সদস্য। আলবেনিয়া ন্যাটোর সদস্য এবং ২০১৪ সাল থেকে ইইউ প্রার্থী দেশ হিসেবে রয়েছে। রামা বলেন, “রাশিয়া নিয়মিতভাবে ইইউকে উসকানি দিচ্ছে। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলো প্রতিদিন নানা ধরনের উসকানি মোকাবিলা করছে… ইইউ নিজেকে রক্ষা করছে এবং আরও শক্তভাবে রক্ষার পরিকল্পনা করছে।”

গত সেপ্টেম্বরে পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে ও রোমানিয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন ড্রোন অনুপ্রবেশের অভিযোগ তোলে। ১৯ সেপ্টেম্বর ন্যাটো জানায়, তারা এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় ঢুকে পড়া তিনটি রুশ মিগ–৩১ যুদ্ধবিমানকে আটকায়। তবে মস্কো অভিযোগটি অস্বীকার করেছিল।

জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মার্টিন ইয়াগার গত মাসে সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া ইউরোপে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাতে যেতে চায় না।

অবশ্য রাশিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ইউরোপীয় দেশগুলো অকারণে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

রামার সরকার রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের তীব্র সমালোচক এবং মস্কোর বিরুদ্ধে ইইউর নিষেধাজ্ঞাকেও সমর্থন করে। তবে আল জাজিরাকে তিনি বলেন, “ইইউ এখনো কোনো শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করেনি, এটি আমার কাছে খুবই অদ্ভুত লাগে।”

প্রধানমন্ত্রী রামার মত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন রাশিয়া–ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিচ্ছেন, তখন ইউয়েরও উচিত নিজেদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো এবং নিজেদের শান্তির দৃষ্টিভঙ্গি সামনে আনা।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় নেতাদের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপের উপায় খুঁজে বের করা, যাতে যুদ্ধের অবসান সম্ভব হয়।

এর আগে গত সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তিনি এখনো ইউরোপীয় কোনো শান্তি পরিকল্পনা দেখেননি।

এদিকে রামা জানান, আলবেনিয়ায় এখনো রুশ ড্রোন দেখা যায়নি এবং দেশটি কোনো নিরাপত্তা হুমকি অনুভব করছে না। তার ভাষায়, “আমি একজন আলবেনীয়। আমাদের কোনো ভয় নেই… আলবেনিয়ায় রুশ শত্রুতার জায়গা নেই, কারণ এখানে রাশিয়ার প্রতি কোনো সহানুভূতিও নেই।”

রাশিয়া আগে থেকেই ইউরোপে তথাকথিত ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হাইব্রিড যুদ্ধে সাধারণত সাইবার হামলা, ভুয়া তথ্য প্রচার বা বিভ্রান্তি তৈরির মতো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, সাম্প্রতিক ড্রোন অনুপ্রবেশও সেই কৌশলেরই অংশ।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন জোহরান মামদানি

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়েছেন জোহরান মামদানি। দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এই মুসলিম রাজনীতিক শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

তার এই সাফল্য পুরো বিশ্বের নজর কেড়েছে এবং ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতির নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ৮৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার এই শহরের নেতৃত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়লেন মামদানি। তিনি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম, দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া প্রথম ব্যক্তি যিনি এই পদে আসীন হলেন।

৩৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিক নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তার ব্রুকলিন প্যারামাউন্ট থিয়েটারে আয়োজিত এক বিজয় অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও, সোমবারই তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আপনাদের কারণেই আজ এই শহরে ইতিহাস রচিত হলো।”

এদিকে বহুজাতি ও বহুধর্মীয় এই শহরের ভোটাররা মামদানির জয়কে অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তবে তার সমর্থকরা বলছেন, এটি ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের নয়, বরং জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর মতো বাস্তব ইস্যুতে তিনি যেভাবে মনোযোগ কেড়ে প্রচারণার চালিয়েছেন, সেটিরই জয় হয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনাও হয়ে উঠেছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো ছিলেন ধনী দাতাদের প্রভাবিত ‘পুরোনো ধারার’ প্রতিনিধি, আর নিজেকে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী বলে পরিচয় দেওয়া মামদানি প্রতিনিধিত্ব করেছেন নতুন প্রজন্মের প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির।

মঙ্গলবার ভোট দিতে গিয়ে কুয়োমো বলেন, “এটা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অভ্যন্তরে এক ধরনের গৃহযুদ্ধ। সমাজতান্ত্রিক নেতৃত্বাধীন চরম বামপন্থিরা এখন মধ্যপন্থিদের চ্যালেঞ্জ করছে।”

ব্রঙ্কসের মোট হেভেন এলাকার সমাজকর্মী ৩৩ বছর বয়সী জোশুয়া উইলসন ভোট দিয়েছেন মামদানিকে। তার ভাষায়, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এখন পুরো আমেরিকা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। এমন সময়ে নতুন ও তরুণ কণ্ঠের উত্থান জরুরি।”

৬৮ বছর বয়সী লুসি কর্দেরো বলেন, “আমরা কুয়োমোকে দেখেছি— তিনি ভালো ছিলেন না। মামদানি নতুন, তরুণ, হয়তো তিনিই কিছু পরিবর্তন আনতে পারবেন।”

ব্রুকলিনের ক্রাউন হাইটসের ৫২ বছর বয়সী ফ্রিল্যান্সার মেগান মার্কস বলেন, “মামদানির অবস্থান আমার চেয়েও বেশি বামঘেঁষা, কিন্তু দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তার মতো দৃষ্টিভঙ্গির একজন নেতার প্রয়োজন। আমি তাকে সমর্থন করেছি, কারণ আমাদের হারানোর কিছু নেই।”

অবশ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে কুয়োমোকে সমর্থন ঘোষণা দিয়েছিলেন। রক্ষণশীল ভোটারদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা দেওয়া হলেও তা উল্টো ফল দেয় বলে মনে করা হচ্ছে।

৫৫ বছর বয়সী আইনজীবী অ্যালেক্স লরেন্স বলেন, “প্রাইমারিতে আমি মামদানিকে ভোট দিইনি। পরে ভেবে দেখেছি, তার কথাবার্তায় ইতিবাচকতা আছে, সততা আছে। আমি তাকে সুযোগ দিতে চেয়েছি।”

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড্রাইভার ইফতেখার খান বলেন, “এই নির্বাচনে মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় ভোটারদের ঐক্যই মামদানির বড় শক্তি। ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর যেভাবে মুসলিমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন, সেই বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তার জয় আমাদের জন্য এক নতুন সূচনা।”

S

Continue Reading