Connect with us

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে সশস্ত্র সংগঠনে কীভাবে জড়াচ্ছে বাংলাদেশি তরুণরা?

Digital Darpan

Published

on

পাকিস্তানের একটি সশস্ত্র সংগঠনের হয়ে গত ছয় মাসে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের সময় দুই বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে এসেছে। ওই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গত জুলাইয়ে আটক করে বাংলাদেশ পুলিশ। ফলে কীভাবে বাংলাদেশের তরুণরা পাকিস্তানের এসব গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়াচ্ছে সেই প্রশ্ন সামনে আসছে।

পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর অভিযানে গত শুক্রবার সশস্ত্র সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ১৭ সদস্য নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশি একজন তরুণকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম ফয়সাল, বাড়ি মাদারীপুরে।

এর আগে, গত এপ্রিলে দেশটির উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আহমেদ জুবায়ের নামে আরেকজন বাংলাদেশির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টিটিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে দু’জনকে গত জুলাইয়ে আটক করে বাংলাদেশের পুলিশ।

জঙ্গি বিষয়ে কাজ করে ঢাকায় পুলিশের এমন কিছু সূত্র বলছে, টিটিপির জন্য বাংলাদেশ থেকে জনবল সংগ্রহ করার একটি প্রক্রিয়া অনেক দিন ধরেই সক্রিয় আছে, যার নেতৃত্বে আছেন ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হায়দার নামের এক ব্যক্তি। গত জুলাইয়ে পুলিশেরই দায়ের করা একটি মামলার এজাহারে এই তথ্য পাওয়া যায়।

বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতার দিকে যারা নজর রাখেন তারা বলছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে বাংলাদেশি জঙ্গিদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মুজাহিদ রিক্রুটমেন্টের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

এছাড়া বাংলাদেশে সক্রিয় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আল-কায়েদার যোগসূত্র আছে বলেও পুলিশ ও জঙ্গি বিষয়ক গবেষকরা বলে থাকেন। আল-কায়েদার সাথে আবার যোগসূত্র আছে টিটিপির।

পুলিশের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, টিটিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন দু’জনকে গত জুলাইয়ে আটকের পর বাংলাদেশের ভেতরে এর নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।

• টিটিপিতে কীভাবে যাচ্ছে বাংলাদেশি তরুণরা
টিটিপি মূলত পাকিস্তানের পাঠান মাদ্রাসা ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের একটি জোট। ২০০৭ সালে বাইতুল্লাহ মেহ্সুদের নেতৃত্বে ১৩টি সংগঠন মিলে টিটিপি গঠিত হয়। জোট গঠনের পর থেকেই টিটিপির মধ্যে দলীয় কোন্দল শুরু হয় এবং এর জেরে বেশ কয়েকটি উপদল তৈরি হয়। তবে ২০২০ সালে টিটিপি আবার এক হয়। তারা পাকিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

পাকিস্তানে কয়েকটি বড় ধরনের হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে এ সংগঠনটির নাম সামনে এসেছে। সংগঠনটি পাকিস্তানের বাইরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের জিহাদি সদস্য রিক্রুট করে থাকে বলে মনে করা হয়।

পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়ে মসজিদ ও স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার জন্য টিটিপিকে দায়ী করা হয়। তাদের হামলায় সেনা সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পাকিস্তান সরকার ২০১৪ সালে টিটিপির সাথে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিলে তখন তা সমালোচনার মুখে পড়েছিল।

এর মধ্যেই গত ছয় মাসে পাকিস্তানে দু’জন বাংলাদেশি তরুণ, যারা টিটিপির সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মৃত্যুর খবর সামনে এলো। বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে নজর রাখছেন মানবাধিকার সংগঠক নূর খান লিটন। তার মতে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি অনেক পুরোনো।

‘‘এমনকি বায়তুল মোকাররমের কাছে ব্যানার দিয়ে মুজাহিদ সংগ্রহের তৎপরতা দেখেছি আমরা। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যেও এ ধরনের রিক্রুটমেন্টের নজির আছে। তবে এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে তাদের কার্যক্রম। কিন্তু পুরোপুরি যে বন্ধ হয়নি সেটি পাকিস্তানে দু’জনের নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রমাণিত হলো।’’

বাংলাদেশে টিটিপির কার্যক্রমে জড়িতদের মধ্যে যারা আটক হয়েছে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব কিংবা দুবাই হয়ে আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানে পৌঁছায় টিটিপি নেটওয়ার্কের সদস্যরা।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে তাদের চ্যানেলে এসব বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করে আসছিল। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের পুলিশ টিটিপির সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে দু’জনকে আটক করতে পেরেছিল বলে পুলিশের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা তখন বলেছিলেন।

এর মধ্যে একজনকে গত ২ জুলাই ঢাকার কাছে সাভার থেকে এবং অন্যজনকে ১৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই টিটিপির সাথে যোগসূত্র থাকার অভিযোগ আনা হয়।

আটক হয়ে কারাগারে যাওয়া ওই দু’জনের মধ্যে একজনকে আগেও পুলিশ জঙ্গি কার্যক্রমে সক্রিয় থাকার অভিযোগে আটক করেছিল। ২০২৩ সালে র‍্যাব জানিয়েছিল, তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

এপ্রিলে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে জুবায়ের নামে এক বাংলাদেশির নিহত হওয়ার তথ্য পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছিল। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছিল, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের রাজমাক এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই অভিযান চালানো হয়।

এর বাইরে তখন আরও অন্তত ৩৫ জন বাংলাদেশিকে বালোচিস্তান থেকে আটক করার তথ্য নিরাপত্তা বাহিনীর বরাতে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে এসেছিল। বাংলাদেশে টিটিপির সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে একজনকে গত ২ জুলাই রাত ৯টার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে একটি দোকান থেকে আটক করে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। আটকের পরদিন তাকে আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।

পরে সেই ব্যক্তিসহ ছয়জন ও তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিয়মিত মামলা হয়। টিটিপির সদস্য সন্দেহে আরেকজনকে গত ১৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাব। এরপর তাকেও প্রথমজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আটক দু’জন ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকা ছেড়েছিলেন। কিন্তু ওমরাহ না করে তারা পরদিনই সৌদি আরব থেকে পাকিস্তানে যান। সেখান থেকে ৬ নভেম্বর তুরখান সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেন।

একদিন পর ওই একই সীমান্ত দিয়ে তাদের একজন আবার পাকিস্তানে আসেন। এরপর করাচি থেকে দুবাই হয়ে ১৬ নভেম্বর তিনি দেশে ফেরেন। কিন্তু তার সহযোগী অপর বাংলাদেশি পরে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হন, যার নাম আহমেদ জুবায়ের ওরফে যুবরাজ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক একজন পুলিশকে এই তথ্য জানিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তারাও ধর্মীয় উগ্রবাদী দীক্ষিত হয়ে জিহাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এই মামলার এজাহারেই বলা হয়, ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হায়দার নামে এক বাংলাদেশি টিটিপির হয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে। মূলত তিনি ওই সংগঠনের হয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেন ও সদস্যদের সংঘবদ্ধ করার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেন। উক্ত আসামি বাংলাদেশে টিটিপির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির কার্যক্রম, সদস্যদের ইসলামী খিলাফতের দাওয়াত পৌঁছানোর কার্যক্রম পরিচালনা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ করছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।

জুবায়েরের সঙ্গী যিনি পুলিশের হাতে আটক হন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই দ্বিতীয় জনকে আটক করা হয় বলে পুলিশের সূত্রগুলো জানিয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনার পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বিনিময় করা হয়েছে।

এর ভিত্তিতেই নতুন করে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু হয় বাংলাদেশে। এর ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার এজাহারে আরও যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তাদেরও আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

ধারণা করা হয়, টিটিপির জন্য জনবল সংগ্রহে কাজ করছিল আটক ব্যক্তিদের একজন এবং তার সংগঠন। তারাই লোক বাছাই করে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সৌদি আরব বা দুবাই হয়ে পাকিস্তানে টিটিপির নেটওয়ার্কে লোক পাঠায় বলে পুলিশ সূত্রগুলোরও ধারণা। ২০২৩ সালের ২৩ জুন এই ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে ঢাকার ডেমরা থেকে অস্ত্রসহ আটক করেছিল তখনকার কাউন্টার টেরোরিজিম ইউনিট। তখন তাকে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দাবি করেছিল পুলিশ। বিবিসি বাংলা।

S

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে ভয়াবহ বিক্ষোভ-সহিংসতা, নিহত ৮

Published

on

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে টানা চার দিনের সহিংস বিক্ষোভে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহহবাজ শরিফ চলমান সংঘাত নিরসনে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গত চার দিন টানা বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। সোমবার হাজারও মানুষ আশপাশের বিভিন্ন শহর থেকে কাশ্মিরের আঞ্চলিক রাজধানী মুজাফফরাবাদে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে বিক্ষোভের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সম্পর্কে বাইরের বিশ্বে একেবারে সীমিত তথ্য পৌঁছেছে।

এরপর থেকে ওই অঞ্চলের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিভক্ত এই ভূখণ্ড নিয়ে ১৯৪৭ সালে দুই দেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিরোধ চলছে।

মুজাফফরাবাদে বিক্ষোভের ছবিতে দেখা যায়, বুধবার সেখানকার একটি সেতুর ওপর বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করছে দাঙ্গা-পুলিশ।

• বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল, যানবাহন
ইসলামাবাদের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, কাশ্মিরের বিক্ষোভ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত তিন পুলিশ সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখনও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে।

পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, গত চার দিন ধরে কাশ্মিরে চলা বিক্ষোভের কারণে ওই অঞ্চলের বিশাল অংশজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে শেহবাজ শরিফ বলেছেন, কাশ্মিরে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‌‌‘‘সরকার আমাদের কাশ্মিরি ভাইদের সমস্যা সমাধানের জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।’’ কমিটির সদস্য দেশটির পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, ‘‘আমি প্রত্যাশা করছি, আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যা সমাধান করতে পারব।’’

• সুবিধা ও বিশেষাধিকারের বিরোধিতা
কাশ্মিরে সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের জোটনেতা শওকত নবাজ মীর বিক্ষোভের আগে বলেছিলেন, আয়োজকরা মূলত রাজনীতিবিদ, আমলা ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের পাওয়া সুবিধা ও বিশেষাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি স্থানীয় ইউটিউব চ্যানেল দ্য কাশ্মীর লিংককে বলেন, ‘‘আমরা যখন বলি হাসপাতালে ওষুধ দরকার, তখন তারা (কর্তৃপক্ষ) বলে তহবিল নেই। কিন্তু তাদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থ আছে।’’

কাশ্মিরের স্থানীয় আইনসভায় পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাশ্মিরের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, এই প্রতিনিধিদের ব্যবহার করে আঞ্চলিক সরকারকে ক্ষমতায় বসানো কিংবা অপসারণ করা হয়।

গত বছরও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরে প্রায় একই ধাঁচের বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভে অন্তত চারজনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মিরিদের বেশিরভাগ দাবি মেনে। পাশাপাশি কাশ্মিরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ৪০০ কোটি রুপি (৮ কোটি ৬ লাখ ডলার) অর্থ বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে আটা ও বিদ্যুতের দামের ভর্তুকির অর্থও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সূত্র: রয়টার্স।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ফ্লোটিলার ৩৯ জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরায়েল, মাত্র একটি যাচ্ছে গাজার দিকে

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী ওয়ার্ল্ড সুমুদ ফ্লোটিলার ৩৯টি জাহাজ আটকে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এরফলে আর মাত্র একটি জাহাজ এখনো গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

আটক করা জাহাজগুলোয় পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী ছিলেন।

গতকাল রাতে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবৈধভাবে জাহাজগুলোর ওপর হামলে পড়ে ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা। তারা জাহাজগুলোতে উঠে অধিকারকর্মীদের আটক করা শুরু করে।

জাহাজে লাগানো ক্যামেরার লাইভ ফিডে দেখা গেছে, ইসরায়েলি কমান্ডোরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জাহাজে উঠছেন। ওই সময় জাহাজের যাত্রীরা হাত উপরের দিকে তুলে রেখেছিলেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে গ্রেটা থুনবার্গ তার জাহাজের এক কোণায় বসে আছেন। ওই সময় তাকে ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গ্রেটা ও তার সঙ্গীরা সুস্থ আছে বলেও জানায় দখলদারদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

৪০টিরও বেশি জাহাজে খাবার ও ওষুধ নিয়ে আগস্টের শেষ দিক থেকে গাজার দিকে রওনা দেন এসব অধিকারকর্মী। তাদের সঙ্গে আইনজীবীরাও ছিলেন।

তাদের লক্ষ্য ছিল গাজা উপকূলে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙা। তবে গাজার কাছাকাছি আসার পর গতকাল রাত থেকে জাহাজগুলো আটক করা শুরু করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী।

যাত্রা শুরুর পর এসব জাহাজের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠিয়েছিল স্পেন ও ইতালি। এছাড়া ড্রোন দিয়ে সহায়তা করছিল তুরস্ক। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা ফ্লোটিলার জাহাজরগুলো আটকের সময় এ দেশগুলোর নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল না।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাহাজ আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি বলেছে ফ্লোটিলার ওপর হামলা ‘সন্ত্রাসী হামলা’।

সূত্র: রয়টার্স

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ফ্লোটিলার নৌযানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪টি’র তথ্য পাওয়া যাচ্ছে

Published

on

ইসরায়েলের নৌবাহিনী ১৩টি নৌযান আটকের পর বাকি যে ৩০টি নৌযান গাজার উপকূলের উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রেখেছিল, সেগুলোর মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৪টির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এই নৌযানগুলো হলো শিরিন, সামারটাইম জং, মিকেনো এবং মেরিনেত্তি। বাকি ২৬টি নৌযান কী অবস্থায় আছে, সেগুলো যাত্রা অব্যাহত রেখেছে না কি ইসরায়েলের নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে— সেসব তথ্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ট্র্যাকার সিস্টেম ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

শিরিন এবং সামারটাইম জং বহরের নৌযান হলেও সেগুলোতে ত্রাণসামগ্রী ছিল না। এ দু’টি নৌযানে ছিলেন আইনজীবীরা। গত ৩১ আগস্ট গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মিশন শুরু হওয়ার পর আইনী সহায়তার জন্য এই দু’টি নৌকায় আইনজীবীদের রাখা হয়েছিল।

অন্যদিকে ত্রাণবাহী নৌযান মিকেনো এবং মেরিনেত্তি গাজার জলসীমার কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। যাত্রা অব্যাহত থাকলে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরের মধ্যে গাজার উপকূলে নোঙ্গর ফেলার কথা ছিল নৌযান দু’টির।

কিন্তু বাংলাদেশ সময় ১১ টা ২১ মিনিটের পর থেকে মিকেনো, মেরিনেত্তি, শিরিন এবং সামারটাইম জং-এর কোনো খবর পাচ্ছে না ফ্লোটিলা ট্র্যাকার।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা—এই চার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ঐক্যমঞ্চ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে খাদ্য ও ওষুধে পূর্ণ ৪৩টি নৌযানের বহর নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা দেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। জাহাজগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।

বুধবার ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহর। সেদিন সন্ধ্যার পর গাজা উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় নৌবহরের চারপাশ ঘিরে ধরে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং বহরের ১৩টি নৌযান আটক করে। আটক নৌযানগুলোর মধ্যে কয়েকটির নাম জানা গেছে— স্পেক্টার, অ্যালমা, সাইরাস, হুগা, মালি প্রভৃতি।

আটক নৌযানগুলোতে ছিলেন দুই শতাধিক যাত্রী এবং ক্রু। তাদের সবাইকে ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কিন্তু ১৩টি নৌযান আটকের পরও গাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বাকি ৩০টি নৌযান।

S

Continue Reading