Connect with us

রাজনীতি

অক্টোবরে ১২ দিনের কর্মসূচি দিলো জামায়াত

Digital Darpan

Published

on

পিআর পদ্ধতি ও আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে দ্বিতীয় ধাপে অক্টোবর মাসে ১২ দিনের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

লিখিত বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণের দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, জনগণের আন্দোলনের কোনো প্রতিফলন হচ্ছে না। সরকারের উচিত ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া। সরকার যদি জনগণের দাবি উপেক্ষা করে, তাহলে দেশের জনগণ ন্যায্য দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে বাধ্য হবে। সে জন্যই আমাদের এই দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি।

তিনি বলেন, ৫ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে– ১-৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ দফা গণদাবির পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে গণসংযোগ; ১০ অক্টোবর ঢাকায় ও বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া।

জামায়াতের ৫ দফা দাবি হলো–

১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।

২. নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।

৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

৪. গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।

৫. বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাঁবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করতে হবে, বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রের প্রয়োজনকে সামনে রেখে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও স্বৈরাচার ফিরে আসার সব পথ রুদ্ধ করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেন। গঠিত হয় বিভিন্ন সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ আলোচনার পর ৮৪টি প্রস্তাব সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হয়। অনেকগুলো প্রস্তাবের সঙ্গে দু’একটি রাজনৈতিক দল ভিন্নমত পোষণ করায় অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র ও জুলাই জাতীয় সনদ প্রস্তুত করেছেন। দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র ও জুলাই জাতীয় সনদের প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ তাদের পরামর্শ সরকারের নিকট উপস্থাপন করে। জামায়াতে ইসলামী বরাবরই জুলাই জাতীয় সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ হিসেবে অতীতের বিভিন্ন নজির ও উদাহরণ তুলে ধরে জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তির বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান বারবার ব্যক্ত করে আসছে।

গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, এ লক্ষ্যে জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তি দেওয়ার জন্য আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে সরকারের কাছে দুইটি প্রস্তাব করেছে। প্রথমত– জুলাই জাতীয় সনদের জন্য ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করা, দ্বিতীয়ত– এই সনদের অধিকতর আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের আয়োজন করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা। সেটা না হলে জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান ব্যতীত ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থান ও তার অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে।

জামায়াত সেক্রেটারি ইতোমধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোটকেন্দ্র দখল, পেশিশক্তি প্রদর্শন ও ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম ও অপতৎপরতা বন্ধ, মানসম্মত পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরিসহ প্রতিটি ভোট মূল্যায়নের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি জনগণের দাবিগুলো কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এমতাবস্থায় জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ন্যায়-ভিত্তিক ও জবাবদিহি-মূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের ৫ দফা গণদাবি জাতির সামনে তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঘোষিত কর্মসূচিতে সারাদেশে বিপুলসংখ্যক জনগণ অংশগ্রহণ করেছে। এজন্য আমরা দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

জামােয়াতের এই নেতা বলেন, আজ আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমাদের ৫ দফা গণদাবি ইতোমধ্যে জনগণের কাছে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তাই দেশের জনগণ এ দাবির প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিয়ে রাজপথের আন্দোলনে শামিল হয়েছে। বর্তমান সরকারের উচিত অবিলম্বে জনগণের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা। সরকার যদি জনগণের যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে এবং বিদ্যমান সমস্যার দ্রুত সমাধান না করে তাহলে দেশের জনগণ তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য কঠোর হতে বাধ্য হবে।

S

রাজনীতি

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় স্থান পাননি আলোচিত অনেক নেতা

Published

on

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে ঘোষিত এ তালিকায় জায়গা হয়নি দলের বেশ কয়েকজন আলোচিত ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতার।

তাদের মধ্যে রয়েছেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং যুগ্ম মহাসচিব পর্যায়ের নেতারা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘোষিত তালিকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমানের নাম ছিল না।

স্থায়ী কমিটির সদস্যের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় স্থান পাননি।

এছাড়া যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল ও সদ্য মনোনীত যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবীর মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও তাদের নাম তালিকায় নেই।

বিএনপির আলোচিত নেতা ও একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সদস্য রুমিন ফারহানার নামও এবার সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।

ঢাকা-১০ আসনে পূর্বে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আসীম এবং রবিউল ইসলাম রবি। এবার তাদের দুজনের নামও নেই ঘোষিত তালিকায়।

অন্যদিকে, বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পরিবারের একাধিক সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জিয়া পরিবারে বাইরে এক পরিবার থেকে একজনের বেশি প্রার্থী করা হয়নি।

এই কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদও তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

S

Continue Reading

রাজনীতি

সবাইকে নিয়েই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেখতে চাই, দেশে ফিরে জামায়াত আমির

Published

on

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য থাকতেই পারে, তবে তা যেন মতবিরোধে পরিণত না হয় সেজন্য সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবাইকে নিয়েই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেখতে চাই।

এবার এককভাবে নয়, আরও অনেক দলকে ধারণ করে যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান জামায়াত আমির।

সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে দেশে ফেরেন ডা. শফিকুর রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াতের আমির বলেন, গত মাসের ১৯ তারিখে ওমরার উদ্দেশে দেশত্যাগ করি। তিনদিনে ওমরাহ সম্পন্ন করে ২২ অক্টোবর আমেরিকা পৌঁছি। সেখানে ৮ দিন আমি সরকারি, বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছি। সেখানে বিপুলসংখ্যক বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মিলিত হয়েছি। তাদের কথাগুলো শোনার সুযোগ হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করে এসেছি। বিশেষ করে একটি ম্যাসেজ দিয়েছি, বাংলাদেশ আমাদের সকলের। দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও নিপীড়নের পর ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে দেশ মুক্তি পেয়েছে। সেখানে প্রবাসীদের লড়াইও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীদের ভোটের অধিকার আমরাই প্রথম তুলেছি, সেটা ছেড়ে দিইনি। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ও নির্বাচন কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় আমরা কথা বলেছি।

‘সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ, এবারই প্রথম প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় ব্যাপকভিত্তিক সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছিল তা কাজ করেনি প্রপারলি। সংগত কারণে অনেকে আগ্রহ ও চেষ্টা সত্ত্বেও ভোটার হতে পারেননি।’

নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কমপক্ষে আরও ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে দেওয়া হোক। যে জটিলতাগুলো আছে তা সহজ করা হোক। যেসব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে তা শিথিল করা হোক। একজন নাগরিকের প্রমাণের জন্য তার এনআইডি যথেষ্ট। পাশাপাশি যদি একটা ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকে তাহলে তো আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। এগুলো সহজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় সংসদসহ সরকার পরিচালনা, দেশ গঠনে পিআর সিস্টেমেই প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করবেন। হয়ত সময় লাগবে, তবে এটা নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ। এটা আমাদের স্বপ্ন।

‘আমেরিকা সফর শেষে যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর করে আজ দেশে ফিরেছি। দুনিয়ার সকলের সঙ্গেই আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতার ভিত্তিতে সম্মানজনক সম্পর্ক চাই। আমরা যত জায়গায় গিয়েছি সকলের আগ্রহ সম্মান পেয়েছি।’

বিএনপি গতকাল দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করেছেন, জামায়াত কবে করবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি যেটা করেছে সেটিও শুনলাম চূড়ান্ত নয়। ২৩৭টা আসনে তারা মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছেন, তবে সেটি চূড়ান্ত নয় বলেছেন। এর মধ্যেও পরিবর্তন হতে পারে।

জামায়াতের মনোনয়ন প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এক বছর আগে আমরা আঞ্চলিকভাবে তালিকা জানিয়ে দিয়েছি। আমরা চূড়ান্ত তালিকা সময়মতো জানিয়ে দেব।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একা নির্বাচন করব না, দেশ ও জাতির স্বার্থে আরও অনেককে আমরা ধারণ করব। সবদিক বিবেচনা করে যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকা জানিয়ে দেওয়া হবে।

লন্ডনে অবস্থানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আপনার বৈঠকের কথা শোনা গেছে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি শুনেছেন, আমি শুনিনি।

নানাভাবে এ ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য দেখা গেছে। এটি কেন? জানতে চাইলে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মতানৈক্য হোক কিন্তু মতবিরোধ যাতে না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা সকলের মতকে শ্রদ্ধা করি। সব দলের তো ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এর মানে এই নয় যে, মতানৈক্যের কারণে বিরোধ বা অনৈক্যে দেশ অস্থির হয়ে গেছে, তা মানতে রাজি নই।

এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করে সরকারকে জানানোর আহ্বান প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, সরকার সময় বেঁধে দেননি, অনুরোধ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে তাহলে তা সরকারের জন্য ভালো। আমরাই সবার আগেই আহ্বান জানিয়েছি, নায়েবে আমির তাহের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে দেশ ও জাতির স্বার্থে সমাধানে পৌঁছার আহ্বান জানিয়েছেন। আশা করি অন্যরা এ আহ্বানে সাড়া দেবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম, মাওলানা আব্দুল হালিম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় উত্তরার আঞ্চলিক জামায়াত নেতারা।

 

Continue Reading

রাজনীতি

ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

Published

on

অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শুরু করেন তিনি।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাসে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রার্থী ঘোষণা করা হবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।

ফখরুল জানান, আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

S

Continue Reading