...
Connect with us

জাতীয়

ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে তিন দল : ইসি সচিব

Digital Darpan

Published

on

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পাচ্ছে তিনটি নতুন রাজনৈতিক দল। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি আপত্তি না থাকলে এ দলগুলো ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে।

মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

ইসি সচিব বলেন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৪৩টি আবেদনের মধ্যে মাঠপর্যায়ের তদন্তে ৩টি দল শর্ত পূরণ করেছে। এই তিনটি দল হলো— বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলগুলোকে নিবন্ধনের জন্য যোগ্য মনে করছে কমিশন। এই তিনটি দলের নিবন্ধন বিষয়ে জনসাধারণের মতামত ও আপত্তি জানানোর জন্য আগামীকাল (তারিখ উল্লেখ নেই, তবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। জনমত জানানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হলেও পরবর্তী সময়ে জাতীয় জনতা পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (শাহজাহান সীরাজ) এবং জাতীয় লীগের নিবন্ধন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এই দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা না থাকায় সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আম জনতার দল, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাষানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতার পার্টি এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি— এ আটটি দলকে সঠিকতা না পাওয়ায় নামঞ্জুর করা হয়েছে।

যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি এবং শিথিলতা

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব জানান, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের ন্যূনতম দুটি শর্তের মধ্যে যেকোনো একটি পূরণ করা বাধ্যতামূলক। শর্ত দুটি হলো— ১০০টি উপজেলা/মহানগর পর্যায়ে কার্যকরী কার্যালয় এবং সদস্য থাকতে হবে, অথবা ২২টি জেলায় কার্যকরী কার্যালয় এবং সদস্য থাকতে হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, আদালতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা সহনশীলতার (লিনিয়েন্টলি) ভিত্তিতে সামান্য শর্টফল (ঘাটতি) থাকলেও দলগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময়সীমা প্রসঙ্গে ইসি সচিব আরও জানান, ১২ নভেম্বর পর্যন্ত জনসাধারণের কাছ থেকে দাবি, আপত্তি বা অভিমত পাওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর, যদি কোনো জটিলতা না থাকে তবে ১৪ বা ১৫ নভেম্বর মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা গেজেট প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

প্রতীক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ তিনি বলেন, এনসিপি এবং আরও দুটি দল প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছে। এর মধ্যে একটি দল প্রতীক পরিবর্তনের অনুরোধ করেছে। এই বিষয়ে কমিশন যাচাই-বাছাই করছে এবং প্রাপ্যতা থাকলে বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হবে।

S

জাতীয়

১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ ১৩ নভেম্বর

Published

on

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর)। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে আলোচনা হবে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে দিনব্যাপী এ সংলাপে দলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।

ইসি জানায়, নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি সেশনে ৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকবেন। একদিনে দুটি সেশনে ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ডাকা হবে। ১৩ নভেম্বর সংলাপ শুরু হলে সর্বশেষ বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি জানায়, দিনব্যাপী সংলাপে ১২টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সকালে ৬টি দল এবং বিকেলে ৬টি দলকে ১৩ নভেম্বরের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সকালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিকেলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

S

Continue Reading

জাতীয়

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

Published

on

পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সঈদ ভারতে হামলার ছক বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে করেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম। ভারতীয় গণমাধ্যমের এ তথ্য বিশ্বাস করার মতো কোনো কারণ নেই বলে মনে করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, যাই কিছু ঘটুক না কেন মিডিয়া আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু এটার কোনো কারণ নাই বিশ্বাস করার। কোনো সেনসিবল লোক এটা বিশ্বাস করবে না।

সোমবার (১০ নভেম্বর) দিল্লির লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে অন্তত আট জনের মৃত্যু ও আরও অনেক মানুষ আহত হওয়ার খবর দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। বিস্ফোরণের পর পুরো ভারতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এদিকে, হামলার পর গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সঈদ ভারতে হামলার ছক বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ভারতে লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের পর আজ পাকিস্তানের ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালতের বাইরে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি।

তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আত্মঘাতী হামলাকারী আদালতে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সুযোগ না পেয়ে একটি পুলিশ গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

S

Continue Reading

জাতীয়

বিএনসিসিকে গুণগত মান বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

Published

on

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের তরুণদের নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার দীর্ঘমেয়াদি ভিশনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) গুণগত মান ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ আল মাসুদের ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনা শেষে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ আল মাসুদ বিএনসিসির বর্তমান কাঠামো, যুব জনশক্তি উন্নয়ন কাঠামো, জাতীয় যুব কর্মশক্তি পরিকল্পনা, জনবলের প্রয়োজনীয়তা, বাজেট, চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, বিএনসিসি বর্তমানে ৫৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করেছে এবং সারা দেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাখা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আল মাসুদ বলেন, ‘বিএনসিসিতে যোগ দেওয়ার প্রাথমিক বয়স ১৭ থেকে ১৮ বছর এবং আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ লাখ দক্ষ ক্যাডেটকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনসিসির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করে মানসম্মত নির্দেশনা ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বিএনসিসিকে সমর্থন করি, তবে আমাদের মানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে এবং আমাদের ভালো, বিশ্বাসযোগ্য প্রশিক্ষক রয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অবশ্যই এর দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে।

ড. ইউনূস বিএনসিসির মিশনের মূল মূল্যবোধ হিসেবে আত্মসম্মান, শৃঙ্খলা ও অন্তর্ভুক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, বিএনসিসি আত্মসম্মান ও শৃঙ্খলার বিষয়। এমন একটি ব্যবস্থা থাকা উচিত যা ক্যাডেটদের সনদ পেতে দেয়, যা তাদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনায় সহায়তা করতে পারে। তাদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনসিসির শুধু ছেলেদের ওপর নজর দেওয়া উচিত নয়। মেয়েদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিএনসিসিকে আরও কার্যকরী ও কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘কী ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা এই স্বেচ্ছাসেবকদের একত্রিত করতে পারি, তা আমাদের বিবেচনা করতে হবে।’

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান সাম্প্রতিক জাতীয় ইভেন্টে বিএনসিসির অবদানের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ভালো প্রশিক্ষক পাওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিএনসিসি ক্যাডেটরা রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে। এটি একটি সুন্দর ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।’

প্রধান উপদেষ্টা বিএনসিসি নেতাদের উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও নাগরিক দায়িত্বের মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর এজেন্ডার মধ্যে যুব উন্নয়নকে সংহত করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

 

Continue Reading
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.