রাজনীতি
জিয়া পরিবারের বাইরে বিএনপির কেউ এবার ২ আসনে মনোনয়ন পায়নি
ডিজিটাল দর্পণ ডেক্স
Published
2 weeks agoon
জিয়া পরিবারের বাইরে এবার বিএনপির কেউ দুই আসনে মনোনয়ন পায়নি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শেষে ঢাকা পোস্টকে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এবার কোনো পরিবার থেকে দুইজন নির্বাচনে অংশ নেবে না। আপনার দেখেছেন এবার স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পরিবারের কোনো ছেলে-মেয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তিনি আরও জানান, যেসব আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেই সব আসনে বিএনপির প্রার্থী আসবে। আবার যুগপৎ আন্দোলন শরিকদের থেকেও আসবে।
এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ ও তার ছেলে মারুফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজ আব্বাস এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দুটি আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
এছাড়া, দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও তার বেয়াই নিতাই রায় চৌধুরী ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার এসব পরিবারের কেউ দুই আসন থেকে সম্ভাব্য প্রাথমিক তালিকায় মনোনয়ন পাননি।
S
You may like
-
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হলে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প : মির্জা ফখরুল
-
সরকারের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
-
পোস্টাল ব্যালটে ২০ লাখ ভোটারের প্রস্তুতি ইসির
-
সাভার ও ধামরাইয়ে আ. লীগের ৪২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
-
প্রধান উপদেষ্টা নিজের স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন
-
নির্বাচন-গণভোট একই দিন, প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
রাজনীতি
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হলে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প : মির্জা ফখরুল
Published
17 hours agoon
নভেম্বর ১৩, ২০২৫
‘দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হলে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়ার্টার গার্ডেনে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (এফএসডিএস) উদ্যোগে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ : জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প— গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার। যত দ্রুত নির্বাচন হবে তত দেশের জন্য মঙ্গল। ইতোমধ্যে ঘোষণা হয়েছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে। সেই পার্লামেন্ট জনগণের অমীমাংসিত যেসব ইস্যু রয়েছে তা আলোচনা করে একটা সুনির্দিষ্ট পথ বাতলিয়ে দিতে পারবে।
‘প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য প্রসঙ্গে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা নিঃসন্দেহে অনেকেই হয়ত মনে করবেন যে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা বক্তব্য তিনি দিয়েছেন। কিন্তু এতেও তো দ্বিমত থাকতে পারে, অন্যমত থাকবে পারে। ডিজএগ্রিমেন্ট তো থাকবেই। সবাই কী একমত হবে, একমত হবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মালিক তো জনগণ। তার প্রতিনিধিত্ব করবে কে? সেটা হচ্ছে পার্লামেন্ট। এই যে বুদ্ধিজীবী, যাদের জন্য বৈষ্যম করা হয় তাদের জন্য পাঁচ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হয়, আর আমরা রাজনীতিকরা তিন মিনিট পাই… এটা জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য তাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের চর্চা আমাদের করতে হবে। আমরা আসলে দুর্ভাগা জাতি বরাবর গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছে মানুষ, আমরা লড়েছি এবং সংগ্রাম করেছি। কিন্তু গণতন্ত্র চর্চা করার কোনো সুযোগ পাই নাই।
তিনি আরও বলেন, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তারা আমাদের একটা সুযোগ করে দিয়েছেন, এই গণতন্ত্রকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য।
‘পিআর বুঝে না মানুষজন’
নিজের নির্বাচনী এলাকায় কয়েকদিন আগে ঘুরে আসার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি একটা কথা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, খুব জোরেশোরে বলতে চাই, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব এটা কিন্তু আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ কিচ্ছু বুঝে না।
ফখরুল বলেন, আমার এলাকার মানুষ বুঝে না এসব। আমরা এখান থেকে রুমের ভেতরে বসে যতই এই ধরনের জিনিস চাপিয়ে দিতে চাই, তাতে কাজ হবে না। পিআর এখন পর্যন্ত জনগণের কাছে বোধগম্য নয়।
‘জাতীয় সরকার করব’
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচনের পরে যে সমস্ত দল বা শক্তি এক সঙ্গে ফ্যাসিস্ট বিরোধী সংগ্রাম করেছি, তাদের সঙ্গে নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছি। এটা থেকে প্রমাণিত হয় আমরা আসলে এই জাতিকে সত্যিকার অর্থে মূল জায়গাগুলোতে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ বিভিন্ন পেশার বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।
S
রাজনীতি
প্রধান উপদেষ্টা নিজের স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন
Published
21 hours agoon
নভেম্বর ১৩, ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা ভাষণের মাধ্যমে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে সরে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদ নতুন ধারণা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এই বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, সংকট সৃষ্টি করেছেন জুলাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং সরকার নিজেই স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছে।
গণভোটের চারটি প্রশ্ন জনগণের ওপর জবরদস্তি বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, গণভোটের জন্য চারটি প্রশ্নের একটি পিআর নিয়ে ভিন্নমত আছে। এনিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা পরিষ্কার সনদের লঙ্ঘন।
পিআর নিয়ে হ্যাঁ বা না বলার প্রস্তাবের মাধ্যমে জনগণকে জবরদস্তি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের বহির্ভূত জবরদস্তিমূলক কোনো প্রস্তাব আরোপ করা হয়, তা মানতে রাজনৈতিক দল বাধ্য নয় বলে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, এতে ঐক্যের পরিবর্তে জাতীয়ভাবে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করা হলে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেলো।
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির ক্ষমতা নাই বলে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, শুধু রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন। এখন এই আদেশের মর্যাদা কী হবে তা বিচার বিভাগ নির্ধারণ করবে। এটার আইনি ভিত্তি কতটুকু আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট করার সিদ্ধান্তে একমত বিএনপি বলে জানান সালাহউদ্দিন।
S
রাজনীতি
নির্বাচন-গণভোট একই দিন, প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
Published
23 hours agoon
নভেম্বর ১৩, ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোটের আয়োজন করা হবে বলে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ঘোষণায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হবে।
এর আগে দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোট ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না।
উল্লেখ্য, জায়ামাতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৮টি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের আগে এই নভেম্বরে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বেশকিছু দিন ধরে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে আসছিল। সর্বশেষ গতকাল (১২ নভেম্বর) দুপুরে মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে আট দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্যে ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে ৮ দলের নেতৃবৃন্দ সর্বস্তরের জনশক্তিসহ দেশব্যাপী রাজপথে অবস্থান, ১৪ নভেম্বর (শুক্রবার) ৫ দফা দাবিতে দেশব্যাপী জেলা বা মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং ১৬ নভেম্বর (রোববার) আন্দোলনরত ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠক শেষে আল-ফালাহ মিলনায়তনে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর পূর্বে জনগণের দাবি মেনে নেওয়া না হলে সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, যমুনার সামনে, অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হলে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প : মির্জা ফখরুল
পূর্ব-পশ্চিম দুই ফ্রন্টেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান
