Connect with us

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রেমের চেষ্টা মঙ্গলজনক কিছু বয়ে নিয়ে আনবে না

Digital Darpan

Published

on

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যারা ভিন্ন ভাবে বা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রেম করার চেষ্টা করছেন, তা তাদের জন্য মঙ্গলজনক কিছু বয়ে নিয়ে আনবে না।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের আমলে গুম-খুনের শিকার নেতাকর্মী, জুলাই আন্দোলনে আহত ও জটিল রোগে আক্রান্ত ২২ পরিবারকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৯ জুলাই ওবায়দুল কাদের প্রকাশ্যে বলেছিলেন— আমি নিরাপত্তা বাহিনীকে বলছি যে দেখামাত্রই আন্দোলনকারীদের গুলি করবেন। যারা নিজ দেশের সন্তানদের হত্যা করার নির্দেশ দেয়, তাদের আবার যদি প্রত্যাবর্তন ঘটে, আমরা যারা সেদিন আন্দোলনে ছিলাম, এখানে যারা বসে আছি, আমরা যারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি, তাদের কি রেহাই দেবে? আজ যারা মনে করছেন গোপনে-গোপনে তাদের (আ. লীগের) সাথে আঁতাত করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হবেন, তারাও কেউ রেহাই পাবেন না। তার পরিণাম আপনারা দেখেছেন নিউইয়র্কে। জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টের থেকে বেরিয়ে আসার সময়, সব নেতৃবৃন্দের সাথে তারা কী আচরণ করেছে!

রিজভী বলেন, আমি শুধু একটুই বলি, যারা আজ বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন বয়ান তৈরি করে অপপ্রচার করছেন, কেউ আপনারা শেখ হাসিনার ক্রোধ থেকে রেহাই পাবেন না, যদি তার প্রত্যাবর্তন ঘটে। তার প্রমাণ আজ গভীর রাতের নিউইয়র্কের পরিস্থিতি। সেখানে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা জাতিসংঘের একটি কর্মসূচিতে যাচ্ছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। তবু তারা সেখানে কী তাণ্ডব চালিয়েছে। ওদের অনুশোচনা নেই। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সেদিনের (গণঅভ্যুত্থানে) আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ

করেছেন, সেই সমস্ত রাজনৈতিক দল, আপনারা চিন্তা করুন, শুধুমাত্র আওয়াজ দিলে সবসময় কাজ হয় না। বড়-বড় কথা বললেই কাজ হয় না। গণতান্ত্রিক শক্তির অভ্যন্তরীণ কোনো মতভেদের কারণে তার (শেখ হাসিনার) যেন প্রত্যাবর্তন না ঘটে, মাথার মধ্যে সেই চিন্তাটি রাখবেন। তার যদি প্রত্যাবর্তন ঘটে গণতান্ত্রিক শক্তি, বিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল, কোন সমালোচনা, গণতন্ত্রের কোনো লেশমাত্র সে আর রাখবে না।

নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে রিজভী বলেন, সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। সামনে সনাতন ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজা। এই পূজায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো আমাদেরকে সবসময় চোখ কান খোলা রাখতে হবে।

আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন বকুল, মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি প্রমুখ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রাজনীতি

ফেব্রুয়ারির পর নির্বাচন মানুষ মেনে নেবে না : মির্জা ফখরুল

Published

on

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে এবং সে নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হতে হবে। এর অন্যথা হলে বাংলাদেশের মানুষ কিছুতেই তা মেনে নেবে না।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‍্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আধুনিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তারেক রহমান। সেই সংস্কারের কাজ এই অন্তর্বর্তী সরকার শুরু করলে আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। প্রায় এক বছর এই সনদ তৈরির কাজ করেছেন তারা। গত ১৭ অক্টোবর সব দল একমত হয়েছে- যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোতে আমরা স্বাক্ষর করেছি।

তিনি বলেন, আমরা যেগুলো গ্রহণ করিনি, কনফারেন্স করে তা বলেছি। পরবর্তীতে আমরা দেখলাম, হঠাৎ করেই উপদেষ্টা কাউন্সিলের একজন সদস্য প্রেস কনফারেন্স করে বললেন যে তাদের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে- রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দেওয়া হবে, যাতে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাহলে এতদিন ধরে যে ঐকমত্য কমিশনে বসে সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে কাজ করেছেন, সেখানে আমাদের প্রতিনিধি ছিল, সব দলের প্রতিনিধি ছিল- তাহলে এটা কেমন হলো? বহু টাকা খরচ করে কাজটি করলেন, সেটাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো সমস্যা সমাধান হলো না।

ফখরুল বলেন, একটি রাজনৈতিক দল জোট গড়ে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে, তারা বলছে নির্বাচনের আগেই গণভোট হতে হবে। আমরা বলেছি, গণভোট নির্বাচনের দিনই হতে হবে। কারণ, দুটি ভোট করতে গেলে অনেক টাকা খরচ হবে এবং মূল নির্বাচনের গুরুত্ব কমে যাবে। আজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার, যাদের আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি, তারাই এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে, যাতে নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব এবং ইনশাআল্লাহ এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আপনারা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামনে এগিয়ে যাই এবং আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করি।

S

Continue Reading

রাজনীতি

জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট বলে কিছু থাকবে না : নাহিদ ইসলাম

Published

on

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট বলে কিছু থাকবে না। আমাদের যা ঐক্যমত হয়েছে সেটা জনগণ বাকিটা ঠিক করবে। জনগণ যদি বলে সেগুলোই বাস্তবায়িত হবে। সে সব বিবেচনায় আমরা আশা করি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব।

তিনি বলেন, আমরা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুল রাহমান সম্মেলন কক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরাম (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার যারা, তাদের সবাইকে পার্লামেন্টে থাকা উচিত। সেই পার্লামেন্টে সংস্কার পরিষদ হবে। নতুন সংবিধানের জন্য কাজ করা হবে। যারা শিক্ষক আছেন, অবশ্যই তাদের সেখানে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে আমরা সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, আগামীর যে সংসদ এবং সংস্কার পরিষদ সভা হবে, সেখানে তরুণরা, শিক্ষক, আলেম, নারী, সংখ্যালঘু এবং নানান সমাজের পেশাজীবী যারা রয়েছে, তারা সবাই মিলে আমরা যে জুলাই সনদের পথে রয়েছি, সেটা বাস্তবায়িত হবে। তার আগে অবশ্যই আমাদের এখনকার যে দাবি– ‘গণভোট’। জুলাই সনদে এই অর্ডারটা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরাম (ইউটিএফ) আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম। সদস্য সচিব অধ্যাপক শামীম হামিদী।

 

Continue Reading

রাজনীতি

৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

Published

on

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং দেশপ্রেমিক মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আধিপত্যবাদের চক্রান্তকে বানচাল করে দিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন।

তিনি বলেন, এটি ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় বাকশাল থেকে দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এনে দেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করেন।

ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আজ (শুক্রবার) জাতীয় শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান তার রাষ্ট্র পরিচালনার মাত্র চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশে একদিকে রাজনৈতিক অবস্থার, অন্যদিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আমূল সংস্কার সাধন করেন। একদলীয় বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেন, জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন এবং একইসঙ্গে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন। সুখী ও সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নিশ্চতকরণের জন্য তিনি যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, পরবর্তীকালে তার ওপর ভিত্তি করেই দেশ সেই দিকে এগিয়ে যায়। সেজন্য আজকের দিনটি শুধু বিএনপির কাছে নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গণঅভ্যুত্থানের পর আজ বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদেরকে সেই পথেই পরিচালিত করে যে পথে গেলে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকার, বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

S

Continue Reading