...
Connect with us

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে সশস্ত্র সংগঠনে কীভাবে জড়াচ্ছে বাংলাদেশি তরুণরা?

Digital Darpan

Published

on

পাকিস্তানের একটি সশস্ত্র সংগঠনের হয়ে গত ছয় মাসে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের সময় দুই বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে এসেছে। ওই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গত জুলাইয়ে আটক করে বাংলাদেশ পুলিশ। ফলে কীভাবে বাংলাদেশের তরুণরা পাকিস্তানের এসব গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়াচ্ছে সেই প্রশ্ন সামনে আসছে।

পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর অভিযানে গত শুক্রবার সশস্ত্র সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ১৭ সদস্য নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশি একজন তরুণকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম ফয়সাল, বাড়ি মাদারীপুরে।

এর আগে, গত এপ্রিলে দেশটির উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আহমেদ জুবায়ের নামে আরেকজন বাংলাদেশির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টিটিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে দু’জনকে গত জুলাইয়ে আটক করে বাংলাদেশের পুলিশ।

জঙ্গি বিষয়ে কাজ করে ঢাকায় পুলিশের এমন কিছু সূত্র বলছে, টিটিপির জন্য বাংলাদেশ থেকে জনবল সংগ্রহ করার একটি প্রক্রিয়া অনেক দিন ধরেই সক্রিয় আছে, যার নেতৃত্বে আছেন ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হায়দার নামের এক ব্যক্তি। গত জুলাইয়ে পুলিশেরই দায়ের করা একটি মামলার এজাহারে এই তথ্য পাওয়া যায়।

বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতার দিকে যারা নজর রাখেন তারা বলছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে বাংলাদেশি জঙ্গিদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মুজাহিদ রিক্রুটমেন্টের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

এছাড়া বাংলাদেশে সক্রিয় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আল-কায়েদার যোগসূত্র আছে বলেও পুলিশ ও জঙ্গি বিষয়ক গবেষকরা বলে থাকেন। আল-কায়েদার সাথে আবার যোগসূত্র আছে টিটিপির।

পুলিশের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, টিটিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন দু’জনকে গত জুলাইয়ে আটকের পর বাংলাদেশের ভেতরে এর নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।

• টিটিপিতে কীভাবে যাচ্ছে বাংলাদেশি তরুণরা
টিটিপি মূলত পাকিস্তানের পাঠান মাদ্রাসা ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের একটি জোট। ২০০৭ সালে বাইতুল্লাহ মেহ্সুদের নেতৃত্বে ১৩টি সংগঠন মিলে টিটিপি গঠিত হয়। জোট গঠনের পর থেকেই টিটিপির মধ্যে দলীয় কোন্দল শুরু হয় এবং এর জেরে বেশ কয়েকটি উপদল তৈরি হয়। তবে ২০২০ সালে টিটিপি আবার এক হয়। তারা পাকিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

পাকিস্তানে কয়েকটি বড় ধরনের হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে এ সংগঠনটির নাম সামনে এসেছে। সংগঠনটি পাকিস্তানের বাইরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের জিহাদি সদস্য রিক্রুট করে থাকে বলে মনে করা হয়।

পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়ে মসজিদ ও স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার জন্য টিটিপিকে দায়ী করা হয়। তাদের হামলায় সেনা সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পাকিস্তান সরকার ২০১৪ সালে টিটিপির সাথে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিলে তখন তা সমালোচনার মুখে পড়েছিল।

এর মধ্যেই গত ছয় মাসে পাকিস্তানে দু’জন বাংলাদেশি তরুণ, যারা টিটিপির সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মৃত্যুর খবর সামনে এলো। বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে নজর রাখছেন মানবাধিকার সংগঠক নূর খান লিটন। তার মতে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি অনেক পুরোনো।

‘‘এমনকি বায়তুল মোকাররমের কাছে ব্যানার দিয়ে মুজাহিদ সংগ্রহের তৎপরতা দেখেছি আমরা। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যেও এ ধরনের রিক্রুটমেন্টের নজির আছে। তবে এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে তাদের কার্যক্রম। কিন্তু পুরোপুরি যে বন্ধ হয়নি সেটি পাকিস্তানে দু’জনের নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রমাণিত হলো।’’

বাংলাদেশে টিটিপির কার্যক্রমে জড়িতদের মধ্যে যারা আটক হয়েছে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব কিংবা দুবাই হয়ে আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানে পৌঁছায় টিটিপি নেটওয়ার্কের সদস্যরা।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে তাদের চ্যানেলে এসব বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করে আসছিল। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের পুলিশ টিটিপির সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে দু’জনকে আটক করতে পেরেছিল বলে পুলিশের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা তখন বলেছিলেন।

এর মধ্যে একজনকে গত ২ জুলাই ঢাকার কাছে সাভার থেকে এবং অন্যজনকে ১৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই টিটিপির সাথে যোগসূত্র থাকার অভিযোগ আনা হয়।

আটক হয়ে কারাগারে যাওয়া ওই দু’জনের মধ্যে একজনকে আগেও পুলিশ জঙ্গি কার্যক্রমে সক্রিয় থাকার অভিযোগে আটক করেছিল। ২০২৩ সালে র‍্যাব জানিয়েছিল, তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

এপ্রিলে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে জুবায়ের নামে এক বাংলাদেশির নিহত হওয়ার তথ্য পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছিল। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছিল, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের রাজমাক এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই অভিযান চালানো হয়।

এর বাইরে তখন আরও অন্তত ৩৫ জন বাংলাদেশিকে বালোচিস্তান থেকে আটক করার তথ্য নিরাপত্তা বাহিনীর বরাতে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে এসেছিল। বাংলাদেশে টিটিপির সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে একজনকে গত ২ জুলাই রাত ৯টার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে একটি দোকান থেকে আটক করে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। আটকের পরদিন তাকে আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।

পরে সেই ব্যক্তিসহ ছয়জন ও তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিয়মিত মামলা হয়। টিটিপির সদস্য সন্দেহে আরেকজনকে গত ১৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাব। এরপর তাকেও প্রথমজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আটক দু’জন ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকা ছেড়েছিলেন। কিন্তু ওমরাহ না করে তারা পরদিনই সৌদি আরব থেকে পাকিস্তানে যান। সেখান থেকে ৬ নভেম্বর তুরখান সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেন।

একদিন পর ওই একই সীমান্ত দিয়ে তাদের একজন আবার পাকিস্তানে আসেন। এরপর করাচি থেকে দুবাই হয়ে ১৬ নভেম্বর তিনি দেশে ফেরেন। কিন্তু তার সহযোগী অপর বাংলাদেশি পরে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হন, যার নাম আহমেদ জুবায়ের ওরফে যুবরাজ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক একজন পুলিশকে এই তথ্য জানিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তারাও ধর্মীয় উগ্রবাদী দীক্ষিত হয়ে জিহাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এই মামলার এজাহারেই বলা হয়, ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হায়দার নামে এক বাংলাদেশি টিটিপির হয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে। মূলত তিনি ওই সংগঠনের হয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেন ও সদস্যদের সংঘবদ্ধ করার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেন। উক্ত আসামি বাংলাদেশে টিটিপির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির কার্যক্রম, সদস্যদের ইসলামী খিলাফতের দাওয়াত পৌঁছানোর কার্যক্রম পরিচালনা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ করছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।

জুবায়েরের সঙ্গী যিনি পুলিশের হাতে আটক হন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই দ্বিতীয় জনকে আটক করা হয় বলে পুলিশের সূত্রগুলো জানিয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনার পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বিনিময় করা হয়েছে।

এর ভিত্তিতেই নতুন করে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু হয় বাংলাদেশে। এর ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার এজাহারে আরও যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তাদেরও আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

ধারণা করা হয়, টিটিপির জন্য জনবল সংগ্রহে কাজ করছিল আটক ব্যক্তিদের একজন এবং তার সংগঠন। তারাই লোক বাছাই করে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সৌদি আরব বা দুবাই হয়ে পাকিস্তানে টিটিপির নেটওয়ার্কে লোক পাঠায় বলে পুলিশ সূত্রগুলোরও ধারণা। ২০২৩ সালের ২৩ জুন এই ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে ঢাকার ডেমরা থেকে অস্ত্রসহ আটক করেছিল তখনকার কাউন্টার টেরোরিজিম ইউনিট। তখন তাকে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দাবি করেছিল পুলিশ। বিবিসি বাংলা।

S

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আফগানিস্তানের

Published

on

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান তাদের রাজধানী কাবুলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া মার্ঘা অঞ্চলের পাকতিকাতে একটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করেছে।

এটিকে ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন, সহিংস ও নিন্দনীয়’ কাজ হিসেবে অভিহিত করেছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর এই আগ্রাসনের আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। নিজ ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অবিচ্ছেদ্য ও বৈধ অধিকার। মনে রাখা উচিত, এই ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির কঠোর পরিণতির জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী এককভাবে দায়ী থাকবে।”

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ওই সময় গোলাগুলির শব্দও ভেসে আসে।

পরবর্তীতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর আসতে থাকে সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) প্রধান নেতা নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

তবে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, টিটিপির প্রধান কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে আজ শুক্রবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী পেশোয়ারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তবে আফগানিস্তানে হামলার বিষয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। আবার হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, “আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য যা করার প্রয়োজন আমরা তা করছি এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জন্য আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত।” তার এ দাবির পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি।

পাকিস্তানের এ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছর খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তারা ৯১৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছেন। এ সময় নিহত হয়েছে তাদের আরও ৩১১ সেনা। ওই ৯১৭ সন্ত্রাসীর মধ্যে ১৩৫ জন আফগান নাগরিক দাবি করে তিনি বলেন, এরমাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আফগানিস্তান পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে।

সূত্র: আনাদোলু

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি সেনারা সরার পর গাজা সিটিতে মিলল অনেক মরদেহ, আরও থাকার শঙ্কা

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজা সিটি থেকে শুধুমাত্র আজই ৩৩টি মরদেহ পাওয়া গেছে। দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সরে যাওয়ার পর এসব মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেগুলোর কয়েকটি বিকৃত হয়ে গেছে। পরিচয় শনাক্ত করতে সেগুলো আল-শিফা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গাজার মধ্যে যত হাসপাতাল আছে সেগুলোর মধ্যে আল-শিফায় শুধুমাত্র ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ আছে। যেখানে মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা যাবে।

আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মেদ আবু সালমিয়া সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন, গাজা সিটি থেকে ৩৩টি মরদেহ আনা হয়েছে।

সেখানে আরও মরদেহ থাকার শঙ্কা করা হচ্ছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মরদেহগুলো পাওয়া যেতে পারে। দখলদারদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

দলে দলে বাড়ি ফিরছেন গাজার মানুষ

দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টার দিকে ইসরায়েলি সেনারা চুক্তি অনুযায়ী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যায়। এরপর দলে দলে মানুষ নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করেন।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র ঘেঁষা আল-রশিদ সড়কে অপেক্ষা করছেন। গতকাল রাত থেকেই তারা এখানে ছিলেন। এরপর ইসরায়েলি সেনারা যখন সরে গেছে তখন তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের বাড়ির দিকে যাওয়া শুরু করে।

গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একটি নির্দেশনা জারি করেছে। গাজার মানুষকে সতর্কতা দিয়ে আইডিএফ বলেছে, তাদের সেনারা যেখানে আছেন সেখানে যেন কোনো বেসামরিক মানুষ না যান।

সূত্র: সিএনএন

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

‘ট্রাম্পকে নোবেল দিন’, ছবি পোস্ট করে আহ্বান নেতানিয়াহুর

Published

on

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় নোবেল কমিটির উদ্দেশে এ আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

এক্সবার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিন। তিনি এ পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন।”

পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও সংযুক্ত করেছেন নেতানিয়াহু। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বড় আকারের একটি মেডেল গলায় ঝুলিয়ে দুই হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ট্রাম্প। মেডেলটি আসালে নোবেল পুরস্কারের জনক আলফ্রেড নোবেলের মুখের আদলে তৈরি স্বর্ণমুদ্রার একটি রেপ্লিকা।

সেই মেডেল পরা ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে আন্তরিক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন নেতানিয়াহু। তাদের দুজনকে ঘিরে রেখেছে একটি দল, সেই দলের লোকজন হাততালি দিচ্ছেন। তাদের কয়েক জনের হাতে ইসরায়েলের পতাকা। পেছনে ব্যাকস্ক্রিনে বড় অক্ষরে লেখা, ‘পিস থ্রো স্ট্রেংন্থ’। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, কোনো উৎসব বা উদযাপন সংক্রান্ত একটি ছবি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল প্রদানের জন্য এটি নেতানিয়াহুর দ্বিতীয় আহ্বান। এর আগে গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানে সংঘাত থামাতে মধ্যস্থতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে নোবেল প্রদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছবিটি পোস্ট করার পর মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অজস্র লাইক ও প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে সেই ছবিটির কমেন্ট বক্সে।

 

S

Continue Reading
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.