বিনোদন
পাকিস্তানের কিংবদন্তী কৌতুক অভিনেতা মারা গেছেন
বিনোদন ডেস্ক
Published
2 weeks agoon
পাকিস্তানের মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ, কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা লাকি ডিয়ার ৬০ বছর বয়সে মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন…)। দীর্ঘ অসুস্থতার পর লাহোরের মায়ো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার প্রয়াণে চার দশকের এক বর্ণাঢ্য কৌতুক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে হাসিতে মাতিয়ে রেখেছিল। গত আট মাস ধরে ফুসফুসের জটিল রোগ এবং ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন এই জনপ্রিয় শিল্পী। গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে মায়ো হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষ দিনগুলোতে তিনি কোমায় চলে যান এবং তার কিডনি, যকৃত ও পাকস্থলী অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই জনপ্রিয় শিল্পীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
তার মৃত্যুর খবরে ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে গভীর শোকের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আসর নামাজের পর লাহোরের বাঘবানপুরায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। চার দশক ধরে লাকি ডিয়ার তার অনবদ্য কমিক টাইমিং এবং নিজস্ব স্টাইলে অভিনয়ের জন্য বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছেন।
অসংখ্য নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও, লাহোরের প্রাণবন্ত মঞ্চ থিয়েটারেই তার কৌতুক প্রতিভা বিশেষভাবে বিকশিত হয়। একসময় তিনি হয়ে উঠেছিলেন পাকিস্তানের কৌতুক জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ।
কর্মজীবনের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন একজন উদ্যমী ও নিবেদিতপ্রাণ শিল্পী। অসুস্থতা এবং ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তিনি তার কাজের প্রতি কখনোই পিছপা হননি। বিনোদন জগতের সহকর্মীরা তাকে একজন বিনয়ী মানুষ হিসেবে স্মরণ করেছেন, যিনি নতুন প্রজন্মের বহু শিল্পীর অনুপ্রেরণা ও মেন্টর ছিলেন। তার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল, কঠিন সময়েও মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অসাধারণ ক্ষমতা।
S
You may like
-
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আফগানিস্তানের
-
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে অ্যামবুশ, নিহত ১১ সেনা
-
আজাদ কাশ্মিরের বিক্ষোভ নিয়ে যা বলল ভারত
-
পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি ভারতীয় সেনাপ্রধানের
-
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে ভয়াবহ বিক্ষোভ-সহিংসতা, নিহত ৮
-
পাকিস্তানে সশস্ত্র সংগঠনে কীভাবে জড়াচ্ছে বাংলাদেশি তরুণরা?
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলিউডের বডিবিল্ডার ও অভিনেতা ভারিন্দার সিং ঘুমান। গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অমৃতসরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর, এবং তিনি সালমান খানের সঙ্গে ‘টাইগার থ্রি’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারিন্দার গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে অমৃতসরের ফোর্টিস হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাঞ্জাবি বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ ছিলেন ভারিন্দার। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সুখজিন্দর সিং রণধাওয়া। সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারিন্দার তার কঠোর পরিশ্রম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পাঞ্জাবের নাম উজ্জ্বল করেছেন।’
ভারিন্দার সিং ঘুমান একজন পেশাদার বডিবিল্ডার হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন এবং ‘মিস্টার এশিয়া’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। একজন নিবেদিত নিরামিষভোজী (ভেজিটেবিয়ান) হিসেবে কঠোর শৃঙ্খলা মেনে শরীরচর্চা করতেন বলে জানা যায়।
অভিনেতা হিসেবে ২০১২ সালে পাঞ্জাবি ছবি ‘কাবাডি ওয়ান্স মোর’ দিয়ে ভারিন্দারের অভিষেক হয়। বলিউডে সালমান খানের ‘টাইগার থ্রি’ ছাড়াও তিনি ২০১৪ সালের ‘রোর: টাইগার্স অফ দ্য সুন্দরবনস’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন।
ভেঙেই গেল ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেলের এক দশকের পুরনো রেকর্ড! তার ২০১৫ সালের ‘টোয়েন্টি ফাইভ’ অ্যালবামের প্রথম সপ্তাহের সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড ভেঙে দিলেন মার্কিন পপ তারকা টেলর সুইফট; এই শিল্পীর নতুন ১২তম অ্যালবাম ‘দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল’ মাত্র পাঁচ দিনেই ৩৫ লাখ কপির বেশি বিক্রি হয়েছে।
২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত অ্যাডেলের ‘টোয়েন্টি ফাইভ’ অ্যালবামটি প্রথম সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩৪ লাখের বেশি কপি। গত ১০ বছরে কোনো শিল্পীই এই মাইলফলক অতিক্রম করতে পারেননি। তবে গত ৩ অক্টোবর প্রকাশ হওয়া টেলর সুইফটের নতুন অ্যালবাম ‘দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল’ ফিজিক্যাল কপি ও স্ট্রিমিং মিলিয়ে মাত্র পাঁচ দিনেই ৩৫ লাখের বেশি বিক্রি হয়ে অ্যাডেলের রেকর্ডটি ভেঙে দেয়।
যেহেতু অ্যালবামটির প্রথম সপ্তাহ পূর্ণ হতে আরও দুদিন বাকি, তাই ধারণা করা হচ্ছে বিক্রির সংখ্যা আরও বাড়বে। এর আগে ২০২৪ সালে সুইফটের ‘দ্য টর্চারড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ অ্যালবামটি এক সপ্তাহে ২৫ লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল, যা থেকে বোঝা যায় তার সাম্প্রতিক অ্যালবামটি ভক্তদের মধ্যে আরও বেশি উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে।
রেকর্ড-ভাঙা সাফল্যের পাশাপাশি ‘দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল’ অ্যালবামটি সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। তবে সমালোচনায় বিচলিত নন টেলর সুইফট। বলেছেন, ‘যেকোনো ধরনের আলোচনাকে আমি স্বাগত জানাই। যারা শিল্প সম্পর্কে গঠনমূলক সমালোচনা করেন, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।’
বিনোদন
বিচ্ছেদের পর হাঁটুর বয়সী মডেলের প্রেমে হার্দিক, ধরা পড়ল তাদের ঘনিষ্ঠতা!
Published
1 day agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে একসঙ্গে দেখা গেল ভারতীয় ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া এবং মডেল মাহিকা শর্মাকে। বৃহস্পতিবার রাতে এই তারকা জুটিকে মুম্বাই বিমানবন্দরে দেখা মেলে; যা তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন আরও জোরালো করে।
এ সময় একই গাড়িতে আসা এবং বিমানবন্দরে মাহিকাকে আগলে রাখার দৃশ্য দেখে অনেকেই মনে করছেন, হার্দিক হয়তো এভাবেই তারা তাদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলেন।
হার্দিক পান্ডিয়া ও মাহিকা শর্মার সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেট ও বিনোদন মহলে কানাঘুষা চলছিল। এদিন তারা মুম্বাই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সেই আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে। বিমানবন্দরে ওঠার আগ পর্যন্ত হার্দিক তার চেয়ে ২৪ বছরের ছোট এই মডেল প্রেমিকার প্রতি বেশ যত্নশীল ছিলেন বলে জানা যায়।
গত কয়েক মাস ধরে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ছিল চর্চা। ২০২৪ সালে তিনি স্ত্রী নাতাশা স্ট্যানকোভিচের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সামাজিক মাধ্যমে দুজনই এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, পারস্পরিক সম্মতিতেই তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তাদের একমাত্র ছেলে, আগাস্ত্যকে দুজনে মিলে লালন-পালন করছেন।
নাতাশার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর হার্দিকের নাম প্রথমে জুড়েছিল মডেল জেসমিন ওয়ালিয়ার সঙ্গে। সে সময় তাদের মধ্যে প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেলেও, পরে জানা যায় সেই সম্পর্কও নাকি ভেঙে গেছে। এর পর থেকেই নতুন করে হার্দিকের নাম জড়াচ্ছে মডেল মাহিকা শর্মার সঙ্গে।
এর আগেও মাহিকাকে হার্দিকের খেলা থাকাকালীন মাঠে দেখা গেছে এবং তাকে সমর্থন করতেও দেখা গেছে। যদিও তারা কেউই সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি বা একসাথে জনসম্মুখে আসেননি। এবার বিমানবন্দরে তাদের এভাবে একসঙ্গে দেখায় হার্দিক-মাহিকার বাগদান বা বিয়ের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
S