Connect with us

খেলা

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে দেড় লাখ জনসংখ্যার কুরাসাও

Digital Darpan

Published

on

ইতিহাস গড়ল ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র কুরাসাও। সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিলো মাত্র দেড় লাখ জনসংখ্যার দেশটি।

কনকাকাফ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল দেশটি। বাছাইয়ের শেষ দিনে জ্যামাইকার বিপক্ষে স্রেফ একটি পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল তাদের। ম্যাচটিতে গোলশূন্য ড্র করে সেই পয়েন্ট আদায় করে নেয় তারা।

তথ্য অনুযায়ী, ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার দেশটির জনসংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার। বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ এটিই। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে ফুটবল বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিয়ে ভেঙে দিল আইসল্যান্ডের রেকর্ডও।

কুরাসাও কোচ ডিক অ্যাডভোকাট ব্যক্তিগত কারণে মাঠে না থাকলেও তিনিই এখন বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক কোচ—৭৮ বছর বয়সে। এর আগে রেকর্ডটি ছিল গ্রিস কোচ অট্টো রেহাগেলের (৭১)। নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, ইরাকসহ আটটি জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলানো অ্যাডভোকাট ২০২৪ সালে দায়িত্ব নিতেই লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন—বিশ্বকাপ।

কুরাসাও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস।
যোগ্যতা অর্জনের পথে ১০ ম্যাচে সাতটিতে জিতে অপরাজিত থেকেছে তারা। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ৪৮ দলে সম্প্রসারিত হওয়ায় সুযোগ আরও বেড়েছিল; তিন আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা—সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ায় কনকাকাফ অঞ্চলে স্থান খালি হয়। সেই পথ ধরেই কেপ ভার্দে, উজবেকিস্তান ও জর্ডানের সঙ্গে চতুর্থ নতুন মুখ হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা পেল কুরাসাও।

কুরাসাও দলে অধিকাংশ ফুটবলারেরই জন্ম নেদারল্যান্ডসে, পারিবারিক যোগসূত্রে দেশের হয়ে খেলছেন। লিভিংস্টনের জোশুয়া ব্রেনে, রদারহ্যামের আরজানি মার্থা, মিডলসব্রোর সনচে হ্যানসেন, এবং শেফিল্ড ইউনাইটেডের তাহিথ চং—সবাই মিলে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী স্কোয়াড।

দলের প্রাণভোমরা জুনিনহো বাকুনা বলছেন, “কয়েক বছর আগেও কুরাসাওয়ের বিশ্বকাপে ওঠার কথা কেউ ভাবেনি। এটা আমাদের দেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় অর্জন।” তিনি বিশ্বাস করেন, এই সাফল্য আরও তরুণদের কুরাসাওয়ের জার্সি বেছে নিতে অনুপ্রাণিত করবে—“এখন অনেক তরুণই দেখছে, কুরাসাও উন্নতি করছে। তারা দলে আসলে আরও শক্তিশালী হবো আমরা।”

কনকাকাফ অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে হাইতি ও পানামাও। নিকারাগুয়াকে ২–০ হারিয়ে ১৯৭৪ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ফিরছে হাইতি। আর জ্যামাইকার জন্য বাকি থাকল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে–অফ।

S

খেলা

‘লজ্জার’ হার আখ্যা ভারতীয় গণমাধ্যমের, সমর্থকরা বলছেন ভারত ‘শেষ’!

Published

on

২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। গতকাল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে মোরসালিনের একমাত্র গোলে তারা ১-০ ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। স্বাভাবিকভাবেই এমন সাফল্যে স্বাগতিক ফুটবলার থেকে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস যেন বাঁধ মানছিল না। অন্যদিকে, রাজ্যের হতাশা ছিল ভারতীয় ডাগআউটে। অনেকটা মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়ে খালিদ জামিলের শিষ্যরা। দেশটির গণমাধ্যমেও এমন হারকে ‘লজ্জার’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ান ডার্বির পর ভারতের বেশকিছু গণমাধ্যম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দ্য হিন্দু, এনডিটিভি, ফার্স্ট পোস্টসহ বেশিরভাগ মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভারতের হারকে লজ্জার হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে।

২০০৩ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে বাংলাদেশ ভারতকে পরাজিত করেছিল। ২২ বছর পর এবার একই মাঠে বাংলাদেশ জিতল শেখ মোরসালিনের গোলে। বাংলাদেশ ম্যাচের ১২ মিনিটে লিড নেয়। শেষ পর্যন্ত তার গোলেই অবিস্মরণীয় জয়ের মুহূর্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবল বদলে গেছে এক ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর ছোঁয়ায়। তার দেখানো পথে হেঁটে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন একে একে সামিত সোম, ফাহামিদুল, জায়ান আহমেদ ও কিউবা মিচেলরা। অন্যদিকে, ভারতের ফুটবল যেন অস্তাচলে। অবসর ভেঙে দ্বিতীয় দফায় দলে ফিরেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি কিংবদন্তী সুনীল ছেত্রীরা। গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে স্কোয়াডেই ছিলেন না। কোচ বদলেও সাফল্য আসছে না।

এশিয়ান কাপ ২০২৭-এর বাছাইপর্বে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল দুই দলেরই। তবু ঢাকার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটিকে ভারত দেখছিল ‘মানরক্ষার’ লড়াই হিসেবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের কাছে ছিল নিজেদের নবজাগরণের শক্তি জানান দেওয়ার মিশন। ২২ বছরের পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়ে বাংলাদেশ আবারও হারাল ভারতকে। চলতি বছরের মার্চে শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। বর্তমানে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারত ১৩৬ নম্বরে, বাংলাদেশ ১৮৩ নম্বরে অবস্থান করছে।

হারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়
হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি শেষে ভারতের সমর্থকদের ক্ষোভ উপচে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হার যেন হজম করতে পারছেন না ম্যান ইন ব্লুর সমর্থকরা। কোচ খালিদ জামিলকেও কাঠগড়ায় তুলছেন কেউ কেউ।

গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের ফলে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে পাঁচ ম্যাচে ভারতের জয়ের সংখ্যা শূন্যই থাকল। গ্রুপ ‘সি’-র তলানিতে নেমে গেছে তারা—বহু বছরের মধ্যে এটাই ভারতের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স। বিপরীতে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি ছিল উৎসবের উপলক্ষ্য যেন। যদিও পরের পর্বে যাওয়ার সুযোগ নেই, তবুও এ জয় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে বাংলাদেশের ফুটবলে।

S

Continue Reading

খেলা

হালান্ডের রেকর্ড, ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে নরওয়ে

Published

on

গত ছয়টি বিশ্বকাপে দর্শক ছিল নরওয়ে। এবার তারা মাঠে লড়বে। বাছাইয়ে অপ্রতিরোধ্য থেকে গতকাল (রোববার) বিশ্বকাপের টিকিট কাটল তারা। তাদের কাছে হেরে টানা তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে না পারার ঝুঁকিতে ইতালি।

১৯৯৮ সালে শেষবার বিশ্বকাপে খেলেছিল নরওয়ে। বাছাইয়ের শেষ রাউন্ডে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ২৮ বছর পর আবারো বিশ্বমঞ্চে তারা। এদিকে গত দুটি বিশ্বকাপে উঠতে পারেনি ইতালি। দুইবারই প্লে অফে খেলে হেরেছিল তারা। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আবারো দিতে হবে প্লে অফ পরীক্ষা।

ক্লাব কিংবা জাতীয় দল- দুই জার্সিতে এবার অদম্য আর্লিং হালান্ড। বাছাইয়ের এক আসরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছুঁলেন তিনি। ৮ ম্যাচে তার গোল ১৬টি। ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ ১৬ গোল করেছিলেন পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানডোভস্কি।

ইতালিকে এদিন অন্তত ৯ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো। ১১ মিনিটে পিও এস্পোসিতোর গোলে লিড নিয়ে বড় জয়ের আশায় বুক বেঁধেছিল তারা। প্রথমার্ধে তারা দাপট ধরে রেখেছিল।

কিন্তু বিরতির পর বদলে গেল ম্যাচের চেহারা। দুই মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করেন হালান্ড। তার আগে পরে নরওয়ের দুটি গোল করেন আন্তোনিও নুসা ও জর্গেন স্ট্রান্ড লারসেন।

৬৩তম মিনিটে সোরলোথের বাড়ানো বলে নুসা সমতা ফেরান। বদলি নেমে বব তার ক্লাব সতীর্থ হালান্ডকে দিয়ে ৭৮তম মিনিটে গোল করান। পরের মিনিটে থর্সভেটের ক্রসে আবার জাল কাঁপান ম্যানসিটি স্ট্রাইকার। স্টপেজ টাইমে স্ট্রান্ড ইতালির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।

গত জুনে ইতালির বিপক্ষে নরওয়ের ৩-০ গোলের জয়ে শেষ হয়েছিল লুসিয়ানো স্পালেত্তি অধ্যায়। তার উত্তরসূরি গেনারো গাত্তুসোকে এখন প্লে অফের প্রস্তুতি নিতে হবে।

S

Continue Reading

খেলা

এমন পিচই চেয়েছিল ভারত, তবু কেন হার জানালেন গম্ভীর

Published

on

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের পিচ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের মাঝপথেই। সোশাল মিডিয়ায় পিচ কিউরেটরকে ধুয়ে দিতে থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি জানান, টিম ম্যানেজমেন্টের অনুরোধে এমন পিচ বানানো হয়েছে। আর নিজেদের জালে নিজেরাই ফেঁসে যাওয়ার পর ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরও স্বীকার করলেন, এমন পিচই চেয়েছিলেন তারা। আর হারের জন্য নিজেদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন তিনি।

তৃতীয় দিনে একশরও কম রানে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত অলআউট হয়। ২০১০ সালের পর প্রথমবার ভারতের মাটিতে টেস্ট জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ১২৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও ৩০ রানে জয়। প্রোটিয়ারা সাফল্যে মাতোয়ারা, এদিকে ভারতীয়রা হতাশার সাগরে ভাসছে। অবশ্য পিচ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি গম্ভীর। বরং নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করলেন তিনি।

আজ (রবিবার) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না। খেলার উপযোগী ছিল। টেম্বা বাভুমা তো রান করল। ওয়াশিংটন সুন্দরও ভালো ব্যাট করল। অক্ষর প্যাটেলও তো খেলল। খেলা যাবে না, এমন উইকেট তো ছিল না। জানি না কেন বারবার স্পিন সহায়ক পিচ বলা হচ্ছে! পেসাররা বেশি উইকেট পেয়েছে এই টেস্টে। ব্যাটারদের টেকনিক, মানসিক শক্তি এবং ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয় এ রকম পিচে। আমরা পারিনি। এমন পিচে রক্ষণ ভালো হওয়া দরকার।’

পিচ তাদের চাওয়ামতো হয়েছে বললেন কোচ, ‘আমরা যেমন পিচ চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনই পেয়েছি। কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় অত্যন্ত সাহায্য করেছেন। ভালো খেলতে না পারলে তো এমনই হবে। ১২৪ রান তাড়া করতে না পারার কোনো কারণ ছিল না।’

S

Continue Reading