Connect with us

আন্তর্জাতিক

ভারতের নতুন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন সি পি রাধাকৃষ্ণন

Digital Darpan

Published

on

 

ভারতের নতুন উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক বিচারপতি সুদর্শন রেড্ডিকে হারিয়ে তিনি এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই আগের উপ-রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করায় মধ্যবর্তী এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৭৮১ সদস্যবিশিষ্ট ইলেকটোরাল কলেজ — যেখানে সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যরা ভোট দেন — ভোটে রাধাকৃষ্ণন পান ৪৫২টি ভোট।

অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুপ্রিম কোর্ট সাবেক বিচারপতি সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০ ভোট।

বিবিসি বলছে, দীর্ঘদিনের বিজেপি রাজনীতিক রাধাকৃষ্ণন বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিভিন্ন সংসদীয় কমিটিতেও কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তিনি একজন “অসাধারণ উপ-রাষ্ট্রপতি” হবেন এবং “সংবিধানিক মূল্যবোধ আরও শক্তিশালী করবেন।”

এই নির্বাচনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, কারণ গত জুলাই মাসে জগদীপ ধনখড় হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। তিনি ২০২২ সালের আগস্টে দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত তার দায়িত্বে থাকার কথা ছিল।

ধনখড় পদত্যাগের পর বিরোধীদের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, হয়তো তার সঙ্গে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল। যদিও ধনখড় নিজে বলেছেন, স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তিনি পদ ছাড়ছেন। কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছিলেন, পদত্যাগের পেছনে আরও গভীর কারণ রয়েছে।

মোদি এ বিষয়ে শুধু তার সুস্বাস্থ্য কামনা করে মন্তব্য সীমিত রাখেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “অকারণে বিষয়টি নিয়ে ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে।”

এদিকে মধ্যবর্তী সময়ে নির্বাচিত হলেও রাধাকৃষ্ণন পূর্ণ পাঁচ বছরের জন্য উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে মোট ৭৫৪টি ভোট পড়ে, যার মধ্যে ১৫টি অবৈধ ঘোষিত হয়। বৈধ ভোটের মধ্যে রাধাকৃষ্ণন পান ৪৫২টি, আর রেড্ডি পান ৩০০ ভোট।

৬৮ বছর বয়সী রাধাকৃষ্ণনের জন্ম ১৯৫৭ সালে ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুতে। কৈশোরে তিনি যোগ দেন জাতীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস), যা বিজেপির আদর্শিক ভিত্তি হিসেবে পরিচিত। ধীরে ধীরে তিনি বিজেপির বিভিন্ন পদে ওঠেন এবং রাজ্য সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে কোয়েম্বাটুর আসন থেকে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তার বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব ও বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ার দক্ষতা নতুন ভূমিকায় সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শপথ নেওয়ার আগে তাকে অবশ্যই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের পদ ছাড়তে হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতের সাংবিধানিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদধারী হলেন উপ-রাষ্ট্রপতি। তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন উপ-রাষ্ট্রপতি।

S

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ভারত সফরে আসছেন আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী

Published

on

প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের চিরশত্রু ভারত সফরে আসছেন আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী নুরুদ্দিন আজিজি। আজ বুধবার নয়াদিল্লি পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৫ দিনের সফরে নয়াদিল্লি আসছেন আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী। ভারত ও আফগানিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের আওতা আরও বৃদ্ধি করা এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা এ সফরের প্রধান উদ্দেশ্য।

ভারতীয় সূত্রে জানা গেছে, এ সফরে ভারতের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নুরুদ্দিন। সেই সঙ্গে দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারেও (আইআইটিএফ) অংশ নেবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আফগান পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার ভারত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আফগানিস্তান থেকে যেসব পণ্য ভারত আমদানি করেছে, সেগুলো হলো— ডুমুর, হিং (একপ্রকার মসলা), কিশমিশ, আপেল, রসুন, জাফরান, মৌরি, অ্যালমন্ড বাদাম, অ্যাপ্রিকট (একপ্রকার ফল), পেঁয়াজ, বেদানা এবং কাঠবাদাম।

গত বহু দশক ধরে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল পাকিস্তান। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের বাৎসরিক বাণিজ্যের ভলিউম ১৭০ কোটি ডলারেরও বেশি। এই কিছুদিন আগ পর্যন্তও পাকিস্তান থেকে নিয়মিত কৃষিজ, জ্বালানি, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য আমদানি করত আফগানিস্তান। পাকিস্তানও ফল, শাকসবজি, মসলা, গমসহ বিভিন্ন কৃষিজ ও খাদ্যপণ্য আমদানি করত আফগানিস্তান থেকে।

তবে পাকিস্তানের সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-কে ঘিরে সম্প্রতি ব্যাপক তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে ইসলাবাদ এবং কাবুলের মধ্যে। টিটিপির নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়-অর্থ-প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার— এমন অভিযোগ গত প্রায় ৪ বছর ধরে করে আসছে ইসলামাবাদ, তবে কাবুল বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

টিটিপিকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ৯ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর সীমান্তে সংঘাতের পর প্রথমে কাতার এবং পরে তুরস্কে শান্তি সংলাপে বসেছিলেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সরকারি প্রতিনিধিরা। কিন্তু কোনো প্রকার সমঝোতাচুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই শেষ হয়েছে সেই সংলাপ।

এদিকে, সীমান্তে সংঘাতের শুরু থেকেই আফগানিস্তানের সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান। স্থলবন্দর ও বাণিজ্যরুটগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে আফগানিস্তানের রপ্তানি খাত।

এই অবস্থায় পাকিস্তানি পণ্য ও বাণিজ্য রুটের ওপর নির্ভরতা কমাতে আফগান ব্যবসায়ীদের ৩ মাস সময় দিয়েছে তালেবান সরকার। আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বারাদার গত ১২ নভেম্বর এক সংবাদসম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কাবুলে তার সেই সংবাদ সম্মেলনের ৬ দিনের মাথায় ভারতে আসছেন আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী। তার এই সফরের এক মাস আগে ভারতে ঘুরে গেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।

সূত্র : ফার্স্টপোস্ট

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কেন ভারতকে জটিল পরিস্থিতিতে ফেলেছে?

Published

on

চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি সোমবার (১৭ নভেম্বর) জানিয়েছে, হাসিনার এ মৃত্যুদণ্ড ভারতকে জটিল পরিস্থিতিতে ফেলেছে।

তারা বলেছে, এখন হাসিনাকে ফেরত পেতে বাংলাদেশ আরেকটি প্রত্যার্পণ অনুরোধ ইস্যু করবে। যা এরইমধ্যে বাংলাদেশ করেছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন হাসিনা। এরপর তাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ দুইবার প্রত্যার্পণ অনুরোধ ইস্যু করে।

কিন্তু ভারত বাংলাদেশের এ অনুরোধে সাড়া দেয়নি। যদিও ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে অপরাধীদের প্রত্যার্পণ চুক্তি রয়েছে।

চুক্তি থাকলেও ভারত হাসিনাকে ফেরত নাও দিতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, যদি ভারত মনে করে স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ও অসৎ উদ্দেশ্যে’ অভিযোগ আনা হয়েছে তাহলে তারা তাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে।

বিবিসি বলেছে, ক্ষমতায় থাকার সময় হাসিনা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এছাড়া ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো হাসিনাকে ফেরত না পাঠাতে একমত।

আর এসব বিষয় ভারতকে ফেলেছে জটিল পরিস্থিতিতে। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ভারত এখন বেকায়দায় থাকবে। কারণ তারা যদি হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে বাংলাদেশ এটিকে কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে গণ্য করবে। যা দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ করবে।

ভারতের জন্য বাংলাদেশ শুধুমাত্রই প্রতিবেশী নয়। বাংলাদেশ তাদের জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে সীমান্ত থাকায় নয়াদিল্লির কাছে ঢাকা গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: বিবিসি

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

মানবতাবিরোধী শেখ হাসিনা : রাজনৈতিক আধিপত্য থেকে মৃত্যুদণ্ডের আসামি

Published

on

চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশের পলাতক এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল আধিপত্য। সেখান থেকে তিনি এখন মৃত্যুদণ্ডের আসামি।

১৯৭৫ সালে সেনা অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হলেও বেঁচে যান তিনি। এরপর ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আসেন বাংলাদেশে। প্রথমে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করলেও দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রী থাকা হাসিনার শাসনামল ছিল বিরোধীদলের নেতাদের দমন ও বাক স্বাধীনতা হরণে পরিপূর্ণ।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ১৫ মাস পর তার বিরুদ্ধে ছাত্রদের ওপর প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ প্রমাণিত হয়েছে। ওই সময় শত শত মানুষ গুলিতে নিহত হন।

৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনাকে অর্থনৈতিক ও গার্মেন্টস খাতের উন্নয়নের কৃতিত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি।

পতন হওয়ার মাত্র সাত মাস আগে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন হাসিনা। গত বছর সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে প্রথমে আন্দোলন শুরু হলেও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলি ও হামলার কারণে এটি সরকার পতন আন্দোলনে রূপ নেয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে প্রায় ১ হাজা ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগের প্রাণ গেছে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে। জাতিসংঘ বলছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের দমাতে প্রাণঘাতী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হাসিনা।

শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জন্ম নেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে ডিগ্রি নেন।

১৯৭৫ সালে তার পিতা শেখ মুজিব সেনাঅভ্যুত্থানে প্রাণ হারানোর সময় তিনি ইউরোপে ছিলেন। এতে করে বেঁচে যান। এরপর ভারতে এসে নির্বাসিত জীবন শুরু করেন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের প্রধান হন।

১৯৯০ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সরকারের পতনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাত মেলান তিনি। কিন্তু তাদের ঐক্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এরপর তারা দুজন কয়েক দশক বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়েছিলেন।

হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০০৯ সালের আবারও সরকার গঠন করেন। গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে রেখেছিলেন তিনি।

সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসিনা স্বৈরশাসকে পরিণত হন। তার শাসনামলে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, অধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের ওপর ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স।

S

Continue Reading