বিনোদন
এখনো আমার মা অপেক্ষা করে : চঞ্চল চৌধুরী
বিনোদন ডেস্ক
Published
1 month agoon
ছোট পর্দা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তার অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ।
পাশাপাশি সেরা অভিনেতা বিভাগে একটি মেরিল-প্রথম আলো ও দুটি সমালোচক পুরস্কার লাভ করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব রয়েছেন।
এবার মা ও ছেলেকে নিয়ে এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার কথায়, ‘আমাদের ছোট্ট ছেলে শুদ্ধ স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে দেশের বাইরে গেছিলো। জন্মের পর থেকে এই প্রথম বাবা মাকে ছেড়ে একা একা বিদেশ বিভুঁইয়ে কাটিয়ে আসা দশটা দিন আমাদের কাছে দশ বছরের মত লাগছিলো।’
‘গতকাল সে ফিরেছে, বাবা মায়ের বুকে পিঠে আগলে রাখা সন্তানকে তার ভবিষ্যৎ এর মঙ্গলের জন্য ছেড়ে দেয়াটাই চিরন্তন। সেটা কখনো ঘরের বাইরে, কখনো দেশের বাইরে। বুকে কষ্টের পাথর চেপে,বাবা মা সব সময়ই অপেক্ষা করে তার সন্তান কবে তাদের বুকে ফিরে আসবে।’
মায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘যেমন এখনো আমার মা অপেক্ষা করে,কবে তার কোলে ফিরে যাবো। দম বন্ধ করা ঢাকা শহরে সে থাকতে চায় না, জোর করে মাঝে মধ্যে কাছে এনে রাখি।’
তার কথায়, ‘শুদ্ধ দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় একদিন মাকে বললাম। “শুদ্ধ’র জন্য খারাপ লাগে,চিন্তা হয়…ও তো কখনো আমাদের ছেড়ে থাকেনি। ঠিক মত আমাদের কাছে যেন ফিরে আসে,তুমি আশীর্বাদ করো।”
মায়ের উত্তর “এখন কেমন লাগে বাবা? তোমাদের ছেড়ে থাকতে আমার কেমন লাগে,তোমার বাবার কেমন লাগতো?” শেষে লিখেছেন, বাবা তিন বছর হয়ে গেলো আমাদের মাঝে নেই। আসলেই তো, বাবার কেমন লাগতো,আগে বোধ হয় ঠিকমত বুঝিনি,এখন বুঝি।
S
You may like
বিনোদন
‘দুই মাস ফোন ব্যবহার করিনি, মানুষের মন্তব্য পড়ি না’
Published
3 hours agoon
নভেম্বর ১২, ২০২৫
কোক স্টুডিও বাংলা’র মতো জনপ্রিয় আয়োজনের রূপকার হিসেবে এখন পরিচিত সংগীতশিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্ণব। তার এই ক্যারিয়ার, সংগীতের প্রতিভা নিয়ে অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়ে অকপটে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন এই জনপ্রিয় গায়ক। নিজের জীবনধারা এবং বাংলাদেশের গানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। জানান, সামাজিক মাধ্যমে অতিসক্রিয়তার এই যুগেও দুই-তিন মাস ফোন ব্যবহার না করেই কাটিয়ে দিতে পারেন এই শিল্পী।
এক প্রশ্নে কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় সিজনে তার উপস্থিতি কম দেখা যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে অর্ণব জানালেন, বর্তমানে তিনি তার নতুন গান ‘তাঁতী’ নিয়ে ব্যস্ত। তার ওপর এত বেশি দায়িত্ব থাকে যে কম্পিউটারের সামনে বসে নিজের কাজ করার সুযোগ পান না।
কলকাতায় স্বাধীন গান-বাজনার (ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক) পরিবেশ নিয়ে বলতে গিয়ে অর্ণব বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন। বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা কবীর সুমন, নচিকেতা, মহীনের ঘোড়াগুলি শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে কলকাতায় গানের জায়গাটি যেন বদ্ধ হয়ে আছে। বাংলাদেশে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সুন্দর করে গান লিখছে, সুর করছে।’
অর্ণব বলেন, ‘আমার ‘ভাল্লাগে না’ অ্যালবামটার যদি স্পনসর না পেতাম, একা গান বের করে, মিউজিক ভিডিও তৈরি করা, মিউজিশিয়ানদের টাকা দেওয়া এই এত কিছু করা সম্ভব হত না। একটা সাপোর্ট দরকার। সেটার মনে হয় ঘাটতি রয়েছে।’
শিল্পীদের বর্তমান সময়ে সমাজমাধ্যমে উপস্থিতি কতটা প্রয়োজন- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্ণব স্পষ্ট জানান, তিনি ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে আনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না এবং সমাজমাধ্যমের বিশেষ প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেন না। নিজের জীবনধারার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমেরিকায় গিয়ে দু’মাস ফোন ব্যবহার করিনি, ফোনে চার্জ ছিল না। তার পর চার্জ দিইনি। কারও প্রয়োজন হলে স্ত্রীর মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে।’
অর্ণব মনে করেন, শিল্পীদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো। একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য বা কমেন্ট পড়া এড়িয়ে চলেন। অর্ণবের ভাষায়, ‘লোকেদের কমেন্ট পড়ি না। এগুলো অপ্রয়োজনীয়।’
S
বিনোদন
মিস ইউনিভার্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা কে এই মিথিলা?
Published
4 hours agoon
নভেম্বর ১২, ২০২৫
দেশের প্রথম সারির মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। বিশেষ করে মডেলিংয়ে নিজের ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। মডেল হিসেবে সুপরিচিত হলেও ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ‘রোহিঙ্গা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে নাম লেখান মিথিলা। শুধু মডেলিং বা অভিনয় নয়, সামাজিক মাধ্যমেও তিনি বেশ সক্রিয়; প্রায়ই তার খোলামেলা ছবি ভক্তদের মাঝে উত্তাপ ছড়ায়।
তানজিয়া জামান মিথিলার ক্যারিয়ারে মডেলিংই মূখ্য। লড়াই করেছেন দেশ-বিদেশের বহু সুন্দরী প্রতিযোগীতায়। ২০১৯ সালে ‘ফেস অব বাংলাদেশ’ এবং ‘ফেস অব এশিয়া ২০১৯’-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। একই বছর ‘মিস সুপারন্যাশনাল’ বাংলাদেশ ২০১৯-এর মুকুট জিতলেও মূল প্রতিযোগিতা থেকে তিনি সরে দাঁড়ান। ২০২০ সালেও তিনি ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ নির্বাচিত হয়েছিলেন, যদিও সেবার সময় স্বল্পতা ও করোনাকালিন প্রস্তুতির ঘাটতিতে মূল আসরে যাওয়া হয়নি তার।
শোবিজ অঙ্গনের বাইরে ব্যক্তিজীবন নিয়েও মিথিলা একাধিকবার আলোচনায় এসেছেন। বিলাসী জীবনযাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার নাম জড়ানো ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি প্রকাশ নিয়ে অতীতে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
অতীতের আলোচনা-সমালোচনা ছাপিয়ে মিথিলা এখন নতুন করে খবরের শিরোনামে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। গত সেপ্টেম্বরে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুট জেতার পর, গেল অক্টোবরের শেষে থাইল্যান্ডে মূল প্রতিযোগিতায় যোগ দেন।
বর্তমানে থাইল্যান্ডে ১২১টি দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে গ্রুমিং ও প্রস্তুতি পর্বে অংশ নিচ্ছেন মিথিলা। প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ভোটিং পর্বে তিনি ৭৩ হাজার ভোট পেয়ে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছেন, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সাফল্য। এই অর্জনে জয়া আহসান, শবনম বুবলী, রুনা খান, জান্নাতুল পিয়া সহ বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই তার জন্য ভোট চেয়েছেন।
আবেগঘন এক পোস্টে মিথিলা লিখেছেন, ‘আমি কাঁদছি… আপনাদের অমূল্য ৭৩,০০০ ভোটে আমরা এখন বিশ্বের ৫ নম্বরে। বাংলাদেশে মুকুটটা আনার জন্য এবার আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের পাক ক্রেটে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসরের জমকালো গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বাংলাদেশ থেকে ২০১৯ সালে শিরিন শিলা এবং ২০২৪ সালে আনিকা আলম অংশ নিলেও, মিথিলার এই ভোটিং সাফল্য দেশের মিস ইউনিভার্স ইতিহাসে নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
S
সব জল্পনা আর দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বলিউডের প্রবীন অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই তারকা। তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন থেকে বাড়ি থেকেই এই অভিনেতার চিকিৎসা চলবে।
ধর্মেন্দ্রর টিমের পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। চিকিৎসকের কড়া পরামর্শ অনুযায়ী আপাতত নিজ বাসভবনেই থাকবেন তিনি। সেখানেই চলবে প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা।
একইসঙ্গে অভিনেতার টিম সকলের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনো রকম গুজব বা ভুয়ো খবর না ছড়াতে। ধর্মেন্দ্র ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ‘হিম্যান’ খ্যাত এই অভিনেতা। তার অসুস্থতার খবরটি দ্রুত বলিউড পাড়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। এর মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়লে তা আরও বেশি বিচলিত করে তোলে ভক্তদের।
পরবর্তীতে ধর্মেন্দ্রর পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করা হয়। কিংবদন্তি এই তারকার দ্রুত আরোগ্য কামনা করতে এবং তাকে একনজর দেখতে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যান বলিউডের অনেক সতীর্থ ও ভক্ত।
S
৩ হাজার কোটি গচ্ছা দিয়ে গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য গুরুত্বপূর্ণ
‘দুই মাস ফোন ব্যবহার করিনি, মানুষের মন্তব্য পড়ি না’
