Connect with us

আন্তর্জাতিক

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি, নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

Digital Darpan

Published

on

ভারী বৃষ্টিতে নেপাল এবং ভারতের দার্জিলিংয়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নেপালে আজ রোববার পর্যন্ত অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে দার্জিলিংয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন।

নেপাল সরকার জানিয়েছে, বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অনেক জায়গার পথঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটি সেতু ভেসে গেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

এরমধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী ইলাম বিভাগেই ভূমিধসে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির আর্মড পুলিশের মুখপাত্র কালিদাস ধাবোজি। দেশের অন্যান্য জায়গায় আকস্মিক বন্যায় ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন ৯ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন।

নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র শান্তি মাহাত বলেছেন, “নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।”

অপরদিকে নেপাল সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২০ জন। বার্তাসংস্থা এএফপি স্থানীয় আইনপ্রণেতা হর্ষবর্ধন শ্রিংহলার বরাতে জানিয়েছে, বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বেশিরভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

পশ্চিমবঙ্গের এ পার্বত্য জেলায় গতকাল রাতে ঝড়ের প্রভাবে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বা ১২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সেখানকার নদনদীর পানিগুলো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানকার বেশ কয়েকটি সেতু বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “গত রাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হঠাৎ ব্যাপক বৃষ্টি এবং নদীর পানির অতিরিক্ত স্রোতের কারণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির প্রবল স্রোতে দুটি লোহার সেতু ভেঙে পড়েছে, বেশ কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ডুবে গেছে। সঙ্গে সেখানকার বড় একটি অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতীয় উপমহাদেশে বর্ষাকালে বন্যা ও ভূমিধস একটি সাধারণ ঘটনা হলেও, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে এগুলো তীব্র আকার ধারণ করেছে। যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, এএফপি

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি পতাকায় চুমু দিতে বাধ্য করা হলো গ্রেটা থুনবার্গকে

Published

on

গাজাগামী মানবিক সহায়তা জাহাজ আটক করার পর ইসরায়েলি বাহিনী সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন তুরস্কের এক মানবাধিকার কর্মী।

তিনি বলেন, থুনবার্গকে অপমানজনকভাবে ইসরায়েলি পতাকা চুমু দিতে বাধ্য করা হয়েছে। রোববার (৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

শনিবার ইস্তাম্বুলে পৌঁছানোর পর সিএনএন তুর্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরসিন চেলিক নামের ওই কর্মী বলেন, “আমাদের সামনেই তারা গ্রেটাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। তারা তাকে হেনস্তা করেছে। গ্রেটা তো এখনো এক তরুণী মেয়ে। তাকে হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হয়েছে, পতাকায় চুমু দিতে বাধ্য করা হয়েছে। নাৎসিরা একসময় যেমন করেছিল, তারা এখন সেটাই করছে।”

চেলিক আরও বলেন, “তারা গ্রেটাকে প্রকাশ্যে প্রদর্শন করেছে। সে যেহেতু জনপ্রিয় মুখ, তাই তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়েছে।”

সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আন্তর্জাতিক জলসীমায় হামলার শিকার ও আটক হওয়া মানবিক মিশনের কর্মীদের বহনকারী একটি বিশেষ ফ্লাইট শনিবার বিকেলে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ইসরায়েলের ইলাত শহরের রামন বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার পর স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিমানটি তুরস্কে পৌঁছায়। বিমানে ১৩৭ জন কর্মী ছিলেন। যার মধ্যে ৩৬ জন তুরস্কের নাগরিক ও ২৩ জন মালয়েশীয় নাগরিক।

তবে গ্রেটা থুনবার্গকে ইসরায়েল থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কি না, নাকি এখনো তিনি আটক রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ২২ বছর বয়সী থুনবার্গ ম্যাডলিন নামের আরেকটি জাহাজে করে গত জুনে গাজার উদ্দেশ্যে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাত্রা করেছিলেন।

গাজার কাছাকাছি পৌঁছানোর পর সম্প্রতি ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে তারা আটক হন।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

দুঃস্বপ্ন শেষ হওয়ার প্রহর গুনছেন গাজার মানুষ

Published

on

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ চলায় গৃহহীন হয়ে উদ্বাস্তু জীবনযাপন করছেন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সাধারণ মানুষ। এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

মধ্যগাজার নুসেইরাত থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খোদারে শনিবার (৪ অক্টোবর) জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিরা এ দুঃস্বপ্ন শেষ হওয়ার প্রহর গুণছেন। তারা আশা দেখছেন নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন। সেই আগের জীবনে ফিরে যাবেন যেখানে ইসরায়েলি ড্রোন, বিমান হামলার ভয় থাকবে না।

তিনি বলেছেন, গাজার মানুষ জানেন তাদের ঘরবাড়ি ইসরায়েলিরা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা ফিরে গিয়ে বাড়িঘর অক্ষত পাবেন এমন সম্ভাবনা নেই-ই। কারণ দখলদার ইসরায়েলের সেনারা বিস্ফোরক বোঝাই রোবট ও বিমান হামলা চালিয়ে এলাকার পর এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে।

তা সত্ত্বেও তারা সেই ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই যেতে চান। নিজ বাড়িতে আছেন এমন অনুভূতি চান।

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যখন প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি হয়েছিল তখন দেখা গেছে নিজেদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের ওপর তাঁবু গেড়ে থেকেছিলেন তারা।

উদ্বাস্তু হয়ে থেকে সাধারণ মানুষ উদগ্রীব হয়ে গেছেন। তারা নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন।

এরমধ্যে পানি ও খাবারের অভাবে সেখানকার মানবিক পরিস্থিতিও খারাপ হচ্ছে। অনেকে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অপেক্ষা করছেন। কিন্তু হাসপাতালগুলো রোগীতে ঠাসা। এছাড়া প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে হাসপাতাল সেবা ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে আছে।

আলজাজিরার এ সাংবাদিক বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা ভালো খবর শোনার অপেক্ষায় আছেন। তারা অপেক্ষায় আছেন যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি বাস্তবে প্রয়োগ হবে।

সূত্র: আলজাজিরা

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

গাজায় সামরিক অভিযান থামিয়েছে ইসরায়েল

Published

on

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান থামিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। কয়েকটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে এ তথ্য।

ইসরায়েলের বেতার সংবাদমাধ্যম কান জানিয়েছে, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানানোর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলা থামানোর নির্দেশ দেন আইডিএফ-কে এবং আইডিএফ সেই নির্দেশ কার্যকর করেছে।

ইসরায়েলের আরেক বেতার সংবাদমাধ্যম আর্মি রেডিও জানিয়েছে, গাজায় অভিযান পুরোপুরি থামায়নি আইডিএফ, তবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে; অর্থাৎ হামলা, বোমা ও গোলাবর্ষণ বন্ধ করেছে, তবে অবস্থান ও টহল অব্যাহত রেখেছে।

গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধের অবসানের জন্য ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত নতুন একটি পরিকল্পনা হাজির করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরিকল্পনাটি প্রকাশের পরপরই তাতে সম্মতি দেন নেতানিয়াহু; কিন্তু গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস তখনও সাড়া দেয়নি।

গতকাল শুক্রবার হামাসকে আল্টিমেটাম দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যদি রোববারের মধ্যে হামাস সাড়া না দেয়, তাহলে ‘নরক’ নেমে আসবে গোষ্ঠীটির ওপর। এই আল্টিমেটামের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামাসের হাইকমান্ড জানায়, ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিজেদের কব্জায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তিপ্রদান এবং গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য রাজি আছে গোষ্ঠীটি।

হামাস সম্মতি দেওয়ার পর ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি এই আহ্বান জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধাবসান ইস্যুতে ট্রাম্প এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে পূর্ণমাত্রায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে ইসরায়েল।

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

S

Continue Reading