ঢাকা বিভাগ
জাকসু নির্বাচন: ভোট বর্জন করল ছাত্রদলের প্যানেল
Published
4 weeks agoon
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বর্জন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। শিবির সমর্থিত প্যানেলকে জেতাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াতের সাথে আঁতাত করেছে বলে অভিযোগ দলটির পক্ষ থেকে।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১০ম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল নয়টায়, যা চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। ২১টি হলে ভোট গ্রহণ চলছে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর।
You may like
- ডিজিটাল দর্পণ ডেস্ক:
রাজবাড়ীতে মাজার ভাঙার ঘটনায় হুঁশিয়ারি দিয়ে ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘তৌহিদী জনতা হোক আর যেই হোক, আর যদি মাজার ভাঙে তাহলে খবর আছে। দেশের ঈমানদার মানুষেরা রাস্তায় নামবে বলে দিলাম।’
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুসের (মিছিল) পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘এটা কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে না। ইউনূস সাহেবের আমলে এসব অপকর্ম ঘটছে।’
সরকারকে সাবধান করে বিতর্কিত এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘মানুষকে উসকানি দিয়ে ইমানদার মানুষদের ব্যবহার করে দেশে আর ধর্মীয় গৃহযুদ্ধ লাগাবেন না।’
তিনি বলেন, ‘যারা মাজার ভেঙেছে, কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়েছে, তারা ইসলামের শত্রু। আমি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বলব, এ ধরনের জঘন্য কাজের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ এবং প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’
ফজলুর রহমান সতর্ক করেন, ‘এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন না যাতে তৌহিদি জনতা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়। সুন্নিরা রাস্তায় নামলে তাদের ঠেকানো সহজ হবে না। এ দেশের ১২ আনা মুসলমানই সুন্নি। তারা জামায়াতে ইসলামী নয়, তারা ঈমানে ইসলাম। তারা শান্তিপ্রিয় কিন্তু বিশ্বাস ও আকিদা রক্ষায় আপসহীন।’
ঈদে মিলাদুন্নবীর ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফজলুর রহমান। সম্প্রতি বিএনপি থেকে তার দলীয় সব পদ ও পদবি তিন মাসের জন্য স্থগিত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি নিজ নির্বাচনি এলাকায় জনসমক্ষে এলেন।
ইমি
- ডিজিটাল দর্পণ ডেস্ক:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মাহদী দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে দেখতে ভিড় করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দরবারের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং জনসাধারণের ভিড় সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শুক্রবারের হামলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে নুরাল পাগলার বাড়ি ও তার আস্তানা। তবে শনিবার সকাল থেকে পরিবেশ অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। দরবারের সামনে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। সকাল থেকেই ধ্বংসস্তূপ দেখতে ভিড় করছেন শতশত উৎসুক নারী-পুরুষ। তবে সাংবাদিক ছাড়া ভেতরে প্রবেশে পুলিশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, যা মুহূর্তেই চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ও গোয়ালন্দের ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির উদ্যোগে ‘কালিমা, আজান, দুরুদ বিকৃতিকারী ও নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করা ভন্ড নুরাল পাগলা’র আস্তানা উচ্ছেদ এবং কাবা শরীফের আকৃতিতে ১২ ফুট উঁচুতে কবর স্থাপনের প্রতিবাদে গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশের পরে নুরাল পাগলের মরদেহ ‘শরিয়ত পরিপন্থি’ পদ্ধতিতে দাফন করা হয়েছে-এমন অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া, নুরাল পাগলার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ রাসেল মোল্লা (২৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। খবর পেয়ে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লা পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে দরবার শরিফ গড়ে তোলেন নুরাল পাগলা। আশির দশকের শেষ দিকে তিনি নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করলে জনরোষ তৈরি হয়। পরে ১৯৯৩ সালের ২৩ মার্চ মুচলেকা দিয়ে তিনি এলাকা ছাড়েন। কয়েকদিন পর তিনি আবার দরবারে ফিরে কার্যক্রম শুরু করেন। গত ২৩ আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তার মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে প্রথম জানাজা ও ভক্তদের অংশগ্রহণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাতে সাড়ে ১০টার দিকে মাটি থেকে ১২ ফুট উঁচুতে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয় তাকে। যে স্থাপনার ওপর দাফন করা হয় সেখানে পবিত্র কাবার আদলে রং করা হয়। এ বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এনে ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’ গঠন করেন। এই কমিটি গোয়ালন্দ উপজেলা মডেল মসজিদসহ রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসনের কাছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান চান।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা ও গাড়ি ভাঙচুরেরর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
ইমি
ঢাকা বিভাগ
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Published
1 month agoon
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫
- ডিজিটাল দপর্ণ ডেস্ক:
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের অভিযোগে এর আয়োজক এ টি এম ওমর ফারুকসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- কাফরুল থানা ছাত্রলীগের সদস্য মো. জিয়াউর রহমান (২০), হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য রুবেল হোসেন (২৭), আব্দুর রহমান (৪০), রিদোয়ান রাফি (১৯), মো. ফায়িম তালুকদার, মো. ফিরোজ আহমেদ (২৩), মো. মেহেদী হাসান হৃদয় (২২), এ টি এম ওমর ফারুক (৫৭) ও মো. সজিব খান (৩১)।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন নাবিস্কো এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিয়াউর রহমান, রুবেল হোসেন, আব্দুর রহমান, রিদোয়ান রাফি, ফায়িম তালুকদার, ফিরোজ আহমেদ ও মেহেদী হাসান হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে ডিবি তেজগাঁও বিভাগ। রাত আনুমানিক ১টা ৫ মিনিটে মোহাম্মদপুর নুরজাহান রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ টি এম ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম। একই দিন রাত ২টা ২৫ মিনিটে ডিবি-লালবাগ বিভাগের লালবাগ জোনাল টিম কোতয়ালী থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সজিব খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।ডিবি জানায়, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইমি