Connect with us

খেলা

এল ক্লাসিকোয় রেগে যাওয়া ফুটবলারদের যে পরামর্শ দিলেন বার্সা গোলরক্ষক

Digital Darpan

Published

on

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। বার্সেলোনার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের পর উভয় দলই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। তর্কাতর্কি–হাতাহাতিতে গড়ানো সেই উত্তেজনার রেশ এখনও শেষ হয়নি। পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, তখন দৃশ্যপটে দেখা যায়নি বার্সা গোলরক্ষক ভয়চেক সিজনিকে। ওই ম্যাচে এক পেনাল্টিসহ ৯টি সেইভ করা এই তারকা রেগে যাওয়া ফুটবলারদের একটি পরামর্শ দিয়েছেন।

ওই ম্যাচে রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর আগে উদযাপনে ফেটে পড়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও স্বাগতিক রিয়ালের পুরো স্কোয়াড। হাত মিলিয়ে ফেরার সময় কারভাহাল হাতের ইশারায় ইয়ামালকে বলেন, ‘তুমি বড্ড বেশি কথা বলো, এখন কথা বলো’। জবাবে নাকি ইয়ামালও ‘টানেলে দেখা হবে’ বলে পাল্টা তোপ দাগেন। তবে ওই সময় মাঠেই মেজাজ হারিয়ে জাতীয় দল সতীর্থের দিকে তেড়ে যেতে চান বার্সার তরুণ এই ফরোয়ার্ড। পথে বাধা দেন রিয়ালের মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। সেখানে কিছুক্ষণ বাদানুবাদের পর মাঠে ছেড়ে যাওয়ার সময় আবারও তর্কে জড়ান ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে। সবমিলিয়ে রিয়াল-বার্সার বেশ কয়েকজন মেজাজ হারিয়েছেন।

এল ক্লাসিকো পরবর্তী এমন উত্তাপ নিয়ে পোল্যান্ডের সাবেক তারকা গোলরক্ষক সিজনি বলেন, ‘আমি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই শিখেছি– আবেগ আমাকে কোনো সাহায্য করবে না, তাই এমন মুহূর্তে আমি নিজেকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলি। সেই ধারাবাহিকতায় এল ক্লাসিকোর পর সবাই যখন তর্ক ও পরস্পর লড়ছিল, আমি শুধু ভাবছিলাম “আমরা ম্যাচটা হেরেছি, কিন্তু এখান থেকে বের হয়ে আসা উচিত।” আমি সবাইকে আহবান জানাব– সবাই মেডিটেশন চর্চা এবং লম্বা শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করুন।’

পেদ্রির ক্যারিয়ারে প্রথম লাল কার্ড, হাতাহাতিসহ বার্নাব্যুতে আরও যা ঘটল

একইভাবে ম্যাচ শুরুর আগে-পরেও মেডিটেশন করার কথা জানান অভিজ্ঞ এই বার্সা গোলরক্ষক, ‘আমি ম্যাচ শুরুর আগে এবং হাফ-টাইমে মেডিটেশন করি। তখন লোকজন আমার দিকে অদ্ভুতভাবে তাকায়, কারণ লকার রুমের মাঝে বসে এই কাজ শুরু করি আমি। অন্যদেরও এই পরামর্শ দিই– স্বাভাবিক এবং উত্তপ্ত উভয় পরিস্থিতিতেই এভাবে দীর্ঘ শ্বাস গ্রহণ-ত্যাগ জরুরি।’

২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম এল ক্লাসিকোয় গোলরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ ৯টি সেইভ করেছেন ভয়চেক সিজনি। এমনকি ২০১৫-১৬ মৌসুমের পর বার্সা-রিয়ালের ম্যাচে প্রথমবার তিনি পেনাল্টি ঠেকানোর নজিরও গড়েছেন। এবার তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের শিকার কিলিয়ান এমবাপে, এর আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি এবং নেইমার জুনিয়রের পেনাল্টি ঠেকানোর রেকর্ড আছে সিজনির। পেনাল্টি ঠেকাতে আগে থেকেই প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের নিয়ে বিশ্লেষণ করে নামেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সিজনি বলেন, ‘ম্যাচের আগে আমি পেনাল্টি টেকারদের নিয়ে পড়াশোনা করি। পেনাল্টি নিতে পারে এমন ফুটবলারদের সর্বশেষ ২০টি শটের ভিডিও দেখি আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কখনও কখনও তাদের রান-আপ দেখে আমি অগ্রীম তথ্য পাই। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ফুটবলাররা ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে শট নিয়ে থাকে, যার ওপর দলের হার-জিত নির্ভর করে। আমি চেষ্টা করি প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সব তথ্য সংগ্রহ করে, সেভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের। এমবাপের ক্ষেত্রে, আমার বিপক্ষে গত মৌসুমেও পেনাল্টিতে গোল করেছিল। আমি এবার আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, এবারও সে একইদিকে বল মারবে। প্রত্যাশা অনুযায়ীই ঘটেছে এবং সৌভাগ্যবশত আমি এটি ঠেকাতে পেরেছি।’

S

খেলা

মেসিকে আর্জেন্টিনার জার্সি পরানোর নেপথ্য নায়ক আর নেই

Published

on

আর্জেন্টাইন ফুটবলে শোকের ছায়া। জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের ম্যানেজার ওমর সাউতো ৭৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সাউতোর সুবাদেই লিওনেল মেসি স্পেন নয়, আর্জেন্টিনার হয়ে খেলছেন।

এএফএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “অপরিমেয় শোকের সঙ্গে আমরা ওমার সাউতোর মৃত্যু সংবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় দলের প্রতি তার দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা ও মানবিকতা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

আর্জেন্টিনা ফুটবল সভাপতি ক্লাউদিও তাপিয়া বলছেন, “আজ আকাশ আরও একটি আর্জেন্টাইন আত্মাকে গ্রহণ করল। জাতীয় দলের জন্য তুমি যা করেছ, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তুমি সবসময়ই উদাহরণ হয়ে থাকবে।”

এদিকে, ওমর সাউতোর স্মৃতিতে হৃদয়স্পর্শী বার্তা দিয়েছেন মেসি, “আপনি সবসময়ই পাশে ছিলেন এবং আপনিই সেই মানুষ, যিনি এএফএ’র নজরে আমাকে এনেছিলেন। অসাধারণ একজন মানুষ, জাতীয় দলের হয়ে যারা খেলেছে, তাদের সবার কাছেই আপনি স্মরণীয়। আপনার ছাপ চিরদিন রয়ে যাবে। আমরা আপনাকে কখনো ভুলব না, ওমর। শান্তিতে ঘুমান।”

মেসির জন্ম আর্জেন্টিনায় হলেও বার্সেলোনার একাডেমি লা মাসিয়ায় বেড়ে উঠে কাতালান ক্লাবটির ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে মেসির বার্সা সতীর্থদের অনেকেই স্পেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। চাইলেই স্পেন জাতীয় দলের জার্সি বেছে নিতে পারতেন। সুযোগও এসেছিল, এমনকি ‘লা রোজাদের’ হয়ে খেলার দ্বারপ্রান্তেই নাকি ছিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেসি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসির নিয়তি লেখা ছিল আর্জেন্টিনাতেই।

মেসির জাতীয় দলে আগমন নিয়ে সাউতো যেমন ছিলেন পথপ্রদর্শক, তেমনই ছিলেন রোমাঞ্চকর এক গল্পের নায়কও। নাইজেরিয়ার অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে স্পেনের কোচিং স্টাফ তাকে বলেছিল, “বার্সেলোনার ছেলেটি কোথায়? ও-ই সবার সেরা।” দেশে ফিরে কোচ হুগো তোকাল্লি সাউতোকে দায়িত্ব দেন মেসিকে খুঁজে বের করার।

মেসিকে ফোন করে খুঁজে বের করা, দাদির মাধ্যমে নম্বর পাওয়া, এরপর বাবা হোর্হে মেসির সেই প্রতীক্ষিত প্রতিক্রিয়া, “অবশেষে ডাকছে! আমার ছেলে আর্জেন্টিনার হয়েই খেলতে চায়।” এসবই এখন আর্জেন্টাইন ফুটবলের কিংবদন্তি অধ্যায়।

স্পেন যাতে মেসিকে না নিতে পারে, সে জন্য সাউতো-তোকাল্লি যুগল নকল ডাকে পরাগুয়ে ও উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আয়োজন করেছিলেন। সেই সময়টাকেই সাউতো মনে করতেন মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট।

এএফএতে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন ওমর সাউতো। গত অক্টোবরেই সংস্থার সাধারণ সভায় তাকে সম্মান জানানো হয়েছিল। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর তার বিদায়ে শোকস্তব্ধ পুরো আর্জেন্টিনা ফুটবল।

S

Continue Reading

খেলা

বাংলাদেশের জন্য দোয়া চাইলেন সাকিব

Published

on

লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে আছেন সাকিব আল হাসান। সর্বশেষ ভারত সিরিজে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছিলেন তিনি। তারও আগে থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন সাকিব। নিজের ছবিটির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আল্লাহ যেন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষকে নিরাপদে রাখেন।’

এদিকে বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন সাকিব। আবুধাবি টি-টেন লিগে রয়্যাল চ্যাম্পসের হয়ে খেলছেন তিনি। আসরের শুরু থেকেই স্কোয়াডের সঙ্গে থাকলেও নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি তিনি।

তবে দলের সর্বশেষ ম্যাচে আজমান টাইটান্সের বিপক্ষে সাকিবকে নিয়ে মাঠে নামে রয়্যাল। সেখানে ব্যাট করার সুযোগ পাননি সাকিব। আর বল হাতেও খুব একটা ভালো করতে পারেননি। তাতে হেরেছে তার দলও।

এখনো পর্যন্ত ৪ ম্যাচে খেলে সবকটিতে হেরেছে সাকিবের দল। নামের পাশে কোনো পয়েন্ট না থাকায় টেবিলের তলানিতে আছে তারা।

S

Continue Reading

খেলা

দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী

Published

on

লিওনেল মেসির সাবেক বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ আলজান্দ্রো গোমেজ দুই বছরের ডোপিং নিষেধাজ্ঞা শেষ করে অবশেষে আবারও ফুটবলে ফিরেছেন। ইতালির দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব কালচিও পাদোভার হয়ে তিনি শনিবার ফের মাঠে নামেন।

২০২২ কাতার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের সদস্য ছিলেন গোমেজ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে নিষিদ্ধ পদার্থ গ্রহণের দায়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। তার শরীরে নিষিদ্ধ পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি দাবি করেছিলেন, সন্তানকে দেওয়া কাশি সিরাপ ভুলবশত খাওয়ায় এমন হয়েছিল। ঘটনা সামনে আসার পর সেভিয়া তার চুক্তি বাতিল করে দেয়। নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত অক্টোবরের ১৮ তারিখ।

নিষেধাজ্ঞা শেষে পাদোভার হয়ে ভেনেজিয়ার বিপক্ষে সিরি ‘বি’ ম্যাচে ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন গোমেজ। দর্শকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেও ২–০ গোলে দলের হার এড়াতে পারেননি।

ম্যাচ শেষে তিনি জানান, “আমি ঘুরতে আসিনি। পাদোভাকে যতটা সম্ভব ওপরে তোলাই আমার লক্ষ্য।” গোমেজ মনে করেন, তাকে অযথাই কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “কেউ কোকেন নেয় বা গাঁজা খায়—তখন ছয় মাস শাস্তি পায়। আমি ছেলের কাশি সিরাপ খেয়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেলাম! প্রথমে ফুটবল দেখা বন্ধই করে দিয়েছিলাম। নিজেকে আলাদা করে একজন মনোবিজ্ঞানীর সহায়তায় পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছে।”

বিশ্বকাপ জয়ের ঠিক পরই নিষেধাজ্ঞা পাওয়াটা তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল, “ক্যারিয়ারের সেরা সময়, বিশ্বকাপ জয়ের পরেই এমন হলো। মনে হচ্ছিল, আমি তো অবসর নিতে চাই না, তাহলে কয়েকজন স্যুট–টাই পরা লোক কেন ঠিক করবে আমি কবে অবসর নেব?”

এদিকে, গত বিশ্বকাপ চলাকালে অন্য কারণে শিরোনাম হয়েছিলেন গোমেজ। এক আর্জেন্টাইন প্রতিবেদকের দাবি, বিশ্বকাপ চলাকালে ড্রেসিং রুমে উদ্‌যাপনের সময় গোমেজ নাকি মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে নিয়ে ‘অনুপযুক্ত’ মন্তব্য করেছিলেন। এতে মেসি নাকি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। প্রতিবেদকের কথায়, “সবাই গান গাইছিল, আর গোমেজ নাকি বলেছিল—‘আন্তোনেলাকে দিয়ে দাও!’

S

Continue Reading