...
Connect with us

খেলা

পিছিয়ে পড়ার পরও বার্সেলোনার দাপুটে জয়

Digital Darpan

Published

on

প্রতিপক্ষ রিয়াল ওবেইদোর মাঠে গিয়ে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কেবল জয়ই পায়নি, হ্যান্সি ফ্লিকের দল একপেশে দাপটও দেখিয়েছে। ৩-১ গোলের এই জয়ে লা লিগায় টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে আনল কাতালানরা।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে ওবেইদোর বিপক্ষে শুরু থেকেই পজেশন ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও বার্সেলোনা ফিনিশিংটা দিতে পারছিল না। এরপর তারা পিছিয়ে পড়ে গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়ার বড় ভুলে। সেখান থেকে একটি করে গোল করে ব্লু গ্রানাদের পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেছেন এরিক গার্সিয়া, রবার্ট লেভান্ডফস্কি ও রোনাল্দ আরাউহো।

৮০ শতাংশ বল পজেশনের পাশাপাশি পুরো ম্যাচে ২০টি শট নেয় বার্সার ফুটবলাররা। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১০টি। বিপরীতে ওবেইদো ৭ শটের মধ্যে তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে। ম্যাচ শুরুর মিনিট তিনেকের মাথায় দানি অলমো ক্রসবারের ওপর দিয়ে শট মারেন। এরপর ২৫ মিনিটের মাঝে মার্কাস রাশফোর্ড ও রাফিনিয়ার শট ঠেকিয়েছেন ওবেইদো গোলরক্ষক। ৩০ মিনিটের পর রাফিনিয়ার আরেকটি শট গোলপোস্টে লেগে ফেরে। আরাউহোর আরেকটি শট ফিরিয়ে হতাশ করেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।

এক মিনিটের মাথায় মারাত্মক ভুল করেছেন বার্সা গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়া। নিজের সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে তিনি প্রতিপক্ষের পায়ে বল মেরে বসেন। সেই ভুলের পুরো ফায়দা তুলেছেন আলবার্তো রেইনা। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে তিনি লিড এনে দেন ওবেইদোকে। পরবর্তীতে কাতালানরা সমতায় ফেরে ৫৬তম মিনিটে। ফেররান তোরেস প্রথমে ঠিকঠাক শট নিতে না পারলে, সুযোগ আসে এরিক গার্সিয়ার কাছে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পা ছুঁয়ে সেটিকে গোলে পরিণত করেন।

প্রায় দশ মিনিট পর লেভান্ডফস্কি মাঠে নামেন রাফিনিয়ার বদলি হিসেবে। আর ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি দারুণ এক হেডে বার্সাকে লিড এনে দেন। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ‍বাড়ানো ক্রসে মাথা ছোঁয়ান পোলিশ স্ট্রাইকার। ৮৮ মিনিটেই বার্সা এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে। এবার রাশফোর্ডের কর্নারে পাঠানো বলে আরাউহো হেডে গোলটি করেছেন।

এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার টেবিলে দ্বিতীয় বার্সেলোনা। সমান ম্যাচ খেলে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ১৮। ভিয়ারিয়াল ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান করছে।

S

খেলা

অভিষিক্ত জায়ানে মুগ্ধতা, ‘কোচের ভুলেই হার’

Published

on

হামজার গোলে প্রথমার্ধে লিড। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে ৩-৩ গোলে সমতা। এরপরও শেষ কয়েক সেকেন্ড আগে গোল হজম করে ম্যাচ হেরে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। এমন হারের পর হামজা চৌধুরী মাঠের মাঝে বিমর্ষভাবে বসে পড়েন। এত লড়াইয়ের পর এক পয়েন্ট না পাওয়ার আক্ষেপ তার চোখেমুখে।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি কালকের হারের জন্য সরাসরি কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘এক বাক্যে বলতে হলে কোচের ভুল কৌশল ও একাদশের জন্য বাংলাদেশ হেরেছে।’ তার এই মন্তব্যের বিশ্লেষণ করে বলেন,‌ ‘আমার একটা মৌলিক প্রশ্ন জায়ান, জামাল, ফাহমিদুল ও সামিত কেন প্রথমার্ধে ছিল না। রক্ষণে সুশৃঙ্খলতা ছিল না এবং চারটি গোলের পেছনেই গোলরক্ষকের দায় রয়েছে। ফলে গোলরক্ষক কোচকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

দ্বিতীয়ার্ধে চতুর্থ রেফারি ৯ মিনিট ইনজুরি সময় দেন। অন্তিম মুহূর্তে বাংলাদেশ মোরসালিনের কর্নারে সামিতের হেডে ম্যাচে খেলায় ৩-৩ সমতা আনে। খেলার তখন এক মিনিটের কম সময় বাকি। হংকংয়ের বিপক্ষে ১-৩ গোলে পিছিয়ে থেকে ৩-৩ সমতা। সেই উচ্ছ্বাসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচও শামিল হতে কর্নার ফ্ল্যাগের কাছাকাছি যান। এটা এমিলির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ,‌‘আমরা হংকংয়ের বিপক্ষে জিততে নেমেছিলাম। ঐ সময় কোচের সেই সেলিব্রেশনে না গিয়ে নিজে শান্ত থেকে উল্টো আরও এক গোল কিভাবে করা যায় সেটা পরিকল্পনা উচিত ছিল। সেখানে আমরা মনোযোগ হারিয়ে ও ভুল করে গোল খেয়ে ম্যাচ হারলাম।’

সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি।

সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বিশ্লেষক জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু কালকের হারকে বিশ্লেষণ করলেন এভাবে, ‘কোচ-খেলোয়াড় সবারই দায় রয়েছে। সাদ উদ্দিন ক্রমাগত ভুল করেছেন অথচ কোচ তাকে পুরো ম্যাচই খেলালেন। এক পর্যায়ে লেফট ব্যাক থেকে তাকে রাইট ব্যাক করলেন। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি যে পরিবর্তনগুলো করেছেন সেগুলো শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে করলে আরো বেশি কার্যকর হতে পারত। জায়ান অসাধারণ খেলেছেন। তার মতো খেলোয়াড় বাংলাদেশে অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে হংকংয়ের চতুর্থ গোলের উৎস জায়ানের ভুল থেকেই। তিনি যদি বলটি প্রতিপক্ষের হাফে লং ক্লিয়ার করতেন তাহলে আর বাংলাদেশ অর্ধে থ্রো ইন হয় না। হংকং তাদের অর্ধ থেকে বল বাংলাদেশ অর্ধে এনে আক্রমণ করতে করতে খেলার শেষ বাশি বেজে যেত।’

আমার একটা মৌলিক প্রশ্ন জায়ান, জামাল, ফাহমিদুল ও সামিত কেন প্রথমার্ধে ছিল না। রক্ষণে সুশৃঙ্খলতা ছিল না এবং চারটি গোলের পেছনেই গোলরক্ষকের দায় রয়েছে। ফলে গোলরক্ষক ও কোচকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
জাহিদ হাসান এমিলি
গতকাল আমেরিকান প্রবাসী জায়ান আহমেদের অভিষেক হয়েছে। মাত্র ২৫ মিনিটের মতো খেলার সুযোগ পেলেও জায়ান তার জাত চিনিয়েছেন। কালকের ম্যাচের প্রাপ্তি হিসেবে জায়ানকে দেখছেন,‘জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ হলেও সে বাংলাদেশের ফুটবলের ভালো ভবিষ্যৎ। জায়ান নামার পর তার গতি ও স্কিলের কারণে হংকং কোচ খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।’

গতকাল বাংলাদেশ চার গোল হজম করেছে। চার গোলের পেছনেই গোলরক্ষক মিতুল মারমার ভুল রয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক গোলরক্ষক আমিনুল হক কালকের ম্যাচের হার নিয়ে বলেন,‘আমার মনে হয়েছে আমাদের ফুটবলাররা দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ নিতে পারিনি। এতে তারা স্নায়ুচাপে ভোগে মাঝে মধ্যে ভুল করেছে। সেই ভুলের কারণেই আমরা গোলগুলো হজম করেছি। না হলে অবশ্যই ম্যাচের চিত্র অন্য রকম হতে পারত।’

জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ হলেও সে বাংলাদেশের ফুটবলের ভালো ভবিষ্যৎ। জায়ান নামার পর তার গতি ও স্কিলের কারণে হংকং কোচ খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
জায়ানকে নিয়ে জুলফিকার মিন্টু
কোচ ক্যাবরেরার দূরদৃষ্টি ও পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। হংকংয়ের ম্যাচের ভুল-ত্রুটি নিয়ে এখন অনুশীলন হবে। ঢাকায় সেই নিবিড় অনুশীলন না করে উল্টো প্রতিপক্ষ দেশে গিয়ে কাটাছেড়া করবেন কোচ। আজ ২৩ জন ফুটবলার নিয়ে রওনা হয়েছেন তিনি। অথচ ফুটবল ফেডারেশন কোচের চাহিদা অনুযায়ী ৪৫ জনের ভিসা করিয়েছে। এতে ফেডারেশনের দুই লাখ টাকা একেবারে নিরর্থক ব্যয়। দেশের আরেক শীর্ষ কোচ ও বিশ্লেষক মারুফুল হক কোচ ক্যাবরেরাকে ইঙ্গিত করে গতকাল রাতে ও আজ বিকেলে সামাজিক মাধ্যমে দু’টি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

S

Continue Reading

খেলা

দক্ষিণ কোরিয়ার জালে ব্রাজিলের গোল উৎসব

Published

on

লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হয়েছে কদিন আগেই। ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে এবার প্রীতি ম্যাচের মিশনে দলগুলো। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এশিয়ান সফরের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয়। ম্যাচটি ঘিরে কোচ কার্লো আনচেলত্তির চাওয়া ছিল দাপুটে ফুটবল। সেলেসাওরা তাতে সাড়া দিলো দারুণভাবেই।

আজ (শুক্রবার) সিউলের ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচটি ৫-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। দুটি করে গোল করেছেন এস্তেভোঁ ও রদ্রিগো। একবার জালের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র।

ম্যাচের ১৩ তম মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ব্রুনো গুইমারেসের রক্ষণছেড়া পাস ডি বক্সের ভেতর গিয়ে ধরেন এস্তেভাও। তখন তার সামনে কোরিয়া গোলরক্ষক বাদে আর কেউ ছিল না। আলতো ছোঁয়ায় বল জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দেন।

বিরতির আগে ব্যবধান বাড়ান রদ্রিগো। অবশ্য এ যাত্রায় তার একার কৃতিত্বের চেয়ে দলগত নৈপুণ্যের প্রদর্শনীই বলা ভালো। ৪০তম মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠলেও মাঝমাঠ হয়ে বল যায় বাঁপ্রান্তে ভিনিসিউস জুনিয়রের কাছে।

ডি বক্সের বাইরে থেকে রদ্রিগোর দিকে পাস দেন তিনি। কিন্তু রিয়াল ফরোয়ার্ড পাস না ধরে সুযোগ করে দেন ক্যাসেমিরোকে, নিজে উঠে যান একটু ওপরে। ক্যাসেমিরো প্রথম স্পর্শেই তাকে বল বাড়িয়ে দেন। রদ্রিগো বল নিয়ে আর ভুল করলেন না। পাঠিয়ে দেন জাল বরাবর।

S

Continue Reading

খেলা

দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন নাঈম শেখ

Published

on

গেল সপ্তাহখানেক ধরে আলোচনায় ছিলেন সৌম্য সরকার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েও ভিসা জটিলতায় যেতে পারেননি আরব আমিরাতে। এরপর ওয়ানডে দলে থাকা নাঈম শেখেরও শঙ্কা জেগেছিল সিরিজ খেলা নিয়ে।

প্রথম ওয়ানডের আগে এই ওপেনারও যেতে পারেননি আরব আমিরাতে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। আজ শুক্রবার রাতের ফ্লাইটে আমিরাত যাচ্ছেন নাঈম, আগামীকাল ভোরে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। দলের জন্য আপাতত স্বস্তির খবর। পাশাপাশি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের জন্যও স্বস্তির। এর আগে সৌম্যকে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে আবুধাবিতে। আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচ এবং ১৪ অক্টোবর শেষ ম্যাচ মাঠে গড়াবে শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। বিসিবি ঘোষিত ১৬ সদস্যের এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি টি-টোয়েন্টি দলে থাকা পারভেজ ইমনের, জানা গেছে কাঁধের ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর চতুর্থ উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও মিরাজ।

হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে হৃদয়-মিরাজ আউট হলে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ৪৬ রানে শেষ ৬ উইকেট পতনে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। মিরাজ সর্বোচ্চ ৬০ ও হৃদয় ৫৬ রানে আউট হন। ২২২ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে অসুবিধা হয়নি আফগানিস্তানের। ১৭ বল বাকী থাকতে জয়ের স্বাদ নেয় আফগানরা।

বাংলাদেশ স্কোয়াড

মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, কাজী নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।

S

Continue Reading
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.