...
Connect with us

রাজনীতি

পোষ্যকোটা পুনর্বহাল-শিক্ষক নিপীড়নের ঘটনা রাকসু নির্বাচন বন্ধের নামান্তর

Digital Darpan

Published

on

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্যকোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক নিপীড়নের ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পরস্পরবিরোধী অবস্থানে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্যকোটা বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্থায়ীভাবে পোষ্যকোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রাকসু নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে সেটি পুনর্বহাল করে প্রশাসন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা পুনরায় আন্দোলন শুরু করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী পরস্পরবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়। একপর্যায়ে আন্দোলন চলাকালীন ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরসহ একদল শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে ধস্তাধস্তি এবং একপর্যায়ে সম্মানিত শিক্ষকদের হেনস্তার মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সেইসাথে আমরা মনে করি পোষ্যকোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক হেনস্তার এই ঘটনা রাকসু নির্বাচন বানচালের নামান্তর।

শিক্ষক হেনস্তার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ছাত্রশিবির নেতারা বলেন, গতকাল প্রশাসনিক ভবনের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে, প্রো-ভিসিকে তার বাসভবনে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে ও সিঁড়ি থেকে ফেলে দিয়ে এবং এক কর্মকর্তার দাড়ি ধরে লাঞ্ছিত করার মাধ্যমে আন্দোলনকে একটি চক্র ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে অস্বাভাবিক আচরণের মাধ্যমে বিতর্কিত করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মূলত এর মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে রাকসু বানচালের পাঁয়তারা করছে যা ইতোমধ্যে স্পষ্ট।

নেতারা আরও বলেন, আমরা মনে করি, শিক্ষায় সমতা প্রতিষ্ঠা ও মেধার যথাযথ মূল্যায়নের পথে কোটাব্যবস্থা একটি বড় অন্তরায়। দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের স্বার্থে ২০২৪ সালে হাজারো শহীদের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে কোটা প্রথার অবসান ঘটানো হয়েছিল। অথচ আজ সেই বাতিল করা কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল করা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে আন্দোলন প্রতিবাদের ভাষা হলেও তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক।

শিবির নেতারা বলেন, সম্মানিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক হেনস্তার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কোনোভাবেই আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না। অনেকেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষক হেনস্তার দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন, অথচ ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত। আমরা এমন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই সময়ে এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। আমরা মনে করি, এই ঘটনা রাকসু নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অযৌক্তিক পোষ্যকোটা বাতিল ও যথাসময়ে রাকসু আয়োজন করে বর্তমান সংকটের স্থায়ী সমাধান করার আহ্বান জানাচ্ছি।

S

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রাজনীতি

ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে : দুদু

Published

on

আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশে ভয়ংকর রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, দেশবিরোধী শক্তি ও পার্শ্ববর্তী দেশের এক ভয়ংকর প্রভাবশালী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী আশ্রয় নিচ্ছেন।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘ধর্ম, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের চেয়ে ক্ষমতা বড় না হোক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ যে পথে যাওয়ার কথা, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন কিন্তু সেটি হয়নি। সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যথায়, বাংলাদেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্র চারদিকে চলছে, সেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি ভয়ংকর শক্তি কাজ করছে; যেখানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আশ্রয় নিয়েছে।

ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত কখনোই গণতন্ত্রের বা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা সবসময় বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে। এ দেশের মানুষকে তারা শোষণের ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। তারা বিশ্বজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনেক হিন্দু নাগরিক নিজেরাই সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন, ভারতের এই অভিযোগ সত্য নয়। তাই ভারত সম্পর্কে আমাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দুদু বলেন, শুধু প্রধান উপদেষ্টার ভারতবিষয়ক মন্তব্যেই থেমে থাকলে চলবে না। এখন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ছাত্র, তরুণ, কৃষক, শ্রমিক, পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল তাদের নিজ নিজ কথা বলবে, কিন্তু একটি বিষয়ে সবার ঐক্য থাকা জরুরি। তা হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। জনগণ তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি; ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ভোটের নামে তামাশা হয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বর্তমান সরকারের নিজের কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। তারা যতই লাফাক, তাদের আসল শক্তি হচ্ছে কিছু দল যারা নিজেদের স্বার্থে সরকারকে সমর্থন করছে। আমাদের লক্ষ্য সেই গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও অক্ষুণ্ণ রাখা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ভিপি মো. মাইনুল ইসলাম তালুকদার (বাদল)। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান (মনির), দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে. এম. রকিবুল ইসলাম রিপন, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান টোটন এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. সুলাইমান প্রমুখ।

S

Continue Reading

রাজনীতি

‘কেউ কিছু জানে না, এমন অনেক মিটিং হচ্ছে’

Published

on

কেউ কিছু জানে না, এমন অনেক মিটিং হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসায় তিন দেশের কূটনীতিকদের বৈঠক প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবে, সেটা বিএনপি চিন্তা করে না। কতজন—কত জায়গায় মিটিং করবে—এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য নেই। কারও বাসায় বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু আসে যায় না। কেউ জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে।

তিনি বলেন, এগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে। আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনব—এটাই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জনগণ কী চায়, সেটাই বড় বিষয়। বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।

আমির খসরু বলেন, বিএনপি বলেছে ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থান করা হবে। এক কোটি কর্মসংস্থানের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য জার্মানির সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কিল উন্নয়নের জন্য জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে কী কী করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। জার্মান বিনিয়োগ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। জার্মানি চীনে কিছু বিনিয়োগ করেছে, ভারতে কিছু বিনিয়োগ করেছে। এরই মধ্যে তারা বাংলাদেশকে আগামী দিনের বিনিয়োগের জন্য ভালো গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে। সুতরাং বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি; এ ব্যাপারে তাদের আগ্রহ আছে।

বিনিয়োগের জন্য ভালো পরিবেশ দরকার উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগে যে সমস্যাগুলো ছিল, সে বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি, বিনিয়োগ সামিটে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে দিয়েছি, প্রত্যেকটি দূতাবাসে দিয়েছি। বিনিয়োগকারীরা জানেন, আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগে কোনো সমস্যা থাকবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, বিনিয়োগের জন্য নির্বাচন ও দেশের স্থিতিশীলতা অবশ্যই দরকার। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচিত সরকার এলে বিনিয়োগকারীরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সেজন্য সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

S

Continue Reading

রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট চায় বিএনপি

Published

on

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটের বিষয়ে মতামত দিয়েছে বিএনপি। তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে আরেকটি নির্বাচন চান না বলেও জানান।

বুধবার (৮ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ গণভোট বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গণভোট কবে হতে পারে সেই পরামর্শ দিয়ে সালাহ উদ্দিন বলেন, সামনে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাল্লাহ সেই নির্বাচনের আগে। আমাদের সময় আছে, নির্বাচনের সময়টাও যদি ধরি, তাও সাড়ে তিন মাস- নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস। কারণ অক্টোবরের আমরা এখন প্রায় সেকেন্ড হাফের দিকে আছি। এই সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিলটা ঘোষণা হবে। তাহলে আমাদের হাতে সময় থাকে এক থেকে দেড় মাস। এখন বাস্তবতা কি এবং প্রয়োজনীয়তাটা কি জুলাই জাতীয় সনদের পক্ষে জনগণের মতামত যদি আসে। আমরা মনে করি আসবে ইনশাআল্লাহ। সুতরাং আমরা অনুমান করতে পারি যে জনগণ সংস্কার চায়, সব রাজনৈতিক দল সংস্কার চায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায়।

তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তি যদি রচনা করতে চাই, সেটা তো সেমিলটেনিয়াস ইলেকশনের মধ্যে হতে পারে। এইজন্যই তো আমরা আইনগত ভিত্তি মনে করছি এবং জনগণের সম্মতি এটা। একটা বিশাল নির্বাচনী আয়োজনের মধ্যে যেটা আছি সেরকম আরেকটি আয়োজন যদি তার আগে করি এটা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার মত একটা প্রয়াস হবে বলে আমরা মনে করি। সুতরাং এটাকে আমরা পরিহার করি, জাতীয় স্বার্থে আমরা আমাদের রাজনৈতিক স্বার্থ থেকে ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থ এবং দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখি। আরেকটা বিশাল আয়োজন, একটা বিশাল অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা এগুলো সবকিছু আমরা পরিহার করতে পারব, যদি একই দিনে নির্বাচনের সময় আমরা এই গণভোটের আয়োজনটা করি, শুধু আরেকটা ব্যালট লাগবে। আমরা একাধিক ব্যালেটে ভোট দিতে অভ্যস্ত, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর মতো এখানে কোনো জটিলতা হবে না।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই সনদ গৃহীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময়টা সংসদের জন্য স্বাধীনতা থাকতে হবে। সেই পার্লামেন্টে এই সনদগুলো গৃহীত হওয়ার পরে আমরা দ্বিতীয় পক্ষ গঠন করবো কিনা? অবশ্যই গঠন করতে হবে। যখন এই সনদটা গৃহীত হয়ে গেল, সংবিধান সংশোধনী হয়ে গেল, তার ভিত্তিতে তো সেকেন্ড হাউস করাই যাবে এবং সেজন্য আইন প্রণীত হবে, সেজন্য যেভাবে নোট অফ ডিসেন্টে যারা যেভাবে দিয়েছেন তারা যদি সেভাবে সংবিধান সংশোধনী করার সুযোগ পান তাহলে সেভাবে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়া ইট ইজ ওভার, ইট ইজ ক্লোজড চ্যাপ্টার। এটা আমরা যে যেভাবে সম্মত হয়েছি, সেটা আমরা আলোচনায় আসি, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা এখানেই থাকি, আদারওয়াইজ আমাদের জন্য একটু অসুবিধা হতে পারে।

তিনি বলেন আরও বলেন, জুলাই সনদে এখানে এগ্রিড হয়েছি উইথ নোট অফ ডিসেন্ট ইন সার্টেন পয়েন্ট এবং সেখানে বর্ণিত আছে কি, কীভাবে নোট অফ ডিসেন্ট বাস্তবায়ন হবে। আমরা বলেছি আমরা যে যেভাবে নোট অফ ডিসেন্ট দিয়েছি, সেটা বিবৃতি থাকতে হবে এবং অঙ্গীকারনামায় একটা দফাযুক্ত থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহারে সেগুলো উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট প্রাপ্ত হয়, তারা সে মতে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। জুলাই সনদ এটা একটা টোটাল প্যাকেজ। এই প্যাকেজ ইন টোটালিটি জুলাই সনদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং গণভোটের জন্য যাবে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই সনদ আদেশটা প্রজ্ঞাপন আকারে গ্যাজেট নোটিফিকেশনে যাবে এবং সেই প্রজ্ঞাপনের সূত্র ধরে যে গণভোটের আইনটা হবে সেই গণভোটের আইনটা সেভাবে উল্লেখ থাকবে। যে এই বিষয়ে এই প্রজ্ঞাপনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সম্মতি নেওয়া প্রয়োজন বিধায়, যেহেতু অংশে সেটা দিয়ে সেহেতু এই গণভোট অধ্যাদেশ জারি করা হলো এবং এই গণভোটটা কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটার জন্য বিধিবিধান বিদ্যমান গণভোট আইন থেকে নেওয়া যায় আরপিও থেকে নেওয়া যায়। যেভাবে নির্বাচন কমিশনে ভোট পরিচালনা করে সে সমস্ত বিধিবিধানগুলো প্রয়োজনে সরকার ইলেকশন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সেখানে দেওয়া হবে এবং সেই আদেশের মধ্যে জুলাই সনদ আদেশ যেটা প্রজ্ঞাপনের মধ্যে করবেন সেখানেও গণভোটের বিধান কথাটা উল্লেখ থাকা শ্রেয় হবে। যে প্রজ্ঞাপন এই আদেশটা বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের আয়োজন করা হবে, সেটাও আদেশের মধ্যে সংযুক্ত করতে পারেন।

তিনি বলেন, যদি আমরা ধরে নেই তাহলে পরে সেই গণভোটটা আগে হলো। যে ফলাফল একই দিনে হলেও সে একই ফলাফল দুটোই বাইন্ডিং ক্ষমতা থাকছে, সার্বভৌম ক্ষমতার অনুবলে পার্লামেন্টের উপরে, তাহলে আগে আরেকটা নির্বাচনের আয়োজন করা এই জাতির পক্ষে এ সময়ের মধ্যে কি সম্ভব? অথবা প্রয়োজন কি আছে? এই দুই প্রশ্নের একটা হচ্ছে- সম্ভাবনা আমরা দেখি না। কারণ এই সময়ের মধ্যে আরেকটা মহাযোগ্য জাতীয় সংসদের মত একই আয়োজনটা করতে হবে, শুধু ওইখানে প্রার্থী থাকবে না, সনদেই হবে প্রার্থী।

S

Continue Reading
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.