Connect with us

রাজনীতি

ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে : দুদু

Digital Darpan

Published

on

আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশে ভয়ংকর রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, দেশবিরোধী শক্তি ও পার্শ্ববর্তী দেশের এক ভয়ংকর প্রভাবশালী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী আশ্রয় নিচ্ছেন।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘ধর্ম, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের চেয়ে ক্ষমতা বড় না হোক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ যে পথে যাওয়ার কথা, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন কিন্তু সেটি হয়নি। সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যথায়, বাংলাদেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্র চারদিকে চলছে, সেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি ভয়ংকর শক্তি কাজ করছে; যেখানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আশ্রয় নিয়েছে।

ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত কখনোই গণতন্ত্রের বা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা সবসময় বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে। এ দেশের মানুষকে তারা শোষণের ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। তারা বিশ্বজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনেক হিন্দু নাগরিক নিজেরাই সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন, ভারতের এই অভিযোগ সত্য নয়। তাই ভারত সম্পর্কে আমাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দুদু বলেন, শুধু প্রধান উপদেষ্টার ভারতবিষয়ক মন্তব্যেই থেমে থাকলে চলবে না। এখন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ছাত্র, তরুণ, কৃষক, শ্রমিক, পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল তাদের নিজ নিজ কথা বলবে, কিন্তু একটি বিষয়ে সবার ঐক্য থাকা জরুরি। তা হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। জনগণ তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি; ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ভোটের নামে তামাশা হয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বর্তমান সরকারের নিজের কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। তারা যতই লাফাক, তাদের আসল শক্তি হচ্ছে কিছু দল যারা নিজেদের স্বার্থে সরকারকে সমর্থন করছে। আমাদের লক্ষ্য সেই গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও অক্ষুণ্ণ রাখা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ভিপি মো. মাইনুল ইসলাম তালুকদার (বাদল)। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান (মনির), দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে. এম. রকিবুল ইসলাম রিপন, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান টোটন এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. সুলাইমান প্রমুখ।

S

রাজনীতি

৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের আহ্বান শিবির সভাপতির

Published

on

৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার উপযুক্ত প্রস্তুতির সুযোগ নিশ্চিত করতে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি যৌক্তিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময় পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে।

এ অবস্থায় ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি পিএসসির প্রতি আহ্বান রেখে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা প্রসঙ্গে লেখেন, ‘৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ হতে শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময় পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে।’ তাদের দাবির আগে কোনো বিসিএস পরীক্ষার লিখিত অংশ এত দ্রুত অনুষ্ঠিত হয়নি। আমাদের প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন। এটি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি।’

পরীক্ষার্থীদের ভাষ্য, সাধারণত পূর্ববর্তী বিসিএসগুলোতে লিখিত পরীক্ষার জন্য তিন থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হলেও এবার তা মাত্র ৪০ দিন। তাদের মতে, এতে নতুন অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা অনেকটাই ব্যাহত হবে।

ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে পিএসসির প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি– পরীক্ষার্থীদের উপযুক্ত প্রস্তুতির সুযোগ নিশ্চিত করতে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি যৌক্তিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করা হোক।

S

Continue Reading

রাজনীতি

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ

Published

on

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ (১৯ নভেম্বর)। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও দলের পক্ষ থেকে দোয়া–মিলাদ ও অর্থদান ছাড়া অন্য কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি রাখা হয়নি।

১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া তারেক রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। পরিবারে তার ডাকনাম ‘পিনো’।

তারেক রহমান ২২ বছর বয়সে, ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন। এর আগেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মায়ের পাশাপাশি দেশব্যাপী প্রচারণায় অংশ নেন। পরে ২০০২ সালে তিনি দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পান।

২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে এবং ২০১৬ সালের ষষ্ঠ সম্মেলনে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্য থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

S

Continue Reading

রাজনীতি

তারেক রহমানের ছবি নিয়ে আপত্তি ‘ব্যক্তিগত নয়’, ব্যাখ্যা দিলো এনসিপি

Published

on

নির্বাচনী প্রচারণায় জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারের বিষয়ে প্রচারিত সংবাদ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়। দুপুরে নির্বাচন কমিশনে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এবং আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, আজ নির্বাচন কমিশনে আমরা যা বলেছি, সেটা বিদ্যমান আইনের আলোকে। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর বিধি ৭(চ)-তে বর্ণিত নিয়মগুলো যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, সে বিষয়ে আমরা গুরুত্বারোপ করেছি। এই নিয়ম তো সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। বিএনপির বিষয়টি একটি উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যক্তি আক্রমণের উদ্দেশ্যে নয়। কিন্তু গণমাধ্যমগুলোর শিরোনামগুলো যেভাবে লেখা হয়েছে, তার ফলে ভুল বার্তা যেতে পারে।

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার বিধি ৭(চ) বলছে, দফা (ঙ)-তে যাহা কিছু থাকুক না কেন, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত হইলে, সেই ক্ষেত্রে তিনি কেবল তার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ড বিল ও ফেস্টুনে ছাপাতে পারবেন এবং উল্লিখিত ছবি পোট্রেট আকারে হতে হবে এবং এটি কোনো অনুষ্ঠান ও জনসভায় নেতৃত্ব দান বা প্রার্থনারত অবস্থায় বা ভঙ্গিমায় ছাপানো যাবে না।

উল্লিখিত ধারার কথা উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট মুসা বলেন, আইনের এই ধারা অনুযায়ী দলীয় প্রধান হিসেবে কেবল খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই নিয়মটা মানা হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকলে বিধিমালা প্রয়োগের বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের নজরে নিয়ে আসি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাপা হওয়া সংবাদের শিরোনামে জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে এনসিপির আপত্তি উল্লেখ করে প্রকাশিত হয়। যা ভুল বার্তা বহন করছে বলে মনে করে এনসিপি।

S

Continue Reading