Connect with us

রংপুর বিভাগ

পাটগ্রাম সীমান্তে এবার ছররা গুলি ছুড়ল বিএসএফ, ৩ বাংলাদেশি আহতের অভিযোগ

Digital Darpan

Published

on

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে তিন থেকে চারটি ছররা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়  পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি। এতে তিনজন বাংলাদেশি আহত হওয়ার কথা শোনা গেলেও বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। তাঁরা গোপনে রংপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর ভোরে একই ইউনিয়নের সীমান্তে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিএসএফ। ৫ দিনের মাথায় আবারও গুলি ছোড়ায় ওই এলাকার সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি। বিএসএফ পতাকা বৈঠকে বসতে সম্মত হয়নি। পরবর্তীতে সময় জানাবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
স্থানীয় সীমান্ত সূত্র ও বিজিবি জানায়, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বিপরীতে ভারতের কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম পকেটপাড়া। বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৪ নম্বরের উপপিলার ৩-এর সীমান্ত এলাকার শূন্যরোখায় ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা সোমবার সকাল ৬ টার দিকে তিন থেকে চারটি ছররা গুলি ছোড়ে। ভোর সকালে গুলির শব্দ হওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে এতে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী তিনজন আহতের কথা উঠলেও বিজিবি এ কথা অস্বীকার করেছে।
সীমান্তে আহতরা বরাবরই অতি গোপনে চিকিৎসা নেওয়ায় তাঁদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনোকিছু জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক শ্রীরামপুর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি বলেন, নামাজ পড়ে ফেরার পথে দেখি  মোটরসাইকেলে করে  গুলিতে আহত ব্যক্তিদের নিয়ে যাচ্ছে।,
ঘটনা জানার পরপরই রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শ্রীরামপুর ক্যাম্পের ও শমসেরনগর কোম্পানি সদরের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। বেলা ১২ টায় ঘটনার বিস্তারিত জানতে বিএসএফের রতনপুর ক্যাম্পের কমান্ডারকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায় বিজিবি। জবাবে বিএসএফ পরবর্তীতে সময় বলবেন বলে জানায়।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার কামাল উদ্দিন বলেন, ‘গুলি ছুড়েছে এ ঘটনা জানার পরপরই সীমান্তে যাওয়া হয়। পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছিল। বিএসএফ পরবর্তীতে সময় দিবে বলে জানিয়েছে।’

Continue Reading

রংপুর বিভাগ

তরুণ উদ্যোক্তায় মুখরিত রংপুরের পার্কের মোড়

Published

on

বর্তমান যুগে চাকরি যেন এক সোনার হরিণ। পড়াশোনা শেষে এক যুদ্ধ অতিক্রম করে চাকরি পাওয়া যেন এক দীর্ঘ সফর। তবে এই লড়াইয়ের পাশাপাশি এখন চোখে পড়ে ভিন্ন কিছু দৃশ্য। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের সাবলম্বী করতে বেছে নিয়েছেন নতুন কিছু উদ্যোগ, যা তাদের মনবল বাড়াতেও সাহায্য করছে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সাম্প্রতিক সময়ে এক ভিন্ন ধরণের চিত্র চোখে পড়ে। ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট আর সেমিস্টার পরীক্ষার চাপের মাঝেও বেশ কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের উদ্যোগে ছোট ব্যবসা শুরু করেছেন। নীরবে-নীরবে একটা নতুন প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা। কেউবা শুরু করেছেন খাবারের ব্যবসা আবার কেউ পোশাক বা প্রসাধনী।

হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য থেকে বাহারি সুস্বাদু সব খাবার, বিকেল হলেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফট সেজে উঠে নানান উদ্যোক্তার সৃজনশীলতায়। এসব কাজ যেমন তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করছে পাশাপাশি বৃদ্ধি করছে তাদের মনবল।

জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রী শুরু করেছেন প্রসাধনীর কাজ। তিনি শুরু করেছিলেন খুব সাধারণভাবে। নিজের বানানো কয়েকটি ব্রেসলেট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। কয়েকজন সহপাঠীর আগ্রহ দেখার পর তিনি নিয়মিত অর্ডার নিতে শুরু করেন। হলের ছোট টেবিলটিই তার কারখানা। রাতের নীরবতায় তিনি নতুন ডিজাইন তৈরি করেন, সকালে ক্লাসে যাওয়ার আগে প্যাকেট গুছিয়ে রাখেন। তার ভাষায়, “আমি আগে ভাবতাম ব্যবসা শুধু টাকাওয়ালারা করে। এখন দেখি ইচ্ছে থাকলেই শুরু করা যায়।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল শুরু করেছেন নিজের ছোট একটি ফুড কার্ট যেখানে তিনি রেখেছেন বাহারি সুস্বাদু খাবার। রেস্টুরেন্টের খাবারের মূল্য চড়া হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফুড কার্ট হয়ে উঠেছে ভরসার স্থল। স্বাস্থ্যকর খাবার, পাশাপাশি সুন্দর সজ্জা, প্রত্যেক ক্রেতারই মনোযোগ আকর্ষণ করতে বাধ্য।

আরেকদিকে, ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন শেখ শুরু করেছেন বিভিন্ন ধরনের পোশাকের ছোট একটা ব্যবসা। আসন্ন শীতকে কেন্দ্র করে বাহারি সব শীতের পোশাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতের নাগালে দিতে পেরে তিনিও আনন্দিত।

এদের পাশাপাশি আরও অনেক শিক্ষার্থী হিজাব, শাল, সেলাইয়ের কাজ, ডিজিটাল আর্ট, ফটো এডিটিং, এমনকি অনলাইন টিউশনি সব মিলিয়ে নানা ধরনের উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছেন। প্রত্যেকে নিজের মতো করে দক্ষতা ব্যবহার করছেন। কারো কাছে ব্যবসা শুরু করার মূল কারণ অর্থনৈতিক চাপ, কারো কাছে নিজের স্বাধীনতা দেখানোর ইচ্ছা, কারো কাছে আবার ভবিষ্যতে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন।

শিক্ষকরা বলছেন, এই পরিবর্তনের পেছনে দুইটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সহজলভ্যতা এবং ছাত্রীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বৃদ্ধি। একজন শিক্ষক মন্তব্য করেন, “আগে ছেলেমেয়েরা চাকরির কথা ভেবে পড়াশোনা করত। এখন তারা বুঝছে নিজস্ব উদ্যোগও ক্যারিয়ারের বড় অংশ হতে পারে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশও তাদের অনুপ্রাণিত করছে। ক্যাম্পাসে ছোট ছোট নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। কেউ নতুন পেজ খুললে বন্ধুদের শেয়ার, কেউ ডেলিভারি নিয়ে পরামর্শ, কেউ আবার প্রোডাক্টের ছবি তুলে সাহায্য করে। ফলে উদ্যোগ শুরু করা এখন আর একা লড়াই নয় বরং সমবায়ী সহায়তায় এগিয়ে যাওয়া।

পরিবারগুলোর মনোভাবেও পরিবর্তন এসেছে। অনেক বাবা-মা মেনে নিচ্ছেন যে মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের পথ তৈরি করতে পারে এবং সেই আয় তাদেরই আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কিছু পরিবার শুরুতে সন্দেহ করলেও পরে সন্তানের সাফল্য দেখে সমর্থন দিয়েছে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাই শুধু শিক্ষার্থী নয় তারা ভবিষ্যতের নতুন উদ্যোক্তা প্রজন্ম। কেউ ছোট পরিসরে শুরু করছে, কেউ ধীরে ধীরে গ্রাহক বাড়াচ্ছে, কেউ আবার নিজের কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে অন্য ছাত্রীদের উৎসাহ দিচ্ছে। তাদের প্রতিদিনের পরিশ্রমের ভেতর লুকিয়ে আছে নতুন সম্ভাবনা, নিজের জায়গা তৈরি করার ইচ্ছা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরে হাঁটলে তাই এখন আর শুধু বইয়ের শব্দ কিংবা ক্লাসের তাড়া শোনা যায় না। শোনা যায় আর্থিক স্বাধীনতার স্বপ্ন, নিজের পরিচয় গড়ার চেষ্টায় ব্যস্ত কিছু তরুণীর নীরব অদম্য পথচলার গল্প।

Continue Reading

অনান্য

শীতের নরম স্পর্শ: কুয়াশার চাদরে ঢাকা এক ঋতুর গল্প

Published

on

  • বাংলাদেশের সকাল, মানুষের দিনযাপন আর স্মৃতির ভেতরের আলো—এই শীতে নতুন করে দেখা এক ঋতুর গল্প।

 

………

আমাদের দেশে শীতের আসা যেন কোনো দীর্ঘ যাত্রার শেষে ঘরে ফেরা অতিথির মতো। সব ঋতুর ভিড়ের মধ্যে শুধু শীতই আসলেই অচেনা এক আবহ তৈরি হয়। গরম তখনো পুরোপুরি বিদায় নেয় না, তবুও সকালে গা ছমছমে বাতাস বইলেই মনে হয় শীত খুব কাছে। আলমারির ভেতর যতদিন গরম কাপড় নিঃসঙ্গ পড়ে থাকে, প্রথম কুয়াশার পড়তেই আমরা সেগুলো ঝেড়ে-মুছে বের করে রাখি। মনে হয়, “এসে যাও শীত, তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি।”

কিন্তু শীত যে শুধু ঠান্ডা নয়, এটা এক রহস্যময় অনুভব।

এক ভোরে বাইরে তাকালে দেখা যায় প্রকৃতি নরম ধূসর পর্দায় ঢাকা। সেই পর্দা কখনো পুরোটা দেখায় না, আবার লুকিয়েও রাখে না। এই অর্ধদেখা, অর্ধলুকানো পৃথিবী শীত ছাড়া আর কোনো ঋতু উপহার দিতে পারে না। মাঠের ঘাসে জমে থাকা শিশিরকে সূর্যের আলো ছুঁতেই যে ঝিলমিল ওঠে, সেই আলো যেন মনে করিয়ে দেয়, শীতের আগমন মানেই স্মৃতির আলমারিতে আলো জ্বলে ওঠা। শীত এমন এক ঋতু, যা আমাদের মনে একসঙ্গে জাগিয়ে তোলে অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ।

আমার কাছে শীত মানেই এক ধরনের অদ্ভুত নীরবতা। এ নীরবতার ভেতর লুকিয়ে থাকে ভাঙা–গড়া অসংখ্য অনুভূতি। সব মিলেমিশে এক অদ্ভুত শূন্যতার জন্ম দেয়। যেমন কুয়াশায় ঢাকা রাস্তার দিকে তাকালে মনে হয়-জীবনের পুরোনো গল্পগুলো যেন আমার দিকে ফিরে তাকাচ্ছে। অদৃশ্য স্মৃতিগুলো কাছে এলে বুকের কোথাও দায়হীন ব্যথা জন্মায়। যেন খুব চেনা মানুষেরা শীতের মতোই কিছু সময়ের জন্য আসে, তারপর আবার হারিয়ে যায়। আবার সেই শূন্যতার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে উষ্ণতা খোঁজার আনন্দ।

শীতের গ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর চিত্রগুলো আঁকে। ভোরবেলায় খেজুর গাছ থেকে রস পড়ার টুপটাপ শব্দ, মাটির চুলায় পিঠা বানানোর সুবাস, উঠোনে জমে থাকা শিশুর হাসি, সব মিলিয়ে ছোট্ট উৎসবের মতো লাগে। শহরের মানুষও এসময় একটু বেশি চায়ের কাপে ডুবে থাকে, ফুটপাতে ধোঁয়া ওঠানো ভাপা পিঠা, ভাপ ওঠা ভুট্টা কিংবা গরম স্যুপে সন্ধ্যা হয় আরও নরম।

শীত মানেই স্মৃতির কাছে ফিরে যাওয়া। স্কুলের পথে কুয়াশা ভেদ করে হাঁটার সেই ছোটবেলার সকাল, বাবার হাত ধরে এগোনোর উষ্ণতা, এগুলো চোখ বন্ধ করলেই ফিরে আসে। আজ সেই শিশুটি বড় হয়েছে, দায়িত্ব বেড়েছে, জীবন বদলে গেছে। তবুও শীত এলেই মনে হয় জীবন থামুক কিছু সময়, একটু নতুন করে শুরু হোক।

শীত আসলে কোনো ঋতু নয় এক ধরনের সংগীত। যার সুর কখনো ভোরের আলোয়, কখনো স্মৃতির ভেতর, কখনো আবার পিঠার গন্ধে বাজে। এ সুর মানুষকে প্রতি বছর নতুনভাবে স্পর্শ করে, নতুনভাবে ভাবায়, নতুনভাবে জীবনকে দেখায়।

শীতের এই আবেগময় রূপের পাশাপাশি বাস্তব জীবনের দৃশ্যগুলোও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশজুড়ে শীত পড়লেই মানুষের দৈনন্দিন কর্মযজ্ঞে পরিবর্তন দেখা যায়, যা শহর থেকে গ্রাম, সব জায়গায় আলাদা আলাদা চিত্র তুলে ধরে।

ভোরের শহর পরিবর্তিত হয় শীতের চাপেই। ঢাকার ভোরে কুয়াশা নেমে আসতেই যানবাহনের গতি কমে যায়।

হেডলাইটের আলো ভেদ করেই রিকশা আর বাস এগোয় সতর্কভাবে। ফুটপাথে চায়ের দোকানদাররা চুলায় আগুন জ্বালিয়ে দিন শুরু করেন, আর প্রথম ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে ভরসা খোঁজেন কর্মজীবী মানুষ। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য শীত মানে বাড়তি কষ্টও। ফুটপাথে থাকা মানুষ কিংবা নিম্নআয়ের পরিবারের অনেকেই পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করেন। গরম কাপড়ের ফুটপাতের দোকানে দাম তুলনামূলক কম হলেও অনেকের জন্য তা এখনো ‘বিলাসিতা’।

গ্রামেও শীতের আলাদা কর্মযজ্ঞ চলে যেখানে সকালের বাজারে নতুন সবজির ভিড় সব মিলিয়ে গ্রামের শীতে কাজের চাপ আরও বাড়ে।

কৃষি বিভাগ জানায়, শীতকালেই দেশের মোট সবজির ৬০ শতাংশ বাজারে আসে। এই মৌসুমে সবজির দাম কমে, আর কৃষকদের আয় খানিকটা বাড়ে। তাই গ্রামের মানুষ শীতকে যেমন অনুভব করে, তেমনি শীত তাদের জীবিকাকেন্দ্রিক সময়ও।

বাংলাদেশের এই স্বল্পস্থায়ী শীত তাই শুধু কোনো ঋতু নয়, এটা মানুষের জীবনযাত্রার নরম পরিবর্তন, স্মৃতি জাগানো সকাল, আর বাস্তবতার সঙ্গে প্রতিদিনের সংগ্রামের এক নিঃশব্দ সহযাত্রী। কুয়াশার চাদর সরে গেলে যেমন দুপুরের রোদ ধীরে ধীরে আলো ফিরিয়ে আনে, তেমনি শীতও তার সময় শেষে মিলিয়ে যায় চিরচেনা নিয়মে। তবুও প্রতি বছর শীত ফিরে আসে নতুন প্রত্যাশা, নতুন গল্প আর নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে। ঋতুর এই আসা-যাওয়া আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের প্রতিটি পরিবর্তনই ক্ষণিকের, কিন্তু প্রতিটি দৃশ্যই রেখে যায় কিছু না কিছু উষ্ণতা।

Continue Reading

রংপুর বিভাগ

আ.লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা জাপায় যোগ দিলে মনোনয়ন দেওয়া হবে: কো-চেয়ারম্যান

Published

on

  • ডিজিটাল দর্পণ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজের নেতারা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে দলের রংপুর বিভাগের আট জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা-মোকদ্দমা নেই। ক্লিন ইমেজের, মামলা বা সহিংসতার অভিযোগ নেই। তারা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে আমরা যদি তাদের যোগ্য মনে করি, তাদের মনোনয়ন দেব না কেন, অবশ্যই দেব। আমাদের ক্যান্ডিডেট ক্রাইসিসকে ওভারকাম করার জন্য আমরা অবশ্যই তা করব।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দেব। এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর চেয়ে যদি ভালো শক্তিশালী প্রার্থী পাওয়া যায়, তার যদি ক্লিন ইমেজ থাকে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো সহিংসতার আলামত না থাকে তাহলে দেব না (মনোনয়ন) কেন, অবশ্যই দেব। ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে। সেখানে যদি ক্লিন ইমেজের লোক জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন তাহলে তাদেরকে আমরা মনোনয়ন দেব।

গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকে বাঁচাতে বিএনপিকে ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে জাপা কো-চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি এবং এ ধরনের মব ভায়োলেন্সে নাই তাদেরকে বাঁচানোর জন্য বিএনপির একটা ভূমিকা থাকতে হবে। তা না হলে বিএনপি একা হয়ে যাবে।

বিএনপিকে বিপদে ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা চেষ্টা করছে দাবি করে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সামনে যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি না থাকে তাহলে ইসলামী ঐক্যজোট, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন (চরমোনাই), এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ দলগুলো একসঙ্গে থাকতে চায়, আরেকদিকে থাকতে চায় বিএনপি। এখন তারা যদি বলে পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে যাব না, তখন তারা যদি সরে দাঁড়ায় তাহলে বিএনপি একা হবে। তাহলে একক নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপিকে বিপদে ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা কিন্তু চেষ্টা করছে।

এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নেতা আজমল হোসেন লেবু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিমসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ইমি

Continue Reading