বিনোদন
শাহরুখের সাম্রাজ্য সামলানোর জন্য কত কোটি পান পূজা?
বিনোদন ডেস্ক
Published
1 week agoon
২ নভেম্বর দিনটি একদিকে যেমন বলিউডের ‘বাদশা’ শাহরুখ খানের জন্মদিন, ঠিক তেমনই আর একটি বিশেষ মানুষের জন্যও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি হলেন শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে যিনি শাহরুখের ছায়াসঙ্গী হয়ে তার বিশাল সাম্রাজ্য এক হাতে সামলে রেখেছেন।
শাহরুখের সিনেমার সেট থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন সবটাই একা হাতে সামলান পূজা। শাহরুখ বহুবার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পূজাকে তিনি কতটা ভরসা করেন।
শুধু ফিল্ম সংক্রান্ত কাজই নয়, কেকেআর (কলকাতা নাইট রাইডার্স) দল থেকে প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট পর্যন্ত সব দিকেই সমান নজর পূজার। শাহরুখের এই বিশাল সাম্রাজ্যের অন্যতম নেপথ্য কারিগর কিন্তু পূজাও।
কাজের গণ্ডি পেরিয়ে পূজা এখন খান পরিবারেরই একজন সদস্য। গৌরী খান, সুহানা, আরিয়ান সকলের সঙ্গেই তার দারুণ সম্পর্ক। পূজার মেয়ে এবং শাহরুখের ছোট ছেলে আব্রাম একই স্কুলে পড়ে। অনেক সময় আব্রামকে মাতৃস্নেহে সামলাতেও দেখা গিয়েছে পূজাকে।
শাহরুখের দুনিয়ায় পূজার কাজের গুরুত্ব টাকা দিয়ে বিচার করা যায় না। তবে অনেকেরই কৌতূহল, এই গুরুদায়িত্ব পালনের জন্য তিনি কত টাকা পারিশ্রমিক পান।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পূজা দাদলানির বার্ষিক পারিশ্রমিক প্রায় ৭ থেকে ৯ কোটি টাকা। বিপুল এই টাকার অঙ্কই বুঝিয়ে দেয়, শাহরুখের পেশাদার জীবনে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন পূজা। এই বিশাল পারিশ্রমিক তাকে ভারতের অন্যতম দামি তারকা ম্যানেজারের খেতাব এনে দিয়েছে।
S
বলিউডের ভাইজান সালমান খানের বাড়ির নাম ‘গ্যালাক্সি’। প্রায়ই বাড়ির সামনে ভিড় করেন তার অনুরাগীরা। কিন্তু সালমানের খামারবাড়ি নিয়ে মানুষের আগ্রহ তুলনায় অনেক বেশি। কী হয় সেই খামারবাড়িতে, ফাঁস করলেন শেহনাজ গিল।
‘বিগ বস্ ১৩’ থেকে শেহনাজের সঙ্গে পরিচয় সালমানের। তারপর থেকেই ভাইজানের স্নেহধন্যা তিনি। সালমানের ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন শেহনাজ। সৌভাগ্য হয়েছে সালমানের খামারবাড়ি যাওয়ারও।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শেহনাজ জানান, তিনি সালমানের খামারবাড়িতে দুই তিনদিন থেকেছেন। তার কথায়, ‘ ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’ ছবির সময়ে আমরা গিয়েছিলাম। আমরা দুই দুইদিন থেকেছিলাম, খুব মজা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাইক ও এটিভি গাড়িতে করে এ দিক ও দিক ঘুরে বেড়াতাম। সালমান গাছ থেকে ফল পাড়তেন। স্যার খুবই দেশি ভাবনার মানুষ। উনি খুবই কর্মঠ, সারাদিন কৃষকদের মতো পরিশ্রম করেন।’
শেহনাজের ভাষ্যে, ‘আমরা খুব পার্টি করতাম। তবে উনি শুধুই কাজ নিয়ে কথা বলতেন। লড়াইয়ের দৃশ্যে কীভাবে অভিনয় করতে হয়, সেটা আমাদের শেখাতেন। আসন্ন ছবি নিয়ে কথা বলতেন। তার অগাধ জ্ঞান ছবি ও অভিনয় নিয়ে। সেগুলো আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন।’
S
প্রবীণ অভিনেতা সঞ্জয় খানের স্ত্রী জারিন খান গত ৭ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। প্রয়াত জারিনের হিন্দু রীতিনীতি মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিলেন ছেলে জায়েদ খান। সোমবার (১০ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের জেডব্লিউ ম্যারিয়টে তার স্মরণে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়।
শোকের আবহে সেই স্মরণসভাতেই ঘটল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দীর্ঘদিনের পুরোনো বন্ধুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন কিংবদন্তি অভিনেতা জিতেন্দ্র। গাড়ি থেকে নেমে সভার ভেতরে ঢোকার সময় সিঁড়িতে পা ফসকে হঠাৎ হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান বর্ষীয়ান এই সুপারস্টার।
সামনে সিঁড়িটি ঠিকমতো খেয়াল করেননি প্রবীণ অভিনেতা। হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতেই আশেপাশে থাকা লোকজন তাকে সামলাতে দৌড়ে আসেন। আকস্মিক এই ঘটনায় খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন জিতেন্দ্র নিজেও।
তবে সৌভাগ্যের বিষয় হলো, বড় কোনো আঘাত লাগেনি তার। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এরপর জিতেন্দ্র স্বাভাবিকভাবেই নিজের পায়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং প্রার্থনা সভা শেষে বেরিয়েও যান।
এদিনের স্মরণসভায় তারকাদের ঢল নেমেছিল। সঞ্জয় খানের পাশে ঢাল হয়ে ছিলেন ছেলে জায়েদ খান। তিনি বাবাকে গাড়ি থেকে নামতে সাহায্য করেন এবং ভেতরে ঢোকার সময়ও হাত ধরে রেখেছিলেন। বাবা-পুত্রের এই আবেগঘন দৃশ্য নজর কাড়ে সবার। পাপারাজ্জিদের দিকে হাতজোড় করে শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা যায় তাদের।
S
গত পাঁচ বছরে বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন তা এক কথায় দুর্বিষহ বললেও যেন কম বলা হয়। ২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুর পর তিনি একাধিক মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়েন।
একদিকে ব্যক্তিগত মানসিক যন্ত্রণা, অন্যদিকে জেল হেফাজত থেকে শুরু করে সমাজে ‘বয়কট’-এর মতো চরম ডাকের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে। সম্প্রতি সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তাকে এই মামলায় ‘ক্লিন চিট’ দিয়েছে, সুশান্তের পরিবার এখনও সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চলেছে।
এই পুরো ঘটনাটি রিয়ার মানসিক স্বাস্থ্যে এতটাই গভীর প্রভাব ফেলেছিল যে তিনি শেষমেশ ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার’ বা পিটিএসডি তে ভুগতে শুরু করেন। নিজের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী।
রিয়া বলেন, ‘আমি যে দিনগুলো কাটিয়েছি, তা এতটাই প্রকাশ্য ছিল যে অনেকেই এখন আমার কাছে এসে নিজেদের মানসিক সমস্যার কথা বলতে স্বস্তিবোধ করেন। তারা মনে করেন, আমি বুঝতে পারি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।’
‘আমার কয়েকজন পুরনো বন্ধু যারা আমাকে দশ বছর ধরে চেনে, তারাও তখন এসে নিজেদের পারিবারিক বা সম্পর্কজনিত সমস্যার কথা জানাতে শুরু করে। কারণ, এত ভয়, এত লজ্জা এই বিষয়গুলো সমাজে এখনও গভীরভাবে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিজেকে মনে করাতাম, আমি কী কী কারণে কৃতজ্ঞ। অনেক দিন এমনও কেটেছে যখন কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো কিছুই মাথায় আসেনি। কিন্তু আমি নিজেকে জোর করে বলতাম আমি হাঁটতে পারছি, আমার হাত-পা কাজ করছে, চোখে দেখতে পাচ্ছি; অন্তত এগুলোর জন্য ধন্যবাদ।’
S
কাল বিভাগীয় শহরে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিক্ষোভ শিবিরের
পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে এডিবির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
