Connect with us

জাতীয়

কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার

Digital Darpan

Published

on

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে। সরকার তদন্ত কার্যক্রম শেষে রিপোর্ট প্রকাশ করবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ধানমন্ডির রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে ৬ষ্ঠ জাতীয় নারী বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তুরস্ক থেকে আট সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য এসেছিলেন। আজই তারা দেশে ফিরে গেছেন। আগামী ২/৩ দিনের মধ্য তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার আশা করছি।

তিনি বলেন, ওনাদের (টার্কিশ বিশেষজ্ঞ দল) প্রতিবেদন মূল নয়, আমাদেরটাই মূল প্রতিবেদন হবে। শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বিকল্প উপায়ে এখন আমদানি পণ্য খালাস চলছে। দ্রুতই স্বাভাবিক হবে কার্যক্রম।

S

জাতীয়

ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে তিন দল : ইসি সচিব

Published

on

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পাচ্ছে তিনটি নতুন রাজনৈতিক দল। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি আপত্তি না থাকলে এ দলগুলো ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে।

মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

ইসি সচিব বলেন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৪৩টি আবেদনের মধ্যে মাঠপর্যায়ের তদন্তে ৩টি দল শর্ত পূরণ করেছে। এই তিনটি দল হলো— বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলগুলোকে নিবন্ধনের জন্য যোগ্য মনে করছে কমিশন। এই তিনটি দলের নিবন্ধন বিষয়ে জনসাধারণের মতামত ও আপত্তি জানানোর জন্য আগামীকাল (তারিখ উল্লেখ নেই, তবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। জনমত জানানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হলেও পরবর্তী সময়ে জাতীয় জনতা পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (শাহজাহান সীরাজ) এবং জাতীয় লীগের নিবন্ধন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এই দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা না থাকায় সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আম জনতার দল, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাষানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতার পার্টি এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি— এ আটটি দলকে সঠিকতা না পাওয়ায় নামঞ্জুর করা হয়েছে।

যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি এবং শিথিলতা

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব জানান, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের ন্যূনতম দুটি শর্তের মধ্যে যেকোনো একটি পূরণ করা বাধ্যতামূলক। শর্ত দুটি হলো— ১০০টি উপজেলা/মহানগর পর্যায়ে কার্যকরী কার্যালয় এবং সদস্য থাকতে হবে, অথবা ২২টি জেলায় কার্যকরী কার্যালয় এবং সদস্য থাকতে হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, আদালতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা সহনশীলতার (লিনিয়েন্টলি) ভিত্তিতে সামান্য শর্টফল (ঘাটতি) থাকলেও দলগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময়সীমা প্রসঙ্গে ইসি সচিব আরও জানান, ১২ নভেম্বর পর্যন্ত জনসাধারণের কাছ থেকে দাবি, আপত্তি বা অভিমত পাওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর, যদি কোনো জটিলতা না থাকে তবে ১৪ বা ১৫ নভেম্বর মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা গেজেট প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

প্রতীক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ তিনি বলেন, এনসিপি এবং আরও দুটি দল প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছে। এর মধ্যে একটি দল প্রতীক পরিবর্তনের অনুরোধ করেছে। এই বিষয়ে কমিশন যাচাই-বাছাই করছে এবং প্রাপ্যতা থাকলে বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হবে।

S

Continue Reading

জাতীয়

আসিয়ানে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের

Published

on

বাংলাদেশ উদীয়মান খাতগুলোতে ফিলিপাইনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় বাংলাদেশ-ফিলিপাইন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক পরামর্শ (এফপিসি) সভায় বাংলাদেশ এ আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করে।

ছয় বছর পর এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরামর্শ সভা যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র দপ্তরের নীতি বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি মা. হেলেন বি. ডে লা ভেগা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উভয় পক্ষ সবশেষ এফপিসি সভার পর থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সুনীল অর্থনীতি, শিক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, দক্ষতা উন্নয়ন, সংস্কৃতি এবং প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ বিনিময়সহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।

এ ছাড়া তারা শ্রমের গতিশীলতা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনা নিয়েও মতবিনিময় করেন।

উভয় দেশের প্রতিনিধিরা সভায় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বহু পক্ষীয় ইস্যুগুলো নিয়েও আলোচনা করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) পরিস্থিতি।

পরামর্শ সভা শেষে দুদেশের মধ্যে ১৯৭৮ সালের এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন (সংশোধিত) অনুযায়ী রিকগনিশান অব সার্টিফিকেটের আলোকে সামুদ্রিক সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের পক্ষে মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি অথরিটি (মারিনা)-এর প্রশাসক সোনিয়া বি. মালালুয়ান।

পরে ড. নজরুল ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা. তেরেসা পি. লাজারো এবং অভিবাসী শ্রমিক বিষয়ক মন্ত্রী হ্যান্স লিও জে. কাকডাকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ সংলাপ আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে উভয় পক্ষ।

সূত্র : বাসস।

 

Continue Reading

জাতীয়

রোহিঙ্গা নারীদের ৯৭ শতাংশই শিক্ষার বাইরে, বৈশ্বিক প্রতিনিধিদলের উদ্বেগ

Published

on

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে শিক্ষার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করা বৈশ্বিক একটি প্রতিনিধিদল। তারা বলছে, শিক্ষার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ায় বিশেষ করে মেয়েদের জন্য আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের জরিপের তথ্য বলছে, রোহিঙ্গা নারীদের প্রায় ৯৭ শতাংশই এখনও শিক্ষার বাইরে, যা মানবিক শিক্ষা উদ্যোগের জন্য বড় এক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি সুসংহত, স্বীকৃত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কাঠামো গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাস্টিস ফর অলের নেতৃত্বাধীন বার্মা টাস্ক ফোর্স প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার গোল্ডেন টিউলিপ দ্য গ্র্যান্ডমার্ক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।

প্রতিনিধিদলটি বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও নীতিনির্ধারণ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে বহু বছরের গবেষণা ও সাম্প্রতিক মাঠ পরিদর্শনের ভিত্তিতে মূল সুপারিশগুলো তুলে ধরেন।

প্রতিনিধিদলের অনুসন্ধানটি ১,০০০ রোহিঙ্গা নারীর ওপর করা জরিপ, শিক্ষাবিদ ও প্রশাসকদের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শ এবং শিবিরভিত্তিক স্কুল পরিদর্শনের ওপর ভিত্তি করে। এতে দেখা যায়, রোহিঙ্গা স্কুল-যুগের জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ নারী হলেও তাদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশই শিক্ষার আওতায়।

তাদের আনুষ্ঠানিক স্মারকলিপিতে তিনটি পদক্ষেপের ওপর জোর দেওয়া হয়–

১. রোহিঙ্গা শিক্ষার জন্য একটি একীভূত জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন;
২. একটি স্বীকৃত সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা গঠন, যা উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের পথ খুলে দেবে;
৩. মার্কিন মুসলিম ত্রাণ সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি, যাতে বিপুল দাতব্য সম্পদ ও দক্ষতা কাজে লাগানো যায়।

জাস্টিস ফর অলের সভাপতি ও বার্মা টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ইমাম আবদুল মালিক মুজাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে সহানুভূতি দেখিয়েছে, তা বিশ্বের আর কোনো দেশ দেখায়নি। এখন সময় এসেছে– একটি স্বীকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে যেন রোহিঙ্গা শিশু, বিশেষ করে মেয়েরা, তাদের ভবিষ্যৎ থেকে বঞ্চিত যেন না হয়।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রোহিঙ্গা শিক্ষা কার্যক্রমের অর্থায়নে বড় পরিবর্তন এসেছে। আগে এই খাতে প্রায় ৩০ শতাংশ বা তার বেশি অর্থ বিদেশ থেকে আসত, এখন যুক্তরাষ্ট্র ইউনিসেফকে অর্থায়ন করবে, যারা বর্তমানে পুরো ৭৫ শতাংশ শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করছে।’

তিনি জানান, আগে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, যার ফলে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল। ‘আমরা যখন পরিদর্শনে যাই, দেখি– অসংখ্য শিশু আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, শেখার কোনো জায়গা নেই তাদের জন্য। এখন শেখার অনুমতি পাওয়া বড় একটি অগ্রগতি।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অনুমতির বাস্তব প্রয়োগে পর্যাপ্ত অর্থায়ন অপরিহার্য। ‘মুসলিম দেশসমূহ, বিশ্ব ব্যাংক, ইউরোপীয় দেশ ও আমেরিকা সবাই যদি এই উদ্যোগে আরও অর্থায়ন করে, তবে শিক্ষার মান ও সুযোগ—দুটোই উন্নত হবে।’

মুজাহিদ আরও বলেন, রোহিঙ্গা অভিভাবকদের অনেকেই মনে করেন ইউনিসেফ পরিচালিত স্কুলগুলো সাংস্কৃতিকভাবে উপযুক্ত নয়। এই কারণে ইউনিসেফ স্কুলগুলোর প্রতি তাদের অনুমোদন মাত্র ২৩ শতাংশ। তারা চায় শিক্ষা ব্যবস্থায় সাংস্কৃতিক দিকনির্দেশনা ও ধর্মীয় সংবেদনশীলতা প্রতিফলিত হোক।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের সাবেক চেয়ার নাদিন মানজা বলেন, ‘কক্সবাজারে আমি এমন পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেছি যারা জানে, শিক্ষাই তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। শিবিরে শিক্ষা প্রদান কেবল মানবিকতার কাজ নয়– এটি কৌশলগত বিনিয়োগ। অশিক্ষিত প্রজন্ম নির্ভরতা ও অনিরাপত্তা বাড়াবে, কিন্তু শিক্ষিত প্রজন্ম শান্তি, স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশ-বার্মা উভয় দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পগুলোতে শিশুদের শিক্ষা পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং সত্যিই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০০,০০০ স্কুলগামী শিশুর মধ্যে ৩৪০,০০০ জন পূর্বে স্কুলে ছিল, কিন্তু এখন ছেলে-মেয়ে উভয়েই ক্যাম্পের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কারণ তাদের খেলাধুলা বা শিক্ষার কোনো জায়গা নেই। ছোট রাস্তা, ছোট কুঁড়েঘর– শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয়।’

নাদিন মানজা আরও বলেন, নীতি অস্পষ্ট এবং অর্থায়ন বন্ধ থাকার কারণে চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত অধিকাংশ স্কুল বন্ধ। এছাড়াও শিক্ষার অভাবে গ্যাং বা অপরাধমূলক কার্যকলাপে ঝুঁকি বাড়ছে। সেইসঙ্গে কিছু রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক নিজস্ব কুঁড়েঘরে অল্প পরিসরে পড়াচ্ছেন, কিন্তু সুবিধা নেই। দীর্ঘদিন নীতি অনুসারে শিক্ষা শুধু চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সীমিত ছিল, যা কোনো বাস্তব মান বহন করে না।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মুখপাত্র রিচার্ড রিওচ যোগ করেন, ‘শিক্ষা হলো গণহত্যার ভয়াবহতার মধ্যে বন্দি তরুণদের পুনরুদ্ধারের জীবনরক্ষাকারী পথ। যেভাবে তাদের খাদ্য ও পানির প্রয়োজন, ঠিক তেমনই প্রয়োজন শিক্ষা থেকে পাওয়া মানসিক যত্ন ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ। আমরা দেখেছি, রোহিঙ্গা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিবেদনই প্রমাণ করে– গণহত্যাও তাদের সন্তানের শিক্ষার আকাঙ্ক্ষা নিভিয়ে দিতে পারেনি।’

প্রতিনিধিদল বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানায় শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের দপ্তরকে, উন্মুক্ত সংলাপ ও মাঠ পরিদর্শনে সহযোগিতার জন্য। কমিশনার মিজানুর রহমানের প্রশংসা করে তারা বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা, জাতিসংঘ সংস্থা ও এনজিওগুলোর সঙ্গে তিনি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের নতুন পথ অনুসন্ধানে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন।

S

Continue Reading