বিনোদন
সুমনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে মঞ্চ মাতানোর অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ
বিনোদন ডেস্ক
Published
2 weeks agoon
সদ্যই একসঙ্গে আমেরিকার মঞ্চ মাতিয়েছেন বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের দুই জনপ্রিয় মুখ আসিফ আকবর এবং ব্যান্ড অর্থহীন’র সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেজবাবা সুমন)। গত ২৫ অক্টোবর দেশটির বোস্টন শহরে এক কনসার্টে পারফর্ম করেন তারা।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ; উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সুমন-এর সঙ্গে গ্রিন রুমে তোলা একটি ছবি পোস্ট করলেন। লেখেন, ‘২৫ অক্টোবর শো ছিল আমেরিকার বোস্টন শহরে। বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লেজেন্ডদের সাথে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রীন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সাথেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবুও নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এই কারণে আমার দায়বদ্ধতাও বেশি।’
বোস্টনের কনসার্ট প্রসঙ্গে আসিফ আরও জানান, দ্বিতীয়বারের মতো বেজবাবা সুমন-এর সঙ্গে এক মঞ্চে পারফর্ম করলেন গায়ক। লেখেন, ‘সুমন ভাই সবসময় আমার পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত থাকেন। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার গান শুনেছেন।’
বেজবাবা সুমন-তার শারীরিক প্রতিকূলতা জয় করে সংগীতে তার অব্যাহত যাত্রা দেখেও মুগ্ধতা প্রকাশ করেন আসিফ আকবর। এ প্রসঙ্গে লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে এত ঝড় যাওয়ার পরও তিনি এমন আস্থায় অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্যই সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে।’
সঙ্গে বাংলাদেশের এই জীবন্ত কিংবদন্তির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে তাকে ভালোবাসা জানান আসিফ।
উল্লেখ্য, এবারের সফরের মাধ্যমে অর্থহীন ব্যান্ড প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করছে। অন্যদিকে, জনপ্রিয় এই শিল্পী আসিফ আকবর প্রায় ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান পরিবেশন করছেন।
S
বলিউডের ভাইজান সালমান খানের বাড়ির নাম ‘গ্যালাক্সি’। প্রায়ই বাড়ির সামনে ভিড় করেন তার অনুরাগীরা। কিন্তু সালমানের খামারবাড়ি নিয়ে মানুষের আগ্রহ তুলনায় অনেক বেশি। কী হয় সেই খামারবাড়িতে, ফাঁস করলেন শেহনাজ গিল।
‘বিগ বস্ ১৩’ থেকে শেহনাজের সঙ্গে পরিচয় সালমানের। তারপর থেকেই ভাইজানের স্নেহধন্যা তিনি। সালমানের ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন শেহনাজ। সৌভাগ্য হয়েছে সালমানের খামারবাড়ি যাওয়ারও।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শেহনাজ জানান, তিনি সালমানের খামারবাড়িতে দুই তিনদিন থেকেছেন। তার কথায়, ‘ ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’ ছবির সময়ে আমরা গিয়েছিলাম। আমরা দুই দুইদিন থেকেছিলাম, খুব মজা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাইক ও এটিভি গাড়িতে করে এ দিক ও দিক ঘুরে বেড়াতাম। সালমান গাছ থেকে ফল পাড়তেন। স্যার খুবই দেশি ভাবনার মানুষ। উনি খুবই কর্মঠ, সারাদিন কৃষকদের মতো পরিশ্রম করেন।’
শেহনাজের ভাষ্যে, ‘আমরা খুব পার্টি করতাম। তবে উনি শুধুই কাজ নিয়ে কথা বলতেন। লড়াইয়ের দৃশ্যে কীভাবে অভিনয় করতে হয়, সেটা আমাদের শেখাতেন। আসন্ন ছবি নিয়ে কথা বলতেন। তার অগাধ জ্ঞান ছবি ও অভিনয় নিয়ে। সেগুলো আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন।’
S
প্রবীণ অভিনেতা সঞ্জয় খানের স্ত্রী জারিন খান গত ৭ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। প্রয়াত জারিনের হিন্দু রীতিনীতি মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিলেন ছেলে জায়েদ খান। সোমবার (১০ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের জেডব্লিউ ম্যারিয়টে তার স্মরণে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়।
শোকের আবহে সেই স্মরণসভাতেই ঘটল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দীর্ঘদিনের পুরোনো বন্ধুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন কিংবদন্তি অভিনেতা জিতেন্দ্র। গাড়ি থেকে নেমে সভার ভেতরে ঢোকার সময় সিঁড়িতে পা ফসকে হঠাৎ হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান বর্ষীয়ান এই সুপারস্টার।
সামনে সিঁড়িটি ঠিকমতো খেয়াল করেননি প্রবীণ অভিনেতা। হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতেই আশেপাশে থাকা লোকজন তাকে সামলাতে দৌড়ে আসেন। আকস্মিক এই ঘটনায় খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন জিতেন্দ্র নিজেও।
তবে সৌভাগ্যের বিষয় হলো, বড় কোনো আঘাত লাগেনি তার। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এরপর জিতেন্দ্র স্বাভাবিকভাবেই নিজের পায়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং প্রার্থনা সভা শেষে বেরিয়েও যান।
এদিনের স্মরণসভায় তারকাদের ঢল নেমেছিল। সঞ্জয় খানের পাশে ঢাল হয়ে ছিলেন ছেলে জায়েদ খান। তিনি বাবাকে গাড়ি থেকে নামতে সাহায্য করেন এবং ভেতরে ঢোকার সময়ও হাত ধরে রেখেছিলেন। বাবা-পুত্রের এই আবেগঘন দৃশ্য নজর কাড়ে সবার। পাপারাজ্জিদের দিকে হাতজোড় করে শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা যায় তাদের।
S
গত পাঁচ বছরে বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন তা এক কথায় দুর্বিষহ বললেও যেন কম বলা হয়। ২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুর পর তিনি একাধিক মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়েন।
একদিকে ব্যক্তিগত মানসিক যন্ত্রণা, অন্যদিকে জেল হেফাজত থেকে শুরু করে সমাজে ‘বয়কট’-এর মতো চরম ডাকের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে। সম্প্রতি সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তাকে এই মামলায় ‘ক্লিন চিট’ দিয়েছে, সুশান্তের পরিবার এখনও সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চলেছে।
এই পুরো ঘটনাটি রিয়ার মানসিক স্বাস্থ্যে এতটাই গভীর প্রভাব ফেলেছিল যে তিনি শেষমেশ ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার’ বা পিটিএসডি তে ভুগতে শুরু করেন। নিজের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী।
রিয়া বলেন, ‘আমি যে দিনগুলো কাটিয়েছি, তা এতটাই প্রকাশ্য ছিল যে অনেকেই এখন আমার কাছে এসে নিজেদের মানসিক সমস্যার কথা বলতে স্বস্তিবোধ করেন। তারা মনে করেন, আমি বুঝতে পারি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।’
‘আমার কয়েকজন পুরনো বন্ধু যারা আমাকে দশ বছর ধরে চেনে, তারাও তখন এসে নিজেদের পারিবারিক বা সম্পর্কজনিত সমস্যার কথা জানাতে শুরু করে। কারণ, এত ভয়, এত লজ্জা এই বিষয়গুলো সমাজে এখনও গভীরভাবে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিজেকে মনে করাতাম, আমি কী কী কারণে কৃতজ্ঞ। অনেক দিন এমনও কেটেছে যখন কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো কিছুই মাথায় আসেনি। কিন্তু আমি নিজেকে জোর করে বলতাম আমি হাঁটতে পারছি, আমার হাত-পা কাজ করছে, চোখে দেখতে পাচ্ছি; অন্তত এগুলোর জন্য ধন্যবাদ।’
S
কাল বিভাগীয় শহরে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিক্ষোভ শিবিরের
পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে এডিবির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
