বিনোদন
পূর্ণিমার বিচ্ছেদ গুঞ্জন, স্বামীকে ট্যাগ দিয়ে পোস্টে জবাব নায়িকার
বিনোদন ডেস্ক
Published
2 weeks agoon
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ও তার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। দিন কয়েক আগে দেওয়া নায়িকার এক ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেই তার সূত্রপাত। এরপর বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরা জল ঘোলা করতে শুরু করলে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন তিনি।
শনিবার বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আগের পোস্টের ব্যাখ্যা দিয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিলেন নায়িকা। যেখানে স্বামীর আইডিও ট্যাগ দিতে দেখা যায়। সেই পোস্টে পূর্ণিমা লেখেন, ‘সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময়ই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিনশেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে।’
পূর্ণিমা লেখেন, ‘এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেইস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সাথে মিলিয়ে ফেলেছে! সেখান থেকে কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে; যা আমাকে ও আমার পরিবার কে বিষ্মিত ও মর্মাহত করেছে।’
শেষে এই নায়িকা লেখেন, ‘আমার দেওয়া স্ট্যাটাসের সাথে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসার জীবন নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শুরু থেকে দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষের ভালোবাসার পাশাপাশি সংবাদকর্মীদেরও সাপোর্ট পেয়েছি। আশা রাখি, আগামীতেও আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা অব্যাহত থাকবে, ধন্যবাদ।’
এর আগে পূর্ণিমা সেই পোস্টে লিখেছিলেন, ‘মানুষের ভিড়ে কিছু মুখ থাকে, যাদের আমরা আপন ভেবে হৃদয়ের দরজা খুলে দিই। কিন্তু সময়ের কঠিন পরীক্ষায় বুঝি, তারা আসলে সম্পর্কের আবরণে লুকিয়ে থাকা বিষধর সাপ।’
ওই পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন, ‘এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়, কারণ মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত ও মর্যাদাপূর্ণ।’ আর সে থেকেই ভক্তদের মাঝে বুনতে থাকে নানা জল্পনা, সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন ওঠে পূর্ণিমার দাম্পত্য জীবন নিয়ে।
এদিকে পূর্ণিমার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনও সামাজিক মাধ্যমে নিজের প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেন, যেখানে দেখা যায় পূর্ণিমাকে জড়িয়ে একটি মিরর সেলফি তুলেছেন রবিন।
২০২২ সালে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। রবিন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং পড়াশোনা করেছেন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজের সূত্রে পরিচয় থেকেই তাদের সম্পর্কের শুরু, পরে বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে, আর সেখান থেকেই বিয়ে।
এটা পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর তিনি আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেন।
S
বলিউডের ভাইজান সালমান খানের বাড়ির নাম ‘গ্যালাক্সি’। প্রায়ই বাড়ির সামনে ভিড় করেন তার অনুরাগীরা। কিন্তু সালমানের খামারবাড়ি নিয়ে মানুষের আগ্রহ তুলনায় অনেক বেশি। কী হয় সেই খামারবাড়িতে, ফাঁস করলেন শেহনাজ গিল।
‘বিগ বস্ ১৩’ থেকে শেহনাজের সঙ্গে পরিচয় সালমানের। তারপর থেকেই ভাইজানের স্নেহধন্যা তিনি। সালমানের ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন শেহনাজ। সৌভাগ্য হয়েছে সালমানের খামারবাড়ি যাওয়ারও।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শেহনাজ জানান, তিনি সালমানের খামারবাড়িতে দুই তিনদিন থেকেছেন। তার কথায়, ‘ ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’ ছবির সময়ে আমরা গিয়েছিলাম। আমরা দুই দুইদিন থেকেছিলাম, খুব মজা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাইক ও এটিভি গাড়িতে করে এ দিক ও দিক ঘুরে বেড়াতাম। সালমান গাছ থেকে ফল পাড়তেন। স্যার খুবই দেশি ভাবনার মানুষ। উনি খুবই কর্মঠ, সারাদিন কৃষকদের মতো পরিশ্রম করেন।’
শেহনাজের ভাষ্যে, ‘আমরা খুব পার্টি করতাম। তবে উনি শুধুই কাজ নিয়ে কথা বলতেন। লড়াইয়ের দৃশ্যে কীভাবে অভিনয় করতে হয়, সেটা আমাদের শেখাতেন। আসন্ন ছবি নিয়ে কথা বলতেন। তার অগাধ জ্ঞান ছবি ও অভিনয় নিয়ে। সেগুলো আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন।’
S
প্রবীণ অভিনেতা সঞ্জয় খানের স্ত্রী জারিন খান গত ৭ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। প্রয়াত জারিনের হিন্দু রীতিনীতি মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিলেন ছেলে জায়েদ খান। সোমবার (১০ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের জেডব্লিউ ম্যারিয়টে তার স্মরণে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়।
শোকের আবহে সেই স্মরণসভাতেই ঘটল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দীর্ঘদিনের পুরোনো বন্ধুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন কিংবদন্তি অভিনেতা জিতেন্দ্র। গাড়ি থেকে নেমে সভার ভেতরে ঢোকার সময় সিঁড়িতে পা ফসকে হঠাৎ হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান বর্ষীয়ান এই সুপারস্টার।
সামনে সিঁড়িটি ঠিকমতো খেয়াল করেননি প্রবীণ অভিনেতা। হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতেই আশেপাশে থাকা লোকজন তাকে সামলাতে দৌড়ে আসেন। আকস্মিক এই ঘটনায় খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন জিতেন্দ্র নিজেও।
তবে সৌভাগ্যের বিষয় হলো, বড় কোনো আঘাত লাগেনি তার। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এরপর জিতেন্দ্র স্বাভাবিকভাবেই নিজের পায়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং প্রার্থনা সভা শেষে বেরিয়েও যান।
এদিনের স্মরণসভায় তারকাদের ঢল নেমেছিল। সঞ্জয় খানের পাশে ঢাল হয়ে ছিলেন ছেলে জায়েদ খান। তিনি বাবাকে গাড়ি থেকে নামতে সাহায্য করেন এবং ভেতরে ঢোকার সময়ও হাত ধরে রেখেছিলেন। বাবা-পুত্রের এই আবেগঘন দৃশ্য নজর কাড়ে সবার। পাপারাজ্জিদের দিকে হাতজোড় করে শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা যায় তাদের।
S
গত পাঁচ বছরে বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন তা এক কথায় দুর্বিষহ বললেও যেন কম বলা হয়। ২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুর পর তিনি একাধিক মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়েন।
একদিকে ব্যক্তিগত মানসিক যন্ত্রণা, অন্যদিকে জেল হেফাজত থেকে শুরু করে সমাজে ‘বয়কট’-এর মতো চরম ডাকের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে। সম্প্রতি সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তাকে এই মামলায় ‘ক্লিন চিট’ দিয়েছে, সুশান্তের পরিবার এখনও সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চলেছে।
এই পুরো ঘটনাটি রিয়ার মানসিক স্বাস্থ্যে এতটাই গভীর প্রভাব ফেলেছিল যে তিনি শেষমেশ ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার’ বা পিটিএসডি তে ভুগতে শুরু করেন। নিজের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী।
রিয়া বলেন, ‘আমি যে দিনগুলো কাটিয়েছি, তা এতটাই প্রকাশ্য ছিল যে অনেকেই এখন আমার কাছে এসে নিজেদের মানসিক সমস্যার কথা বলতে স্বস্তিবোধ করেন। তারা মনে করেন, আমি বুঝতে পারি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।’
‘আমার কয়েকজন পুরনো বন্ধু যারা আমাকে দশ বছর ধরে চেনে, তারাও তখন এসে নিজেদের পারিবারিক বা সম্পর্কজনিত সমস্যার কথা জানাতে শুরু করে। কারণ, এত ভয়, এত লজ্জা এই বিষয়গুলো সমাজে এখনও গভীরভাবে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিজেকে মনে করাতাম, আমি কী কী কারণে কৃতজ্ঞ। অনেক দিন এমনও কেটেছে যখন কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো কিছুই মাথায় আসেনি। কিন্তু আমি নিজেকে জোর করে বলতাম আমি হাঁটতে পারছি, আমার হাত-পা কাজ করছে, চোখে দেখতে পাচ্ছি; অন্তত এগুলোর জন্য ধন্যবাদ।’
S
কাল বিভাগীয় শহরে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিক্ষোভ শিবিরের
পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে এডিবির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
