Connect with us

আন্তর্জাতিক

গণধর্ষণ নিয়ে আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Digital Darpan

Published

on

পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে করা মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে বরে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমকে এ জন্য দায়ী করেছেন তিনি।

পাশাপাশি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বক্তব্যকে ‘খণ্ডিত’ না করারও আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রধান।

ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

কলকাতায় মমতা বলেন, “অনেক জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে তাঁরা কেয়ার করে না। এমনকি নির্যাতিতাকে আদালতে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় জ্বালিয়ে মেরে দেওয়া হয়।…আমরা এই ধরনের কোনও ঘটনাকে সমর্থন করি না। বাংলায় এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েরা এখানে পড়তে আসেন। তাদের আমি অনুরোধ করব, রাতের বেলা বাইরে না বের হতে। কারণ পুলিশ তো জানতে পারে না, কে কখন রাতের বেলা বেরিয়ে যাচ্ছে।”

পাশাপাশি, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলির একটা দায়িত্ব আছে পড়ুয়াদের প্রতি যত্ন নেওয়ার। পুলিশ তো বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না। কেউ রাত সাড়ে বারোটায় বেরিয়ে কোথাও যায়… ঘটনার আমি নিন্দা করছি, যে যেখানে যেতে পারে, সেটা তার অধিকার। কিন্তু হোস্টেলের একটা সিস্টেম আছে।… আমি পুলিশকে বলেছি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে।”

কী নিয়ে বিতর্ক?

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েরা এখানে পড়তে আসেন। তাঁদের আমি অনুরোধ করব, রাতের বেলা বাইরে না বের হতে।’ এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। আসরে নেমে পড়ে বিরোধীরাও। পাশাপাশি পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেবল প্রাইভেট কলেজের উপরে কেন চাপিয়ে দেওয়া হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার চরম পতনের দায় মুখ্যমন্ত্রী এড়াতে পারেন না। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এখনও তিনি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের উপর দোষ চাপিয়েছেন!’

উত্তরবঙ্গে গিয়ে কী বললেন মমতা?

বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে রোববার উত্তরের জেলা আলিপুরদুয়ার সফরে গিয়েছেন মমতা। জলদাপাড়া বনবিভাগের নীলপাড়া রেঞ্জে রিভিউ মিটিংয়ের পরে মমতা বলেন, “দমদম এয়ারপোর্টে আমি কিছু কথা বলেছি। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আপনাদের অনুরোধ করছি, আমাকে আপনার প্রশ্ন করবেন, তার পরে আমার উত্তরের ভুল ব্যাখ্যা করবেন…আমি ভাত খাই পুরোটা না বলে বলছেন, শুধু আমি ভাত…। এ সব রাজনীতি আমার সঙ্গে করার চেষ্টা করবেন না। আমি তো তাও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হই, অনেকে তো সামনাসামনিই আসে না।”

S

আন্তর্জাতিক

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো গ্রেপ্তার

Published

on

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারেকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। অবৈধ রাজনৈতিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন পর তার দণ্ড কার্যকর শুরু হতো। এরআগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) ব্রাসিলিয়ার নিজ বাড়ি থেকে সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশটির কেন্দ্রীয় পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, তার বিরুদ্ধে পুলিশই একটি প্রতিরোধমূলক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধ জানিয়েছিল। যা সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধের পর কার্যকর করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বলসোনারোর বড় ছেলে সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারে একটি সমাবেশ আয়োজন করে। যা সাবেক প্রেসিডেন্টের আবাসিক ভবনের সামনে হয়। আর এই সমাবেশের পরই বলসোনারোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

২০২২ সালে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার কাছে নির্বাচনে হেরে যান জেয়ার বলসোনারো। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও বলসোনারো ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। এই রাজনৈতিক অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে তাকে চলতি বছরের শুরুতে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের একটি বেঞ্চ তাকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত করে। এরমধ্যে চারজনই তার বিরুদ্ধে রায় দেন।

রাজনৈতিক অভ্যুত্থান চেষ্টার পাশাপাশি বলসোনারোর বিরুদ্ধে সশস্ত্র অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সংগঠনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ব্রাজিলের গণতন্ত্রকে বাতিল করতে চেয়েছিলেন তিনি।

২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি বলসোনারোর সমর্থকরা বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলা চালান। ওই হামলার প্রেক্ষিতেই মূলত বলসোনারোকে সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে বলসোনারো শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো অস্বীকার করছে। তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে শান্তির ভিত্তি হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা : পুতিন

Published

on

ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন যে শান্তি পরিকল্পনা পেশ করেছে, তা দেশটিতে স্থায়ীভাবে শান্তি স্থাপনের ভিত্তি হতে পারে বলে মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

যদি ইউক্রেন এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় সায় না দেয়, তাহলে একসময় পুরো ইউক্রেন রাশিয়ার কব্জায় চলে আসবে বলে হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

গতকাল রাজধানী মস্কোতে রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়া সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ সম্পর্কে কথা বলেছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, “আমার বিশ্বাস, এটি (ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা) ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তির ভিত্তি হতে পারে। মার্কিন প্রশাসন অবশ্য এখন পর্যন্ত এ পরিকল্পনার ব্যাপারে ইউক্রেনের সম্মতি আদায় করতে পারেনি। কারণ ইউক্রেন এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে।”

“যদি কিয়েভ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে না চায় কিংবা প্রত্যাখ্যান করে—সেক্ষেত্রে ইউক্রেন এবং তার যুদ্ধবাজ ইউরোপীয় মিত্রদের এটা বোঝা উচিত যে সম্প্রতি আমরা পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান শহর কুপিয়ানস্ক দখল করেছি এবং যুদ্ধবিরতি না ঘটছে একসময় পুরো ইউক্রেন আমাদের কব্জায় আসবে।”

উল্লেখ্য, কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ২০১৪ সাগরে দখল করে নিজেদের মানচিত্রভুক্ত করে রাশিয়া। এর আগ পর্যন্ত এটি ইউক্রেনের ভূখণ্ড ছিল। পরে ২০১৫ সালে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে মেনে নেয় ইউক্রেন এবং এ বিষয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেয়।

কিন্তু পরে এই শর্ত না মেনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবির শুরু করে ইউক্রেন। এই নিয়ে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও চলছে। গত প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেনের দনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন— এই চার প্রদেশের রাশিয়া। এই প্রদেশগুলোর সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডের ১৯ শতাংশ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চিরতরে বন্ধের অবসানে সম্প্রতি ২৮টি পয়েন্ট সম্বলিত একটি শান্তি পরিকল্পনার খসড়া প্রস্তুত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই প্রস্তাবের এক জায়গায় বলা হয়েছে, ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসনের দখল ছেড়ে দিলেও ঝাপোরিজ্জিয়ায় অবস্থিত ইউক্রেনের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্ধেক মালিকানা পাবে রাশিয়া।

এছাড়া যুদ্ধের সময় রাশিয়া, প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং তার অনুগত রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, সেগুলো সব তুলে নেওয়া হবে। প্রত্যাহার করা হবে পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।

রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে পুতিন জানান, গত আগস্টে যখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন তিনি, সেই সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে এই পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল তার।

সূত্র : রয়টার্স

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা মেনে নিতে জেলেনস্কিকে আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

Published

on

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ২৮টি পয়েন্ট সম্বলিত যে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি গতকাল ফাঁস হয়েছে, সেটি আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রস্তাবে সম্মতি জানানোর জন্য জেলেনস্কিকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি।

যদি এই সময়সীমার মধ্যে জেলেনস্কি এই পরিকল্পনার ব্যাপারে ইতিবাচক কোনো সম্মতি না দেন— তাহলে এই যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ইউক্রেনের প্রতি যাবতীয় মার্কিন সমর্থন ও সহায়তাও বন্ধ হয়ে যাবে।

গতকাল শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছি এবং আমি মনে করি, যদি সবকিছু ঠিকভাবে চলে, তাহলে এই সময়সীমা বাড়ানোও যেতে পারে। তাই সবদিক বিবেচনা করেই আমি এ প্রস্তাবের ওপর মতামত জানানোর জন্য ইউক্রেনকে আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। আমি মনে করি এটা যথাযথ। কম নয়, বেশিও নয়।”

পরে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, “এই প্রস্তাবে এমন কিছু পয়েন্ট আছে, যেগুলোতে অতীতে সায় দেননি জেলেনস্কি। তবে এখন তাকে এই পরিকল্পনা পছন্দ করতে হবে। যতি তিনি পছন্দ না করেন—তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আর এর মধ্যে থাকবে না, তারা যত খুশি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে।”

গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করেন করেন জেলেনস্কি, সেই বৈঠকের সমাপ্তি অবশ্য প্রীতিকর ছিল না। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সেই বৈঠকের স্মৃতি স্মরণ করে ট্রাম্প বলেন, “আপনাদের সম্ভবত মনে আছে গত ফেব্রুয়ারির বৈঠকের কথা। খুব বেশি দিন আগের কথা তো নয়…. এই ওভাল অফিসেই আমি তাকে (জেলেনস্কি) বলেছিলাম, ‘আপনার হাতে কোনো কার্ড নেই।’

সূত্র : রয়টার্স

S

Continue Reading