...
Connect with us

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর অস্ত্র কী করা হবে, যে তথ্য শোনা যাচ্ছে

Digital Darpan

Published

on

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সকালে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে হামাসের অস্ত্রগুলো কী করা হবে।

দুই সপ্তাহ আগে ট্রাম্প যখন তার ২০ দফার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রকাশ করেন। তখন এতে বলা হয়, হামাস ও গাজাকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র করা হবে। তবে হামাস পরবর্তীতে জানায়, তারা রকেটের মতো আক্রমণাত্মক অস্ত্র সমর্পণে রাজি আছে। কিন্তু রাইফেলের মতো রক্ষণাত্মক অস্ত্র সমর্পণ করবে না। কারণ যেহেতু ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব রয়েছে, সে কারণে নিজেদের রক্ষার জন্য তাদের অস্ত্র রাখার অধিকার আছে।

অস্ত্র সমর্পণে কী হামাস রাজি হয়েছে?

সৌদির সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়াকে মিসরের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের প্রধান দিয়া রাসওয়ান বলেছেন, হামাস তাদের অস্ত্র জমা রাখবে। কিন্তু অস্ত্র সমর্পণ করবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার সময় হামাস অস্ত্র জমা দিতে রাজি হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, হামাস আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল তারা তাদের অস্ত্র পাঁচ থেকে ১০ বছরের জন্য জমা রাখবে। আর এটি ওই প্রস্তাবের অংশ।

মিসরের এ কর্মকর্তা ব্যাখ্যায় বলেন, হামাস তাদের অস্ত্র ইসরায়েল বা অন্য কোনো আরব সরকারের কাছে সমর্পণ করবে না। এরবদলে সেগুলো জমা রেকে দেবে। এই অস্ত্রগুলোর তত্ত্বাবধানে থাকবে একটি স্বাধীন কমিটি। এটি হতে পারে মিসর, মিসর-আরব অথবা মিসর-আরব-ফিলিস্তিনি কমিটি।

তিনি বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধের মাধ্যমে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে নেতানিয়াহু এখন চুক্তির মাধ্যমে হামাসকে নিরস্ত্রের ‘মঞ্চ নাটক’ প্রদর্শন করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র: আল-আরাবিয়া

S

আন্তর্জাতিক

জালিয়াতির অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক পর্যটনমন্ত্রী গ্রেপ্তার

Published

on

বীমা জালিয়াতিতে জড়িত অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক পর্যটনমন্ত্রী প্রসন্ন রানাতুঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের শুরুর সময় ২০২১ সালে তিনি বীমা জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন অভিযোগে বুধবার দেশটির পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগে কয়েক মাসের বিক্ষোভের পর ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কার সরকারের পতন ঘটে। তুমুল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া। তার সরকারের মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন রানাতুঙ্গা।

এর আগে, চাঁদাবাজির এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রসন্ন রানাতুঙ্গা। নতুন মামলায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় একটি বীমা কোম্পানিতে জালিয়াতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রসন্ন রানাতুঙ্গাকে বুধবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং পরে এক লাখ রুপি (৩৩৩ ডলার) নগদ জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কলম্বোর প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট আসাঙ্গা বোদারাগামা সাবেক ওই মন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

দেশটির ৫৮ বছর বয়সী সাবেক এই মন্ত্রীকে আগে চাঁদাবাজির এক মামলায় দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। এছাড়া এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাদা হিসেবে নেওয়া ১০ লাখ রুপি ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করা হলে তাকে অতিরিক্ত ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

২০২২ সালে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। ওই সময় দেশটি ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে দেউলিয়া হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য না থাকলেও আন্দোলনকারীরা গত কয়েক দশকে এই ক্ষতির পরিমাণ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করছেন। ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় ছিল ৪ হাজার ৫১৫ ডলার।

দেশটির ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অধিক ক্ষমতা দিয়েছে; যাতে ফৌজদারি রায় ছাড়াই অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা রাষ্ট্রীয় সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে পারে সংস্থাটি।

সূত্র: এএফপি।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবেন স্টারমার

Published

on

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্ব নিয়ে লেবার এমপিদের পক্ষ থেকে কোনো চ্যালেঞ্জ ছোড়া হলে তার বিরুদ্ধে তিনি লড়বেন বলে স্পষ্ট করেছেন তার মিত্ররা।

স্যার কিয়ার স্টারমারের প্রতি অনুগতদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে তার পদ হয়তো হুমকির মুখে পড়তে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী পাক্ষিকের বাজেট ঘোষণার পরপরই এই সংকট দেখা দিতে পারে।

সমালোচকরা বলছেন, এই অবস্থা প্রমাণ করে যে, ডাউনিং স্ট্রিট এখন ‘সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে’ যেটি ‘বর্তমান সরকারকে সংকট মোকাবিলায় কোনোভাবেই সাহায্য করবে না।’

স্যার কিয়েরকে সরানোর জন্য একটি নেপথ্য ষড়যন্ত্র চলছে মনে করে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার বন্ধুরা। নেতৃত্ব পরিবর্তনের যে গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে সেটিও তারা সবাইকে পরিষ্কারভাবে জানাতে চাইছেন।

এদিকে স্যার কিয়েরকে সরিয়ে দেওয়ার পর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে লেবার এমপিরা যেসব নাম নিয়ে আলোচনা করেছেন তাদের মধ্যে তার ঘনিষ্ঠতম মন্ত্রিসভার কয়েকজন সহযোগী বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচিব ওয়েস স্ট্রিটিং এবং স্বরাষ্ট্র সচিব শাবানা মাহমুদ রয়েছেন।

কেউ কেউ ধারণা করছেন, এনার্জি সেক্রেটারি অ্যাড মিলিব্যান্ড এবং সাবেক পরিবহন সচিব লুইস হেইগসহ কয়েকজন ব্যাকবেঞ্চারও নেতৃত্বের প্রতি আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে। এক মন্ত্রী বলেন, “তিনি (স্টারমার) লড়বেন।”

২০২১ সালের গুরুত্বপূর্ণ উপ-নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। যে নির্বাচনে লেবার পার্টি কনজাভেটিভদের কাছে হেরে যায়। স্যার কিয়ের স্টারমার সেসময় নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন।

তিনি বলছেন, “তিনি জীবিত থাকা মাত্র দুইজন মানুষের একজন যিনি লেবার পার্টির হয়ে জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। মাত্র ১৭ মাস পর তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বোকামি।”

লেবার পার্টির অনেকেই মনে করছেন, আগামী মে মাসে স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের বিকেন্দ্রীকৃত নির্বাচন এবং ইংল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় নির্বাচনের পর সরকার একটি বড় সংকটের মুখে পড়তে পারে।

এই নির্বাচনের ফলাফল ভালো নাও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দলটির কেউ কেউ এমন আশঙ্কাও করছেন নেতা পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত না।

নিজেদের বিরুদ্ধে যে সম্ভাব্য হুমকি এখন ঘনিয়ে আসছে এ বিষয়ে ডাউনিং স্ট্রিটও অবগত। একজন জ্যেষ্ঠ লেবার এমপি বলেন, “স্থানীয় নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে বলাটা যতই ভালো শোনাক না কেন, আসলে আমি আমার কর্মী-সমর্থকদেরই সংঘর্ষে পাঠাচ্ছি। আমি আমার সব কাউন্সিলর হারাতে পারি না।”

লেবার পার্টির আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, “বাজেটের পর মানুষকে পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করার কারণগুলোর তালিকা প্রতিদিনই বাড়ছে। যদি ওয়েস সাহসী হন এবং পদক্ষেপ নেন তাহলে বড়দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পুরস্কার পেতে পারেন তিনি।”

প্রধানমন্ত্রীর অনুগতরা ওয়েস স্ট্রিটিং এর উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বিশেষ সন্দেহের চোখে দেখছেন। স্ট্রিটিং এর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, “এই দাবিগুলো সম্পূর্ণরূপে অসত্য।”

তিনি আরও বলেন, “ওয়েসের মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে এখন ১৫ বছরে প্রথমবারের মতো অপেক্ষমাণ রোগীর সংখ্যা কমানো, দুই হাজার পাঁচশো নতুন জিপি (চিকিৎসক) নিয়োগ এবং যে এনএইচএস তার জীবন বাঁচিয়েছিল সেটিকে পুনর্গঠন করা।”

বুধবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কয়েকটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে তার ইংল্যান্ডের এনএইচএস সংস্কার পরিকল্পনা নিয়েই কথা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

এক সরকারি সূত্র জানায়, “ডাউনিং স্ট্রিট এখন সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক (বাঙ্কার মোড) অবস্থায় চলে গেছে। সম্পূর্ণভাবে কোনো কারণ ছাড়াই সবচেয়ে অনুগত মন্ত্রিসভার সদস্যদের থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।”

এই সূত্রটি আরও জানায়, “দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, স্যার কিয়েরের দল বারবার নিজের লোকদের বিরুদ্ধেই সংবাদমাধ্যমে তথ্য দিচ্ছে। আগে অ্যাঞ্জেলা, লিসা, লুসির বিরুদ্ধে করেছিল, এবার ওয়েসের পালা।”

আরেক সরকারি সূত্র বলেন, “এভাবে নিজেদের মধ্যে সংঘাত বাঁধানো (‘সার্কুলার ফায়ারিং স্কোয়াড’) সরকারকে বর্তমান বিপদ থেকে উদ্ধার করবে না।”

লেবার এমপিরা যা চাইছে তার জন্য সতর্ক হওয়া উচিত বলে প্রধানমন্ত্রীর সমর্থকরা সতর্ক করে দিয়েছেন।

তাদের যুক্তি হলো, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা দলকে এমন এক বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলবে যা কনজারভেটিভ পার্টির শাসনের শেষ বছরগুলোতে দেখা গিয়েছিল এবং যা গত বছর শেষ হয়েছিল। একই সঙ্গে এটি এমন একজন নেতাকে প্রতিষ্ঠিত করবে যার নিজের দেশের জনগণের কাছ থেকে সরাসরি কোনো ম্যান্ডেট থাকবে না।

এ ধরনের প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক বাজারকেও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিষ্ঠিত সুসম্পর্ককে বিপন্ন করবে বলে সহকর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছে তারা।

কিন্তু কয়েকজন মন্ত্রীসহ অনেকেই সরকার বর্তমানে যে পরিস্থিতিতে রয়েছে সেটিকে চরম হতাশাজনক পরিস্থিতি বলে মনে করছেন।

একজন মিনিস্টার বলেন, “এটা ভয়াবহ। মানুষ তাকে (স্টারমার) ঘৃণা করছে। করবিনের শাসনামলের চেয়েও এটা আরো খারাপ। মে মাসের মধ্যে এই পরিস্থিতি কীভাবে টেকসই হবে আমি তা বুঝতে পারছি না।”

জনমত জরিপ থেকে জানা যায়, স্যার কিয়ের ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয়। এমনকি আধুনিক জনমত জরিপের ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে অজনপ্রিয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও। এই জরিপগুলোতে আরো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লেবার পার্টির ভোটারদের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ সমর্থন ধরে রাখতে পেরেছে।

প্রধানমন্ত্রীর সমর্থক এক মন্ত্রিসভা সদস্য তাদের সহকর্মীদের মনোভাবকে এভাবে সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন: “অনেকে মনে করেন এটি লেবার সরকারের ও পরিপূর্ণতার মধ্যে একটি পছন্দ। যতটা তারা আমাদেরকে তাদের কাছে নিখুঁত বলে মনে হওয়া নীতির দিকে ঠেলে দিতে পারেন, ততটাই তারা খুশি হন। কিন্তু আসল পছন্দ আমাদের আর পরিপূর্ণতার মধ্যে নয়, বরং আমাদের আর রিফর্ম পার্টির মধ্যে।”

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রিফর্ম ইউকে দলের উত্থান ডাউনিং স্ট্রিটের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, রিফর্ম ইউকে দলের নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে লেবার দলের এই লড়াই প্রজন্ম নির্ধারণী এক লড়াই।

তিনি মনে করেন, সাধারণ নির্বাচনে রিফর্মের কাছে পরাজিত হওয়া কনজারভেটিভদের কাছে হারের চেয়েও অনেক বেশি ভয়াবহ হবে।

ফারাজের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হওয়ার মতো শক্তি ও সামর্থ্য তার এখনও রয়েছে বলেও বিশ্বাস করেন তিনি। কিন্তু তার অনেক সহকর্মী এটা বিশ্বাস করেন না। গত বছর নির্বাচিত এক লেবার এমপি বলেন, আমরা টোরিদের মতো নই। আমরা এক সংসদীয় মেয়াদে একবারের বেশি নেতা পরিবর্তন করব না। বিবিসি বাংলা

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

‘বোরকা না পরলে নারীদের চিকিৎসা নয়’— আফগানিস্তানে ফের বিতর্কিত নির্দেশ

Published

on

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে নারী রোগী, সেবিকা ও কর্মীদের হাসপাতালে প্রবেশের আগে বোরকা পরার নির্দেশ দিয়েছে কট্টর-উগ্রপন্থি গোষ্ঠী তালেবান প্রশাসন।

এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৫ নভেম্বর থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।

এমএসএফ জানিয়েছে, তালেবানের জারি করা এই নির্দেশনা নারীদের চিকিৎসা গ্রহণের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করেছে এবং জরুরি রোগী ভর্তি ২৮ শতাংশ কমে গেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এমএসএফের আফগানিস্তান বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারা শাতো বিবিসিকে বলেন, “এই নতুন বিধিনিষেধ নারীদের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা তৈরি করছে।”

তিনি বলেন, এমনকি জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন থাকা নারী রোগীরাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তবে তালেবান সরকারের এক মুখপাত্র এমএসএফের দাবি অস্বীকার করেছেন। যদিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের পর কিছু এলাকায় বিধিনিষেধ আংশিক শিথিল করা হয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালে তাদের পেডিয়াট্রিক সেবায় নতুন নিয়ম চালুর পর জরুরি রোগী ভর্তি ২৮ শতাংশ কমে গেছে।

সারা শাতো বলেন, তালেবান সদস্যরা হাসপাতালে প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে বোরকা না পরা নারীদের ভেতরে যেতে বাধা দিচ্ছেন। বোরকা এক ধরনের পোশাক যা মুখ ও শরীর পুরোপুরি ঢেকে রাখে, শুধু চোখের সামনে জালের মতো পাতলা অংশ থাকে দেখার জন্য।

তালেবানের ‘নৈতিকতা ও পাপ প্রতিরোধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের’ মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার দাবি করেন, “এ ধরনের খবর পুরোপুরি মিথ্যা। মন্ত্রণালয়ের অবস্থান সাধারণত হিজাব পরিধান নিয়ে, বোরকা নয়।”

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে “হিজাবের ব্যাখ্যা ভিন্ন” এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা শরিয়া আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

অন্যদিকে মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তালেবানের নিরাপত্তাকর্মীরা গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে প্রবেশকারী নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করছেন। এমনকি এটা শুধু হাসপাতালেই নয়— স্কুল, সরকারি দপ্তর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও তারা এই কাজ করছেন।

হেরাতের এক নারী অধিকারকর্মী বিবিসিকে বলেন, “হাসপাতাল, স্কুল কিংবা সরকারি অফিসে যেতে হলে এখন নারীদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।”

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এক আফগান কর্মী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ওই ভিডিওতে কিছু নারীকে বোরকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

১৯৯০-এর দশকে প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালীনও তালেবান নারীদের জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক করেছিল। আর ২০২১ সালের আগস্টে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তারা নারীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চলেছে। ২০২২ সালে নারীদের জন্য সম্পূর্ণ মুখঢাকা পোশাক পরিধানের নির্দেশনা জারি করা হয়। যদিও সেসময় সেটিকে ‘পরামর্শ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল তালেবান।

তবে এমএসএফ জানায়, এবারই প্রথম হেরাতে এই নির্দেশ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সারা শাতো বলেন, “গত কয়েক দিনে হাসপাতালে বোরকা পরা নারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।”

বর্তমানে নারীদের বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। এছাড়া দেশটিতে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষাও বন্ধ রয়েছে। জাতিসংঘ এই অবস্থাকে “লিঙ্গভিত্তিক বর্ণবৈষম্য” হিসেবে বর্ণনা করে বারবার এর অবসান দাবি করেছে।

S

Continue Reading
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.