Connect with us

জাতীয়

‘ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি হলেও মৃত্যুহার কম’

Digital Darpan

Published

on

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি হলেও মৃত্যুহার কম।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে মাসব্যাপী এ টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে বলে এতে জানানো হয়।

স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, আমরা যে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছি এবং পরিসংখ্যান ও হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর যে তথ্য পাচ্ছি, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনই ৫০ শতাংশের বেশি রোগী মারা যাচ্ছে। তার মানে রোগের যে আক্রমণ হয়েছে, এটা অনেক আগে। রোগীরা হাসপাতালে পরে এসেছে। আমরা হাসপাতলে যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করছি।

মহাপরিচালক বলেন, এখন যেটা সবচেয়ে বড় বিষয় সেটা হলো, জনগণের সচেতনতা। যেহেতু মশা উৎপন্ন হওয়ার বিষয় আছে, সেজন্য মশা ধ্বংসেরও বিষয় আছে। তাদের লার্ভা ধ্বংস করার বিষয় আছে। লোকজন যাতে প্রোটেকটেড থাকে সেজন্য মশারি টাঙানো। এগুলো খুবই জরুরি। এগুলো হচ্ছে মূলত ব্যক্তিগত পর্যায়ের বিষয়। এগুলো যদি আমরা অবজ্ঞা করি তবে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল।

আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গু হলেও আমরা প্রথম পর্যায়ে যদি শনাক্ত করতে পারি ডেঙ্গুর চিকিৎসা বাসায় বসেই হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সিভিআর পর্যায়ে না গেলে হাসপাতালে যাওয়া জরুরি নয়। এর সম্পর্কে সম্যক ধারণা এবং সচেতনতার অভাব ও অবহেলার কারণে আমাদের মূলত ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার বেড়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ ক্যালেন্ডার বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল তিন লাখের বেশি এবং মৃত্যুবরণ করেছিল এক হাজার ৭৫০ জনের মতো। ২০২৪ ক্যালেন্ডার বছরে আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ ৫ হাজারের মতো মৃত্যুবরণ করেছিল ৫২০ জনের মতো।

তিনি বলেন, এবার আমরা ক্যালেন্ডার বছরের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছি। গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ২২০ জন। ক্রমান্বয়ে ডেঙ্গু যে প্রতিরোধের বিষয়টা, সেটি আমরা নির্মূল করতে পারেনি, কিন্তু সরকারের প্রচেষ্টায় আমরা সফলতার দিকে এগোচ্ছি। সামনে একজনও মৃত্যুবরণ করবে না, আমরা সেদিকে এগোচ্ছি। তারপরও যতটা প্রতিরোধ করা সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি।

এ সময়ে‌ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

S

জাতীয়

জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক

Published

on

ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

Continue Reading

জাতীয়

‘আমি কোনো এক্সিট খুঁজছি না, বাকিটা জীবনও বাংলাদেশে কাটিয়ে যাব’

Published

on

উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবতেছে’—সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার এ বক্তব্যের ইস্যুতে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‌আমি কোনো এক্সিট খুঁজছি না। দেশেই ছিলাম। এর আগেও বহু ঝড় ঝঞ্ঝাট এসেছে, সেগুলো প্রতিহত করে দেশে থেকেছি। বাকিটা জীবনও বাংলাদেশে কাটিয়ে যাব আপনাদের সঙ্গে ইনশাআল্লাহ।

বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা নানান বিষয়ে নানান কথা বলে যাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন বিষয় এবং এটা বলা তাদের তো অধিকার। এটাইতো গণতন্ত্রের চর্চা। প্রতিটা বিষয় নিয়েই যদি আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাই, প্রতিটা বিষয় নিয়ে যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে বলুন তো মন্ত্রণালয়গুলো আমরা কখন চালাবো?

তিনি বলেন, যেকোনো একটি বিষয় আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হলে তখন সরকার সে বিষয় নিয়ে কথা বলবে, সে বিষয় নিয়ে কাজ করবে। অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তো সরকারের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না।

তিনি জানান, নাহিদ ইসলামের বক্তব্য তাকে খন্ডাতে হবে, এটা উপদেষ্টার খণ্ডানোর বিষয় না।

তিনি আরও বলেন, বক্তব্যটা সুনির্দিষ্ট হলে হয়ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হত। এটা হয়ত তাদের ধারণা, তারা মনে করে। তারা তাদের বক্তব্য হিসেবে বলেছে এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার তো সুযোগ নেই। সরকারের বক্তব্য দেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।

S

Continue Reading

জাতীয়

সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে

Published

on

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে। অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার তথ্য ভবনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্টদের সমন্বয়ে অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণে গাইডলাইন প্রদানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ল্যাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। চলচ্চিত্র নির্মাণে গাইডলাইন প্রদান-বিষয়ক ল্যাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্টরা যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন, তা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের, বিশেষ করে তরুণ নির্মাতাদের সমৃদ্ধ করবে।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই চলচ্চিত্র নির্মাণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা চালু রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো সে রকম পূর্ণাঙ্গ কাঠামো তৈরি হয়নি। তবে কবিরপুর ফিল্ম সিটি নির্মিত হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে আধুনিক ও সমন্বিত অবকাঠামো গড়ে উঠবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, এবারেই প্রথম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে ল্যাব করা হচ্ছে। অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে এ ধরনের ল্যাবের প্রয়োজন রয়েছে। ল্যাবে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য তিনি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

চলচ্চিত্র নির্মাণে গাইডলাইন প্রদান-বিষয়ক ল্যাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম ইমরান হোসেন-সহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

S

Continue Reading