আন্তর্জাতিক
গাজার পথে এগিয়ে চলছে ফ্লোটিলার নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Published
1 month agoon
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ত্রাণ নিয়ে সমুদ্রপথে এগিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এর নতুন নৌবহর। বর্তমানে ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে আছে বহরটি।
গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এফএফসি। সেই বিবৃতে বলা হয়েছে, “আমাদের ফ্লোটিলার নৌবহরটি বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল (২৭৭ কিলোমিটার) দূরে আছে। কিছু দিন আগে আমাদের ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের নৌযানগুলো সাগরের যে এলাকা থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করেছিল, নতুন নৌবহরটি তার কাছাকাছি রয়েছে।”
এফএফসি জোটের অন্যতম সদস্য সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ব্রেকিং দ্য সিজ অন গাজা গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছে, “আমরা গাজার পথে এগিয়ে যাচ্ছি।”
জানা গেছে, ফ্লোটিলার নতুন এই বহরটিতে আছে খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ৯টি নৌযান। এই নৌযানগুলোতে আছেন ক্রুসহ ১০০-এর অধিক স্বেচ্ছাসেবী।
গত আগস্ট মাসে গাজায় খাদ্য, ওষুধবাহী ৪৩টি নৌযান পাঠানোর ঘোষণা দেয় এফএফসি জোট এবং এই মিশনের নাম দেওয়া হয় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’। সুইডেনের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক ছিলেন সেই মিশনে। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।
গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা; কিন্তু গাজার জলসীমায় কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই একে একে সবগুলো নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলের বন্দরে।
কয়েক জন অভিযাত্রীকে আটকে রেখেছে ইসরায়েলের সরকার, বাকিদের ফেরত পাঠাচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রেটা থুনবার্গসহ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার শতাধিক অভিযাত্রীকে গ্রিসে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযানবহর আটকানো এবং অভিযাত্রীদের বন্দি করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে ইসরায়েলের।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ বছর ধরে গাজার সমুদ্র উপকূল অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। গাজায় কোনো সমুদ্রবন্দর নেই এবং ইসরায়েলের অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক কোনো জাহাজ বা নৌযান গাজা উপকূলের কাছাকাছি যেতে পারে না। ফ্লোটিলার নৌবহর সেখানে পৌঁছালে তা হবে ১৮ বছর গাজার উপকূলে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক নৌবহরের নোঙ্গর করা।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
You may like
আন্তর্জাতিক
‘বোরকা না পরলে নারীদের চিকিৎসা নয়’— আফগানিস্তানে ফের বিতর্কিত নির্দেশ
Published
5 hours agoon
নভেম্বর ১২, ২০২৫
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে নারী রোগী, সেবিকা ও কর্মীদের হাসপাতালে প্রবেশের আগে বোরকা পরার নির্দেশ দিয়েছে কট্টর-উগ্রপন্থি গোষ্ঠী তালেবান প্রশাসন।
এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৫ নভেম্বর থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।
এমএসএফ জানিয়েছে, তালেবানের জারি করা এই নির্দেশনা নারীদের চিকিৎসা গ্রহণের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করেছে এবং জরুরি রোগী ভর্তি ২৮ শতাংশ কমে গেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এমএসএফের আফগানিস্তান বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারা শাতো বিবিসিকে বলেন, “এই নতুন বিধিনিষেধ নারীদের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা তৈরি করছে।”
তিনি বলেন, এমনকি জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন থাকা নারী রোগীরাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তবে তালেবান সরকারের এক মুখপাত্র এমএসএফের দাবি অস্বীকার করেছেন। যদিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের পর কিছু এলাকায় বিধিনিষেধ আংশিক শিথিল করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালে তাদের পেডিয়াট্রিক সেবায় নতুন নিয়ম চালুর পর জরুরি রোগী ভর্তি ২৮ শতাংশ কমে গেছে।
সারা শাতো বলেন, তালেবান সদস্যরা হাসপাতালে প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে বোরকা না পরা নারীদের ভেতরে যেতে বাধা দিচ্ছেন। বোরকা এক ধরনের পোশাক যা মুখ ও শরীর পুরোপুরি ঢেকে রাখে, শুধু চোখের সামনে জালের মতো পাতলা অংশ থাকে দেখার জন্য।
তালেবানের ‘নৈতিকতা ও পাপ প্রতিরোধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের’ মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার দাবি করেন, “এ ধরনের খবর পুরোপুরি মিথ্যা। মন্ত্রণালয়ের অবস্থান সাধারণত হিজাব পরিধান নিয়ে, বোরকা নয়।”
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে “হিজাবের ব্যাখ্যা ভিন্ন” এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা শরিয়া আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অন্যদিকে মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তালেবানের নিরাপত্তাকর্মীরা গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে প্রবেশকারী নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করছেন। এমনকি এটা শুধু হাসপাতালেই নয়— স্কুল, সরকারি দপ্তর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও তারা এই কাজ করছেন।
হেরাতের এক নারী অধিকারকর্মী বিবিসিকে বলেন, “হাসপাতাল, স্কুল কিংবা সরকারি অফিসে যেতে হলে এখন নারীদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এক আফগান কর্মী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ওই ভিডিওতে কিছু নারীকে বোরকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
১৯৯০-এর দশকে প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালীনও তালেবান নারীদের জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক করেছিল। আর ২০২১ সালের আগস্টে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তারা নারীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চলেছে। ২০২২ সালে নারীদের জন্য সম্পূর্ণ মুখঢাকা পোশাক পরিধানের নির্দেশনা জারি করা হয়। যদিও সেসময় সেটিকে ‘পরামর্শ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল তালেবান।
তবে এমএসএফ জানায়, এবারই প্রথম হেরাতে এই নির্দেশ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সারা শাতো বলেন, “গত কয়েক দিনে হাসপাতালে বোরকা পরা নারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।”
বর্তমানে নারীদের বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। এছাড়া দেশটিতে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষাও বন্ধ রয়েছে। জাতিসংঘ এই অবস্থাকে “লিঙ্গভিত্তিক বর্ণবৈষম্য” হিসেবে বর্ণনা করে বারবার এর অবসান দাবি করেছে।
S
আফগানিস্তানে আবারও হামলা চালাতে পারে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার পর এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান আফগানিস্তানের ভেতরে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে। তিনি আফগান তালেবান সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, পাকিস্তানে হামলার পেছনে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে তারা।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত দুই দিনে পাকিস্তানে দুটি বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর একটি দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের ওয়ানা ক্যাডেট কলেজে, আরেকটি রাজধানী ইসলামাবাদে। এই ঘটনায় দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু অস্ত্রধারী দেশটিতে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
পরে জিও নিউজের ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’ অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এই হামলাগুলোর পর সীমান্ত পার হয়ে আফগানিস্তানের ভেতরে অভিযান চালানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তিনি আফগান তালেবান সরকারের হামলার নিন্দাকে “অবিশ্বাসযোগ্য” বলে প্রত্যাখ্যান করেন। আসিফ বলেন, “তালেবানের আশ্রয়ে থাকা গোষ্ঠীগুলোই বারবার আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।”
পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত বা আফগানিস্তান কেউই যদি দুঃসাহস দেখায়, পাকিস্তান সমান জবাব দেবে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান কখনো আগ্রাসন শুরু করবে না। তবে আমাদের ওপর কোনো হামলা হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
ইসলামাবাদের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে খাজা আসিফ লিখেছিলেন, “আমরা এক ধরনের যুদ্ধের মধ্যে আছি। যারা মনে করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী শুধু সীমান্ত এলাকায় লড়ছে, ইসলামাবাদের এই আত্মঘাতী হামলাই তাদের চোখ খুলে দেওয়ার মতো।”
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী এই লড়াই সমগ্র পাকিস্তানের যুদ্ধ, আর সেনাবাহিনীর ত্যাগই জাতিকে নিরাপত্তা বোধ দিচ্ছে।
এছাড়া হামলার পর এক বিবৃতিতে তিনি আফগান তালেবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার সাফল্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। আসিফ লেখেন, “কাবুলের নেতৃত্ব চাইলে পাকিস্তানে সন্ত্রাস রোধ করতে পারে। কিন্তু ইসলামাবাদে হামলার বার্তা এসেছে কাবুল থেকেই।”
রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, পাকিস্তান আগেই এমন হামলার আশঙ্কা করেছিল। ইসলামাবাদের সন্ত্রাসী হামলা আমাদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— “তোমাদের সব অঞ্চলই আমাদের নাগালের মধ্যে”।
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান সীমান্ত বা শহর— কোথাও সন্ত্রাস সহ্য করবে না এবং প্রতিটি হামলার শক্ত জবাব দেওয়া হবে।
S
আন্তর্জাতিক
ইসলামাবাদে হামলায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ শেহবাজ শরিফের
Published
22 hours agoon
নভেম্বর ১১, ২০২৫
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের আদালতের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত চত্বরে বোমা হামলার ঘটনার পরপরই এক বিবৃতিতে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে ইসলামাবাদের আদালতের বাইরে আত্মঘাতী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন শেহবাজ শরিফ। পাশাপাশি অভিযোগ করে বলেছেন, এই হামলায় ভারতের সক্রিয়ভাবে সমর্থিত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলো জড়িত।
বিবৃতিতে শেহবাজ শরিফ বলেন, ভারতের সন্ত্রাসী বিভিন্ন প্রক্সি গোষ্ঠীর মাধ্যমে পাকিস্তানের নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
এর আগে, মঙ্গলবার পাকিস্তানের স্থানীয় সময় বেলা ১২টার দিকে ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হন। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৩৯ মিনিটের দিকে কাছেরিতে (জেলা আদালত) আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে…। এতে ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতকে এই অঞ্চলে প্রক্সির গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ানোর মতো জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
যদিও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই বিস্ফোরণের জন্য আফগানিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, কাবুলের শাসকরা পাকিস্তানে সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারে, কিন্তু ইসলামাবাদে এই যুদ্ধ নিয়ে আসা কাবুলের একটি বার্তা; যার জবাব পাকিস্তান পুরোপুরি দিতে সক্ষম।
বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে দেশের জন্য ‘‘এক সতর্কবার্তা’’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খাজা আসিফ বলেছেন, আমরা যুদ্ধাবস্থায় রয়েছি। কেউ যদি মনে করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী কেবল আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা কিংবা বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যুদ্ধ করছে, তাহলে আজ ইসলামাবাদের জেলা আদালতে আত্মঘাতী হামলাটি তাদের জন্য সতর্কবার্তা।
তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের করা অভিযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ভারত।
সূত্র: জিও নিউজ, ডন, এএফপি।
S
‘বোরকা না পরলে নারীদের চিকিৎসা নয়’— আফগানিস্তানে ফের বিতর্কিত নির্দেশ
হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরলেন ধর্মেন্দ্র
