রাজনীতি
নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে : ফখরুল
ডিজিটাল দর্পণ ডেস্ক
Published
1 month agoon
জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে বলে দেশের শিক্ষক সমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আপনাদের আমি বলতে চাই, আসন্ন যে নির্বাচন আসছে সেই নির্বাচনে আপনাদের একটা বিরাট ভূমিকা আছে, আপনারা প্রতিটি জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে ‘শিক্ষক মহাসমাবেশে’ তিনি এই আহ্বান জানান। বিএনপি-সমর্থিত শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা, অবসর বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যে, সেই নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করবার। কেউ যেন সেটাকে (নির্বাচন) ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে না পারে, তার দিকে আপনারা সজাগ সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই যে, আমরা একটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সেই সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা আমাদের নেতার যে স্বপ্ন, সেই আমাদের দেশ একটাই, সেটা হচ্ছে আমাদের পথ একটাই, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ।
শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার সবকিছু বিএনপির ৩১ দফার কর্মসূচিতে আছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের জাতি হিসেবে আপনাদের কাছে একটা দাবি আছে, সে দাবিটা হচ্ছে যে আপনারা আপনাদের ছাত্রদেরকে, ছাত্রীদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে এমন করে মানুষ করে গড়ে তুলবেন তারা সত্যিকার অর্থেই আদর্শ নাগরিক হতে পারে, নৈতিকতার মধ্যে থাকতে পারে এবং আমরা সবাই মিলে যেন একটা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি।”
এই সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম আমানুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুগিসউদ্দিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আফরোজা বেগম রীতাসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
S
You may like
-
মির্জা ফখরুলের বক্তব্য জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা
-
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
-
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন হলে সেটি অবৈধ
-
আজও মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা
-
জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের খবর মিথ্যা : জামায়াত
-
শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ইসলামী আন্দোলনের
রাজনীতি
মির্জা ফখরুলের বক্তব্য জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা
Published
6 hours agoon
নভেম্বর ১২, ২০২৫
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে, সকল মামলা তুলে নেওয়া হবে।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি ছাত্র-জনতার কাছে এ বক্তব্যের জন্য ফখরুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ও ফ্যাসিবাদী শক্তি। লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না করে ফ্যাসিবাদের প্রবক্তা শেখ মুজিবই প্রথম গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে বাকশাল কায়েম করেন, যেখান থেকে বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের যাত্রা। তারই ধারাবাহিকতায় নানাভাবে বিগত দেড় দশক ধরে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগই গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন ও বিরোধী মত দমনের মাধ্যমে দেশে সেই ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদ কায়েম করেছে এবং জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালিয়ে এই ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি তারা অতীতের ন্যায় আবারও দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা শুরু করেছে। সুতরাং গণহত্যায় জড়িত কাউকে ক্ষমা করার কোনো প্রশ্ন তো আসেই না; বরং ছাত্র-জনতা এই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটিতে আর দেখতে চায় না।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অথচ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বেশ কয়েক মাস ধরে নানা কৌশলে অনেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে পুনরায় প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। এ ছাড়া পূর্বেও ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে তার এ ধরনের বক্তব্য আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। অথচ তিনি বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন।’
দলীয় নীতিনির্ধারকের আসনে বসেও এমন বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি দলীয়ভাবে বিএনপির অবস্থানকেই ইঙ্গিত করছে কি না সব ছাত্র-জনতার কাছে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উপস্থাপনের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রাজনীতি
কাল বিভাগীয় শহরে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিক্ষোভ শিবিরের
Published
22 hours agoon
নভেম্বর ১১, ২০২৫
আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্তৃক নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
আগামীকাল (বুধবার) দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে দলটি।
আজ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা ছিল সকল গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ, স্বাধীন ও শক্তিশালী সাংবিধানিক কাঠামো গঠন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতির এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ। সেই কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশের অভিযাত্রায় জুলাই সনদ একটি অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানে সরকার সময়ক্ষেপণ নীতি গ্রহণ করেছে। কার ইশারা ও এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার এমন করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “গণহত্যার বিচারের ক্ষেত্রে ধীরগতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতার সুযোগে আওয়ামী লীগ অতীতের ন্যায় আবারও দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশে গুম ও গণহত্যার প্রবর্তক নিষিদ্ধ এই দলটি ইতোমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা শুরু করেছে।”
কেন্দ্রীয় সভাপতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও গণহত্যাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান।
S
রাজনীতি
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন হলে সেটি অবৈধ
Published
23 hours agoon
নভেম্বর ১১, ২০২৫
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে কোনো নির্বাচন হলে সেটি অবৈধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।
তিনি দাবি করেন, জনগণের মূল ইচ্ছে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে নির্বাচন; সরকার যদি সেই পথ অবলম্বন না করে, তাহলে আন্দোলনকারীরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।
আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে আট রাজনৈতিক দলের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সংকট মেটানোই প্রথম পরিচিত পথ দাবি করেছিলেন—কিন্তু সরকার সেই সুযোগকে অগ্রাহ্য করে রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে। ফলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা স্তব্ধ হয়েছে এবং তা সরকারের নীতিনির্দেশের বিরুদ্ধে চলে গেছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তারা জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ও তার ওপর গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
রেজাউল করীম বলেন, “জুলাই সনদ তৈরি হয়েছে এই দেশটাকে সুন্দর করার লক্ষ্যে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই ওই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া প্রয়োজন। যদি জুলাই সনদের ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন করা হয়, সেটি হবে অবৈধ। এই দাবির সপক্ষে দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিশেষ করে ছাত্র ও জনতা ঐক্যবদ্ধ আছে।’’
বক্তৃতায় চরমোনাই পীর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যখন বিদেশ সফরে গিয়েছিল, তখন দেশের তিনটি উল্লেখযোগ্য দল— জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও এনসিপিকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে তিনি প্রশ্ন করেন, যদি কর্তৃপক্ষ সত্যিই আইনি ভিত্তি গঠন করতে চায়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের আগে কেনই বা গণভোটের ব্যাপারে দ্বন্দ্ব চলছে। তার মতে, বিষয়টি এখন জনসমক্ষে পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য অনস্বীকার্য নয়।
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম কঠোর ভাষায় সতর্ক করে বলেন, যারা ফ্যাসিস্ট চরিত্র ধারণ করে ক্ষমতা রক্ষা করতে চায়, তাদের জন্য আর পালানোর জায়গা নেই। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন পূর্বে অনেকে দেশে না থেকে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছিল। আজ তাদের পালানোর পথ আরও সংকীর্ণ। তিনি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে যোগ করেন, যারা দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি ও টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন।
চরমোনাই পীর জানান, তারা বাংলার সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
S
বছরের কম সময়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪০ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবেন স্টারমার
