রাজনীতি
বিএনপির কূটনীতি ও ভারত প্রসঙ্গে যা বললেন তারেক রহমান
ডিজিটাল দর্পণ ডেস্ক
Published
1 month agoon
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমান বলেছেন, এখন তারা (ভারত) যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও বিবিসি বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোলের নেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করা হয়।
কূটনীতির প্রসঙ্গে তারেক রহমানকে প্রশ্ন করা হয়, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তবে কূটনীতির ক্ষেত্রে বিএনপির মূলনীতি কী হবে?—জবাবে তারেক রহমান বলেন, গুড কোশ্চেন। বিএনপির মূলনীতি একটাই, সবার আগে বাংলাদেশ। কূটনীতির ক্ষেত্রে বিএনপির নীতি সবার আগে বাংলাদেশ। আমার জনগণ, আমার দেশ, আমার সার্বভৌমত্ব। এটিকে অক্ষুণ্ণ রেখে, এটি স্বার্থ বিবেচনা করে, এই স্বার্থকে অটুট রেখে বাকি সবকিছু।
এটাকে বৈশ্বিক রাজনীতির একটা প্রভাব বলা যায়? কারণ আপনি যদি বিভিন্ন দেশে দেখেন, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও আমেরিকা ফার্স্ট একটা স্লোগান দিয়ে এসেছিলেন?—এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, না, ওদেরটা ওরা বলেছে, আমি ভাই বাংলাদেশি। আমার কাছে বাংলাদেশের স্বার্থ বড়, আমার কাছে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ বড়। কাজেই কে কি বলল… সবার আগে বাংলাদেশ, সিম্পল, কমপ্লিকেট (জটিল) করার কিছু নাই,
বিগত সরকারের সময় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে যেই সম্পর্ক ছিল, সেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। তো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আপনাদের নীতি কী হবে?—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমার মনে হয়, আপনি একটু আগে যে প্রশ্নগুলো করেছেন, সেখানে বোধহয় আমি ক্লিয়ার করেছি পুরো ব্যাপারটা। সবার আগে বাংলাদেশ। এখানে তো আপনি পার্টিকুলার (সুনির্দিষ্ট) একটি দেশের কথা বলেছেন।
এখানে ওই দেশ বা অন্য দেশ তো বিষয় না। বিষয় হচ্ছে, ভাই বাংলাদেশ আমার কাছে আমার স্বার্থ, আমি আগে আমার দেশের মানুষের স্বার্থ দেখব, আমার দেশের স্বার্থ দেখব। ওটাকে রেখে আপহোল্ড করে আমি যা যা করতে পারব, আমি তাই করব।
বাংলাদেশের স্বার্থ আপনারা সবার আগে নেবেন, সেটা আপনি পরিষ্কার করেছেন। ভারতের কথা বিশেষভাবে আসছে যেহেতু সেটি বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ এবং বাংলাদেশের তিন পাশেই এই দেশটির সীমান্ত রয়েছে এবং এটি নিয়ে আপনিও জানেন যে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও কথা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সময় তো সম্পর্ক নিয়ে বললামই সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত বা কেমন থাকা প্রয়োজন- এ নিয়ে আপনার চিন্তা কি?
তারেক রহমান বলেন, অবশ্যই আমি আমার পানির হিস্যা চাই। অবশ্যই আমি দেখতে চাইনা না যে, আরেক ফেলানী ঝুলে আছে। অবশ্যই আমরা এটা মেনে নেব না।
বাংলাদেশের স্বার্থের প্রসঙ্গে আপনি বলছেন যে, পানির হিস্যা চাওয়া এবং সীমান্ত হত্যার বিষয়টি নিয়ে আপনারা সোচ্চার থাকবেন?—তারেক রহমান বলেন, না না, আমি উদাহরণ দিয়ে বললাম। দুটো উদাহরণ দিয়ে বুঝালাম আপনাকে, যে আমাদের স্ট্যান্ডটা কী হবে। আমরা আমাদের পানির হিস্যা চাই। অর্থাৎ আমার দেশের হিস্যা, মানুষের হিস্যা আমি চাই, হিসাব আমি চাই।
আমার যেটা ন্যায্য সেটা আমি চাই। অবশ্যই ফেলানী হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, আমার মানুষের ওপরে আঘাত এলে অবশ্যই সেই আঘাতকে এভাবে আমি মেনে নেব না।
একটা বিষয় যদি বলি, পাঁচই অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবং আপনিও জানেন যে, শেখ হাসিনা দিল্লিতে গেছেন এবং সেখানে আছেন। ভারতের সঙ্গে একটা সম্পর্কের শীতলতা দেখা গেছে, গত এক বছর ধরে। যেমন ধরুন সেটি যাওয়া আসার ক্ষেত্রে ব্যবসার ক্ষেত্রে নানা রকম, সেই ক্ষেত্রে কী কোনো পরিবর্তন আপনার সরকারে এলে হবে বা পরিবর্তনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন, এমন কোনো চিন্তা কি আপনাদের আছে?
তারেক রহমান বলেন, এখন তারা যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। এটা বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সঙ্গে শীতল থাকবে। সো, আমাকে আমার দেশের মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে।
S
You may like
-
ছোটবেলা থেকেই খালেদা জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছি
-
কিছু দল জোরপূর্বক দাবি আদায় করতে চায় : আমীর খসরু
-
ফেব্রুয়ারির পর নির্বাচন মানুষ মেনে নেবে না : মির্জা ফখরুল
-
৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল
-
৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
-
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় স্থান পাননি আলোচিত অনেক নেতা
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো: রেজাউল করিম বাদশা ও দৈনিক বগুড়ার সম্পাদক ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার বিকেলে তাকে দেখতে হাসপাতালে যান বগুড়া শহর জামায়াতের আমীর ও বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল।
এ সময় তার সাথে ছিলেন শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আলমগীর হুসাইন, প্রচার সম্পাদক অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন সহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ রেজাউল করিম বাদশার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন ও রোগ মুক্তি কামনা করে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করেন। অপরদিকে, রেজাউল করিম বাদশার রোগ মুক্তি কামনা করেছেন জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও দৈনিক সাতমাথা পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন।
S
রাজনীতি
আ.লীগের লকডাউন ঠেকাতে এক হাসনাত আবদুল্লাহই যথেষ্ট: নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী
Published
2 hours agoon
নভেম্বর ১২, ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)র মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, শুনলাম কাল নাকি আওয়ামী লীগের লকডাউন। কালকে সব দল মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগকে মাঠে ঠেকানোর জন্য তো আমাদের এক হাসনাত আবদুল্লাহই যথেষ্ট। হাসনাত আবদুল্লাহ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কক মিলনায়তনে স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের যৌথ মঞ্চ ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এনসিপির এক হাসনাত আবদুল্লাহ এই বাংলাদেশে যথেষ্ট। এটা নিয়ে আমাদের কোনো টেনশন নেই। আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে মরণ হয়ে গিয়েছে। এখন কিছু দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, দেশবাসীর এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আওয়ামী লীগের মামলা তুলে নেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গে নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আরেকটি খবর এসেছে—আওয়ামী লীগের নাকি মামলা তুলে নেওয়া হবে। মামলা তো তুলেই নিয়েছে গত এক বছর টাকার বিনিময়ে। নতুন করে আর কী তুলবেন? বিএনপি গত এক বছরে যে মামলা বাণিজ্য করেছে, সেগুলোর স্বীকৃতি মির্জা ফখরুল দিলেন, তাদেরকে জায়েজ করে নিলেন।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি এবং মামলা বাণিজ্য— এই দুইটা ছাড়া গত এক বছরে বিএনপির ইতিহাসে আর কোনো কাজ লেখা নেই। বিএনপির যদি এক বছরের সফলতা বলেন, তাদের দুইটা সফলতা— একটা হলো চাঁদাবাজি, আরেকটা হলো মামলাবাজি। এই দুইটা নিয়ে তারা জনগণের সামনে গিয়ে ভোট চাইবে। ভোট নয়, মানুষ তাদেরকে জুতা দেবে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমরা একটু বিভাজন দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু বাংলাদেশের সার্বভৌম, গণতন্ত্র ও অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য বর্তমান যে পরিস্থিতি রয়েছে, এই পরিস্থিতিতে সব দলকে একসঙ্গে হতে হবে। সব দল একসঙ্গে হয়ে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে রক্ষা না করে, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দুর্গতি রয়েছে।
S
রাজনীতি
মির্জা ফখরুলের বক্তব্য জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা
Published
9 hours agoon
নভেম্বর ১২, ২০২৫
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে, সকল মামলা তুলে নেওয়া হবে।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি ছাত্র-জনতার কাছে এ বক্তব্যের জন্য ফখরুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ও ফ্যাসিবাদী শক্তি। লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না করে ফ্যাসিবাদের প্রবক্তা শেখ মুজিবই প্রথম গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে বাকশাল কায়েম করেন, যেখান থেকে বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের যাত্রা। তারই ধারাবাহিকতায় নানাভাবে বিগত দেড় দশক ধরে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগই গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন ও বিরোধী মত দমনের মাধ্যমে দেশে সেই ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদ কায়েম করেছে এবং জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালিয়ে এই ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি তারা অতীতের ন্যায় আবারও দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা শুরু করেছে। সুতরাং গণহত্যায় জড়িত কাউকে ক্ষমা করার কোনো প্রশ্ন তো আসেই না; বরং ছাত্র-জনতা এই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটিতে আর দেখতে চায় না।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অথচ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বেশ কয়েক মাস ধরে নানা কৌশলে অনেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে পুনরায় প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। এ ছাড়া পূর্বেও ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে তার এ ধরনের বক্তব্য আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। অথচ তিনি বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন।’
দলীয় নীতিনির্ধারকের আসনে বসেও এমন বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি দলীয়ভাবে বিএনপির অবস্থানকেই ইঙ্গিত করছে কি না সব ছাত্র-জনতার কাছে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উপস্থাপনের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
‘দুই মাস ফোন ব্যবহার করিনি, মানুষের মন্তব্য পড়ি না’
বিএনপি নেতা বাদশা কে দেখতে শহর জামায়াত নেতৃবৃন্দ
