Connect with us

জাতীয়

আমরা অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবো, ইসরায়েলি হামলায় পিছপা হবো না

Digital Darpan

Published

on

ফ্রিডম ফ্লোটিলার যাত্রী, আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম জানিয়েছেন, তারা অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবেন এবং ইসরায়েলি হামলায় কোনোভাবেই পিছপা হবেন না।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ফ্রিডম ফ্লোটিলার বহর সমুদ্র থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।

ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেন, আমরা গতকাল ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম। তবে এখন ঝড় কিছুটা কমেছে। ক্যাপ্টেন দ্রুতগতিতে জাহাজ নিয়ে ঝড়ের আগে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমরা বর্তমানে ফ্লোটিলার শেষ অংশে রয়েছি। আমাদের আগে যেসব নৌযান ছিল, তারা ইতোমধ্যে গাজার কাছাকাছি চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে ইসরায়েলি হানাদাররা আক্রমণ চালিয়েছে। তবে আমরা এখনো সেই স্থানে পৌঁছাইনি। সমুদ্রে একটি তুরস্কের নৌযান দেখেছিলাম, যদিও তারা দূরে অবস্থান করছিল। আজ আমরা আরও কাছাকাছি যাবো। অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবো। ইসরায়েলি হামলায় আমরা কোনোভাবেই পিছপা হবো না।

শহিদুল আলম জানান, সমুদ্র এখনো উত্তাল এবং ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি ও বিদ্যুতের ঝলকানি কমে এসেছে। আমরা আমাদের পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীদের উদ্যোগ, যার লক্ষ্য ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভেঙে সরাসরি গাজায় ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছানো। এই অভিযান প্রথম বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে ২০১০ সালে, যখন তুরস্কের মারমারা জাহাজে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কয়েকজন নিহত হন। এরপর বিভিন্ন সময়ে নানা দেশের শান্তিকর্মীরা একই উদ্দেশ্যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।

সেপ্টেম্বরে স্পেন থেকে প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর যাত্রা শুরু করেছে এবং এতে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক ও সাংবাদিকরা। যেখানে আছে প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তারা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও অবরোধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলতে চান। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার থেকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বহরে থাকা নৌযান আটক করতে শুরু করে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এসব নৌযান অবরোধের আওতায় থাকা জলসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, ইতোমধ্যে অন্তত ৩৯টি জাহাজ ও নৌযান আটক করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজও আছে।

এদিকে ফ্লোটিলার ট্র্যাকিং সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৫টি নৌযানের মধ্যে ৩০টিরও বেশি আটক হয়েছে বা আটক করার চেষ্টা চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

S

জাতীয়

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে আজ-কালের মধ্যেই চিঠি যাবে

Published

on

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে চিঠি দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে চিঠি দেওয়া হবে। আজ রাতে বা কাল সকালে এই চিঠি যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগে হাসিনাকে ফেরাতে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেই চিঠির জবাব আসেনি। তবে এখন তো পরিস্থিতি আরেকরকম। এখন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের (ভারত) সঙ্গে আমাদের চুক্তিও আছে। তাকে ফেরত আনতে অফিসিয়ালি আমরা চিঠি দেব।

বন্দি বিনিময় চুক্তিতে কোনো ফাঁক আছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আইনি ফাঁক আছে কি না, আমি বলতে পারব না, এটা আইন বিশেষজ্ঞরা বলবেন। যারা আইন নিয়ে কাজ করেন, আপনারা তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন।

হাসিনাকে ফেরাতে চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া কী হবে- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এখানে তাদের মিশনে দেওয়া হতে পারে। আবার ভারতে আমাদের মিশন থেকে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হতে পারে।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বৈঠকে হাসিনাকে ফেরত চাইবেন কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা তার বিষয়। তিনি চাইলে বিষয়টি উঠাতে পারেন। আমি এ নিয়ে বলতে চাই না।

হাসিনাকে ফেরত না দিলে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সেটা তখন দেখা যাবে। এটা নিয়ে অনুমান নির্ভর কিছু বলা ঠিক হবে না।

S

Continue Reading

জাতীয়

জুলাই গণহত্যায় জাপা ও ১৪ দলকে অভিযুক্ত করার দাবি শহীদ স্বজনদের

Published

on

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক ভূমিকা তদন্ত করে জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতরা। তাদের অভিযোগ, সহিংসতা শুধু ব্যক্তি বা প্রশাসনিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি ছিল সংগঠিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল, যার দায় আরও বিস্তৃত।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব কথা বলেন।

শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার যে দানবতা আমরা দেখেছি, তার জন্য শুধু ব্যক্তি নয়, তার দল আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করা উচিত। এজন্য ফ্যাসিস্ট বলা হলেও কম বলা হয়। এই দল জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছে। রাষ্ট্রকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের দমনে যারা রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছে, জাতীয় পার্টি হোক বা ১৪ দল, তাদের ভূমিকা তদন্ত হওয়া উচিত। রাজনৈতিকভাবে যারা এই ঘটনার পেছনে ছিল, আগামী সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু রায় চাই না, রাজনৈতিক দায়ও নির্ধারণ চাই। যারা হত্যার পরিবেশ তৈরি করেছে, তাদের আইনি ও রাজনৈতিক জবাবদিহি হওয়া দরকার।

মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফাঁসি যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়, এটাই আমাদের দাবি। আর মামুনের যে মাত্র পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে, আমরা তা মেনে নেইনি। কমপক্ষে যাবজ্জীবন আশা করেছিলাম। আদালত যেন এটি পুনর্বিবেচনা করেন, আপিলের মাধ্যমে হলেও।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় শহীদ মিরাজের বাবা আব্দুর রব বলেন, আমরা কোনো ব্যক্তি নয়, পুরো ঘটনার বিচার চাই। আওয়ামী লীগ যেভাবে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে, সেটা শুধু একজন নেতার সিদ্ধান্ত হতে পারে না। জাপা ও ১৪ দল সে সময় যেভাবে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেই রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া এত বড় গণহত্যা সম্ভব ছিল না। আমরা চাই তাদের ভূমিকারও বিচার হোক।

তিনি আরও বলেন, আজকে তিনজনের সাজা হলো, ঠিক আছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিবেশ তৈরি করেছে, সেই দায়ও সমান। যারা জোটবদ্ধ হয়ে সরকারকে রক্ষা করতে মাঠে নেমেছিল, তাদের বিচারের আওতায় না আনা হলে এই বিচার অসম্পূর্ণ থাকবে।

রায়ের পর আদালতপাড়ায় জড়ো হওয়া শহীদ পরিবার ও জুলাই আহতরা জানান, ব্যক্তিগত শাস্তি ঘোষণায় তারা স্বস্তি পেলেও রাজনৈতিক বিচার ও সংগঠিত দায় নির্ধারণের দাবি এখনো পূর্ণ হয়নি।

S

Continue Reading

জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে জুলাই প্রজন্মের বিজয় হয়েছে : ডাকসু ভিপি

Published

on

গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণাকে জুলাই বিপ্লবের বিজয় বলে দাবি করেছেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। তবে একই মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছরের সাজায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তার অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাদিক কায়েম বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। জুলাই বিপ্লবের পর ১৬ বছর ধরে এই দেশে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল, সেই শক্তির শেকড় আজ বিচারকের রায়ে ভেঙে গেছে।

তিনি দাবি করেন, গত ১৬ বছরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং চল্লিশ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া থেকে শুরু করে সারা দেশে গণহত্যার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাদিক বলেন, শহীদ আনাস, শহীদ সাঈদ থেকে শুরু করে হাজারো ভাই-বোনের স্বপ্ন আজ আংশিক পূরণ হলো। এই রায়ের মাধ্যমে জুলাই প্রজন্মের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে।

তবে একই মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছরের সাজায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। সাদিক বলেন, যে মাত্রার অপরাধ তিনি করেছেন, তার শাস্তি এই নয়। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে রায়ের পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাব।

তিনি আরও বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড রায় সঠিক হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।

হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরাতে ইন্টারপোলসহ সব আন্তর্জাতিক আইনি মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে, বলেন সাদিক কায়েম।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত কর্মকর্তা, শহীদ পরিবার এবং আন্দোলনের সব অংশীজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। জুলাইয়ের চেতনা প্রকাশ্যে এসেছে।

S

Continue Reading