Connect with us

Uncategorized

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় জামায়াত

Digital Darpan

Published

on

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন মিশনের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চায় জামায়াত। এজন্য নির্বাচনী প্রস্তাব ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মাধ্যমেই নির্বাচন হতে হবে। তবেই এবারের নির্বাচন ফেয়ার, ফ্রি ও ক্রেডিবল হবে।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব তথ্য জানান।

গোলাম পরওয়ার বৈঠক সম্পর্কে বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেই ব্যাপারে তারা বাংলাদেশে এসেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।

২০০৮ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনগুলো মনিটর করার ইতিহাস তুলে ধরা হয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই ইলেকশন অবজারভেশন টিমকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, তারা আগামী নির্বাচনে ৬৪টি জেলায় নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করতে চান। এ পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর আমির জানতে চান, কীভাবে তারা পর্যবেক্ষণ করবেন। তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন টিম জানান, তাদের একজন করে প্রতিনিধি প্রত্যেক জেলায় পর্যবেক্ষণে যাবেন, আর একটি টিম সব জায়গায় মুভ করবেন। নির্বাচনের পর তাদের নির্বাচন অবজারভেশনের ব্যাপারে খুঁটিনাটি দেশবাসীর সামনে রিপোর্ট আকারে পেশ করবেন। তারা প্রফেশনালিজম, নিরপেক্ষতা ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করার কথা জানান।

নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট ও কারিগরি সহযোগিতা যতটুকু দেওয়া সম্ভব, সেজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন টিমের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন জামায়াত আমির।

তাদের আলোচনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের চর্চার বিষয়টিও উঠে এসেছে। এ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী এ দেশে নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাসী। জামায়াত একটি নির্বাচনমুখী দল। দলের মধ্যেও গণতান্ত্রিক চর্চা আছে। নির্দিষ্ট মেয়াদে দলের আমির নির্বাচন হয়। এ বছরই দলের আমিরের পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আবারও আগামী অক্টোবর থেকে ইলেক্টোরাল পদ্ধতিতে আমির নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

প্রতিনিধি দল জানতে চেয়েছেন যে, দলের প্রার্থী কীভাবে সিলেকশন করা হচ্ছে? এ ব্যাপারে জামায়াত আমির বলেন, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতেই তা করা হয়। দল ও দলের বাইরে গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী সিলেকশন করা হয়।

বৈঠকে প্রবাসীদের ভোট ও ভোটাধিকার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন টিম। তখন জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, জামায়াতই প্রথম এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিয়ে দাবি তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন বরাবর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার তা গ্রহণ করে ইতোমধ্যে প্রবাসীরা যাতে ভোট দিতে পারেন, সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন টিম জানতে চেয়েছেন, জামায়াতে ইসলামী যদি আগামীতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পায়, তাহলে মূল এজেন্ডা কী হবে? এ ব্যাপারে জামায়াত আমির তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নৈতিকতা, উৎপাদনমুখী, টেকনিক্যাল, দক্ষতা, বৈষয়িক, মানবিক— সব দিক থেকে নাগরিকরা যোগ্য হতে পারে, সে ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয়ত, করাপশন ফ্রি সোসাইটি গড়ে তোলা হবে। সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতি চেপে বসেছে। জামায়াতে ইসলামী দায়িত্ব পেলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা হবে। তৃতীয়ত, সোশ্যাল জাস্টিস। সামাজিক ন্যায়বিচারের দারুণ সংকট আমাদের সমাজে রয়েছে।

বিগত ১৫ বছরে সরকারের কারণে কীভাবে মানুষ বঞ্চিত হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে, জামায়াতের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করা হয়েছে, ভিন্নমতের ওপর জুলুম করা হয়েছে, নিজেসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে উল্লেখ করেন জামায়াত আমির।

২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন টিম এসেছিল। তখন জামায়াতে ইসলামীর আমির, সেক্রেটারিসহ অনেকেই কারাগারে ছিলেন। দলের পক্ষে নায়েবে আমির ডা. তাহের ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন ডেলিগেশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজনে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান জানতে চাইলে আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনে যেতে চাই আমরা। এজন্য আমাদের নির্বাচন প্রস্তাব, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মাধ্যমেই এই নির্বাচন হতে হবে। তবেই নির্বাচন ফেয়ার, ফ্রি ও ক্রেডিবল হবে।

জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারে দেশ ও দেশের বাইরে মিস-ইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন প্রচার হচ্ছে, তা তুলে ধরা হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন টিম তা স্বীকার করেছেন। এছাড়া নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে কারিগরি সহযোগিতা করবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আগামী মাসে নির্বাচনী তফসিলের আগে আরেকবার আসবেন ইউরোপীয় এ প্রতিনিধি দল। সে সময় তারা রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলে জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম পরওয়ার বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে তারা কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করেননি। বিএনপির প্রসঙ্গ তারাও তোলেননি, আমরাও তুলিনি।

বৈঠকে জামায়াত আমির ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের মেডিকেল থানার আমির ডা. এসএম খালিদুজ্জামান এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।

S

Uncategorized

রাকসু নির্বাচনে ৬৯.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে

Published

on

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৯ জন। এর মধ্যে ভোট কাস্ট হয়ছে ২০ হাজার ১৮৭টি। সেই হিসেবে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে সৈয়দ আমির আলী হলে ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে বেগম রোকেয়া হলে ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

কোন হলে কত ভোট পড়েছে

ছেলেদের হলগুলোর মধ্যে শেরে বাংলা ফজলুল হক হলে ভোটার ৯৯৩ জন। ভোট দিয়েছেন ৭৩৪ জন। ভোটার উপস্থিতি ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। শাহমখদুম হলের ১ হাজার ৪০৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৯৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ৭৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।

নবাব আব্দুল লতিফ হলের ভোটার ১ হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে ৭৭০ জন ভোট দিয়েছেন। এ হলের ভোটার উপস্থিতি ৬৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। সৈয়দ আমির আলী হলের ১ হাজার ২৩৩ জন ভোটারের মধ্যে ৯৫৯ জন ভোট দিয়েছেন। ভোট পড়ার গড় হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সৈয়দ শামসুজ্জোহা হলের ২ হাজার ৪৪৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৭৫০ জন। ভোটার উপস্থিতি ৭৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সৈয়দ হবিবুর রহমান হলের ২ হাজার ৪৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৭৫০ জন। ভোটার উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এদিকে মতিহার হলের ভোটার ১ হাজার ৮৭১ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৭০ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটার উপস্থিতি ৭৩ দশমিক ২২ শতাংশ। মাদার বখশ হলের ১ হাজার ৮৭৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৩৩৮ জন। এখানে ভোটার উপস্থিতি ৭১ দশমিক ২৫ শতাংশ। শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৯৬৩ জন। এরমধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৪০৭ জন। ভোটার উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ভোটার ১ হাজার ৮৬২ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৪৫ জন ভোট দিয়েছেন। এ হলের ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। বিজয়-২৪ হলের ১ হাজার ৫২৯ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ১২৯ জন ভোট দিয়েছেন। ভোট পড়ার হার ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

মেয়েদের হলগুলোর মধ্যে মন্নুজান হলের ভোটার ২ হাজার ৩৮১ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৯৮ জন ভোট দিয়েছেন। ভোট পড়ার হার ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশ। বেগম রোকেয়া হলের ২ হাজার ১৭৩ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ২৯৫ জন। ভোট পড়ার হার ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

তাপসী রাবেয়া হলের ভোটার ১ হাজার ২৪১ জন। এর মধ্যে ৭৯০ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটার উপস্থিতি ৬৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বেগম খালেদা জিয়া হলের ভোটার ১ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ৭৮৪ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটার উপস্থিতি ৬১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

রহমতুন্নেসা হলের ভোটার ১ হাজার ৭৬৬ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৭২ জন ভোট দিয়েছেন। ভোট পড়ার হার ৬০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর জুলাই-৩৬ হলের ২ হাজার ৪৭২ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৬৫৩ জন। এ হলের ভোটার উপস্থিতি ৬৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এর আগে সকাল ৯টায় একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি ভবনে স্থাপন করা ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ব্যালট বক্সগুলো নিয়ে আসা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। সেখানে ভোট গণনা করা হবে।

S

Continue Reading

Uncategorized

পিআর ইস্যুতে আন্দোলনের লক্ষ্যই হচ্ছে নির্বাচন বিলম্বিত করা : ফখরুল

Published

on

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলনের লক্ষ্যই হচ্ছে নির্বাচন বিলম্বিত করা, যা জনগণ গ্রহণ করবে না।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথা তিনি। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির উদ্যোগে ডেমোক্র্যাটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভা হয়।

তিনি বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছে এবং যেটার জন্য তারা আন্দোলন করছে। এর লক্ষ্য একটাই, সেটি হচ্ছে নির্বাচন বিলম্বিত করা, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পিআর পদ্ধতি এই দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তো আমরা স্পষ্ট করে বলেছি। এখন বলছি, জনগণই এই পদ্ধতি গ্রহণ করবে না, চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু এদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।

তিনি বলেন, একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমরা খুব দ্রুত অর্থাৎ যে কমিটমেন্টটা আছে এই সরকারের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই নির্বাচন হবে। আমরা সেটাই দেখতে চাই। জনগণ নির্বাচন দেখতে চায়। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায় এবং গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই জনগণ তাদের আশা আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করতে চায়।

নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জানি যে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যেকোন দল জয়ী হতে পারে জনগণের ইচ্ছার ওপর। কিন্তু সেই দলকেই জনগণ বেছে নেবে। যে দল পরীক্ষিত অতীতে যারা পরীক্ষা দিয়েছে অর্থাৎ সরকারে ছিল কাজ করেছে। যেই দল মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে, যেই দল অন্ধকার থেকে আলোতে টেনে নিয়ে এসেছে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই এই দেশে প্রথম সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন করেছিলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথম এই দেশের সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস এই কথাটি রেখেছিলেন। এখন কিছু দল সেগুলোকে বিকৃত করে বিভিন্নভাবে এই বিএনপিকে চিত্রায়িত করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, যারা বয়স কম তারা জানে না, যাদের বয়স একটু বেশি তারা দেখেছেন ১৯৭৫ সাল নভেম্বর কী অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জি রহমানের নেতৃত্বে এই দেশের মানুষ সেই ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বেরিয়ে এসে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য নতুন করে তখন স্বনির্ভর বাংলাদেশ তৈরি করার কাজে ঝাপিয়ে পড়েছিল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঠিক একইভাবে আজকে আবার আমরা সবাই এক হয়েছি। এক হয়েছি আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে, আমরা অবশ্যই বাংলাদেশকে আবার একটা স্বনির্ভর, আত্মমর্যাদা সম্পন্ন একটি বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, সেই বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই।

অনেক ষড়যন্ত্র

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র আছে, চক্রান্ত আছে। সমস্ত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত পরাজিত করার শক্তি বাংলাদেশের মানুষের আছে।

তিনি আরও বলেন, এই সামনের যে পরীক্ষা সেই পরীক্ষা কঠিন পরীক্ষা। প্রতিদিন আপনাদের এই ইউটিউব, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকম সত্য-মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

একাত্তর মুছে ফেলা যাবে না

মির্জা ফখরুল বলেন, কিছুসংখ্যক মানুষ চেষ্টা করে আমাদের ১৯৭১ সালের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে। এটাও সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছিল বলেই আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম, স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই আজকে আমরা নতুন রাষ্ট্রের নতুন চিন্তা করতে পারছি, স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই কিন্তু আমরা আজকে এই বাংলাদেশকে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করার যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামে অংশ নিতে পারছি।

তিনি বলেন, আমরা লড়াই করেছি, যুদ্ধ করেছি। আমাদের মধ্যে এখানে অনেকে আছেন যারা সেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোতে অংশ নিয়েছেন, এই চব্বিশে অংশ নিয়েছেন। আমরা সবাই এই যুদ্ধগুলোতে অংশ নিয়েছি। শুধু একটামাত্র লক্ষ্য যে, আমরা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ একটা বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেই কথাটি মাথায় রেখে আমরা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যাই।

আলাউদ্দিনের চেরাগ নয়

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স এক বছর ৪ মাস হয়েছে। এই ১৪ মাসে রাতারাতি আলাউদ্দিনের চেরাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটা খুব সুন্দর বানিয়ে ফেলবে এই আশা জনগণ করে না এই সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু প্রক্রিয়াটা শুরুটা চায়… চায় যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হোক যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাবো।

তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন, যে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব তিনি তার একটা ইন্টারভিউ একটা সাক্ষাৎকার বিবিসিতে। সেখানে তিনি এই প্রশ্নগুলো তুলে ধরেছেন এবং কীভাবে তিনি দেশের সমস্যার সমাধান করতে চান সেই সমস্যাগুলো তিনি তুলে ধরেছে… সেই কথাগুলো তিনি বলেছেন, ফিন্যাশনাল টাইমসেও তিনি একইভাবে কথাগুলো বলেছেন।

বেকার সমস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে বিএনপি ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করেছে এবং ‘অনেক কাজ সম্পন্ন’ করে রাখা হয়েছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাগপার খন্দকার লুফুর রহমান, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, সাম্যবাদী সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদিকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

S

Continue Reading

Uncategorized

শহিদুল আলমসহ নৌবহর থেকে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে নিয়েছে ইসরায়েল

Published

on

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ গাজা অভিমুখী নৌবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলা থেকে আটক অধিকারকর্মীদের একটি অংশকে ইসরায়েল কেৎজিয়েত কারাগারে স্থানান্তর করেছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং ইসরায়েলের আরব সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা আদালাহ’র বরাত দিয়ে দৃক এ তথ্য জানিয়েছে।

দৃক এক বিবৃতিতে বলেছে, “ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ও আদালাহ’র মাধ্যমে আমরা জেনেছি, শহিদুল আলমসহ সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও নাবিকদের সবাইকে কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফ্লোটিলার সদস্যরা জানিয়েছেন, জাহাজ দখলের পর থেকে তারা ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত কেৎজিয়েত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় আটককেন্দ্র। সেখানে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গতকাল বুধবার ওই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যান ইসরায়েলি সেনারা।

‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ আজ বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ইসরায়েল বেআইনিভাবে ফ্লোটিলা থেকে ১৪৫ জনকে আটক করেছে। তাদের অনেককে কেৎজিয়েতে মারধর ও অপদস্থ করা হয়েছে। আদালাহ’র আইনজীবীরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পোস্টে আরও বলা হয়, আজই আটক ব্যক্তিদের মুক্তি বিষয়ে আদালতে শুনানি হতে পারে। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের পূর্ণ আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে।

গত বুধবার ইসরায়েলি বাহিনী নৌবহরটিতে আক্রমণ করে এবং সেখানে থাকা অধিকারকর্মী ও নাবিকদের আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদের আশদোদ বন্দরে নিয়ে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়।

S

Continue Reading