ক্যারিয়ারে বড় পর্দায় ডেবিউ করেই একের পর এক সাফল্য দেখতে চলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। মাকসুদ হোসেন পরিচালিত ছবি ‘সাবা’ তে-ই প্রথম অভিনয় তার। ছবিটি যে রীতিমতো অভিনেত্রীর কপাল খুলে দিয়েছে, তা আর বলার বাকি রাখে না।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব দাপিয়েছে মেহজাবীনের এই ছবিটি। প্রথমে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, এরপর বুসান উৎসব। ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবের রেড সি উৎসব- এমন কোনো জায়গা বাকি নেই যেখানে ‘সাবা’র সাফল্য উঠে আসেনি।
২৬ অক্টোবর ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবা ছবি প্রসঙ্গে এক পোস্ট নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ ‘সাবা’ যখন দেখতে বসছি, তখন জানতামও না এই সিনেমা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে আমার ভিতরে! আমি বাংলাদেশি কোন সিনেমায় মা-মেয়ের এমন চরিত্রায়ন আগে কখনো দেখি নাই।’
‘অথচ মা-মেয়ের বলা-না বলা আদর, মায়া, জিদ, মান অভিমান, কুৎসিত ঝগড়া আমার ঘরেই কত দেখছি! ‘সাবা’ তাই এতটাই রিয়েল, এতটা মডার্ণ, এতটাই বুকে গিয়ে লাগে। কোথাও এক বিন্দু আরোপিত কিছু নাই।’
এই ছবিতে কেউ অভিনয়ই করে নাই উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘প্রতিটা দৃশ্য, প্রতিটা চরিত্র, চরিত্রের সরলতা, জটিলতা, তাদের ছোট ছোট চাওয়া পাওয়া, ছোট ছোট খুশি, ভিতরে থেকে যায়। এই ছবির Humorও কত ভালো! এই ছবির সবকিছু ভাল, সবকিছু। এই ছবিতে কেউ অভিনয়ই করে নাই।’
তার কথায়, ‘না মেহজাবীন, না রোকেয়া প্রাচী, না মোস্তফা মনোয়ার, না মেহজাবীনের কাজিন চরিত্রের অভিনেত্রী, এমনকি সুমন পাটোয়ারীও না। অভিনয় করে ‘সাবা’ হওয়া সম্ভব না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘শো শেষে পরিচালক মাকসুদ হোসেনকে যেমন আমি টেক্সট করেছিলাম ‘এই ছবি তুমি লিখো নাই, এই ছবি তুমি বানাও নাই, এই ছবি পলাশ শুটও করে নাই। এই ছবি শুধু ‘হয়ে গেছে’। তোমরা ভাগ্যবান, সামনে বসে বসে হতে দেখছো।’ আসলে গুছায়ে লিখতেও পারতেছিনা। এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।’
শেষে বলেন, ‘শুধু এইটুকুই বলি সাবা -এর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ, আপনারা আবারও আমার মধ্যে সিনেমার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুললেন। জীবনকে নতুন করে ভালোবাসতে শেখানোর জন্য ধন্যবাদ। আপনারা সত্যিই অসাধারণ, আর আপনাদের কারণেই আমি আবার নিজেকে ধন্য মনে করছি।
S