Connect with us

রাজনীতি

পিআরের মাধ্যমে দলীয় স্বৈরতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হবে : সালাহউদ্দিন

Digital Darpan

Published

on

পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দলীয় স্বৈরতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আমরা সরাসরি নির্বাচনের জন্য সেই ১৯৭০ থেকে যুদ্ধ করছি যে এক ব্যক্তি এক ভোট। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টি হলো। অথচ সেই ব্যবস্থাকে আমরা অস্বীকার করার জন্য আবার পিআরের নামে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করছি। এখানে দলীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হবে ব্যক্তি স্বৈরতন্ত্র।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘বাংলাদেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব: অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নাকি রাজনৈতিক অস্থিরতার পথে অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল’ স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটরিয়ামে এ আয়োজন করা হয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বলা হয়েছিল নির্বাচনে প্রত্যেক দল প্রার্থীর প্রার্থিতা ঘোষণা করবে। প্রত্যক্ষভাবে মনোনয়ন দেবে। এরপর বিধিবিধান অনুযায়ী তারা নির্বাচন করবেন। জনগণ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বা প্রতীক দেখে ব্যক্তি বিবেচনায় ভোট দেবেন। এটা জনগণের অধিকার। যদি পিআরের কথা বলা থাকে তাহলে এখানে বলতে হবে যে স্বৈরতন্ত্রের অবসানের জন্য আমরা যে অভ্যুত্থান করলাম, সেটা কি আবার প্রতিষ্ঠিত হবে না?

বিএনপির এই নেতা বলেন, পিআরের মধ্য দিয়ে প্রতীককে ভোট দিলে সেই দল কাকে এমপি নির্বাচিত করবে তা জনগণ জানবে না। জানবে সেই দলের সুপ্রিম লিডার প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি অথবা মজলিসে শূরা। তারা কাকে এমপি নির্বাচিত করবে তা কোনো জনগণ জানবে না। তাহলে স্বৈরতন্ত্রটা প্রতিষ্ঠিত করল দলের নেতা। এখানে একজন বক্তা বলেই গিয়েছেন, পিআরের মাধ্যমে এমপি যদি প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি বা দল ঠিক করে তাহলে তাদেরই নমনম করা হলো। তাহলে জনগণ কোথায়। অর্থাৎ তারা যেভাবে চাইবে যাকে চাইবে সেই এমপি হবে। জনগণ যাকে চাইবে সে এমপি হবে না। জনগণ শুধু ভোট দিতে পারবে প্রতীকে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন উন্নত দেশেও পিআর রয়েছে। তবে জনসংখ্যা অনেক কম। কোনো কোনো রাষ্ট্রে জনসংখ্যার বিবেচনায়ও তারা পিআর বিবেচনা করেছে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আমরা এখনও সেভাবে গড়ে তুলতে পারিনি। কবে পারবো তাও জানি না। তো যেই দেশের আবহাওয়া যেমন, তেমই করতে হবে। তাই আমাদের সবকিছুই বিবেচনা নিতে হবে। কে আমাদের এমপি হবে তা জানতে হবে। কারণ জনগণ জানতে চায় আমরা কাকে ভোট দিলাম। কেননা আমাদের জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধির জবাবদিহিতা থাকতে হবে।

সালাহউদ্দিন বলেন, জনগণ যদি না-ই জানে ভোট দেওয়ার পর কে এমপি হবে, তাহলে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। জনগণের অধিকারও প্রতিষ্ঠা হবে না। এছাড়া পিআরের ক্ষেত্রে আরও অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এর মধ্যে দেশে সবসময় একটা অস্থিতিশীল সরকার থাকবে। সবসময় অস্থিরতা থাকবে। এতে লাভবান হবে পার্শ্ববর্তী কোনো রাষ্ট্র অথবা বাংলাদেশের যারা কল্যাণ চায় না তারা।

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী।

এ সময় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল’ স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

S

রাজনীতি

দায়সারা নির্বাচন হলে জনগণ মেনে নেবে না

Published

on

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, জুলাই সনদ ‘২৪ বিপ্লবের রক্ষাকবজ। তাই এ সনদকে কথামালার ফুলঝুড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আইনি ভিত্তি এবং সেই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। কোনো দায়সারা, প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বাড্ডা-রামপুরা জোন জামায়াত আয়োজিত এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লার সভাপতিত্বে এবং বাড্ডা উত্তর থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা কুতুব উদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।

সেলিম উদ্দিন বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের শেখ হাসিনার স্বৈরাচারি, ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক অপশাসন-দুঃশাসন থেকে মুক্তি দিয়েছে। মূলত এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। তাই আমাদেরকে এ বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করেই আগামী দিনের কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বৈরাচার কর্তৃক ধ্বংস করে দেওয়া রাষ্ট্রীয় কাঠামোর কার্যকর সংস্কার এবং গণহত্যাকারীদের বিচারের দৃশ্যমান হওয়ার পর অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতির থেকে তারা সরে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। তারা একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চায়। কিন্তু তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না, বরং গণদাবি আদায়ের মাধ্যমেই নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আমীর বলেন, দুর্নীতি আমাদের দেশের বড় সমস্যাগুলোর একটি। তাই সবার আগে দেশকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজী ও লুটপাট মুক্ত করতে হবে। জনগণ জামায়াতকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে আমরা এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করব যেখানে কেউ অপরাধ করার সাহস পাবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের নিশ্চয়তা থাকবে।

তিনি আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানান। অন্যথায় জনগণ রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।

S

Continue Reading

রাজনীতি

আপনার সামনে কঠিন অগ্নিপরীক্ষার নির্বাচন, প্রধান উপদেষ্টাকে জয়নুল আবদিন

Published

on

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দেশের মানুষ আর অশান্তি চায় না। তারা নিজের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চাইছে। গণতন্ত্রের প্রতি তাদের আস্থা আছে বলেই এখনও প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে আছে। তাই কোথাও কোনো দিকে নজর না দিয়ে চোখ-কান যেভাবে রেখেছেন, ঠিক সেভাবেই আপনি এগিয়ে যান। আপনার সামনে কঠিন অগ্নিপরীক্ষার নির্বাচন। এই কঠিন নির্বাচনে আপনি সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করুন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ঢাকাস্থ সেনবাগ ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন বলেন, আপনার আশপাশে দু-চারজন বা ২০ জনকে নির্বাচনে সম্পৃক্ত না করলে আমি মনে করি, ৯১ সালের চেয়েও আরেকটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আপনার প্রতি এ আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। তবে বিশ্বাসকে ধ্বংস করার জন্য আপনার পেছনেও লোক লেগেছে। আপনার আশপাশে বহু ষড়যন্ত্রকারী রয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যে দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংসদে যাবে, আমরা তাদের সমর্থন করবো। কিন্তু অমুক প্রতীক না দিলে নির্বাচন করব না, গণপরিষদের নির্বাচন না দিলে ভোটে যাব না- এসব কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। শেষমেশ ভোট তো করবেনই। কেননা রাজনৈতিক কৌশল আমরা বুঝি। ভোট না করলে ৩০০ প্রার্থীকে আগেই মনোনয়ন দিয়েছেন?। তাই আসুন, আমাদের ঐক্য ধরে রাখি।

পাহাড়ে অশান্তির কথা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর তিন মাস বাকি। এর আগেই পাহাড়ে অশান্তি দেখা দিয়েছে। দুর্গাপূজা ঘিরে অনেক অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার এক পূজামণ্ডপে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার মতো সম্মানিত ব্যক্তিকে অপমানিত করা হয়েছে, যা আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই আমি মনে করি, বাংলাদেশের ইতিহাস করুণ ইতিহাস। এ করুণ ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটেছে বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে। শেষ পর্যায়ে তারেক রহমানের নির্দেশে ছাত্র-জনতার বিপ্লবী আন্দোলনে সহযোগিতার কারণে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি এবং নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার হস্তান্তর পর্যন্ত করে যাবো।

তিনি বলেন, পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মাঝে একটা অনৈক্যের চেষ্টা চলছে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে বা মেনে নিতে পারছে না, তারাই এসব করছে। কেউ কেউ বলা শুরু করেছে, আওয়ামী লীগ তো নিষিদ্ধ, নির্বাচন কি করতে পারবে? এজন্য ঐক্য ধরে রাখার কোনো বিকল্প নেই। পতিতদের হাতকে কোনোভাবেই শক্তিশালী করতে দেওয়া যাবে না।

ঢাকাস্থ সেনবাগ ফোরামের সভাপতি লায়ন এবিএম ফারুকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং ফোরামের সদস্যরা।

S

Continue Reading

রাজনীতি

নিরাপদ ও নিশ্চিন্তে দুর্গাপূজা পালনের আহ্বান তারেক রহমানের

Published

on

উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে সারাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (১ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক লিখিত বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা এবং বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাদের সুখ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।

তারেক রহমান বলেন, আবহমানকাল ধরে দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রতিটি গোষ্ঠী-গোত্র-সম্প্রদায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে যার যার ধর্ম পালন করে আসছে, এটি বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য। শরতে বাংলাদেশের চারদিকে কাশফুল ও শীতের আভাস জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারের গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।

তিনি আরও বলেন, একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি মনে করি, উৎসবের ভেতর দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ এবং ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানে দল-মত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সংশয়বাদী প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

হাদিসেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়— এ ধরনের জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী উম্মতদের সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, ‘কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে, নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে, এটিই স্বাভাবিক রীতি। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সঙ্গত। শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের মতো কেউ যাতে কোনোরকম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো পরিস্থিতি কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো অপচেষ্টা করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক এবং সজাগ থাকার জন্য আমি দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, দেশের হিন্দু সম্পদায়ের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারাদেশে আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন। আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার।

সবাইকে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমি এই আনন্দময় দুর্গাপূজার উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায় এবং ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারও আমার ও আমাদের দল অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দল-বিএনপির পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানাই। একইসঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।

S

Continue Reading