Connect with us

আন্তর্জাতিক

হঠাৎ কেন জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল লাদাখ? কী চায় আন্দোলনকারীরা?

Digital Darpan

Published

on

ভারতে হিমালয়ের সীমান্ত অঞ্চল লাদাখে জেন-জি প্রজন্মের বিক্ষোভ ভয়াবহ রক্তপাতের জন্ম দিয়েছে। সাংবিধানিক সুরক্ষা ও রাজ্য মর্যাদার দাবিতে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।

সহিংস এই আন্দোলনে বিজেপির কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হিমালয়ের উচ্চভূমির শীতল মরুভূমি অঞ্চল লাদাখে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বারবারই দেখা দিয়েছে ভারত-চীন উত্তেজনা। আর সেখানেই বুধবার জেন-জি প্রজন্মের নেতৃত্বে ভয়াবহ বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ তরুণরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির আঞ্চলিক কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে।

লাদাখের আঞ্চলিক রাজধানী লেহ শহরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে অন্তত চারজন নিহত ও আরও বহু মানুষ আহত হয়। আন্দোলন সমন্বয়কারীরা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, পরে সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীরও বহু সদস্য আহত হয়েছে।

গত ছয় বছর ধরে লাদাখের মানুষ স্থানীয় সিভিল সংগঠনের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা, অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন। তাদের দাবি— রাজ্য মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সাংবিধানিক সুরক্ষা। কিন্তু বুধবার ক্ষুব্ধ তরুণরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভেঙে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।

শিক্ষক সোনাম ওয়াংচুক বহু অনশন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ভিডিও বার্তায় বলেন, “এটা তরুণদের এক ধরনের বিস্ফোরণ একটা জেন-জি বিপ্লব। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আর কাজে আসছে না বলে তারা মনে করেছে।”

তিনি এ আন্দোলনের সঙ্গে নেপালসহ সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর তুলনাও টানেন।

কীভাবে শুরু হলো সংঘর্ষ?
বুধবার সকালে লাদাখ এপেক্স বডির নেতৃত্বে স্থানীয় আন্দোলনকারীদের অনশন ১৫তম দিনে প্রবেশ করে। আগের রাতে দুই প্রবীণ অনশনকারীকে হাসপাতালে নিতে হয়। এর পর সংগঠকেরা লকডাউনের ডাক দেন। একই সঙ্গে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বিলম্বে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।

এ পরিস্থিতিতে তরুণরা আন্দোলনের কেন্দ্র মার্টিয়ার্স মেমোরিয়াল পার্ক থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সরকারি ভবন ও বিজেপি কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে চারজন নিহত, আরও অনেকে আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।

লাদাখ এপেক্স বডির সমন্বয়ক জিগমাত পালজোর বলেন, “এটা লাদাখের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। যারা রাস্তায় দাবি আদায়ে নেমেছিল, তাদের হত্যা করা হলো।”

 

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “অশান্ত ভিড়ের” সঙ্গে সংঘর্ষে ৩০ জনের বেশি পুলিশ আহত হয়েছে এবং আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। মন্ত্রণালয়ের দাবি, ওয়াংচুক আন্দোলনকারীদের উসকে দিয়েছেন।

মোদি সরকারের অভিযোগ, ওয়াংচুক বিক্ষোভকারীদের উসকে দিয়েছেন। তিনি আরব বসন্তধর্মী আন্দোলন ও নেপালের জেন-জি বিক্ষোভের উল্লেখ করে তরুণদের বিভ্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ওয়াংচুক জোর দিয়ে বলেন, তিনি কখনোই সহিংসতার আহ্বান জানাননি, বরং সতর্ক করেছিলেন যে দাবিগুলো উপেক্ষা করলে তরুণদের ক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলো কী?
২০১৯ সালে মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ও রাজ্য পদমর্যাদা বাতিল করে। তখন ওই রাজ্যের তিনটি অঞ্চল ছিল— মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মির উপত্যকা, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু এবং মুসলিম-বৌদ্ধ সমান জনসংখ্যার লাদাখ।

পরে জম্মু-কাশ্মিরকে একটি আইনসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং লাদাখকে আইনসভাহীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানানো হয়। এতে জম্মু-কাশ্মিরের জনগণ অন্তত স্থানীয় নেতাদের নির্বাচিত করতে পারে, কিন্তু লাদাখ পুরোপুরি আমলাতান্ত্রিক শাসনে চলে যায়।

লাদাখের ৯০ শতাংশ মানুষ ‘তফসিলি জনজাতি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাই তারা ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় স্বায়ত্তশাসন ও সাংবিধানিক সুরক্ষা চাইছেন, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অঞ্চলে বিদ্যমান।

কিন্তু মোদি সরকার এ পর্যন্ত রাজ্য মর্যাদা কিংবা ষষ্ঠ তফসিলের সুরক্ষা কোনোটাই দিতে রাজি হয়নি।

এর ফলে কর্মসংস্থানও কঠিন হয়ে পড়েছে। আগে জম্মু-কাশ্মির একত্রে থাকায় লাদাখের লোকজনও সেখানকার চাকরিতে আবেদন করতে পারতেন। এখন সেটা আর সম্ভব নয়। স্থানীয়রা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নীতির অস্পষ্টতার অভিযোগও করেছেন।

ওয়াংচুক বলেন, “তরুণরা পাঁচ বছর ধরে বেকার, আর তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে— এটাই সমাজে অশান্তির কারণ।”

লাদাখে সাক্ষরতার হার ৯৭ শতাংশ, যেখানে ভারতের গড় মাত্র ৮০ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩ সালের জরিপে দেখা গেছে, লাদাখের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে ২৬.৫ শতাংশ বেকার— যা ভারতের জাতীয় গড়ের দ্বিগুণ।

কেন লাদাখ গুরুত্বপূর্ণ?
লাদাখ ভারতের হিমালয় সীমান্তে অবস্থিত, চীনের সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত রয়েছে এখানে। এই অঞ্চলেই গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি গিরিপথ, বিমানঘাঁটি ও সরবরাহপথ রয়েছে, যা ভারত-চীন যুদ্ধে সামরিক দিক থেকে অপরিহার্য।

২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাতে অন্তত ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হয়। এরপর থেকে দুই দেশ সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিদ্দিক ওয়াহিদ বলেন, ২০১৯ সালে মোদি সরকারের পদক্ষেপের ফল এখন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে। আগে কাশ্মির ছিল অশান্তির কেন্দ্র, এখন লাদাখও তাতে যোগ হলো।

অতীতেও কি লাদাখে আন্দোলন হয়েছে?
হ্যাঁ। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও অনশন করেছে। ওয়াংচুক গত তিন বছরে পাঁচবার অনশন করেছেন। তার জীবন কাহিনী বলিউডের এক জনপ্রিয় সিনেমার অনুপ্রেরণা হয়ে চীনে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

যে শহীদ স্মৃতি উদ্যানে অনশন চলছিল, সেটি ১৯৮৯ সালের আগস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত তিন লাদাখির স্মৃতিতে তৈরি। তখন কাশ্মিরি আধিপত্যের অভিযোগে প্রতিবাদ হয়েছিল। এখানেই ১৯৮১ সালে তফসিলি জনজাতির মর্যাদার দাবিতে নিহত দু’জনকেও স্মরণ করা হয়।

কিন্তু বুধবারের বিক্ষোভ লাদাখের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা হয়ে রইল।

সরকারি আলোচক কমিটির সদস্য সাজাদ কারগিলি বলেন, “এই সহিংসতা আমাদের তরুণদের হতাশা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সরকারকে বুঝতে হবে, সবাই শান্তিপূর্ণ অনশনে বসবে না। তরুণদের রাগ এখন বিস্ফোরণ হচ্ছে।”

S

আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

Published

on

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় শ্রীলঙ্কায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার প্রভাবে শ্রীলঙ্কাজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৭৬ জন। সরকার প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় মোকাবিলায় শনিবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) বলেছে, বৈরী আবহাওয়ায় দেশজুড়ে ১৫ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস এবং ৭৮ হাজার মানুষকে সরকার পরিচালিত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

টানা এক সপ্তাহের প্রবল বর্ষণের পর সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে জরুরি আইন জারি করেছেন। ডিএমসির মহাপরিচালক সম্পাথ কোটুউইগোদা বলেছেন, আমরা ১৩২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি এবং আরও ১৭৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে মোতায়েন করায় উদ্ধার তৎপরতা জোরদার হয়েছে। শনিবার দেশটির সামরিক বাহিনী অনুরাধাপুরা জেলায় টানা ২৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে এক জার্মান পর্যটকসহ ৬৯ জন বাসযাত্রীকে উদ্ধার করেছে। এই অভিযানে হেলিকপ্টার ও নৌবাহিনীর নৌকা ব্যবহার করা হয়।

বাসের এক যাত্রী স্থানীয় হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নৌবাহিনীর সদস্যরা রশি ব্যবহার করে বন্যার পানি পেরোতে সহায়তা করেছেন। পরে কাছের একটি বাড়ির ছাদে উঠতে সাহায্য করেন তারা।

শান্তা নামের ওই যাত্রী বলেন, ‌‌‘‘আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান। আমরা ছাদে থাকার সময় এর একাংশ ধসে তিনজন নারী পানিতে পড়ে যান। কিন্তু তাদের আবার ছাদে তুলে আনা হয়।

তিনি বলেন, হেলিকপ্টারের প্রথম উদ্ধারচেষ্টা বাতিল করা হয়েছিল। হেলিকপ্টারের বাতাসে ছাদটি উড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে নৌকায় করে তাদের উদ্ধার করা হয়।

দেশটির মধ্যাঞ্চলের বদুল্লা জেলার বিভিন্ন সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কারণে সেখানকার অনেক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না।

বদুল্লার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মাসপান্না গ্রামের সামান কুমারা বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে দু’জন মারা গেছেন। অন্যরা একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে বাড়িতে অবস্থান করছেন।

তিনি বলেন, আমরা গ্রাম থেকে বের হতে পারছি না, আর কেউ ঢুকতেও পারছে না। কারণ সব রাস্তা ধসেপড়া মাটিতে বন্ধ হয়ে গেছে। খাবার নেই এবং পরিষ্কার পানিরও ঘাটতি আছে।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বন্যায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে এবং পানি পরিশোধন কেন্দ্রগুলো ডুবে গেছে। অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

শনিবার ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া দ্বীপদেশটির কাছ থেকে সরে গিয়ে উত্তরে ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দর ঝড়ের প্রভাবে ৫৪টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বর্ষণ ও তীব্র বাতাস বয়ে যেতে পারে।

মধ্যাঞ্চলের ক্যান্ডি জেলায় নতুন করে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী কলম্বো থেকে ১১৫ কিলোমিটার পূর্বের এই জেলার প্রধান সড়কের বিশাল অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থান করা শ্রীলঙ্কানদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য নগদ অর্থ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

লঙ্কান কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হারিনি আমরাসুরিয়া কলম্বোভিত্তিক কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন এবং তাদের সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছেন। ভারত সবার আগে সাড়া দিয়ে দুটি বিমানে করে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। পাশাপাশি কলম্বোতে শুভেচ্ছা সফরে থাকা একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ নিজেদের রেশন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দান করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রীলঙ্কায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আরও সহায়তা পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।

২০১৭ সালের পর এটিই শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ওই বছর বন্যা ও ভূমিধসে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। চলতি শতকের শুরুর পর থেকে শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা গিয়েছিল ২০০৩ সালের জুন মাসে। সেসময় বন্যায় দেশটিতে ২৫৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

সূত্র: এএফপি।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

৬২ বছর বয়সে বিয়ে করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

Published

on

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিস তার সঙ্গী জোডি হেইডেনকে বিয়ে করেছেন। শনিবার (২৯ নভেম্বর) ছোট পরিসরে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন ৬২ বছর বয়সী অ্যান্থনি।

গত বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে জোডি হেইডেনকে প্রপোজ করেন তিনি। তবে তাদের বিয়ের তারিখ এবং অনুষ্ঠানের বিস্তারিত কঠোরভাবে গোপন রাখা হয়।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পরিবার ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে ক্যানবেরার লজে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

অ্যান্থনি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তি যিনি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিয়ে করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সামনে একে অপরের প্রতি আমাদের গভীর ভালোবাসা এবং সারা জীবন একসঙ্গে কাটানোর অঙ্গীকার প্রকাশ করতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি।”

জোডি হেইডেন গত কয়েক বছরে অ্যান্থনির সঙ্গে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। ২০২২ সালে অ্যান্থনির নির্বাচনী প্রচারণায়ও সরব উপস্থিতি ছিল তার। ওই বছর অ্যান্থনির লেবার পার্টি বিপুল ভোটে জয় লাভ করে।

বিয়েতে হেইডন “রোম্যান্স ওয়াজ বর্ন” নামে সিডনির এক ডিজাইনারের তৈরি একটি পোশাক পরেছেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী পরেন এমজে বেলের স্যুট। প্রধানমন্ত্রীর কুকুর টোটো বিয়ের আংটি বহনকারী হিসেবে ছিল।

বিয়েতে অতিথিদের বিশেষ ক্যানে করে বিয়ার দেওয়া হয়। নবদম্পতি সোমবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত হানিমুনে যাবেন। তারা এ সময়টায় অস্ট্রেলিয়াতেই থাকবেন। হানিমুনের খরচ তারা নিজেরা দেবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ১৬২

Published

on

থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় গত কয়েক দিনে কমপক্ষে ১৬২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় লাখ লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।

ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির সরকারের মুখপাত্র সিরিপং আংকাসাকুলকিয়াত বলেছেন, বন্যায় দেশের আটটি প্রদেশে ১৬২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সঙখলা প্রদেশে সর্বোচ্চ ১২৬ জন মারা গেছেন।

দেশটিতে ভয়াবহ এই বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় সরকারের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। শনিবার থাই প্রধানমন্ত্রী আনুতিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, সরকারের বন্যা ব্যবস্থাপনায় যে ঘাটতি দেখা গেছে, তা তিনি স্বীকার করছেন।

বন্যা-কবলিত বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শনের সময় স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। আনুতিন বলেন, ‌‌‘‘সরকার বন্যা-কবলিত নাগরিকদের যথাযথ সেবা ও সুরক্ষা দিতে পারেনি।’’

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আগামী সপ্তাহ থেকে ক্ষতিপূরণ বিতরণ শুরু হবে। এই সময় ঋণ স্থগিত, ব্যবসা ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য স্বল্পমেয়াদি সুদবিহীন ঋণসহ অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়া হবে।

দেশটির দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ বলেছে, শনিবার সকাল থেকেই সব প্রদেশে পানি কমতে শুরু করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্থানীয়রা দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকা নিজেদের ঘরে ফিরে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখছেন। ঘরের মেঝে জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আসবাব ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র।

গত সপ্তাহের শেষের দিকে শুরু হওয়া এই বন্যা দেশটিতে ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বন্যায় হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়েন, অনেক সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় এবং নিচু ভবন ও যানবাহন পানিতে তলিয়ে যায়।

সঙখলা প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর হাট ইয়াইতে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। উদ্ধারকর্মীরা আগে যেসব আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করতে পারেননি, পানি নেমে যাওয়ার পর সেখানে গিয়ে অনেকের মরদেহ উদ্ধার করছেন।

সরকারের মুখপাত্র সিরিপং বলেন, বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাজা মহা বাজিরালংকর্ন হাট ইয়াই হাসপাতালে ১০ কোটি বাথ (৩.১১ মিলিয়ন ডলার) দান করবেন। এছাড়া বন্যায় মৃতদের অন্তেষ্টিক্রিয়া আয়োজনেও রাজকীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

সূত্র: এপি।

S

Continue Reading