Connect with us

আন্তর্জাতিক

হঠাৎ কেন জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল লাদাখ? কী চায় আন্দোলনকারীরা?

Digital Darpan

Published

on

ভারতে হিমালয়ের সীমান্ত অঞ্চল লাদাখে জেন-জি প্রজন্মের বিক্ষোভ ভয়াবহ রক্তপাতের জন্ম দিয়েছে। সাংবিধানিক সুরক্ষা ও রাজ্য মর্যাদার দাবিতে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।

সহিংস এই আন্দোলনে বিজেপির কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হিমালয়ের উচ্চভূমির শীতল মরুভূমি অঞ্চল লাদাখে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বারবারই দেখা দিয়েছে ভারত-চীন উত্তেজনা। আর সেখানেই বুধবার জেন-জি প্রজন্মের নেতৃত্বে ভয়াবহ বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ তরুণরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির আঞ্চলিক কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে।

লাদাখের আঞ্চলিক রাজধানী লেহ শহরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে অন্তত চারজন নিহত ও আরও বহু মানুষ আহত হয়। আন্দোলন সমন্বয়কারীরা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, পরে সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীরও বহু সদস্য আহত হয়েছে।

গত ছয় বছর ধরে লাদাখের মানুষ স্থানীয় সিভিল সংগঠনের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা, অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন। তাদের দাবি— রাজ্য মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সাংবিধানিক সুরক্ষা। কিন্তু বুধবার ক্ষুব্ধ তরুণরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভেঙে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।

শিক্ষক সোনাম ওয়াংচুক বহু অনশন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ভিডিও বার্তায় বলেন, “এটা তরুণদের এক ধরনের বিস্ফোরণ একটা জেন-জি বিপ্লব। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আর কাজে আসছে না বলে তারা মনে করেছে।”

তিনি এ আন্দোলনের সঙ্গে নেপালসহ সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর তুলনাও টানেন।

কীভাবে শুরু হলো সংঘর্ষ?
বুধবার সকালে লাদাখ এপেক্স বডির নেতৃত্বে স্থানীয় আন্দোলনকারীদের অনশন ১৫তম দিনে প্রবেশ করে। আগের রাতে দুই প্রবীণ অনশনকারীকে হাসপাতালে নিতে হয়। এর পর সংগঠকেরা লকডাউনের ডাক দেন। একই সঙ্গে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বিলম্বে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।

এ পরিস্থিতিতে তরুণরা আন্দোলনের কেন্দ্র মার্টিয়ার্স মেমোরিয়াল পার্ক থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সরকারি ভবন ও বিজেপি কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে চারজন নিহত, আরও অনেকে আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।

লাদাখ এপেক্স বডির সমন্বয়ক জিগমাত পালজোর বলেন, “এটা লাদাখের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। যারা রাস্তায় দাবি আদায়ে নেমেছিল, তাদের হত্যা করা হলো।”

 

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “অশান্ত ভিড়ের” সঙ্গে সংঘর্ষে ৩০ জনের বেশি পুলিশ আহত হয়েছে এবং আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। মন্ত্রণালয়ের দাবি, ওয়াংচুক আন্দোলনকারীদের উসকে দিয়েছেন।

মোদি সরকারের অভিযোগ, ওয়াংচুক বিক্ষোভকারীদের উসকে দিয়েছেন। তিনি আরব বসন্তধর্মী আন্দোলন ও নেপালের জেন-জি বিক্ষোভের উল্লেখ করে তরুণদের বিভ্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ওয়াংচুক জোর দিয়ে বলেন, তিনি কখনোই সহিংসতার আহ্বান জানাননি, বরং সতর্ক করেছিলেন যে দাবিগুলো উপেক্ষা করলে তরুণদের ক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলো কী?
২০১৯ সালে মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ও রাজ্য পদমর্যাদা বাতিল করে। তখন ওই রাজ্যের তিনটি অঞ্চল ছিল— মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মির উপত্যকা, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু এবং মুসলিম-বৌদ্ধ সমান জনসংখ্যার লাদাখ।

পরে জম্মু-কাশ্মিরকে একটি আইনসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং লাদাখকে আইনসভাহীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানানো হয়। এতে জম্মু-কাশ্মিরের জনগণ অন্তত স্থানীয় নেতাদের নির্বাচিত করতে পারে, কিন্তু লাদাখ পুরোপুরি আমলাতান্ত্রিক শাসনে চলে যায়।

লাদাখের ৯০ শতাংশ মানুষ ‘তফসিলি জনজাতি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাই তারা ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় স্বায়ত্তশাসন ও সাংবিধানিক সুরক্ষা চাইছেন, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অঞ্চলে বিদ্যমান।

কিন্তু মোদি সরকার এ পর্যন্ত রাজ্য মর্যাদা কিংবা ষষ্ঠ তফসিলের সুরক্ষা কোনোটাই দিতে রাজি হয়নি।

এর ফলে কর্মসংস্থানও কঠিন হয়ে পড়েছে। আগে জম্মু-কাশ্মির একত্রে থাকায় লাদাখের লোকজনও সেখানকার চাকরিতে আবেদন করতে পারতেন। এখন সেটা আর সম্ভব নয়। স্থানীয়রা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নীতির অস্পষ্টতার অভিযোগও করেছেন।

ওয়াংচুক বলেন, “তরুণরা পাঁচ বছর ধরে বেকার, আর তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে— এটাই সমাজে অশান্তির কারণ।”

লাদাখে সাক্ষরতার হার ৯৭ শতাংশ, যেখানে ভারতের গড় মাত্র ৮০ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩ সালের জরিপে দেখা গেছে, লাদাখের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে ২৬.৫ শতাংশ বেকার— যা ভারতের জাতীয় গড়ের দ্বিগুণ।

কেন লাদাখ গুরুত্বপূর্ণ?
লাদাখ ভারতের হিমালয় সীমান্তে অবস্থিত, চীনের সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত রয়েছে এখানে। এই অঞ্চলেই গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি গিরিপথ, বিমানঘাঁটি ও সরবরাহপথ রয়েছে, যা ভারত-চীন যুদ্ধে সামরিক দিক থেকে অপরিহার্য।

২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাতে অন্তত ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হয়। এরপর থেকে দুই দেশ সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিদ্দিক ওয়াহিদ বলেন, ২০১৯ সালে মোদি সরকারের পদক্ষেপের ফল এখন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে। আগে কাশ্মির ছিল অশান্তির কেন্দ্র, এখন লাদাখও তাতে যোগ হলো।

অতীতেও কি লাদাখে আন্দোলন হয়েছে?
হ্যাঁ। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও অনশন করেছে। ওয়াংচুক গত তিন বছরে পাঁচবার অনশন করেছেন। তার জীবন কাহিনী বলিউডের এক জনপ্রিয় সিনেমার অনুপ্রেরণা হয়ে চীনে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

যে শহীদ স্মৃতি উদ্যানে অনশন চলছিল, সেটি ১৯৮৯ সালের আগস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত তিন লাদাখির স্মৃতিতে তৈরি। তখন কাশ্মিরি আধিপত্যের অভিযোগে প্রতিবাদ হয়েছিল। এখানেই ১৯৮১ সালে তফসিলি জনজাতির মর্যাদার দাবিতে নিহত দু’জনকেও স্মরণ করা হয়।

কিন্তু বুধবারের বিক্ষোভ লাদাখের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা হয়ে রইল।

সরকারি আলোচক কমিটির সদস্য সাজাদ কারগিলি বলেন, “এই সহিংসতা আমাদের তরুণদের হতাশা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সরকারকে বুঝতে হবে, সবাই শান্তিপূর্ণ অনশনে বসবে না। তরুণদের রাগ এখন বিস্ফোরণ হচ্ছে।”

S

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে ভয়াবহ বিক্ষোভ-সহিংসতা, নিহত ৮

Published

on

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে টানা চার দিনের সহিংস বিক্ষোভে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহহবাজ শরিফ চলমান সংঘাত নিরসনে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গত চার দিন টানা বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। সোমবার হাজারও মানুষ আশপাশের বিভিন্ন শহর থেকে কাশ্মিরের আঞ্চলিক রাজধানী মুজাফফরাবাদে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে বিক্ষোভের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সম্পর্কে বাইরের বিশ্বে একেবারে সীমিত তথ্য পৌঁছেছে।

এরপর থেকে ওই অঞ্চলের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিভক্ত এই ভূখণ্ড নিয়ে ১৯৪৭ সালে দুই দেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিরোধ চলছে।

মুজাফফরাবাদে বিক্ষোভের ছবিতে দেখা যায়, বুধবার সেখানকার একটি সেতুর ওপর বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করছে দাঙ্গা-পুলিশ।

• বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল, যানবাহন
ইসলামাবাদের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, কাশ্মিরের বিক্ষোভ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত তিন পুলিশ সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখনও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে।

পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, গত চার দিন ধরে কাশ্মিরে চলা বিক্ষোভের কারণে ওই অঞ্চলের বিশাল অংশজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে শেহবাজ শরিফ বলেছেন, কাশ্মিরে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‌‌‘‘সরকার আমাদের কাশ্মিরি ভাইদের সমস্যা সমাধানের জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।’’ কমিটির সদস্য দেশটির পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, ‘‘আমি প্রত্যাশা করছি, আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যা সমাধান করতে পারব।’’

• সুবিধা ও বিশেষাধিকারের বিরোধিতা
কাশ্মিরে সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের জোটনেতা শওকত নবাজ মীর বিক্ষোভের আগে বলেছিলেন, আয়োজকরা মূলত রাজনীতিবিদ, আমলা ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের পাওয়া সুবিধা ও বিশেষাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি স্থানীয় ইউটিউব চ্যানেল দ্য কাশ্মীর লিংককে বলেন, ‘‘আমরা যখন বলি হাসপাতালে ওষুধ দরকার, তখন তারা (কর্তৃপক্ষ) বলে তহবিল নেই। কিন্তু তাদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থ আছে।’’

কাশ্মিরের স্থানীয় আইনসভায় পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাশ্মিরের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, এই প্রতিনিধিদের ব্যবহার করে আঞ্চলিক সরকারকে ক্ষমতায় বসানো কিংবা অপসারণ করা হয়।

গত বছরও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরে প্রায় একই ধাঁচের বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভে অন্তত চারজনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মিরিদের বেশিরভাগ দাবি মেনে। পাশাপাশি কাশ্মিরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ৪০০ কোটি রুপি (৮ কোটি ৬ লাখ ডলার) অর্থ বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে আটা ও বিদ্যুতের দামের ভর্তুকির অর্থও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সূত্র: রয়টার্স।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ফ্লোটিলার ৩৯ জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরায়েল, মাত্র একটি যাচ্ছে গাজার দিকে

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী ওয়ার্ল্ড সুমুদ ফ্লোটিলার ৩৯টি জাহাজ আটকে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এরফলে আর মাত্র একটি জাহাজ এখনো গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

আটক করা জাহাজগুলোয় পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী ছিলেন।

গতকাল রাতে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবৈধভাবে জাহাজগুলোর ওপর হামলে পড়ে ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা। তারা জাহাজগুলোতে উঠে অধিকারকর্মীদের আটক করা শুরু করে।

জাহাজে লাগানো ক্যামেরার লাইভ ফিডে দেখা গেছে, ইসরায়েলি কমান্ডোরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জাহাজে উঠছেন। ওই সময় জাহাজের যাত্রীরা হাত উপরের দিকে তুলে রেখেছিলেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে গ্রেটা থুনবার্গ তার জাহাজের এক কোণায় বসে আছেন। ওই সময় তাকে ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গ্রেটা ও তার সঙ্গীরা সুস্থ আছে বলেও জানায় দখলদারদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

৪০টিরও বেশি জাহাজে খাবার ও ওষুধ নিয়ে আগস্টের শেষ দিক থেকে গাজার দিকে রওনা দেন এসব অধিকারকর্মী। তাদের সঙ্গে আইনজীবীরাও ছিলেন।

তাদের লক্ষ্য ছিল গাজা উপকূলে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙা। তবে গাজার কাছাকাছি আসার পর গতকাল রাত থেকে জাহাজগুলো আটক করা শুরু করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী।

যাত্রা শুরুর পর এসব জাহাজের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠিয়েছিল স্পেন ও ইতালি। এছাড়া ড্রোন দিয়ে সহায়তা করছিল তুরস্ক। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা ফ্লোটিলার জাহাজরগুলো আটকের সময় এ দেশগুলোর নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল না।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাহাজ আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি বলেছে ফ্লোটিলার ওপর হামলা ‘সন্ত্রাসী হামলা’।

সূত্র: রয়টার্স

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ফ্লোটিলার নৌযানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪টি’র তথ্য পাওয়া যাচ্ছে

Published

on

ইসরায়েলের নৌবাহিনী ১৩টি নৌযান আটকের পর বাকি যে ৩০টি নৌযান গাজার উপকূলের উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রেখেছিল, সেগুলোর মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৪টির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এই নৌযানগুলো হলো শিরিন, সামারটাইম জং, মিকেনো এবং মেরিনেত্তি। বাকি ২৬টি নৌযান কী অবস্থায় আছে, সেগুলো যাত্রা অব্যাহত রেখেছে না কি ইসরায়েলের নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে— সেসব তথ্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ট্র্যাকার সিস্টেম ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

শিরিন এবং সামারটাইম জং বহরের নৌযান হলেও সেগুলোতে ত্রাণসামগ্রী ছিল না। এ দু’টি নৌযানে ছিলেন আইনজীবীরা। গত ৩১ আগস্ট গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মিশন শুরু হওয়ার পর আইনী সহায়তার জন্য এই দু’টি নৌকায় আইনজীবীদের রাখা হয়েছিল।

অন্যদিকে ত্রাণবাহী নৌযান মিকেনো এবং মেরিনেত্তি গাজার জলসীমার কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। যাত্রা অব্যাহত থাকলে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরের মধ্যে গাজার উপকূলে নোঙ্গর ফেলার কথা ছিল নৌযান দু’টির।

কিন্তু বাংলাদেশ সময় ১১ টা ২১ মিনিটের পর থেকে মিকেনো, মেরিনেত্তি, শিরিন এবং সামারটাইম জং-এর কোনো খবর পাচ্ছে না ফ্লোটিলা ট্র্যাকার।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা—এই চার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ঐক্যমঞ্চ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে খাদ্য ও ওষুধে পূর্ণ ৪৩টি নৌযানের বহর নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা দেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। জাহাজগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।

বুধবার ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহর। সেদিন সন্ধ্যার পর গাজা উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় নৌবহরের চারপাশ ঘিরে ধরে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং বহরের ১৩টি নৌযান আটক করে। আটক নৌযানগুলোর মধ্যে কয়েকটির নাম জানা গেছে— স্পেক্টার, অ্যালমা, সাইরাস, হুগা, মালি প্রভৃতি।

আটক নৌযানগুলোতে ছিলেন দুই শতাধিক যাত্রী এবং ক্রু। তাদের সবাইকে ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কিন্তু ১৩টি নৌযান আটকের পরও গাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বাকি ৩০টি নৌযান।

S

Continue Reading