...
Connect with us

আন্তর্জাতিক

আন্দোলনে নৈরাজ্যবাদীরা ঢুকে পড়েছে : নেপালের সরকার

Digital Darpan

Published

on

 

নেপালে চলমান জেন-জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ নৈরাজ্যবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হাতে চলে গেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সরকারের মুখপাত্র, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুঙ। এই শক্তি দেশের ক্ষমতাসীন সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির সরকার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা কারফিউ উপেক্ষা করে সংসদ ভবনসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালিয়েছেন।

সোমবার দুপুরের দিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুরুঙ বলেন, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ ও নিষিদ্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম পুনরায় চালুর দাবিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ বর্তমানে সহিংস আকার ধারণ করেছে। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ও সিংহ দরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ‘‘দুঃখজনক’’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে সহিংসতার জন্য সরকারবিরোধী অনুপ্রবেশকারী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছেন তিনি।

দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুঙ বলেন, ‘‘প্রতিক্রিয়াশীল ও নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠীগুলো এই আন্দোলন ছিনিয়ে নিয়েছে।’’ এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যার দিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের (মেটা) নিবন্ধনের নির্দেশ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা অমান্য করেছে। যে কারণে নিবন্ধনহীন প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এটি জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিষয়।’’

কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সীমিত করার কারণে অন্য কোনও দেশে এ ধরনের সহিংস প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।

S

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আফগানিস্তানের

Published

on

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান তাদের রাজধানী কাবুলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া মার্ঘা অঞ্চলের পাকতিকাতে একটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করেছে।

এটিকে ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন, সহিংস ও নিন্দনীয়’ কাজ হিসেবে অভিহিত করেছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর এই আগ্রাসনের আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। নিজ ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অবিচ্ছেদ্য ও বৈধ অধিকার। মনে রাখা উচিত, এই ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির কঠোর পরিণতির জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী এককভাবে দায়ী থাকবে।”

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ওই সময় গোলাগুলির শব্দও ভেসে আসে।

পরবর্তীতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর আসতে থাকে সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) প্রধান নেতা নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

তবে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, টিটিপির প্রধান কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে আজ শুক্রবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী পেশোয়ারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তবে আফগানিস্তানে হামলার বিষয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। আবার হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, “আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য যা করার প্রয়োজন আমরা তা করছি এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জন্য আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত।” তার এ দাবির পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি।

পাকিস্তানের এ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছর খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তারা ৯১৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছেন। এ সময় নিহত হয়েছে তাদের আরও ৩১১ সেনা। ওই ৯১৭ সন্ত্রাসীর মধ্যে ১৩৫ জন আফগান নাগরিক দাবি করে তিনি বলেন, এরমাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আফগানিস্তান পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে।

সূত্র: আনাদোলু

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি সেনারা সরার পর গাজা সিটিতে মিলল অনেক মরদেহ, আরও থাকার শঙ্কা

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজা সিটি থেকে শুধুমাত্র আজই ৩৩টি মরদেহ পাওয়া গেছে। দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সরে যাওয়ার পর এসব মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেগুলোর কয়েকটি বিকৃত হয়ে গেছে। পরিচয় শনাক্ত করতে সেগুলো আল-শিফা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গাজার মধ্যে যত হাসপাতাল আছে সেগুলোর মধ্যে আল-শিফায় শুধুমাত্র ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ আছে। যেখানে মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা যাবে।

আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মেদ আবু সালমিয়া সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন, গাজা সিটি থেকে ৩৩টি মরদেহ আনা হয়েছে।

সেখানে আরও মরদেহ থাকার শঙ্কা করা হচ্ছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মরদেহগুলো পাওয়া যেতে পারে। দখলদারদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

দলে দলে বাড়ি ফিরছেন গাজার মানুষ

দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টার দিকে ইসরায়েলি সেনারা চুক্তি অনুযায়ী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যায়। এরপর দলে দলে মানুষ নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করেন।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র ঘেঁষা আল-রশিদ সড়কে অপেক্ষা করছেন। গতকাল রাত থেকেই তারা এখানে ছিলেন। এরপর ইসরায়েলি সেনারা যখন সরে গেছে তখন তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের বাড়ির দিকে যাওয়া শুরু করে।

গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একটি নির্দেশনা জারি করেছে। গাজার মানুষকে সতর্কতা দিয়ে আইডিএফ বলেছে, তাদের সেনারা যেখানে আছেন সেখানে যেন কোনো বেসামরিক মানুষ না যান।

সূত্র: সিএনএন

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

‘ট্রাম্পকে নোবেল দিন’, ছবি পোস্ট করে আহ্বান নেতানিয়াহুর

Published

on

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় নোবেল কমিটির উদ্দেশে এ আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

এক্সবার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিন। তিনি এ পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন।”

পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও সংযুক্ত করেছেন নেতানিয়াহু। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বড় আকারের একটি মেডেল গলায় ঝুলিয়ে দুই হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ট্রাম্প। মেডেলটি আসালে নোবেল পুরস্কারের জনক আলফ্রেড নোবেলের মুখের আদলে তৈরি স্বর্ণমুদ্রার একটি রেপ্লিকা।

সেই মেডেল পরা ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে আন্তরিক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন নেতানিয়াহু। তাদের দুজনকে ঘিরে রেখেছে একটি দল, সেই দলের লোকজন হাততালি দিচ্ছেন। তাদের কয়েক জনের হাতে ইসরায়েলের পতাকা। পেছনে ব্যাকস্ক্রিনে বড় অক্ষরে লেখা, ‘পিস থ্রো স্ট্রেংন্থ’। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, কোনো উৎসব বা উদযাপন সংক্রান্ত একটি ছবি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল প্রদানের জন্য এটি নেতানিয়াহুর দ্বিতীয় আহ্বান। এর আগে গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানে সংঘাত থামাতে মধ্যস্থতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে নোবেল প্রদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছবিটি পোস্ট করার পর মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অজস্র লাইক ও প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে সেই ছবিটির কমেন্ট বক্সে।

 

S

Continue Reading
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.