Connect with us

জাতীয়

দুর্গোৎসব ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা : ৩৩ হাজার মণ্ডপে নজিরবিহীন নিরাপত্তা

Digital Darpan

Published

on

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পূজাকে ঘিরে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ। প্রতিমা তৈরি, মণ্ডপ সাজসজ্জা ও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সর্বত্র এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে, উৎসবের এই আনন্দ যাতে নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদে উদযাপিত হয়, সেজন্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামবেন। তবে এর আগেই নিরাপত্তা কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়েছে মাঠপর্যায়ে। বিভিন্ন বাহিনী এরইমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে। রাজধানীতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ফোর্স মোতায়েন শুরু করেছে এবং প্রতিটি থানার আওতায় পূজামণ্ডপগুলোতে টহল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) তাদের ১৫টি ব্যাটালিয়নকে পূজা উপলক্ষ্যে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপূজা ঘিরে সরাসরি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ার মতো কোনো আশঙ্কা বা গোয়েন্দা তথ্য এখনো নেই সরকারের কাছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন স্বাভাবিক থাকে সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য অনেক আগেই বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ঝুঁকি বা কোনো ধরনের আশঙ্কা না থাকলেও সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটতে পারে, সেসব বিষয় বিবেচনা রেখেই প্রতিটি বাহিনী তাদের নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর দুর্গাপূজা ঘিরে সরাসরি কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকির তথ্য সরকারের কাছে নেই। তবে এ ধরনের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি সাইবার মনিটরিং কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছু পক্ষ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করতে পারে। এ কারণেই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ধরনের ফাঁকফোকর রাখা হচ্ছে না।

দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, পূজামণ্ডপগুলো যেন কোনোভাবেই অরক্ষিত না থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মণ্ডপের ভেতর ও আশপাশে থাকবে পুলিশের সার্বক্ষণিক টহল টিম। পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা গোপনে দায়িত্ব পালন করবেন।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস. এন. মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ডিএমপি এরইমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে থানাগুলো থেকে। থানার টিম প্রতিদিন পূজামণ্ডপে গিয়ে নিরাপত্তার খোঁজখবর নিচ্ছে এবং কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করছে। পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে।

র‌্যাবও পূজার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রায় নয় হাজার র‌্যাব সদস্য সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবেন বলে জানা গেছে। সে লক্ষ্যে টহল টিম, সাইবার মনিটরিং, ডগ স্কোয়াড এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে, যাতে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এ বিষয়ে র‌্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে র‌্যাব এরইমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। দেশের সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে র‌্যাব কাজ করছে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নের এলাকায় কতগুলো মণ্ডপ রয়েছে এবং কোথায় ঝুঁকি থাকতে পারে সেসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, যাতে প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

দুর্গাপূজা-কে কেন্দ্র করে র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং ২৪ ঘণ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে পড়তে পারে সেজন্য র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।

র‍্যাব বাহিনীর যে নয় হাজার সদস্য তাদের এখন অন্যতম মূল লক্ষ্য দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয়, বলেন তিনি।

এবারও সর্বাধিক সদস্য মোতায়েন করছে আনসার ও ভিডিপি। প্রায় দুই লাখ আনসার সদস্য দেশজুড়ে পূজামণ্ডপগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মণ্ডপগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে— অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ। প্রতিটি মণ্ডপে আনসারের টহল টিম দায়িত্ব পালন করবে, আর ভিডিপি থাকবে সার্বক্ষণিকভাবে।

এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপির গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্গাপূজা-কে কেন্দ্র করে আনসার বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আনসার সদস্যরা কাজ করে যাবেন। প্রতিটি মণ্ডপে আনসারের টহল থাকবে। এছাড়া ভিডিপি সার্বক্ষণিক পূজামণ্ডপে পূজা চলাকালীন সময়ে দায়িত্বে থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব পূজামণ্ডপকে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আনসার। এই তিন ভাগে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রায় দুই লাখেরও বেশি আনসার সদস্য সারাদেশে মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে এবারের দুর্গাপূজায়। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পাশাপাশি নিরাপত্তায় সহযোগিতা করবেন। তিনি আরও বলেন, এবারের দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আরও সুসংগঠিতভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিমা ভাঙার ঘটনা অনেক কমেছে, আর যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে।

S

জাতীয়

বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

Published

on

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে দুপুরের পর থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

চন্ডীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়। পরবর্তী ৫ দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়।

সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে যা তার বাবার গৃহ। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঢাকের বাদ্য আর গান-বাজনা ছাড়া বিদায়ের করুণ ছায়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে বুড়িগঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা। একই সময়ে তুরাগ নদীতে চলে বিসর্জন। সড়কে পুলিশের টহল ও নদীতে ছিল নৌপুলিশের টহল। ফায়ার সার্ভিসের টিমও দায়িত্ব পালন করে।

এদিকে দুপুরে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যৌথ উদ্যোগে বের হয় বর্ণাঢ্য এক বিজয়া শোভাযাত্রা। বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনে অংশ নিতে দুপুরের পর থেকেই ভক্তরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেন পলাশীর মোড়ে।

পরে শত শত ট্রাক প্রতিমা নিয়ে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। ঢাকেশ্বরী থেকে শুরু করে প্রতিমা যাত্রাটি শহীদ মিনার, হাইকোর্ট, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, গোলাপ শাহ মাজার, কোর্ট এলাকা হয়ে সদরঘাট পৌঁছে। রাস্তায়, বিভিন্ন ভবনে পুলিশ ছিল সতর্কাবস্থায়। রাস্তার পাশে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

অধিকাংশ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হলেও ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রতিমাটি রেখে দেয়া হয়। কিন্তু পূজার কাজে ব্যবহৃত দেবীর ফুল, বেলপাতা ও ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়।

প্রথা অনুযায়ী প্রতিমা বিসর্জনের পর সেখান থেকে জল এনে (শান্তিজল) মঙ্গল ঘটে নিয়ে তা আবার হৃদয়ে ধারণ করা হয়। আগামী বছর আবার এ শান্তিজল হৃদয় থেকে ঘটে, ঘট থেকে প্রতিমায় রেখে পূজা করা হবে। রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ধ্যা আরতির পর মিশনের পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এরপর ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করেন ও মিষ্টিমুখ করেন।

সারাদেশে এ বছর ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৫৮টি। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্বেচ্ছাসেবক কমিটি করা হয় মণ্ডপ পাহারার জন্য।

S

Continue Reading

জাতীয়

আমরা অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবো, ইসরায়েলি হামলায় পিছপা হবো না

Published

on

ফ্রিডম ফ্লোটিলার যাত্রী, আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম জানিয়েছেন, তারা অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবেন এবং ইসরায়েলি হামলায় কোনোভাবেই পিছপা হবেন না।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ফ্রিডম ফ্লোটিলার বহর সমুদ্র থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।

ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেন, আমরা গতকাল ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম। তবে এখন ঝড় কিছুটা কমেছে। ক্যাপ্টেন দ্রুতগতিতে জাহাজ নিয়ে ঝড়ের আগে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমরা বর্তমানে ফ্লোটিলার শেষ অংশে রয়েছি। আমাদের আগে যেসব নৌযান ছিল, তারা ইতোমধ্যে গাজার কাছাকাছি চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে ইসরায়েলি হানাদাররা আক্রমণ চালিয়েছে। তবে আমরা এখনো সেই স্থানে পৌঁছাইনি। সমুদ্রে একটি তুরস্কের নৌযান দেখেছিলাম, যদিও তারা দূরে অবস্থান করছিল। আজ আমরা আরও কাছাকাছি যাবো। অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবো। ইসরায়েলি হামলায় আমরা কোনোভাবেই পিছপা হবো না।

শহিদুল আলম জানান, সমুদ্র এখনো উত্তাল এবং ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি ও বিদ্যুতের ঝলকানি কমে এসেছে। আমরা আমাদের পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীদের উদ্যোগ, যার লক্ষ্য ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভেঙে সরাসরি গাজায় ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছানো। এই অভিযান প্রথম বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে ২০১০ সালে, যখন তুরস্কের মারমারা জাহাজে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কয়েকজন নিহত হন। এরপর বিভিন্ন সময়ে নানা দেশের শান্তিকর্মীরা একই উদ্দেশ্যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।

সেপ্টেম্বরে স্পেন থেকে প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর যাত্রা শুরু করেছে এবং এতে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক ও সাংবাদিকরা। যেখানে আছে প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তারা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও অবরোধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলতে চান। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার থেকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বহরে থাকা নৌযান আটক করতে শুরু করে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এসব নৌযান অবরোধের আওতায় থাকা জলসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, ইতোমধ্যে অন্তত ৩৯টি জাহাজ ও নৌযান আটক করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজও আছে।

এদিকে ফ্লোটিলার ট্র্যাকিং সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৫টি নৌযানের মধ্যে ৩০টিরও বেশি আটক হয়েছে বা আটক করার চেষ্টা চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

S

Continue Reading

জাতীয়

‘যারা ইমামদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে, আল্লাহ তাদেরই মাইনাস করেছেন’

Published

on

অতীতে ইমামদের অবমূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আগে যারা ইমামদের মাইনাসের চেষ্টা করেছে, আল্লাহ তাদেরই মাইনাস করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। জাতীয় ইমাম পরিষদের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।

ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া বলেন, যারা ইমামতি করছেন তাদের কথা শুনতে প্রতিদিনই মুসল্লিরা মসজিদে যাচ্ছেন। একজন ইমামের কথা শোনার পর অনেকেরই সুদ-ঘুস, দুর্নীতি, অন্যায়-জুলুমের প্রতি ঘৃণা জন্ম নেয়। যার অবদান একমাত্র ইমামদের। তাই একজন ইমাম চাইলে একটা কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠন করতে পারেন। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় বাধা রাষ্ট্র ও কিছু মানুষ। নির্দিষ্ট আঙ্গিকে কথা বলার জন্য ইমামদের প্রেসক্রিপশন করা হয়। তবে অতীতে যারা ইমামদের নিয়ন্ত্রণ ও অবমূল্যায়ন বা মাইনাসের চেষ্টা করেছে, আল্লাহ তাদের মাইনাস করে দিয়েছে। সুতরাং ভবিষ্যতেও যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায় আপনারা ইমামদের মূল্যায়ন করুন। স্বাধীনভাবে কথা বলার পরিবেশ করে দিন।

পরিষদের মহাসচিব মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি, মুফতি ইমাদুদ্দিন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী প্রমুখ।

বক্তব্যে তারা বলেন, আদর্শ সমাজ ও কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা অপরিহার্য। দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে নিরলস কাজ করছে ইমাম সমাজ।ইমাম ও খতিবরা জুমার খুতবায় যেমনি নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত সম্পর্কে আলোচনা করেন। তেমনি সুদ-ঘুস, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ সামাজিক অপরাধ সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করে তোলেন। ইমামরা ধর্মীয় ও নৈতিক বিষয়ে নির্দেশনা দেন। তাই কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠনের জন্য ইমামদের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

তারা আরও বলেন, ইমামরা বহু সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদের প্রাপ্য সব সুবিধা পুঙ্খানুপুঙ্খ দিতে হবে। এর মধ্যে মসজিদভিত্তিক চালু থাকা মক্তব আরও জোরদার করতে হবে। সাইনবোর্ড সর্বস্ব করলে হবে না। সেখানে সত্যিকার অর্থে ইমাম বা আলেমদের দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া মুসলিম অধ্যুষিত প্রত্যেকটা গ্রামের স্কুলে ধর্মীয় ও কোরআনের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবিও জানান বক্তারা।

আলোচনা সভায় দেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব ও আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

S

Continue Reading