Connect with us

জাতীয়

দুর্গোৎসব ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা : ৩৩ হাজার মণ্ডপে নজিরবিহীন নিরাপত্তা

Digital Darpan

Published

on

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পূজাকে ঘিরে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ। প্রতিমা তৈরি, মণ্ডপ সাজসজ্জা ও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সর্বত্র এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে, উৎসবের এই আনন্দ যাতে নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদে উদযাপিত হয়, সেজন্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামবেন। তবে এর আগেই নিরাপত্তা কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়েছে মাঠপর্যায়ে। বিভিন্ন বাহিনী এরইমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে। রাজধানীতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ফোর্স মোতায়েন শুরু করেছে এবং প্রতিটি থানার আওতায় পূজামণ্ডপগুলোতে টহল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) তাদের ১৫টি ব্যাটালিয়নকে পূজা উপলক্ষ্যে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপূজা ঘিরে সরাসরি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ার মতো কোনো আশঙ্কা বা গোয়েন্দা তথ্য এখনো নেই সরকারের কাছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন স্বাভাবিক থাকে সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য অনেক আগেই বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ঝুঁকি বা কোনো ধরনের আশঙ্কা না থাকলেও সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটতে পারে, সেসব বিষয় বিবেচনা রেখেই প্রতিটি বাহিনী তাদের নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর দুর্গাপূজা ঘিরে সরাসরি কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকির তথ্য সরকারের কাছে নেই। তবে এ ধরনের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি সাইবার মনিটরিং কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছু পক্ষ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করতে পারে। এ কারণেই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ধরনের ফাঁকফোকর রাখা হচ্ছে না।

দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, পূজামণ্ডপগুলো যেন কোনোভাবেই অরক্ষিত না থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মণ্ডপের ভেতর ও আশপাশে থাকবে পুলিশের সার্বক্ষণিক টহল টিম। পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা গোপনে দায়িত্ব পালন করবেন।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস. এন. মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ডিএমপি এরইমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে থানাগুলো থেকে। থানার টিম প্রতিদিন পূজামণ্ডপে গিয়ে নিরাপত্তার খোঁজখবর নিচ্ছে এবং কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করছে। পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে।

র‌্যাবও পূজার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রায় নয় হাজার র‌্যাব সদস্য সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবেন বলে জানা গেছে। সে লক্ষ্যে টহল টিম, সাইবার মনিটরিং, ডগ স্কোয়াড এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে, যাতে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এ বিষয়ে র‌্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে র‌্যাব এরইমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। দেশের সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে র‌্যাব কাজ করছে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নের এলাকায় কতগুলো মণ্ডপ রয়েছে এবং কোথায় ঝুঁকি থাকতে পারে সেসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, যাতে প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

দুর্গাপূজা-কে কেন্দ্র করে র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং ২৪ ঘণ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে পড়তে পারে সেজন্য র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।

র‍্যাব বাহিনীর যে নয় হাজার সদস্য তাদের এখন অন্যতম মূল লক্ষ্য দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয়, বলেন তিনি।

এবারও সর্বাধিক সদস্য মোতায়েন করছে আনসার ও ভিডিপি। প্রায় দুই লাখ আনসার সদস্য দেশজুড়ে পূজামণ্ডপগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মণ্ডপগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে— অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ। প্রতিটি মণ্ডপে আনসারের টহল টিম দায়িত্ব পালন করবে, আর ভিডিপি থাকবে সার্বক্ষণিকভাবে।

এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপির গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্গাপূজা-কে কেন্দ্র করে আনসার বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আনসার সদস্যরা কাজ করে যাবেন। প্রতিটি মণ্ডপে আনসারের টহল থাকবে। এছাড়া ভিডিপি সার্বক্ষণিক পূজামণ্ডপে পূজা চলাকালীন সময়ে দায়িত্বে থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব পূজামণ্ডপকে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আনসার। এই তিন ভাগে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রায় দুই লাখেরও বেশি আনসার সদস্য সারাদেশে মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে এবারের দুর্গাপূজায়। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পাশাপাশি নিরাপত্তায় সহযোগিতা করবেন। তিনি আরও বলেন, এবারের দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আরও সুসংগঠিতভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিমা ভাঙার ঘটনা অনেক কমেছে, আর যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে।

S

জাতীয়

বাংলাদেশে উদযাপিত হলো তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর

Published

on

তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে হওয়া অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে তিমুর–লেস্তের কনসাল ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ।

কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী এবং দুই দেশের বন্ধুসুলভ প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজনটি পরিণত হয় দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের এক উষ্ণ মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি তিমুর-লেস্তের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রাম, দৃঢ়তা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তিমুর-লেস্তে সরকারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা— অ্যাম্বাসেডর জর্জে কেমোয়েনস, মহাপরিচালক (পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়) এবং ইমানুয়েল টিলম্যান, পরিচালক (পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়)। তারা বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন ও কূটনৈতিক সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে কনসাল ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিমুর–লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর শুধু উৎসব নয়; বরং বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের সম্পর্ক আরও গভীর করার একটি সুযোগ।

তিনি উল্লেখ করেন, আসিয়ানের ১১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে তিমুর-লেস্তের সাম্প্রতিক যোগদান দুই দেশের সহযোগিতার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে।

সংবর্ধনার শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তাই ছিল আয়োজনটির মূল প্রতিফলন।

 

Continue Reading

জাতীয়

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরকারের আপত্তি নেই : প্রেস সচিব

Published

on

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধি-নিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

‘তারেক রহমানের আজকের বক্তব্য, এখনই দেশে ফেরার বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তার জন্য অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়— এটা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যে তার বাংলাদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের বিধি নিষেধ রয়েছে কিনা।’

প্রেস সচিব জানান, এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধি-নিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নাই। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এর আগে সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘সংকটকালে মায়ের স্নেহ-স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’

S

Continue Reading

জাতীয়

জামায়াতের আমির হিসেবে আনুষ্ঠানিক শপথ নিলেন ডা. শফিকুর রহমান

Published

on

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির হিসেবে আনুষ্ঠানিক শপথ নিয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে আগামী ২০২৬-২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকাল মেয়াদের জন্য তিনি এই শপথ নেন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের আভ্যন্তরীণ প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাওলানা এটিএম মা’ছুম।বান্দরবান জেলা জামায়াত আমির মাওলানা আব্দুস সালাম আযাদের অর্থসহ পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের ও নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাশেমী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ আতাহারী ও মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান ও সাধারণ সম্পদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন।

আরও ছিলেন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাড. একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামুল বশির ও লে. জে. (অব.) হাসান সোহরাওয়ার্দী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর ও উচ্চ পরিষদ সদস্য হাসান মামুন, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইউসুফ আলী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আলহাজ্জ কারী মো. আবু তাহের প্রমুখ।

জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলবৃন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যবৃন্দ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুর রব।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্যবৃন্দ আমাকে আমির নির্বাচিত করে আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন এ দায়িত্বের জন্য আমি মোটেও উপযুক্ত নই। আমি আপনাদের মতোই একজন। আমরা সম্মিলিতভাবে সংগঠন পরিচালনা করি। আল্লাহর মেহেরবানিতে আমার ভাইদের সহযোগিতায় আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি। নানা ভুলত্রুটি সত্ত্বেও আমরা দায়িত্ব পালন করছি। এই ভুলত্রুটির জন্য আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। মহান আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমার কোনো ভুলত্রুটি দেখলে আপনারা সমালোচনা করবেন এবং সংশোধন করে দেবেন। আপনাদের সমালোচনা ও সংশোধন যাতে গ্রহণ করতে পারি আল্লাহ আমাকে সেই তাওফিক দান করুন।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যেসব জাতীয় নেতৃবৃন্দ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন আমি তাদের সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা যারা একসঙ্গে রাজনীতি করছি, আমাদের চিন্তা-ভাবনায় পার্থক্য থাকতে পারে। সেই পার্থক্য আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দূর করার চেষ্টা করবো। সব মান-অভিমান ভুলে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জাতি স্বাধীনার স্বাদ এখনও গ্রহণ করতে পারেনি। তার কারণ হলো দুর্নীতি ও দুঃশাসন। দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্তি করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য আমাদের নিজেদের ভুলত্রুটির জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাইতে হবে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রতিদিন সত্তর থেকে একশবার ক্ষমা চাইতেন। এজন্য আমিও আল্লাহর কাছে বারবার ক্ষমা চাই, অনেকে তা পছন্দ করেন না। কিন্তু আমি ক্ষমা চাইতেই থাকবো।

জামায়াত আমির বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে অনেক ভাই নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন, জেল-জুলুম নির্যাতন ভোগ করেছেন। জেলখানা ছিল আমাদের প্রথম আবাসস্থল। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণেই সরকার আমাদেরকে বারবার জেলে নিয়েছে। জামায়াতের তদানীন্তন আমির, নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ আমরা ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হারিয়েছি। অনেকেই আহত ও পঙ্গু হয়ে জিন্দা শহীদ হয়ে এখনও বেঁচে আছেন। আল্লাহ আমাদেরকে উপযুক্ত প্রতিদানে ভূষিত করুন।

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা আন্দোলনে, ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে, ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে, ’৯০ সালের গণআন্দোলনে এবং গত সাড়ে ১৫ বছরে যারা শহীদ হয়েছেন আল্লাহ তাদের সবাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে যেসব যুবক-তরুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ভূমিকা পালন করেছেন তাদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি আশা করছি, আগামীতেও তারা সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে ভূমিকা পালন করবেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আল্লাহ সেই নির্বচান অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করার তাওফিক দান করুন।

তিনি বলেন, অতীতে প্রবাসী ভাইদেরকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এবার তাদেরকে ভোটার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারা যাতে আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন সেই জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি নির্বাচন কমিশননের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যাতে আগামীতে জাতীয় স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে পারি এবং জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এবং সংবিধানে বর্ণিত জনগণের সব অধিকার আমরা যাতে নিশ্চিত করতে পারি সে জন্য ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার জন্য আমি জাতীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

S

Continue Reading