Connect with us

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প-মাস্কের সম্পর্কের বরফ কি গলছে?

Digital Darpan

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ চার্লি কার্কের স্মরণে আরিজোনার ফিনিক্স শহরের স্টেট ফার্ম স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল স্মরণসভা। আর সেখানে কিছুক্ষণের জন্য দর্শকসারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঠিক পাশে বসে থাকতে দেখা যায় প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধা নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ককে।

স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সে বসে থাকার এক পর্যায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করেন মাস্ক। ভিডিওতে একে অপরের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায়। আপাতদৃষ্টিতে এই ঘটনাকে খুব একটা তাৎপর্যপূর্ণ মনে না হলেও জুন মাসে ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার পর এই প্রথমবার দুজনকে একসাথে দেখা গেল। আর সে কারণেই এই ঘটনা নিয়ে বেশ জল্পনা চলছে।

দু’জনের আলোচনার যেসব ভিডিও দেখা গেছে, সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একাধিকবার ইলন মাস্কের পায়ে বন্ধুত্বসুলভভাবে চাপড় দিতে দেখা গেছে। এক্সে হোয়াইট হাউসের আনুষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট থেকেও দু’জনের একসাথে বসে থাকার ছবি শেয়ার করা হয়। ছবির ক্যাপশন ছিল: ফর চার্লি অর্থাৎ চার্লির জন্য।

ইলন মাস্ক আবার তার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে হোয়াইট হাউসের পোস্ট করা সেই ছবিটি রিপোস্টও করেছেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর আততায়ীর গুলিতে নিহত চার্লি কার্কের উদ্দেশ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, ট্রাম্পের ছেলেসহ মার্কিন প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।

চার্লি কার্ককে আমেরিকান হিরো হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে শহীদ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, চার্লিকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ তিনি সাহসিকতার সঙ্গে জীবনযাপন করতেন এবং তিনি চমৎকার বক্তা ছিলেন।

চার্লি কার্কের স্ত্রী এরিকা স্মরণসভায় দেওয়া বক্তব্যে স্বামীর আততায়ীকে ক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণাও দেন। এরিকা বলেন, আমার স্বামী চার্লি তরুণদের বাঁচানোর লক্ষ্যে কাজ করছিলেন। তেমনই একজন তরুণ তাকে গুলি করে হত্যা করেছেন। আমি তাকে ক্ষমা করলাম, কারণ ঘৃণার জবাব ঘৃণা দিয়ে দিতে হয় না।

তবে রক্ষণশীল রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী চার্লি কার্কের অনেক বক্তব্যই অনেক সময় জাতিবিদ্বেষী ও নারীবিদ্বেষী হিসেবে সমালোচিত হয়েছে। তার বক্তব্য অভিবাসন বিরোধী ও সমকামী বিদ্বেষী হিসেবেও সমালোচনার মুখে পড়েছে অনেক সময়।

রক্ষণশীল চার্লি কার্কের স্মরণে আয়োজিত সভায় রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ ডোনাল্ড ট্রাম্প আর একই ধরনের মতবাদে বিশ্বাসী ইলন মাস্কের দেখা হওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণই মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে।

গত বছরের শেষদিকে হওয়া মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণার জন্য প্রায় ৩০ কোটি ডলার খরচ করেছিলেন ইলন মাস্ক। নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি চাকরি থেকে কর্মী ছাঁটাই সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত বিভাগের দায়িত্বও পান মাস্ক।

তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের বিরোধ সামনে আসতে শুরু করে মে মাসের শেষদিকে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কর ও ব্যয় নীতির সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। পরের কয়েকদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করতে থাকেন এক্সে। ট্রাম্পকে অকৃতজ্ঞ বলে তার এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্টও করেন মাস্ক।

ট্রাম্পও জুনের প্রথম সপ্তাহে বলেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। এরপর তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি এ সম্পর্ক আবার জোড়া লাগাতে চান কি-না তখন তিনি বলেন না।

সে সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সসহ রিপাবলিকানদের একটা বড় অংশ ইলন মাস্ককে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। জে ডি ভ্যান্স সে সময় একটি পডকাস্টে বলেছিলেন, ইলন মাস্ক বেশি উত্তেজিত হয়ে গেছেন এবং সম্ভবত ফিরে আসার জন্য তাকে আর কখনোই স্বাগত জানানো হবে না।

এর কিছুদিন পর জুলাইয়ে মাস্ক আমেরিকা পার্টি নামে নতুন রাজনৈতিক দল চালু করারও ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেই পার্টি তৈরির কার্যক্রমে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এসব ঘটনার পর ট্রাম্প-মাস্ক ব্রোমান্স বা ট্রাম্প ও মাস্কের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হলেও রোববার রাতের ঘটনার পর সেই সমীকরণ নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চার্লি কার্কের স্মরণসভায় ট্রাম্প-মাস্ক করমর্দনের ঘটনা নিছক সৌজন্য বিনিময় না দুই মহারথীর মধ্যকার সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত সে সম্পর্কে কানাঘুষা ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে ডানপন্থী মতবাদে বিশ্বাসী সবচেয়ে প্রভাবশালী দুই আমেরিকান ব্যক্তিত্বের মধ্যে স্বল্প সময়ের এই মিথষ্ক্রিয়া যে খবরের শিরোনাম হবে, সেটি অনুমেয়ই ছিল। বিবিসি বাংলা।

S

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে ভয়াবহ বিক্ষোভ-সহিংসতা, নিহত ৮

Published

on

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে টানা চার দিনের সহিংস বিক্ষোভে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহহবাজ শরিফ চলমান সংঘাত নিরসনে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গত চার দিন টানা বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। সোমবার হাজারও মানুষ আশপাশের বিভিন্ন শহর থেকে কাশ্মিরের আঞ্চলিক রাজধানী মুজাফফরাবাদে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে বিক্ষোভের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সম্পর্কে বাইরের বিশ্বে একেবারে সীমিত তথ্য পৌঁছেছে।

এরপর থেকে ওই অঞ্চলের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিভক্ত এই ভূখণ্ড নিয়ে ১৯৪৭ সালে দুই দেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিরোধ চলছে।

মুজাফফরাবাদে বিক্ষোভের ছবিতে দেখা যায়, বুধবার সেখানকার একটি সেতুর ওপর বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করছে দাঙ্গা-পুলিশ।

• বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল, যানবাহন
ইসলামাবাদের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, কাশ্মিরের বিক্ষোভ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত তিন পুলিশ সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখনও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে।

পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, গত চার দিন ধরে কাশ্মিরে চলা বিক্ষোভের কারণে ওই অঞ্চলের বিশাল অংশজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে শেহবাজ শরিফ বলেছেন, কাশ্মিরে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‌‌‘‘সরকার আমাদের কাশ্মিরি ভাইদের সমস্যা সমাধানের জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।’’ কমিটির সদস্য দেশটির পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, ‘‘আমি প্রত্যাশা করছি, আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যা সমাধান করতে পারব।’’

• সুবিধা ও বিশেষাধিকারের বিরোধিতা
কাশ্মিরে সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের জোটনেতা শওকত নবাজ মীর বিক্ষোভের আগে বলেছিলেন, আয়োজকরা মূলত রাজনীতিবিদ, আমলা ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের পাওয়া সুবিধা ও বিশেষাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি স্থানীয় ইউটিউব চ্যানেল দ্য কাশ্মীর লিংককে বলেন, ‘‘আমরা যখন বলি হাসপাতালে ওষুধ দরকার, তখন তারা (কর্তৃপক্ষ) বলে তহবিল নেই। কিন্তু তাদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থ আছে।’’

কাশ্মিরের স্থানীয় আইনসভায় পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাশ্মিরের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, এই প্রতিনিধিদের ব্যবহার করে আঞ্চলিক সরকারকে ক্ষমতায় বসানো কিংবা অপসারণ করা হয়।

গত বছরও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরে প্রায় একই ধাঁচের বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভে অন্তত চারজনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মিরিদের বেশিরভাগ দাবি মেনে। পাশাপাশি কাশ্মিরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ৪০০ কোটি রুপি (৮ কোটি ৬ লাখ ডলার) অর্থ বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে আটা ও বিদ্যুতের দামের ভর্তুকির অর্থও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সূত্র: রয়টার্স।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ফ্লোটিলার ৩৯ জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরায়েল, মাত্র একটি যাচ্ছে গাজার দিকে

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী ওয়ার্ল্ড সুমুদ ফ্লোটিলার ৩৯টি জাহাজ আটকে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এরফলে আর মাত্র একটি জাহাজ এখনো গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

আটক করা জাহাজগুলোয় পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী ছিলেন।

গতকাল রাতে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবৈধভাবে জাহাজগুলোর ওপর হামলে পড়ে ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা। তারা জাহাজগুলোতে উঠে অধিকারকর্মীদের আটক করা শুরু করে।

জাহাজে লাগানো ক্যামেরার লাইভ ফিডে দেখা গেছে, ইসরায়েলি কমান্ডোরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জাহাজে উঠছেন। ওই সময় জাহাজের যাত্রীরা হাত উপরের দিকে তুলে রেখেছিলেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে গ্রেটা থুনবার্গ তার জাহাজের এক কোণায় বসে আছেন। ওই সময় তাকে ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গ্রেটা ও তার সঙ্গীরা সুস্থ আছে বলেও জানায় দখলদারদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

৪০টিরও বেশি জাহাজে খাবার ও ওষুধ নিয়ে আগস্টের শেষ দিক থেকে গাজার দিকে রওনা দেন এসব অধিকারকর্মী। তাদের সঙ্গে আইনজীবীরাও ছিলেন।

তাদের লক্ষ্য ছিল গাজা উপকূলে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙা। তবে গাজার কাছাকাছি আসার পর গতকাল রাত থেকে জাহাজগুলো আটক করা শুরু করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী।

যাত্রা শুরুর পর এসব জাহাজের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠিয়েছিল স্পেন ও ইতালি। এছাড়া ড্রোন দিয়ে সহায়তা করছিল তুরস্ক। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা ফ্লোটিলার জাহাজরগুলো আটকের সময় এ দেশগুলোর নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল না।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাহাজ আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি বলেছে ফ্লোটিলার ওপর হামলা ‘সন্ত্রাসী হামলা’।

সূত্র: রয়টার্স

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ফ্লোটিলার নৌযানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪টি’র তথ্য পাওয়া যাচ্ছে

Published

on

ইসরায়েলের নৌবাহিনী ১৩টি নৌযান আটকের পর বাকি যে ৩০টি নৌযান গাজার উপকূলের উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রেখেছিল, সেগুলোর মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৪টির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এই নৌযানগুলো হলো শিরিন, সামারটাইম জং, মিকেনো এবং মেরিনেত্তি। বাকি ২৬টি নৌযান কী অবস্থায় আছে, সেগুলো যাত্রা অব্যাহত রেখেছে না কি ইসরায়েলের নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে— সেসব তথ্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ট্র্যাকার সিস্টেম ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

শিরিন এবং সামারটাইম জং বহরের নৌযান হলেও সেগুলোতে ত্রাণসামগ্রী ছিল না। এ দু’টি নৌযানে ছিলেন আইনজীবীরা। গত ৩১ আগস্ট গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মিশন শুরু হওয়ার পর আইনী সহায়তার জন্য এই দু’টি নৌকায় আইনজীবীদের রাখা হয়েছিল।

অন্যদিকে ত্রাণবাহী নৌযান মিকেনো এবং মেরিনেত্তি গাজার জলসীমার কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। যাত্রা অব্যাহত থাকলে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরের মধ্যে গাজার উপকূলে নোঙ্গর ফেলার কথা ছিল নৌযান দু’টির।

কিন্তু বাংলাদেশ সময় ১১ টা ২১ মিনিটের পর থেকে মিকেনো, মেরিনেত্তি, শিরিন এবং সামারটাইম জং-এর কোনো খবর পাচ্ছে না ফ্লোটিলা ট্র্যাকার।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা—এই চার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ঐক্যমঞ্চ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে খাদ্য ও ওষুধে পূর্ণ ৪৩টি নৌযানের বহর নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা দেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। জাহাজগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।

বুধবার ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহর। সেদিন সন্ধ্যার পর গাজা উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় নৌবহরের চারপাশ ঘিরে ধরে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং বহরের ১৩টি নৌযান আটক করে। আটক নৌযানগুলোর মধ্যে কয়েকটির নাম জানা গেছে— স্পেক্টার, অ্যালমা, সাইরাস, হুগা, মালি প্রভৃতি।

আটক নৌযানগুলোতে ছিলেন দুই শতাধিক যাত্রী এবং ক্রু। তাদের সবাইকে ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কিন্তু ১৩টি নৌযান আটকের পরও গাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বাকি ৩০টি নৌযান।

S

Continue Reading