ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। যদিও ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এটির অনুমোদন দেয়নি।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজোম মধ্য গাজা থেকে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় জানিয়েছেন, গত কয়েক ঘণ্টায় একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। যদিও ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছিল তারা আর আক্রমণাত্মক হামলা চালাবে না। এছাড়া শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
গাজার মানুষ এখন যুদ্ধবিরতি কার্যকরের অপেক্ষা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কখন ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে সরে যাবে সেই প্রহর গুণছেন তারা।
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকরের অনুমোদন দেবে তখন চুক্তি অনুযায়ী, গাজার নির্ধারিত স্থানে চলে যাবে ইসরায়েলের সেনারা।
কিন্তু এখন পর্যন্ত দখলদার সেনাদের গাজার শহুরে এলাকায় দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক তারেক আবু আজোম।
এদিকে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সম্মত হওয়ার পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। তবে অনেকেই নিহত স্বজনদের কথা মনে করে কাঁদছেন। ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পরই গাজায় তৈরি হয় অন্যরকম এক পরিস্থিতি। মানুষ উচ্ছ্বাস শুরু করেন। অনেকে নিহতদের স্মরণ করে কাঁদতে থাকেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ৩৮ বছর বয়সী উম হাসান বলেছেন, “সাধারণত আমরা বোমার শব্দ, ধ্বংস, রকেট এবং খারাপ সংবাদ নিয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠি। কিন্তু আজ আমরা ভালো সংবাদে জেগে উঠেছি।”
“আনন্দে ছোট বড় সবাই চিৎকার শুরু করে। কিন্তু যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের মনে পড়তে থাকে স্বজনদের কথা। আমরা যারা স্বজন হারিয়েছি, ভাবছি কীভাবে তাদের ছাড়া বাড়ি ফিরে যাব।”
নিজের ছেলের কথা স্মরণ করে উম হাসান বলেন, “আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। আজ সকালে যখন আমরা যুদ্ধবিরতির খবর জানতে পারলাম, এটি একইসঙ্গে আমাদের জন্য সুখ ও দুঃখ নিয়ে এসেছে। যারা স্বজন হারিয়েছে তারা প্রত্যেকেই অত্যন্ত ব্যথিত। তারা ভাবছেন কীভাবে এই স্বজনদের ছাড়া তারা বাড়ি ফিরে যাবে।”
সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি
S