Connect with us

রাজনীতি

৭ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : তারেক রহমান

Digital Darpan

Published

on

 

বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ৭ হাজারের বেশি দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে কেউ পদচ্যুত হয়েছেন; আবার অনেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর ) নিজের ভেরিফাই ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে, আজকের ও আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ছুটে যাচ্ছে তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে; গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও মজবুত করছে। এই সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৭,০০০-এরও বেশি দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে কেউ পদচ্যুত হয়েছেন; আবার অনেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন। বহুমুখী অপপ্রচারের মাঝেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এগুলো ছিল অপরিহার্য। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি। নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমেই আবারও প্রমাণ হলো যে, বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক এবং আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে যেসব মানদণ্ড দাবি করি, নিজেদেরও ঠিক সেই একই মানদণ্ডে দাঁড় করাই।

এইভাবেই আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিশেষত তরুণদের, যারা রাজনীতিকে কেবলমাত্র ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখতে চায় না; বরং দেখতে চায় সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে।

সময়ের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি সব সময়ই নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে আমাদের নীতিমালা গড়ে উঠেছে। আমরা অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও বেশি নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাতে জাতি আরও এগিয়ে যায় এবং রাজনীতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক, সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো আলাদা, তাই আমাদের পদক্ষেপগুলোকেও হতে হবে নতুনভাবে চিন্তা-নির্ভর। তবে, আমরা ইতিহাসকে অস্বীকার করি না; বরং তার ভিত্তিতেই এগিয়ে যেতে চাই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগণকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন; জনগণের ক্ষমতায়নকে রাজনীতির কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে গণতন্ত্র ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে গিয়েছেন। আজ আমরা তাদের সেই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছি নতুন যুগে; যেখানে সততা, তরুণ নেতৃত্ব ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হবে রাষ্ট্রগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।

নিজ ঐতিহ্যকে ধারণ করে বিএনপি প্রাধান্য দিচ্ছে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, ভবিষ্যতমুখী এবং আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানের পথযাত্রাকে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমরা জানি, তরুণরা চায় বাস্তব সুযোগ, তারা ফাঁকা বুলি চায় না। জনগণ চায় স্থিতিশীলতা, তারা বিশৃঙ্খলা চায় না। আর বিশ্ব চায়, বাংলাদেশ হোক একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তিনি বলেন, আমার সহকর্মী ও নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই— আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকি, এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি। আমি যেমন আপনাদের প্রত্যেকের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ হবে আরও উজ্জ্বল। আমরা একসঙ্গে প্রমাণ করবো যে, বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্খিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ।

S

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রাজনীতি

‘কেউ কিছু জানে না, এমন অনেক মিটিং হচ্ছে’

Published

on

কেউ কিছু জানে না, এমন অনেক মিটিং হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসায় তিন দেশের কূটনীতিকদের বৈঠক প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবে, সেটা বিএনপি চিন্তা করে না। কতজন—কত জায়গায় মিটিং করবে—এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য নেই। কারও বাসায় বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু আসে যায় না। কেউ জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে।

তিনি বলেন, এগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে। আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনব—এটাই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জনগণ কী চায়, সেটাই বড় বিষয়। বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।

আমির খসরু বলেন, বিএনপি বলেছে ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থান করা হবে। এক কোটি কর্মসংস্থানের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য জার্মানির সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কিল উন্নয়নের জন্য জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে কী কী করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। জার্মান বিনিয়োগ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। জার্মানি চীনে কিছু বিনিয়োগ করেছে, ভারতে কিছু বিনিয়োগ করেছে। এরই মধ্যে তারা বাংলাদেশকে আগামী দিনের বিনিয়োগের জন্য ভালো গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে। সুতরাং বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি; এ ব্যাপারে তাদের আগ্রহ আছে।

বিনিয়োগের জন্য ভালো পরিবেশ দরকার উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগে যে সমস্যাগুলো ছিল, সে বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি, বিনিয়োগ সামিটে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে দিয়েছি, প্রত্যেকটি দূতাবাসে দিয়েছি। বিনিয়োগকারীরা জানেন, আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগে কোনো সমস্যা থাকবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, বিনিয়োগের জন্য নির্বাচন ও দেশের স্থিতিশীলতা অবশ্যই দরকার। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচিত সরকার এলে বিনিয়োগকারীরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সেজন্য সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

S

Continue Reading

রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট চায় বিএনপি

Published

on

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটের বিষয়ে মতামত দিয়েছে বিএনপি। তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে আরেকটি নির্বাচন চান না বলেও জানান।

বুধবার (৮ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ গণভোট বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গণভোট কবে হতে পারে সেই পরামর্শ দিয়ে সালাহ উদ্দিন বলেন, সামনে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাল্লাহ সেই নির্বাচনের আগে। আমাদের সময় আছে, নির্বাচনের সময়টাও যদি ধরি, তাও সাড়ে তিন মাস- নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস। কারণ অক্টোবরের আমরা এখন প্রায় সেকেন্ড হাফের দিকে আছি। এই সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিলটা ঘোষণা হবে। তাহলে আমাদের হাতে সময় থাকে এক থেকে দেড় মাস। এখন বাস্তবতা কি এবং প্রয়োজনীয়তাটা কি জুলাই জাতীয় সনদের পক্ষে জনগণের মতামত যদি আসে। আমরা মনে করি আসবে ইনশাআল্লাহ। সুতরাং আমরা অনুমান করতে পারি যে জনগণ সংস্কার চায়, সব রাজনৈতিক দল সংস্কার চায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায়।

তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তি যদি রচনা করতে চাই, সেটা তো সেমিলটেনিয়াস ইলেকশনের মধ্যে হতে পারে। এইজন্যই তো আমরা আইনগত ভিত্তি মনে করছি এবং জনগণের সম্মতি এটা। একটা বিশাল নির্বাচনী আয়োজনের মধ্যে যেটা আছি সেরকম আরেকটি আয়োজন যদি তার আগে করি এটা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার মত একটা প্রয়াস হবে বলে আমরা মনে করি। সুতরাং এটাকে আমরা পরিহার করি, জাতীয় স্বার্থে আমরা আমাদের রাজনৈতিক স্বার্থ থেকে ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থ এবং দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখি। আরেকটা বিশাল আয়োজন, একটা বিশাল অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা এগুলো সবকিছু আমরা পরিহার করতে পারব, যদি একই দিনে নির্বাচনের সময় আমরা এই গণভোটের আয়োজনটা করি, শুধু আরেকটা ব্যালট লাগবে। আমরা একাধিক ব্যালেটে ভোট দিতে অভ্যস্ত, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর মতো এখানে কোনো জটিলতা হবে না।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই সনদ গৃহীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময়টা সংসদের জন্য স্বাধীনতা থাকতে হবে। সেই পার্লামেন্টে এই সনদগুলো গৃহীত হওয়ার পরে আমরা দ্বিতীয় পক্ষ গঠন করবো কিনা? অবশ্যই গঠন করতে হবে। যখন এই সনদটা গৃহীত হয়ে গেল, সংবিধান সংশোধনী হয়ে গেল, তার ভিত্তিতে তো সেকেন্ড হাউস করাই যাবে এবং সেজন্য আইন প্রণীত হবে, সেজন্য যেভাবে নোট অফ ডিসেন্টে যারা যেভাবে দিয়েছেন তারা যদি সেভাবে সংবিধান সংশোধনী করার সুযোগ পান তাহলে সেভাবে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়া ইট ইজ ওভার, ইট ইজ ক্লোজড চ্যাপ্টার। এটা আমরা যে যেভাবে সম্মত হয়েছি, সেটা আমরা আলোচনায় আসি, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা এখানেই থাকি, আদারওয়াইজ আমাদের জন্য একটু অসুবিধা হতে পারে।

তিনি বলেন আরও বলেন, জুলাই সনদে এখানে এগ্রিড হয়েছি উইথ নোট অফ ডিসেন্ট ইন সার্টেন পয়েন্ট এবং সেখানে বর্ণিত আছে কি, কীভাবে নোট অফ ডিসেন্ট বাস্তবায়ন হবে। আমরা বলেছি আমরা যে যেভাবে নোট অফ ডিসেন্ট দিয়েছি, সেটা বিবৃতি থাকতে হবে এবং অঙ্গীকারনামায় একটা দফাযুক্ত থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহারে সেগুলো উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট প্রাপ্ত হয়, তারা সে মতে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। জুলাই সনদ এটা একটা টোটাল প্যাকেজ। এই প্যাকেজ ইন টোটালিটি জুলাই সনদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং গণভোটের জন্য যাবে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই সনদ আদেশটা প্রজ্ঞাপন আকারে গ্যাজেট নোটিফিকেশনে যাবে এবং সেই প্রজ্ঞাপনের সূত্র ধরে যে গণভোটের আইনটা হবে সেই গণভোটের আইনটা সেভাবে উল্লেখ থাকবে। যে এই বিষয়ে এই প্রজ্ঞাপনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সম্মতি নেওয়া প্রয়োজন বিধায়, যেহেতু অংশে সেটা দিয়ে সেহেতু এই গণভোট অধ্যাদেশ জারি করা হলো এবং এই গণভোটটা কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটার জন্য বিধিবিধান বিদ্যমান গণভোট আইন থেকে নেওয়া যায় আরপিও থেকে নেওয়া যায়। যেভাবে নির্বাচন কমিশনে ভোট পরিচালনা করে সে সমস্ত বিধিবিধানগুলো প্রয়োজনে সরকার ইলেকশন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সেখানে দেওয়া হবে এবং সেই আদেশের মধ্যে জুলাই সনদ আদেশ যেটা প্রজ্ঞাপনের মধ্যে করবেন সেখানেও গণভোটের বিধান কথাটা উল্লেখ থাকা শ্রেয় হবে। যে প্রজ্ঞাপন এই আদেশটা বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের আয়োজন করা হবে, সেটাও আদেশের মধ্যে সংযুক্ত করতে পারেন।

তিনি বলেন, যদি আমরা ধরে নেই তাহলে পরে সেই গণভোটটা আগে হলো। যে ফলাফল একই দিনে হলেও সে একই ফলাফল দুটোই বাইন্ডিং ক্ষমতা থাকছে, সার্বভৌম ক্ষমতার অনুবলে পার্লামেন্টের উপরে, তাহলে আগে আরেকটা নির্বাচনের আয়োজন করা এই জাতির পক্ষে এ সময়ের মধ্যে কি সম্ভব? অথবা প্রয়োজন কি আছে? এই দুই প্রশ্নের একটা হচ্ছে- সম্ভাবনা আমরা দেখি না। কারণ এই সময়ের মধ্যে আরেকটা মহাযোগ্য জাতীয় সংসদের মত একই আয়োজনটা করতে হবে, শুধু ওইখানে প্রার্থী থাকবে না, সনদেই হবে প্রার্থী।

S

Continue Reading

জাতীয়

জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক

Published

on

ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

Continue Reading