Connect with us

বিনোদন

শাকিবের কথা শুনে ‘বিস্ময় কাটেনি’ কোনালের

Digital Darpan

Published

on

 

বিনোদন ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের মুখে নিজের প্রশংসা শুনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন সংগীতশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল।

পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

“কোনাল, এক সময় এই দেশ তোমাকে নিয়ে প্রাউড ফিল করবে” অনুষ্ঠান-সেটের টিভিতে ভাইয়াকে দেখে ১ সেকেন্ডের জন্য থমকে গিয়েছিলাম। মেলাতে পারছিলাম না কারণ ভাইয়াতো আমেরিকায়! কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতেও পারছিলাম না কারণ আমার বিস্ময় শেষ অবধি কাটেনি। অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে পুরো ভিডিও কালেক্ট করে ১০০ বারের উপরে দেখেছি। সত্যি ভাইয়া এগুলো বলেছেন আমাকে নিয়ে?

সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীরা যাকে নিয়ে প্রাউড ফিল করে, তিনি আমাকে দোয়া দিয়েছেন একদিন দেশ প্রাউড ফিল করবে আমাকে নিয়ে। বাংলা সিনেমার মহাতারকা আমাকে ভার্সেটাইল প্লে-ব্যাক আর্টিস্ট বলেছেন! যিনি তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের জন্য সুযোগ পেলেই কিছু করতে চান। তিনিই আমাকে বলেছেন আমি মানবিক! দুই বাংলার কোটি ভক্তের রাজকুমার আমাকে বোন ডেকেছেন, পরিবারের অংশ বলে প্রাউড ফিল করেছেন।

ভাইয়া আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার তো শেষ নেই! কিন্তু আপনাকে নিয়ে লিখতে পারি, বলতে পারি, সেই ধৃষ্টতা কি আমার আছে? বাংলা সিনেমার প্রবাদপ্রতিম আপনি। আপনি এত বড় মাপের শিল্পী, মানুষ আমার মতো ক্ষুদ্র একজনকে নিয়ে না বললেও কিছু আসত-যেতনা তবু আপনি বলেছেন।

আপনি মানুষকে এত ভালোবাসেন কি করে ভাইয়া? আপনার কথাগুলো বারবার শুনছিলাম আর ভাবছিলাম, কত মানুষ কত আজেবাজে কথা বলে আপনার এবং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে। কত মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করতে থাকে অক্লান্তভাবে! মাঝে মাঝে যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে যাই এত নেগেটিভিটিতে, আপনার কণ্ঠস্বর ভেসে উঠে কানে।

“কোনাল, জিয়া, তোমরা আমার ভাই-বোন তোমরা আমার পরিবার। ওরা চায় না, তোমরা আমার পাশে থাকো তাই তো এত ষড়যন্ত্র। কিন্তু মনে রেখো, আমাদের এই বন্ধন আজীবনের।” তখন আবার মনে পড়ে “তাই তো” আবার সাহস পাই, হাসিমুখে লড়াই করে যাবার।

অনেকেই তাদের উত্থানের পিছে আপনার অবদান স্বীকার করতে কার্পণ্য করলেও, আমার প্রফেশনাল ক্যারিয়ারে আপনার অবদান ভুলে গেলে আমি অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবো ভাইয়া। মা বাবার স্বপ্ন, আমার পরিশ্রম/অধ্যবসায়, হার না মানার প্রতিজ্ঞা, ভালো কিছু করার ইচ্ছা, বাংলা গান নিয়ে কাজ করে যাবার প্রত্যয় থেকেই আমি দেশে এসেছি। চ্যানেল আই আমাকে প্লাটফর্ম দিয়েছে। শ্রোতারা আমাকে দিয়েছে সাহস ও ভালোবাসা। এরপর গাইতে গাইতে একদিন এসে আপনার আন্তরিক সাপোর্ট, প্রতিনিয়ত আমার প্রতি আপনার বিশ্বাস, আপনার উৎসাহ, বিশাল ভূমিকা পালন করেছে আজকের আমি হওয়ার পেছনে।

একটা সত্য জানবেন ভাইয়া, পেশাদারভাবে হয়ত আমি গান গাইব না আজীবন, তবে আপনি আমার ভাই আজীবনের। আপনার চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সঙ্গে আমাদের ভ্রাতৃত্বের কোনো যোগসূত্র নেই ভাইয়া। কোনোদিন ছিল না, কোনোদিন থাকবেও না। I’ll be your biggest cheerleader no matter what.

আপনি দোয়া করবেন, আমি যেন আপনার কথামতো কাজ করে যেতে পারি, সত্যিকারের ভালো নাগরিক হয়ে দেশের জন্য করতে পারি, যেন বাংলাদেশ একদিন আপনার বোনকে নিয়ে গর্ব করে। আপনার সুস্থতা কামনা করি। সকল মন্দ থেকে আপনার সুরক্ষার দোয়া করি। আমার ভাই যেন থাকে আল্লাহ পাকের রহমতের চাদরে, আমিন।

S

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিনোদন

অনন্ত জলিলের সিনেমায় গান গেয়েছিলেন জুবিন গার্গ

Published

on

ভারতের প্রখ্যাত গায়ক জুবিন গর্গ সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন। একাধিক ভাষায় এ সংগীতশিল্পী গান গাইতে পারতেন। এদিকে ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় গান ‘ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট’-এর গায়কও ছিলেন জুবিন গার্গ।

জুবিনকে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আবেগঘন মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। এই গানটি যে তাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এনে দিয়েছে, সে কথা অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।

অনন্ত জলিল বলেন, ‘দেশের ভার্সিটিগুলোতে ‘ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট’ গানটা জনপ্রিয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গায়, এর সঙ্গে নাচ করে। দেশের সব কলেজের ছেলেমেয়েদের কাছে এই গান মানে এক উন্মাদনার নাম।’

প্রিয় শিল্পীকে হারানোর বেদনা প্রকাশ করে অনন্ত জলিল বলেন, ‘সবাই জানে অনন্ত জলিলের গান ‘ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট’, এই গানের গায়ক জুবিন গার্গ মারা গেছেন, আমি ব্যথিত। আমি ঠিক ভুল পারছি না।’

তিনি জানান, তিনে যেখানেই গেছেন যে দেশেই হোক, সেখানের ছেলে-মেয়েদের মুখে মুখে ‘ঢাকার পোলা’ গান শুনেছেন। কিংবা তারা এই গান তাকে নাচ করতে বলেছেন। তার কথায়, ‘জুবিন গার্গের গাওয়া এই গান আমাকে ফেমাস করেছে।’

S

Continue Reading

বিনোদন

‘পুরুষরা সন্তান জন্ম দিলে পৃথিবীতে কোনো যুদ্ধই থাকতো না’

Published

on

বলিউডে ‘আট ঘণ্টা কাজ’-এর দাবি নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যে নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী রানি মুখার্জি। দীপিকা পাড়ুকোনের ‘কল্কি’ সিকুয়েল থেকে সরে দাঁড়ানোর খবরের মধ্যেই রানি কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য নিয়ে মুখ খুললেন।

রানি জানান, মেয়ে আদিরার জন্মের পর তিনি যখন ‘হিচকি’র শুটিং করছিলেন, আদিরা তখন ১৪ মাসের। তাকে দুধপান করানোর জন্য তিনি একটি কঠোর রুটিন মেনে চলতেন। তিনি সকালে দুধ পাম্প করে বেরিয়ে যেতেন এবং ইউনিট ও পরিচালকের সহায়তায় ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যেই শুটিং শেষ করতেন। এতে ট্রাফিক শুরু হওয়ার আগেই তিনি দুপুরের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসতে পারতেন।

তার কথায়, ‘এই বিষয়গুলো এখন আলোচনায় এসেছে কারণ হয়তো মানুষ বাইরে এগুলো নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু এটা সব পেশাতেই একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমিও করেছি, নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করেছি। যদি প্রযোজক রাজি থাকেন, তাহলে ছবিটা করা যায়। না থাকলে করা যায় না। এটা একেবারেই পছন্দের বিষয়। কেউ কাউকে জোর করছে না।’

পুরুষরা সন্তান জন্ম দিলে পৃথিবীতে কোনো যুদ্ধই থাকত না উল্লেখ করে রানি বলেন, ‘ভাবুন তো, যদি পুরুষদের সন্তান জন্ম দিতে হতো, তাহলে তারা সবাইকে পাগল করে দিত। এখন তাদের হাতে অনেক সময়, তাই যুদ্ধ করছে। যদি তাদের সন্তান জন্ম দিতে হতো, তাহলে হয়তো পৃথিবীতে কোনো যুদ্ধই থাকতো না। কারণ ওরা তখন শুধু শিশুকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতো।’

‘কারণ আমি মনে করি, পুরুষরা এই অসাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত— একটি শিশুকে জন্ম দেওয়ার অভিজ্ঞতা। এটা ঈশ্বরের সবচেয়ে কাছাকাছি আসার অনুভূতি। কারণ আমরা একটি জীবন সৃষ্টি করি।’

অভিনেত্রীর ভাষ্যে, ‘পুরুষদের শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আমরা মা হওয়ার সময় শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাই। আমি মেয়ে হয়ে খুবই খুশি। আমি এটা কোনো কিছুর বিনিময়ে পরিবর্তন করবো না।’

S

Continue Reading

বিনোদন

সংগ্রাম করা মানেই ব্যর্থ হওয়া নয় : ভাবনা

Published

on

অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা শুধু নিজের অভিনয় দিয়েই নয়, তার জীবনবোধ ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যের জন্যও ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে পরিচিত। নাটকের মঞ্চ থেকে শুরু করে বড় পর্দা—সবখানেই নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। বিশেষ করে তাঁর প্রথম নাটক ‘নট আউট’ এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় থাকেন ভাবনা। সম্প্রতি এক পোস্টে তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনদর্শন এবং সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেছেন যা নিয়ে নেটিজেনরা বেশ আলোচনা করছেন।

পোস্টে আশনা হাবিব ভাবনা লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে শিখছি যে প্রতিটি সংগ্রামের মধ্যেই কিছু শেখার আছে। কখনও কখনও, এটি আপনাকে এমন শিক্ষা দেয় যা আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনাকে শক্তিশালী হওয়ার কারণ যোগায়।’

সংগ্রাম করা মানেই ব্যর্থ হওয়া নয় উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘ভালো কিছু সহজে আসে না; বেশিরভাগ সময়েই, আপনার জীবনে ভালো কিছু ঘটার আগে আপনাকে সংগ্রাম করতে হয়। নিজেকে এই কথা মনে করিয়ে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে সংগ্রাম করা মানেই ব্যর্থ হওয়া নয়।’

শেষে উল্লেখ করেছেন, ‘এই মুহূর্তে হয়তো আপনি আপনার সব অভিজ্ঞতার জন্য খুব হতাশ বোধ করছেন, কিন্তু তাতে কোনো সমস্যা নেই। আপনি যা কিছুর মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, তা সবই একদিন আপনাকে একটা না একটা শিক্ষা দেবে।’

S

Continue Reading