Connect with us

রাজনীতি

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা

Digital Darpan

Published

on

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে, সকল মামলা তুলে নেওয়া হবে।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি ছাত্র-জনতার কাছে এ বক্তব্যের জন্য ফখরুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ও ফ্যাসিবাদী শক্তি। লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না করে ফ্যাসিবাদের প্রবক্তা শেখ মুজিবই প্রথম গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে বাকশাল কায়েম করেন, যেখান থেকে বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের যাত্রা। তারই ধারাবাহিকতায় নানাভাবে বিগত দেড় দশক ধরে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগই গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন ও বিরোধী মত দমনের মাধ্যমে দেশে সেই ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদ কায়েম করেছে এবং জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালিয়ে এই ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি তারা অতীতের ন্যায় আবারও দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা শুরু করেছে। সুতরাং গণহত্যায় জড়িত কাউকে ক্ষমা করার কোনো প্রশ্ন তো আসেই না; বরং ছাত্র-জনতা এই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটিতে আর দেখতে চায় না।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অথচ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বেশ কয়েক মাস ধরে নানা কৌশলে অনেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে পুনরায় প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। এ ছাড়া পূর্বেও ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে তার এ ধরনের বক্তব্য আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। অথচ তিনি বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন।’

দলীয় নীতিনির্ধারকের আসনে বসেও এমন বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি দলীয়ভাবে বিএনপির অবস্থানকেই ইঙ্গিত করছে কি না সব ছাত্র-জনতার কাছে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উপস্থাপনের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

 

রাজনীতি

তারেক রহমানের ছবি নিয়ে আপত্তি ‘ব্যক্তিগত নয়’, ব্যাখ্যা দিলো এনসিপি

Published

on

নির্বাচনী প্রচারণায় জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারের বিষয়ে প্রচারিত সংবাদ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়। দুপুরে নির্বাচন কমিশনে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এবং আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, আজ নির্বাচন কমিশনে আমরা যা বলেছি, সেটা বিদ্যমান আইনের আলোকে। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর বিধি ৭(চ)-তে বর্ণিত নিয়মগুলো যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, সে বিষয়ে আমরা গুরুত্বারোপ করেছি। এই নিয়ম তো সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। বিএনপির বিষয়টি একটি উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যক্তি আক্রমণের উদ্দেশ্যে নয়। কিন্তু গণমাধ্যমগুলোর শিরোনামগুলো যেভাবে লেখা হয়েছে, তার ফলে ভুল বার্তা যেতে পারে।

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার বিধি ৭(চ) বলছে, দফা (ঙ)-তে যাহা কিছু থাকুক না কেন, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত হইলে, সেই ক্ষেত্রে তিনি কেবল তার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ড বিল ও ফেস্টুনে ছাপাতে পারবেন এবং উল্লিখিত ছবি পোট্রেট আকারে হতে হবে এবং এটি কোনো অনুষ্ঠান ও জনসভায় নেতৃত্ব দান বা প্রার্থনারত অবস্থায় বা ভঙ্গিমায় ছাপানো যাবে না।

উল্লিখিত ধারার কথা উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট মুসা বলেন, আইনের এই ধারা অনুযায়ী দলীয় প্রধান হিসেবে কেবল খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই নিয়মটা মানা হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকলে বিধিমালা প্রয়োগের বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের নজরে নিয়ে আসি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাপা হওয়া সংবাদের শিরোনামে জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে এনসিপির আপত্তি উল্লেখ করে প্রকাশিত হয়। যা ভুল বার্তা বহন করছে বলে মনে করে এনসিপি।

S

Continue Reading

রাজনীতি

হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে না আনলে এই রায়ের কোনো মূল্য নেই : মীর স্নিগ্ধ

Published

on

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, এই রায়ের কোনো মূল্য নেই। যদি না শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে দেশে ফিরিয়ে এনে এটা কার্যকর করা না হয়। যদি ফাঁসি কার্যকর করা না হয়, তাহলে আওয়ামী দোসররা তাদের প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাবে। সুতরাং যত দ্রুত সম্ভব তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হোক।

সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্নিগ্ধ বলেন, ভারতের প্রতি বার্তা থাকবে যে, একজন খুনি ফ্যাসিস্টকে নিজেদের কাছে না রেখে তাকে দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিন। দেশের মানুষই ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, শহীদ পরিবারেরা সাবেক আইজিপি মামুনের পাঁচ বছরের রায়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হয়নি। যদিও সে রাজসাক্ষী, তবুও তাকে পাঁচ বছর না দিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া উচিত ছিল। উচ্চ আদালতে যদি আপিল করার সুযোগ থাকে, তাহলে আমরা এ বিষয়ে আপিল করব।

S

Continue Reading

রাজনীতি

গণতন্ত্রের লড়াইয়ে মওলানা ভাসানী পথপ্রদর্শক

Published

on

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে মওলানা ভাসানী সবসময় প্রেরণার উৎস এবং পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, তার অগাধ দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষা এবং গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে যুগ যুগ ধরে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। তার আদর্শ সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নাম। সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আপসহীন ও সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তারেক রহমান বলেন, মওলানা ভাসানী দেশমাতৃকার মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। তার অবস্থান ছিল শোষণের বিরুদ্ধে এবং শোষিতের পক্ষে। অধিকার আদায়ে তিনি সর্বদা এ দেশের মানুষকে সাহস জুগিয়েছেন তার নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের দ্বারা।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, তার হুঙ্কারে অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর মসনদ কেঁপে উঠত।

তিনি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

S

Continue Reading