ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে অভিজাত ও রাজকীয় ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেট। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার কাছে লাল বলের ক্রিকেট পৌঁছেছে অন্য উচ্চতায়। অবশ্য বিশ্ব ক্রিকেটে টেস্ট খেলুড়ে সবকটি দেশের ক্রিকেটারদের স্বপ্নের মাঠ লর্ডস-মেলবোর্ন। অধিকাংশ ক্রিকেটারেরই এই ভেন্যুগুলোতে খেলার স্বপ্ন থাকে।
বাংলাদেশের সবগুলো দল অবশ্য সেই সুযোগটা পেয়েছে হাতে গোনা কয়েকবার। দিন মাস বছরের হিসাব করে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট এখন পৌঁছেছে ২৫টি বসন্তে। আজ থেকে দুই যুগেরও বেশি আগে, ২০০০ সালের ২৬ জুন টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিল বাংলাদেশ। সময়ের হিসাবে ২৫ বছরে পদার্পণ করল বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা।
হেমন্তের এমন এক দিনে একই বছরের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে নিজেদের অভিষেক টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। অভিষেক টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল এখন বোর্ড সভাপতি। খালেদ মাসুদ পাইলট, হাসিবুল হোসেন শান্ত, রাজিন সালেহ সবাই এখন ক্রিকেট বোর্ডে রয়েছেন।
কেউ নির্বাচক, কেউ বোর্ড পরিচালক, কেউ কোচ- ক্রিকেটার পরিচয় ছাপিয়ে এখন তাদের অনেকেই কর্তা। চলতি বছরে অবশ্য টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার রজতজয়ন্তি উপলক্ষে নানা আয়োজন রেখেছিল বিসিবি। যেখানে দিনব্যাপী জমকালো অনুষ্ঠান করেছিল ক্রিকেট বোর্ড। উপস্থিত ছিলেন অভিষেক টেস্টের সকল সদস্যই।
তবে টেস্ট ক্রিকেট খেলার ২৫ বছর পূর্ণ হলেও এখনো কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। প্রথম ২৫ বছরে খেলা ১৫৪ ম্যাচে জয় মাত্র ২৩টি। বিপরীতে টাইগাররা হেরেছে ১১২ ম্যাচ। অর্থাৎ গড়ে একটি জয়ের বিপরীতে পরাজয় ৫টি। এমন পরিসংখ্যানই বার্তা দেয় টেস্ট ক্রিকেটে ঠিক কতটা পিছিয়ে আমরা।
বর্তমান টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও অবশ্য সেটা মেনে নিচ্ছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘টেস্টে আশানুরূপভাবে এগোইনি। পুরোটাই আমাদের দোষ। আমরা দলকে সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারিনি।’
এদিকে টেস্ট দলের সাবেক এক অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা লাল বলের ক্রিকেটে আসলে ভালো করতে পারিনি। ২৫ বছরে ২৫টি ম্যাচও জিততে পারিনি। যা দুঃখজনক। অনেকে এখন তো লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চায় না বাকি দুই ফরম্যাটের জন্য। আশা করব সামনে এ ধারা থেকে বের হতে পারবে দেশের ক্রিকেট।’
S