Connect with us

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাবে ভারতের চিংড়ি শিল্প ধসের মুখে

Digital Darpan

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধিক শুল্কের কারণে ধসের মুখে পড়েছে ভারতের চিংড়ি রপ্তানি শিল্প। এছাড়া প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় ভারতীয় চিংড়ির দাম বেশি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশটির চিংড়ি চাষীরা।

তাদের একজন পশ্চিমবঙ্গের নন্দিগ্রামের বুদ্ধদেব প্রধান। এই চাষী মাত্র এক সপ্তাহ আগে তার উৎপাদিত চিংড়ি বিক্রি করেছেন। এরমধ্যে আবার উৎপাদন শুরু করেছেন তিনি। একই জায়গায় বছরে দুইবার চিংড়ি চাষ করলে রোগবালাইসহ অন্যান্য ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি এ ঝুঁকি নিয়েছেন। কারণ প্রথম দফার চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতি যেন পুষিয়ে নেওয়া যায় তাই দ্বিতীয়বার চাষ করছেন বুদ্ধদেব।

তিনি বলেন, “চিংড়ির দরপতন আমাকে উদ্বিগ্ন করে করে তুলেছে। চেষ্টা করছি যে ৩ লাখ রুপি বিনিয়োগ করেছি সেটি তুলে আনতে পারি কি না।”

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ চিংড়ি উৎপাদনকারী দেশ। তাদের আগে রয়েছে শুধুমাত্র ইকুয়েডর। গত অর্থবছরের শেষে মার্চে বিশ্বব্যাপী ৫ বিলিয়ন ডলারের হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করেছিল ভারত। যার ৪৮ শতাংশই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে।

সর্বশেষ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী ভারত ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন টন চিংড়ি রপ্তানি করেছিল। যারমধ্যে বেশিরভাগ ছিল ভান্নামি বা সাদাপায়ের চিংড়ি। এটি বছরে দুইবার উৎপাদন করা যায়। যার প্রথমটি ফেব্রুয়ারি থেকে জুন। দ্বিতীয়টি জুলাই থেকে অক্টোবর। কিন্তু রোগবালাইয়ের ভয়ে চাষীরা সাধারণত দ্বিতীয় চক্রে চাষ করেন না।

চিংড়ি চাষ হয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, গোয়া, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং কেরেলায়। এই খাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ কাজ করেন।

গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম ভারতীয় চিংড়ির ওপর শুল্ক ঘোষণা করেন। ওই সময় দেশটিতে চিংড়ির দাম প্রতি কেজি ৩০০ রুপি থেকে কমে ২৩০ রুপিতে চলে আসে। যদিও এক কেজি চিংড়ি উৎপাদনে খরচ হয় ২৭৫ রুপি।

বর্তমানে ভারতীয় চিংড়ির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক রয়েছে ৫৮ শতাংশ। চাষিদের শঙ্কা এমনটা চলতে থাকলে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বাজার হারাবে।

চিংড়ির দাম কমায় অনেকে চাষি বীজ কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে অনেক হ্যাচারি ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সর্বভারতীয় চিংড়ি হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কুমার ইয়েল্লানেকি।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এক্ষেত্রে প্রভাব রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নিঃসন্দেহে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্যাচারির ওপর বড় প্রভাব রাখা শুরু করেছে। এতে করে অনেক হ্যাচারি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।”

এসব হ্যাচারি বছরে ৮ হাজার কোটি বীজ পোনা উৎপন্ন করে। কিন্তু চাহিদা না থাকায় গত তিন-চার মাসে ৮০০ কোটি বীজ ফেলে দিতে হয়েছে। চিংড়ির একেকটি বীজ মাত্র তিন থেকে চারদিন বাঁচে।

যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে হ্যাচারি মালিকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে সতর্কতা দিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র এখন মূলত ইকুয়েডর থেকে চিংড়ি কিনছে। মার্কিনিদের জন্য ইকুয়েডর থেকে চিংড়ি নেওয়া সহজ এবং সাশ্রয়ী।

সূত্র: আলজাজিরা

S

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চল একদিন ভারতের অংশ হবে : রাজনাথ সিং

Published

on

পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চল আজ ভারতের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত না হলেও সীমান্ত যেকোনও সময় পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি একদিন ওই অঞ্চল ভারতের কাছে ফিরে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার মরক্কোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইন্দুস নদীর তীরবর্তী সিন্ধ প্রদেশ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায় এবং সেখানে বসবাসরত সিন্ধি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ভারতে চলে আসেন।দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে এলকে আদভানির প্রজন্মের মানুষ, ভারত থেকে সিন্ধ অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কখনোই মেনে নেননি।

তিনি বলেন, ‘‘আমি এটাও বলতে চাই যে, লালকৃষ্ণ আদভানি তার এক বইয়ে লিখেছেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে তার প্রজন্মের লোকজন, এখনো সিন্ধ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।’’

রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘শুধু সিন্ধই নয়, সমগ্র ভারতে হিন্দুরা ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করেন। সিন্ধের বহু মুসলমানও বিশ্বাস করতেন, ইন্দুসের পানি মক্কার আব-ই-জমজমের মতোই পবিত্র। এটি আদভানি জির উক্তি।’’

দেশটির এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ সিন্ধ ভূখণ্ড ভারতের না হলেও সাংস্কৃতিকভাবে সবসময় ভারতেরই অংশ হয়ে থাকবে। আর ভূখণ্ডের ব্যাপারে বলতে গেলে, সীমান্ত পরিবর্তন হতে পারে। কে জানে, আগামী দিনে সিন্ধ আবার ভারতেই ফিরে আসতে পারে। আমাদের সিন্ধি জনগণ, যারা ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করেন, যেখানেই থাকুন না কেন; তারা সর্বদাই আমাদেরই মানুষ, আমাদেরই অংশ।’’

রাজনাথ সিং বলেন, আগ্রাসী কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মির (পিওকে) ফিরে পাবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ কাশ্মিরের মানুষ নিজেরাই দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি তুলছেন।

তিনি বলেন, ‘‘পাক-অধিকৃত কাশ্মির নিজ থেকেই আমাদের অংশ হবে। সেখানে ইতোমধ্যে এই দাবি তোলা শুরু হয়েছে, স্লোগান আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন।’’

সূত্র: এনডিটিভি।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

বঙ্গোপসাগরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে

Published

on

বঙ্গোপসাগরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি দুর্বল নিম্নচাপ তীব্রতর হয়ে ‘সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে’ রূপ নিয়েছে। যা আগামীকাল আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশাটিভি রোববার (২৩ নভেম্বর) জানিয়েছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিমদিকে সরে গিয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

বর্তমানে এটি দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের দিকে আসছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি কোনদিকে যাবে এবং কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

দুর্বল নিম্নচাপটি ২৫শে নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছাকাছি ঘনীভূত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ সন্দীপ পট্টনায়ক জানিয়েছেন, মালাক্কা প্রণালী এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের অনুকূল পরিস্থিতির কারণে দুর্বল নিম্নচাপটি ম্যাডেন-জুলিয়ান অসিলেশন পর্যায় অতিক্রম করে আরও শক্তি অর্জন করতে পারে।

তিনি বলেন, “সমুদ্রের উপরিভাগের ক্ষেত্রফল বড় হওয়ায় এবং প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শক্তিশালী বাতাসের স্রোত আসায় আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে, যার ফলে দুর্বল নিম্নচাপটি তীব্র হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যেহেতু শীতল বাতাসের প্রভাব কেটে গেছে, তাই এটির আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।”

এ আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শক্তিশালী বাতাস প্রবেশ, সমুদ্রের বিস্তৃত জলরাশি এবং শীতল বাতাসের অনুপ্রবেশ না থাকার কারণে এটি আরও তীব্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আবহাওয়ার এই সিস্টেমটি ২১শে নভেম্বর থেকে আগামী ২ বা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে, বিশেষ করে ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এর তীব্রতা বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে (বর্তমানে) দুর্বল নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে, অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।

এটির প্রভাবে আগামী ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে। ২৬ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ এমনকি ৮০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। আর ২৭ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

ওড়িশা টিভি

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো গ্রেপ্তার

Published

on

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারেকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। অবৈধ রাজনৈতিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন পর তার দণ্ড কার্যকর শুরু হতো। এরআগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) ব্রাসিলিয়ার নিজ বাড়ি থেকে সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশটির কেন্দ্রীয় পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, তার বিরুদ্ধে পুলিশই একটি প্রতিরোধমূলক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধ জানিয়েছিল। যা সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধের পর কার্যকর করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বলসোনারোর বড় ছেলে সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারে একটি সমাবেশ আয়োজন করে। যা সাবেক প্রেসিডেন্টের আবাসিক ভবনের সামনে হয়। আর এই সমাবেশের পরই বলসোনারোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

২০২২ সালে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার কাছে নির্বাচনে হেরে যান জেয়ার বলসোনারো। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও বলসোনারো ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। এই রাজনৈতিক অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে তাকে চলতি বছরের শুরুতে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের একটি বেঞ্চ তাকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত করে। এরমধ্যে চারজনই তার বিরুদ্ধে রায় দেন।

রাজনৈতিক অভ্যুত্থান চেষ্টার পাশাপাশি বলসোনারোর বিরুদ্ধে সশস্ত্র অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সংগঠনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ব্রাজিলের গণতন্ত্রকে বাতিল করতে চেয়েছিলেন তিনি।

২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি বলসোনারোর সমর্থকরা বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলা চালান। ওই হামলার প্রেক্ষিতেই মূলত বলসোনারোকে সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে বলসোনারো শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো অস্বীকার করছে। তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

S

Continue Reading