Connect with us

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প জানেন না, কাল কী করবেন : ভারতের সেনাপ্রধান

Digital Darpan

Published

on

আধুনিক সময়ের অনিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, এখন এমন এক সময় চলছে, যখন নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সাইবার যুদ্ধ; সব দিক থেকেই চ্যালেঞ্জ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। শনিবার দেশটির মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় টিআরএস কলেজে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তৃতায় তিনি ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন।

এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও উঠে আসে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর বক্তব্যে। জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ‌‌‘‘ট্রাম্প আজ কী করছেন? আমার মনে হয়, ট্রাম্প নিজেও জানেন না কাল তিনি কী করবেন। চ্যালেঞ্জগুলো এত দ্রুত আসছে যে পুরোনো সমস্যা বুঝে ওঠার আগেই নতুন একটা এসে হাজির হয়।’’

ভারতীয় সামরিক বাহিনী যে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তার সঙ্গে এমন পরিস্থিতির সাদৃশ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির এই সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীও একই বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা সাইবার যুদ্ধ; সব দিক থেকেই একের পর এক নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে।

গত মে মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনীর চালানো অপারেশন সিঁদুর নিয়েও কথা বলেছেন দ্বিবেদী। তিনি বলেন, সেই সময় কোনও ধরনের বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নিখুঁত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু তখনও অনেক গুজব ছড়িয়েছে। কেউ বলেছিল, করাচিতে হামলা হয়েছে। এমন খবর আমরাও শুনে অবাক হয়েছি, কোথা থেকে আসে এসব, কে ছড়ায়? এই বাস্তবতার মধ্যেই আমাদের স্থল, আকাশ ও সমুদ্র; সব ক্ষেত্রেই প্রস্তুত থাকতে হয়।

অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অভিযান সফল হয়েছিল। কারণ আমরা নীতি ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে কাজ করেছি। আমরা নিশ্চিত করেছি, পাকিস্তানে কোনও সাধারণ মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন। আমাদের লক্ষ্য ছিল কেবল সন্ত্রাসী ও তাদের নেতারা।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির পর ৭ মে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ভারতের এই হামলায় শতাধিক জঙ্গি নিহত হয় বলে দাবি করে নয়াদিল্লি।

এরপর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের সূচনা হয়। হামলার জবাবে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায় ইসলামাবাদ। তিন দিনের সংঘর্ষের পর গত ১০ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়; যার কৃতিত্ব একাধিকবার নিজের বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

তবে নয়াদিল্লি বারবার সেই দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ফলেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে।

সম্প্রতি ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও ভারতীয় পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে জেনারেল দ্বিবেদীর মন্তব্যে ট্রাম্পের নাম উঠে এলো।

সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস।

S

আন্তর্জাতিক

বেশ কয়েকজন জেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করলেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

Published

on

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস এবং তাদের মিত্র প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের অতর্কিত হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়া’য়াল জামির।

চাকরিচ্যুত এই সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক, সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের শীর্ষ কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার আছেন বলে জানা গেছে। পদচ্যুত কয়েকজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা না হলেও তাদের ব্যাপকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যে কোনো সময় তাদেরকে সেনাবাহিনীর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

পরে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়া’য়াল জামির বলেন, “ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর প্রধান দায়িত্ব ইসরায়েলের নাগরিক ও জনগণকে নিরাপত্তা প্রদান, তাদের রক্ষা করা। এদিক থেকে বিবেচনা করলে ৭ অক্টোবর হামলা ঠেকাতে আইডিএফের পদচ্যুত কর্মকর্তাদের প্রত্যেকেই গুরুতর, প্রশ্নাতীত এবং ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ৭ অক্টোবর আমাদের বিরাট শিক্ষা দিয়েছে এবং এই শিক্ষা ভবিষ্যতে আমাদের নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।”

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভূমি, স্থল ও আকাশপথে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৫০ জনকে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েলের ইতিহাসে এটা ছিল সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।

অতর্কিত এই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দুই বছর ধরে অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতিতে যায় ইসরায়েল এবং হামাস।

ইসরায়েলি বাহিনীর দুই বছরের অভিযানে নিহত হয়েছেন ৬৯ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন প্রায় পৌনে দুই লাখ। সেই সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা।

সূত্র : রয়টার্স

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চল একদিন ভারতের অংশ হবে : রাজনাথ সিং

Published

on

পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চল আজ ভারতের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত না হলেও সীমান্ত যেকোনও সময় পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি একদিন ওই অঞ্চল ভারতের কাছে ফিরে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার মরক্কোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইন্দুস নদীর তীরবর্তী সিন্ধ প্রদেশ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায় এবং সেখানে বসবাসরত সিন্ধি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ভারতে চলে আসেন।দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে এলকে আদভানির প্রজন্মের মানুষ, ভারত থেকে সিন্ধ অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কখনোই মেনে নেননি।

তিনি বলেন, ‘‘আমি এটাও বলতে চাই যে, লালকৃষ্ণ আদভানি তার এক বইয়ে লিখেছেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে তার প্রজন্মের লোকজন, এখনো সিন্ধ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।’’

রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘শুধু সিন্ধই নয়, সমগ্র ভারতে হিন্দুরা ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করেন। সিন্ধের বহু মুসলমানও বিশ্বাস করতেন, ইন্দুসের পানি মক্কার আব-ই-জমজমের মতোই পবিত্র। এটি আদভানি জির উক্তি।’’

দেশটির এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ সিন্ধ ভূখণ্ড ভারতের না হলেও সাংস্কৃতিকভাবে সবসময় ভারতেরই অংশ হয়ে থাকবে। আর ভূখণ্ডের ব্যাপারে বলতে গেলে, সীমান্ত পরিবর্তন হতে পারে। কে জানে, আগামী দিনে সিন্ধ আবার ভারতেই ফিরে আসতে পারে। আমাদের সিন্ধি জনগণ, যারা ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করেন, যেখানেই থাকুন না কেন; তারা সর্বদাই আমাদেরই মানুষ, আমাদেরই অংশ।’’

রাজনাথ সিং বলেন, আগ্রাসী কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মির (পিওকে) ফিরে পাবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ কাশ্মিরের মানুষ নিজেরাই দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি তুলছেন।

তিনি বলেন, ‘‘পাক-অধিকৃত কাশ্মির নিজ থেকেই আমাদের অংশ হবে। সেখানে ইতোমধ্যে এই দাবি তোলা শুরু হয়েছে, স্লোগান আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন।’’

সূত্র: এনডিটিভি।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

বঙ্গোপসাগরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে

Published

on

বঙ্গোপসাগরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি দুর্বল নিম্নচাপ তীব্রতর হয়ে ‘সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে’ রূপ নিয়েছে। যা আগামীকাল আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশাটিভি রোববার (২৩ নভেম্বর) জানিয়েছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিমদিকে সরে গিয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

বর্তমানে এটি দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের দিকে আসছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি কোনদিকে যাবে এবং কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

দুর্বল নিম্নচাপটি ২৫শে নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছাকাছি ঘনীভূত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ সন্দীপ পট্টনায়ক জানিয়েছেন, মালাক্কা প্রণালী এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের অনুকূল পরিস্থিতির কারণে দুর্বল নিম্নচাপটি ম্যাডেন-জুলিয়ান অসিলেশন পর্যায় অতিক্রম করে আরও শক্তি অর্জন করতে পারে।

তিনি বলেন, “সমুদ্রের উপরিভাগের ক্ষেত্রফল বড় হওয়ায় এবং প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শক্তিশালী বাতাসের স্রোত আসায় আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে, যার ফলে দুর্বল নিম্নচাপটি তীব্র হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যেহেতু শীতল বাতাসের প্রভাব কেটে গেছে, তাই এটির আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।”

এ আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শক্তিশালী বাতাস প্রবেশ, সমুদ্রের বিস্তৃত জলরাশি এবং শীতল বাতাসের অনুপ্রবেশ না থাকার কারণে এটি আরও তীব্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আবহাওয়ার এই সিস্টেমটি ২১শে নভেম্বর থেকে আগামী ২ বা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে, বিশেষ করে ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এর তীব্রতা বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে (বর্তমানে) দুর্বল নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে, অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।

এটির প্রভাবে আগামী ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে। ২৬ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ এমনকি ৮০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। আর ২৭ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

ওড়িশা টিভি

S

Continue Reading